Logo
শিরোনাম

কানাডায় থাকার আশা ভঙ্গ! ফিরে যেতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

গানের কথার সঙ্গে মিল রেখে দিয়ে যদি শুরু করি তাহলে বলা যায় "এ কানাডা এখন তো আর সে কানাডা নেই"

হ্যাঁ, এটাই সত্যি। একটা সময় ছিল মানুষ নানাভাবে কানাডায় এসেছেন। বিশেষ করে বৈধভাবে আসার একটা মাধ্যম ছিল  স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন সারা বিশ্বের স্টুডেন্টরা। তারমধ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা স্টুডেন্টের সংখ্যাও কম নয়। 

এই স্টুডেন্টরা আগে যারা এসেছেন তাদের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সহজ ছিল। তারপর পিআরও পেয়ে যেতেন সহজে। তারপর সিটিজেন হয়ে যেতেন নির্দিষ্ট সময়ে। তারপর তাদের বাবা-মা স্পন্সর ভিসায় এসে এখানে নাগরিকত্ব পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে পাশার দান। বলতে পারেন এখন প্রায় সবকিছুর রুলস কঠিন হওয়া বা পাল্টে যাওয়া, CRS পয়েন্টস বেশি হওয়া, PGWP এ কড়াকড়ি সব মিলিয়ে গোন্ডগোল বেঁধে গেছে। এখন আর পিআর পাওয়া সহজ হচ্ছে না। আবার স্টুডেন্টদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে।

এসব অসুবিধার আওতায় পড়েছেন অসংখ্য স্টুডেন্ট। যারা এখানে এসে পড়ালেখা শেষ করেছেন ডিপ্লোমা বা পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের কথা বলছি তারা CRS পয়েন্টস মিট না হওয়া ও ওয়ার্ক পারমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর কানাডায় থাকা সম্ভব হচ্ছে না। চলে যেতে হবে বাড়িতে। এমন সংখ্যা অসংখ্য। এ বছরেই দেশে ফিরে যেতে হবে বারো লক্ষ বা তার বেশি স্টুডেন্টকে। আর যারা বর্তমানে পড়াশোনায় চালু আছেন তাদের তো আরো সমস্যা। তাদের তো ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াতেই নানা বাঁধা হবে নতুন রুলসে। সবার জন্য ইজি হবে না। 

আমার ফেসবুকের মেইন আইডিতে ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ছোট ভাই আছে। ২০২০ সালে সে এসেছিল টরন্টোতে। সে আমাকে মাঝেমাঝে মেসেজ দিত। তার একটা কথা আমার মনে আছে। একদিন আমার এক খাবারের পোস্ট দেখে সে বলেছিল "আপু, আমাকে খাওয়াবেন?" তখন আমি তাকে চিকেন বিরিয়ানি ও অন্যান্য অনেক কিছু রান্না করে দিয়ে এসেছিলাম। তখন সে বলেছিল "আপু, আপনি আমার জন্য যা করেছেন, আমার আপন বোনও সেটা করত না।"

যাই হোক, সেই ছেলে তো পড়া শেষ করে তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিটে ছিল। টরন্টোতে একটা ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্টে কাজ করত। তারপর সে অন্টারিও থেকে অন্য প্রভিন্সে মুভ হয়েছিল যদি ভিসা পেতে সুবিধা হয় সেইজন্য। সেখানে গিয়েও সে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছিল। 

অনেক দিন তার খবর জানতাম না। ফেসবুকে তার ছবি দেখে তাকে মেসেজ দিয়ে বললাম, তুমি কি পিআর পেয়েছ? 

সে বলল " না আপু। আমার হবে না মনে হচ্ছে। আমার ফিরে যেতে হবে।"

তারপর তার কাছে তো অনেক কিছু  শুনলাম। সে বলল, টরন্টো থেকে অন্য প্রভিন্সে গিয়ে তার সবচেয়ে বড়ো ভুল হয়েছে। ওখানের রেস্টুরেন্ট তাকে কোনো রকম হেল্প করে নি। তারপর সেখানে একটা কার না হলে চলাই যায় না। একটা কার কিনতে হয়েছে। যার জন্য তার খরচ হয়েছে মাসে $600 cad করে। যেটা টরন্টোয় থাকলে তার খরচ হতো না।

আমি জিজ্ঞেস করলাম তার কতো খরচ হয়েছিল সেটা উঠেছে কিনা আর কিছু জমাতে পেরেছে কিনা।

সে বলল, তার পড়ার টিউশন ফি বাবদ খরচ হয়েছে $39 cad. যার অর্ধেক সে আসার আগে ও বাড়ি থেকে শোধ করেছে। আর বাকিটা চাকরি করে দিয়েছে। পড়া+অন্যান্য খরচ সবকিছু  মিলিয়ে সে চাকরি করে ওঠাতে পেরেছে। 

