Logo
শিরোনাম

খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান না থাকায় আটকে আছে ভূমির নামজারী পক্রিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মো: আজিম উদ্দিন - বিশেষ প্রতিনিধি::

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সরকারের পদত্যাগ করার পর নতুন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর ৩ পার্বত্য জেলা বাদে দেশের সকল জেলায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অপাসারন করে প্রজ্ঞাপন জারী করেন। নতুন করে আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিভাগীয় জেলা শহরে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও জেলা শহরের বাহিরের জেলা জেলা প্রশাসকরা দায়িত্ব পালন করলেও ৩ পার্বত্য জেলা এ ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম।


পার্বত্য শান্তি চুক্তির আলোকে এ জেলায় চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেক্রে আইনি জটিলতা থাকায় এখানে উপজাতি থেকে চেয়ারম্যান মনোনিত হয়। বর্তমানে পার্বত্য খাগড়াছড়ির চেয়ারম্যান সরাসরি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় সরকার পতনের পর চেয়ারম্যানসহ প্রায় সকল সদস্য চলে গেছেন আত্মগোপনে। ফলে অনেকটা স্থবির হয়ে গেছে জেলা পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষ। অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম সমতল অঞ্চলের চেয়ে অনেকটাই ব্যতিক্রম।


এখানে নামজারীর আবেদন সহ-সহ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে এসিল্যন্ড ১ম ধাপের শুনানী করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রেরণ করার পর জেলা প্রশাসক  চুড়ান্ত আদেশের পূর্বে পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ (১৯৯৮ সনে সংশোধিত) এর ৬৪ (১) (ক) ধারামতে নামজারী মামলা পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক পূর্বানুমোদন করার জন্য জেলা পরিষদে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ভূমির প্রস্তাবিত মোট মূল্যের ২% হারে ফি জমা দিলে চলমান মাসিক সভায় উপস্থাপন করে চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করে পুনরায় রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পাদনের ২য় দফায় শুনানীর জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ করেন। কিন্তু সরকার পতনের পর বর্তমান চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর আটকে আছে অনেক উপজেলার নামজারী মামলা।


এই নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার ভূমির ক্রয় বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ত সাধারন মানুষ। তাই এই পক্রিয়াকে সহজীকরন করার পক্ষে মত দিয়েছেন শহরের বিশিষ্ট জনরা।



আরও খবর



রাজশাহীতে সার্ভেয়ারদের বেতন ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 


 রাজশাহীতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং  সার্ভেয়ারদের অন্যান্য ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ন্যায় বেতন স্কেল দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

মঙ্গলবার (১লা অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অর্ধ দিবস কর্ম বিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন। 

সমন্বয়করা বলেন আমরা চাই অন্যান্য ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ন্যায় আমাদের ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দশম গ্রেডের করা হোক। তারা বলেন আমাদের সাথে যখন প্রতিষ্ঠান জড়িত আছে তারা সকলেই আমাদেরকে সাপোর্ট করেছে ।
তারা বলেন যেমন এলজিডি বিভাগ পানি উন্নয়ন বিভাগ এছাড়াও আমাদের সাথে যে সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদেরকে মোবারক জানিয়েছেন। 

উক্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটে রাজশাহীর ডিপ্লিমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভেয়ারের ছাত্র-ছাত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সম্মানী হারাল মেয়র ও কাউন্সিলর, উন্নয়নের রোডম্যাপ যশোর পৌর প্রশাসনের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


উত্তম কুমার  (যশোর) জেলা প্রতিনিধি :

 যশোর পৌরসভায় মাসিক মিটিং এ উপস্থিত না হওয়ায় এক কাউন্সিলরের সম্মানী বন্ধ হয়েছে। আগামী মাসে এ সংখ্যা তিন এ দাঁড়াবে। এসব কাউন্সিলর সময়মত মাসিক মিটিং এ না আসায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 
এর বাইরে শহর উন্নয়নে নেয়া হয়েছে এক গুচ্ছ সিদ্ধান্ত। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য সার্কিট হাউজের সামনের পুকুর ও লালদীঘির শোভাবর্ধন করা।
উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে দড়াটানা ব্রিজ থেকে কাঠেরপুল ব্রিজ পর্যন্ত ভৈরবপাড়ে ওয়াকওয়ে, এইচএমএম রোডের সাথে লিংকওয়ে, কাঠেরপুল ব্রিজের দক্ষিণপাশে পিলখানা (কসাইখানা) তৈরি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টাউয়ার লাইট ও ডাস্টবিন স্থাপন। এছাড়া, শহরবাসীর যানজট ভোগান্তি থেকে রেহায় দিতে দ্রুতই অভিযানে নামছে পৌর প্রশাসক।

সোমবার পৌর পরিষদের মাসিক সভায় এসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইসাথে এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পৌর প্রশাসক।
ওই সভায় উপস্থিত কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেলা ১২টা থেকে মাসিক সভা শুরু হয়ে শেষ হয় ৩টায়। সভায় যশোর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন, ছয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবীর সুমন ও সাত নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ হোসেন নয়ন ছাড়া সকল জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। 
সভার শুরুতেই গত মাসের রেজুলেশন পাশ হয়। এরপর একের পর এক এজেন্ডা অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আগস্ট মাসে ১৮ দিন সাবেক মেয়র হায়দার গণি খান পলাশের দায়িত্ব পালন করায় তাকে ২৪ হাজার টাকা সন্মানী ভাতা প্রদান ও গত মাসের সভায় ছয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন উপস্থিত না হওয়ায় তার সন্মানী ভাতা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসাথে এ সভায় অনুপস্থিত ওই তিনজন জনপ্রতিনিধির চলতি মাসের ভাতা না দেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, দ্রুতই যানজট নিরসনে মাঠে নামবে পৌর প্রশাসন। কাঠেরপুল থেকে দড়াটানা ব্রিজ পর্যন্ত সিলিং করে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে। এছাড়া, এইচ এমএম রোড় থেকে ওই ওয়াকওয়েতে প্রবেশের জন্য একাধিক লিংক ওয়ে তৈরি করা হবে। শহরে নির্দিষ্ট কোনো পিলখানা না থাকায় যত্রতত্র পশু জবাই করা হয়। 
এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনায় কাঠেরপুলের পাশে একটি পিলখানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শহরের বিভিন্ন মোড় রাত হলেই অন্ধকারে রূপ নেয়। যার প্রেক্ষিতে সড়কের বাতি বাড়ানো ও টাওয়ার লাইট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রথমে দড়াটানা ও মণিহারে দ্রুতই বসানো হবে টাওয়ার লাইট। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এ লাইট সংযুক্ত করা হবে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন মোড়ে ডাস্টবিন যেগুলো আছে সেগুলো সংস্কার ও ডাস্টবিনের নিচে ঢালাই এবং নতুন করে আরও ডাস্টবিন বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যশোর শহরের লালদীঘি ও জেলা স্কুলের সামনের পৌরসভার লিজের পুকুরের সৌন্দর্য বাড়ানো হবে।
এছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতালে পৌরসভা থেকে সুইপারের ব্যবস্থা, পৌরসভায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দড়াটানার ভৈরব হোটেলের পাশে বার বার দখলে চলে যাওয়ায় কয়েকদিনের মধ্যে সেখানে বেঞ্চ বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 
মাইকপট্টি হয়ে ইনস্টিটিউট স্কুলের পাশ দিয়ে যেয়ে পুলিশ প্লাজা হয়ে সরাসরি ভৈরব পাড়ের ওয়াকওয়েতে যুক্ত হবে এমন আরেকটি রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভা থেকে। এছাড়া এ সভায় পৌরসভার যেসব সম্পদ লিজ দেয়া হয়েছে সেসব সম্পদ আইনসিদ্ধ ও বৈধভাবে বরাদ্দ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, কাউন্সিলর মোকসিমুল বারী অপু, রাশেদ আব্বাস রাজসহ সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।

সভায় উপস্থিত থাকা কয়েকজন কাউন্সিলর ও কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা জানান, এ পর্যন্ত এমন নিয়ম মানা হয়নি যে কাউন্সিলররা মাসিক সভায় উপস্থিত না হলে তারা সম্মানী ভাতা পাবেন না। কিন্তু পৌর প্রশাসক প্রথম এ নিয়ম চালু করেছেন। এতে পৌরসভা ও কাজের দিকে প্রত্যেকের দায়বদ্ধতা থাকবে বলে মন্তব্য করেন কেউ কেউ। তারা বলেন, এর আগে মেয়ররা রাজনীতি ও স্বজনপ্রীতিকে প্রাধ্যন্য দিতেন। অনেকেই মাসিক সভায়ও আসতেন না। এ নীতি চালুতে তারা সাধুবাদ জানান।
যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান গ্রামের কাগজকে বলেন, পৌরসভার নিয়ম রয়েছে যারা আসবেন না তাদের সম্মানী ভাতা কর্তন করা হবে। এখানে নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, তিনি গত ১৮ আগস্ট দায়িত্ব পেয়েছেন। এরপর থেকে পৌরবাসীর উন্নয়নে কাজ করছেন। এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে স্বীকার করে বলেন, যশোর পৌরসভাকে ঢেলে সাজানো হবে। যা হবে শহরবাসীর আশ্রয়স্থল।