আমি জানতে চাইলাম কিছু কি জমাতে পেরেছ? সে বলল, "জি আপু। $30 cad জমাতে পেরেছি সব খরচের বাইরে। তারমানে ধরেন ২৫ লাখ টাকার মতো হবে। খারাপ কী! আমি তো মনে করি এই অর্থ দিয়ে সে দেশে একটা বিদেশি রেস্টুরেন্ট চালু করতেও পারবে। আরো অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের থাকার সম্ভাবনা নেই, তারা এখন শুধু  ইনকাম করে টাকা জমানোর চেষ্টা করছে। তবে কেউ কেউ হয়তো এতোটা পারছে না। 

সেই ছেলে বলছে, "আপু, কানাডায় এসে অনেক কিছু শিখেছি। এতেই আমি হ্যাপি। দেশে থাকলে তা পারতাম না।" এখন তার ভবিষ্যৎ ভাবনায় অন্য পরিকল্পনা। সে জানাল, সে জার্মানির দিকে মুভ হবে। সেখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি করে মাস্টার্সও করবে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা রাখলে জার্মানিতে টিউশন ফি লাগে না বলে সে জানাল।

যাই হোক, এটাই হলো জীবনের মান বোঝার উপযুক্ত পরিকল্পনা। কোনো বাঁধাতেই জীবনকে কোনো এক নির্দিষ্ট আঙ্গিকে আটকে রাখতে হয় না। মুভ অন হতে হয়। যেটা চাওয়া হয় সেটা না পেলে খুশি হয় না মন। তাই বলে হতাশায় যেন মন আচ্ছাদিত না হয় তাই ঐ ছেলের মতো বলতে হবে আমি যা পেয়েছি বা শিখেছি তাতেই আমি খুশি। চেষ্টা তো সবাই করেছে। 

অসংখ্য স্টুডেন্ট এখন মেন্টালি রেডি। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টের সংখ্যা বেশি। এমনকি আমার বেসমেন্টে থাকা স্টুডেন্টদের সবার হয়তো হচ্ছে না। তাতে তারা মোটেও বিচলিত না। বরং বলেছে, আমরা দেশে ফিরে যাব। পিআর হলেও থাকতাম না। 

তারা রেডি টু গো ব্যাক টু দ্যা কান্ট্রি। আমি বলব, সবাই ব্যাকে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো সামনের কিছু জীবনের জন্য আরো ভালো, আরো মসৃণ হবে ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




১৮৯ জন নারী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্যাতনের শিকার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৮৯ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

এতে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭২ জন কন্যা ও ১১৭ জন নারীসহ ১৮৯ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩০ জন কন্যাসহ ৪৮ জন।

এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার হওয়াদের মধ্যে তিনজন কন্যাসহ ১১ জনকে দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং এক কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

মহিলা পরিষদ আরো জানায়, চারজন কন্যাসহ পাঁচজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি ছয়জন কন্যাসহ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১০ জন। উত্ত্যক্ত করায় এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।

অগ্নিদগ্ধের কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার তিনজন এবং একই কারণে হত্যা করা হয়েছে তিনজনকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন কন্যাসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। তিনজন গৃহকর্মীকে নির্যাতন, এর মধ্যে দুজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে ১০ জন কন্যাসহ ৪৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনজন কন্যাসহ ১৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন কন্যাসহ ১৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। আটজন কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছেন। একজন নারী সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন।

তিন কন্যাসহ মোট ৬ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।


আরও খবর



রমজান:-পূর্ণ মুমিন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

চলছে পবিত্র রমজান। আল্লাহর অনুগ্রহ: তিনি আমাদের মানুষ বানিয়েছেন, শেষ নবীর উম্মত নির্বাচিত করেছেন এবং দান করেছেন রমজানের মতো বরকতে পূর্ণ একটি মাস। এখন আমরা সেই রমজান-ই অতিক্রম করছি।

আল্লাহর কাছে রমজান মাস সব চেয়ে প্রিয় ও দামি। কারণ, এ মাসে তিনি পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত:১৮৫)

কোরআন নাজিল ছাড়াও রমজান মাসে ইসলামের আরও একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। বদরের যুদ্ধ, মক্কা বিজয় ইত্যাদি এ মাসের ইউল্লেখযোগ্য ঘটনা। আর এ মাসের একটি রাত, যেটি শবে কদর নামে পরিচিত। মর্যাদা ও সম্মানে রাতটি এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।

আল্লাহ বলেন, ‘আমি কোরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো কদরের রাত কী ?  কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও অধিক উত্তম। এ রাতে ফেরেশতা আর রূহ ( জিবরাঈল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে প্রত্যেক কাজে অবতীর্ণ হয়। এ রাতে বিরাজ করে শান্তি আর শান্তি, ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।’ (সুরা কদর)