আরও খবর

সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




ভারত ভ্রমণে শীর্ষে বাংলাদেশি পর্যটকরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ভারতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন বাংলাদেশিরা। এরপরই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।

শুক্রবার বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ও তথ্য প্রকাশ করে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে

ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুনে ৭ লাখ ৬ হাজার ৪৫ জন পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেন। এ সংখ্যা ২০২৩ সালের জুনের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। তবে ২০১৯ সালের জুনের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। আর গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে পর্যটকদের এ সংখ্যা ছিল ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৭৪। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি, তবে তা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কম

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভারতে পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা পাঁচ দেশ হলো বাংলাদেশ (২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ), যুক্তরাষ্ট্র (১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ), যুক্তরাজ্য (৯ দশমিক ৮২ শতাংশ), কানাডা (৪ দশমিক ৫ শতাংশ) ও অস্ট্রেলিয়া (৪ দশমিক ৩২ শতাংশ)

গত বছর ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এর পরে ছিল বাংলাদেশের অবস্থান। এ বছর ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে প্রথম অবস্থানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ


আরও খবর



যশোরের কেশবপুরে বিএনপি নেতা আবু বককর আবু হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
উত্তম কুমার -  যশোর জেলা প্রতিনিধি::

যশোর জেলার বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সফল সভাপতি মজিদপুর ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান বর্ষিয়ান নেতা শহিদ  আবু বক্কর আবু হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। 

শনিবার( ২১ সেপ্টেম্বর বিকালে)আবু বক্কর আবু হত্যার  বিচার দাবির সমন্বয়ক পরিষদের আয়োজনে  কেশবপুর পৌর শহরে  দৌলত বিশ্বাস চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

অবু বক্কর আবু হত্যার বিচার দাবিতে  সমন্বয়ক পরিষদের প্রধান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক  হুমায়ুন কবির  সুমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন   বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলাহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ।
 আবু বক্কর আবু হত্যারবিচার দাবির সমন্বয় পুরুষদের যুগ্ম  আবু বকর আবু হত্যার দাবির সমন্বয়ক পরিষদের যুগ্ন সমন্বয়ক সাবেক  ছাত্রনেতা গফুরের  সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মশিয়ার রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ  সম্পাদক বদরুজ্বামান মিন্টু  পৌর বিএনপির সভাপতি, সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুস  সামাদ বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল  সাবেকজন্মদিন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস 
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম শহীদ উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সদর  চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা
,যুগ্ম আহবায়ক মাসুদজ্জামান মাসুদ,  রেজাউল ইসলাম পৌর বিএনপির সিনিয়র  সভাপতি   কুতুব উদ্দিন বিশ্বাস যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আব্দুল হালিম উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামসুল আলম বুলবুল উপজেলা কৃষক দলের আবহায়ক কে এম আজিজ, উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক আজিজুর রহমান  আজিজ, প্রভাষক শাহাজান, রিপন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সম্রাট হোসেন প্রমুখ। 

 এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন 
শহীদ আবু বক্কর আবুর আপন ভাই আবুল কাশেম বোন  আঞ্জুমানে আরা খাতুন ভাইপো কবির সহ  বিএনপি নেতৃবৃন্দ। শহীদ আবু বকর আবু হত্যার বিচার দাবি সমন্বয়ক পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

আরও খবর

সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




এখন কী করবে হিজবুল্লাহ, ইরান ও ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

লেবাননের শিয়াপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। সশস্ত্র সংগঠনটির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে এ ঘটনাকে ইসরায়েলের অন্যতম সামরিক অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য আরও বেশি ধ্বংসাত্মক সংঘাতের দিকে যেতে পারে। আর এই সংঘাতে জড়াতে পারে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। লেবানন ও ইসরায়েলের উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতি এখন কোনদিকে মোড় নিতে পারে। তিনটি প্রশ্ন ও উত্তরের মধ্য দিয়ে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