এ মাসের নফল ইবাদতের সওয়াব অন্য মাসের ফরজ ইবাদতের সওয়াবের বরাবর। উল্লিখিত আলোচনায় বোঝা যায়, এ মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব অনন্য। এ জন্য রাসুল ( ﷺ ) পবিত্র রমজানে রাব্বুল আলামিনকে খুশি করার জন্য বেশি বেশি কালিমা তাইয়্যেবা ও ইস্তেগফার পাঠের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। একইসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) জান্নাত প্রার্থনা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার প্রতি জোর দিয়েছেন। এ জন্য পবিত্র রমজানকে আমাদের ইবাদতের সুবর্ণ সুযোগ মনে করা উচিৎ। আমরা যদি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর নির্দেশনা অনুযায়ী মাসটিকে অতিবাহিত করতে পারি, তাহলে আমরা সহজেই অনেক সওয়াব ও উপকার হাসিল করতে পারবো।

নিচে রমজানের বিশেষ কিছু সুন্নাত আমল তুলে ধরা হলো–

১.রমজানের চাঁদ দেখলেই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা এবং সব সৃষ্টির জন্য রমজানের রহমত প্রাপ্তির দোয়া করা।

২.প্রতি দিন বেশি থেকে বেশি পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা। কারণ, হাদিসে এসেছে, কোরআন তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।

৩.বেশি বেশি কালিমা তাইয়্যেবা ও মুহাব্বাতের সঙ্গে রাসুল (সা.) এর ওপর দরুদ পাঠ করা এবং তাঁর কাছে সালাম পৌঁছানো।

৪.নিজের জীবনের ছোট-বড় সব গোনাহ থেকে ক্ষমা চেয়ে ইস্তেগফার পড়া। একইসঙ্গে আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করা।

৫.একান্ত ওজর ছাড়া রমজানে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত পরিত্যাগ না করা। সেহরির আগে তাহাজ্জুদ নিয়মিত পড়া। পাশাপাশিই এশরাক, চাশত, আওয়াবিন আদায়ের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া।

৬.গিবত না করা এবং অনর্থক কোনও কাজে সময় ব্যয় না করা। প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহকে স্মরণ করা। রমজানই এবাদতের মাস। এ মাসে একজন পরিপূর্ণ মুমিন হয়ে ওঠার আল্লাহ আমাদের তৌফিক দেন, আমিন।


আরও খবর



বাড়ছে তাপমাত্রা, চলতি মাসে ফের তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে সর্বশেষ তাপপ্রবাহ ছিল গত ২০ মার্চ। এরপর থেকে বিগত কয়েক দিনের ঝড়বৃষ্টির কারণে দেশে আরামদায়ক আবহাওয়া ছিল। তবে গতকাল রবিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মাসের শেষ দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাবে। এ সময় মৃদু তাপপ্রবাহ হতে পারে।

সোমবার (২৪ মার্চ) আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এখন পর্যন্ত এই মাসের বাকি দিনগুলোতে, এমনকি ঈদের দিনেও বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। বৃষ্টি হলেও দু-একটি জেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হবে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এতে করে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তিন দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজারহাটে, ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



ঈদে নতুন নোট বিনিময় স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ১৯ মার্চ থেকে ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় কয়েকটি পক্ষ থেকে আপত্তি উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদ সামনে রেখে নতুন নোট বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয় জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এবার ঈদে নতুন নোট বিনিময় করা হবে না। বাজারে যেসব নোট রয়েছে, তার প্রচলন অব্যাহত থাকবে।

নোট বিনিময় স্থগিত বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জনসাধারণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সব নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে। এবার ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে। নতুন নোট বিনিময় হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও কয়েকটি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত জনসাধারণ ও গ্রাহকদের মধ্যে নতুন নোট বিনিময়ের পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে নতুন নোট বিতরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমানে বাংলাদেশের ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০টি কাগুজে নোট প্রচলন আছে। এর মধ্যে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। কোনো কোনো নোটের দুপাশে শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। এ ছাড়া ধাতব মুদ্রাগুলোতেও তার ছবি আছে। নতুন করে নোটের নকশার যে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে সেখানে শেখ হাসিনা সরকারের সময় ছাপানো নোটের ডিজাইন পরিবর্তন হবে এবং শেখ মুজিবের ছবি থাকবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ওই নোটে শেখ মুজিবের জায়গায় ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্য এবং জুলাই বিপ্লবের দোলচিত্র বা গ্রাফিতি যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



নানা আয়োজনে নওগাঁয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

দিনব্যাপী নানা আয়োজন ও যথাযোগ্য মর্যাদায় নওগাঁয় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নওগাঁ জেলা শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। পরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ফুলে ফুলে ভরে উঠে এই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ। পরে সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দল, স্কাউটসের দল অংশ গ্রহণ করে। দিবসটি উপলক্ষ্যে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা প্রশাসন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। সকালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল ৯টায় উপজেলার শের-এ বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয় মাঠে পায়রা, ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে মাঠের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান।

এসময় প্যারেড সালাম গ্রহণ করেন অতিথিরা। প্যারেড ও কুচকাওয়াজ শেষে বিজয়ী দলগুলোর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, থানা পুলিশ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ, সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। একই ভাবে জেলার অন্যান্য উপজেলায় দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।


আরও খবর