কী করবে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহ একের পর এক ধাক্কা খেয়েছে, খাচ্ছে। সংগঠনের কমান্ড কাঠামো ছেঁটে ফেলা হয়েছে। হিজবুল্লাহর ডজনের বেশি শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। পেজার আর ওয়াকিটকির বিস্ফোরণের মাধ্যমে হিজবুল্লাহর যোগাযোগব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। একের পর এক বিমান হামলায় চালিয়ে সংগঠনটির অনেক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ আল-বাশা বলেন, হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। হিজবুল্লাহকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এর ফলে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলে স্বল্পমেয়াদে পরিবর্তন আসতে পারে।

তবে কট্টর ইসরায়েলবিরোধী এই সংগঠন হঠাৎ করে হাল ছেড়ে দেবে, ইসরায়েলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শান্তির পথে ধাবিত হবে আপাতত এমন কোনো আশা করা হয়তো ভুল হবে

হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। এখনো সশস্ত্র সংগঠনটির হাজারো যোদ্ধা রয়েছে। তাদের অনেকেই সিরিয়ায় যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা প্রতিশোধের দাবি তুলেছেন। শুধু কি তাই, হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগার বেশ সমৃদ্ধ। দূরপাল্লার ও নির্ভুল-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সংগঠনটির বহরে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের তেল আবিব ও অন্যান্য শহরে হামলা চালানো সম্ভব। তাই নিজেরা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে হিজবুল্লাহ এসব অস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে

সত্যিই যদি হিজবুল্লাহ এসব অস্ত্রের ব্যবহার করে ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে ও বেসামরিক মানুষজনকে হত্যা করতে পারে; তাহলে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়াও মারাত্মক হবে। পাল্টা হামলায় লেবাননে ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি ঘটাবে ইসরায়েল। সেই লড়াই ইরান অবধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে

ইরান কী করবে : হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে অজ্ঞাত নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়। হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে অজ্ঞাত নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে

হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের ঘটনা হিজবুল্লাহর জন্য যত বড় আঘাত, ইরানের জন্যও ঠিক ততটাই। এ ঘটনায় পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ইরান সরকার

হিজবুল্লাহর প্রধান নিহতের ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার পরপরই জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান। তাৎক্ষণিকভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে অজ্ঞাত নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এর আগে গত জুলাইয়ে ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় নিহত হন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে গিয়ে ছিলেন হানিয়া। ইসমাইল হানিয়া হত্যার পরও এখনো কার্যত কোনো প্রতিশোধ নিতে পারেনি তেহরান। এখন যা ঘটেছে, তা ইরানের রক্ষণশীলদের এক ধরনের কড়া প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। ইতিমধ্যে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি প্রতিশোধ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন

প্রতিরোধ অক্ষের নামে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ইরানের বেশ সখ্য রয়েছে। ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি থেকে শুরু করে ইরাক-সিরিয়ায় এমন অসংখ্য গোষ্ঠী ইরানের মিত্র, এগুলোকে পেলে-পোষে রাখে ইরান। বর্তমান পরিস্থিতিতে তেহরানের পক্ষ থেকে এসব সশস্ত্র সংগঠনকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করতে বলা হতে পারে। ইরান যে প্রতিক্রিয়াই বেছে নিক না কেন, তা সর্বাত্মক যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে দেশকে এগিয়ে নেবে। আর এতে তেহরানের চূড়ান্ত জয় আশা করার খুব বেশি সুযোগ নেই

ইরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলকে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তা মেনে নিতে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেশের যে কোনো আগ্রহ নেই তা স্পষ্ট। হাসান নাসরুল্লাহর হত্যাকা-ের আগে এ বিষয়ে সন্দেহ করার সুযোগ থাকলেও এখন আর সেটা নেই

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মনে করছে, হিজবুল্লাহ এখন দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দূর না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে দেশটি অবস্থান নিতে পারে। ইতিমধ্যে সীমান্তঘেঁষা এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সম্ভাব্য স্থল অভিযানের প্রস্তুতির ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সর্বশেষ যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৮ বছর ধরে হিজবুল্লাহ নিজেদের যোদ্ধাদের পরবর্তী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে। নিহত হওয়ার আগেও সর্বশেষ প্রকাশ্য বক্তৃতায় হাসান নাসরুল্লাহ তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে সম্ভাব্য ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। হিজবুল্লাহ প্রধান এটাকে সংগঠনের জন্য ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর লেবাননের ভূখ-ে প্রবেশ করাটা তুলনামূলক সহজ হবে। তবে ফিলিস্তিনের গাজার মতোই সেখান থেকে বের হয়ে আসাটা সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তাতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। আশঙ্কা রয়েছে ব্যাপক রক্তপাতের


আরও খবর