
ইবাদত হোসেন :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন
সবকিছুর দাম উর্দ্ধমুখী, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, মানুষ হাহাকার করছে। সারাদেশের মানুষ খাদ্যের অভাবে পড়ে গেছে।
সরকার আবার নির্বাচনের উদ্যোগ নিচ্ছে
সরকারের মন্ত্রীরা বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে অথচ মানুষের ভোটের অধিকার নেই। অতীতে দেশের মানুষ কারচুপির নির্বাচনের নমুনা দেখেছে।
সরকার আবার পাতানো, সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। সরকারের অধীনে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে ভোট নিরপেক্ষ হবে না।
বিদ্যুৎ আনতে ভারতের কোম্পানির সাথে অসম চুক্তি করেছে সরকার। সরকারের জনগনের প্রতি দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা নেই। সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছে, অর্থনীতি চালাতে ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ নয় সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা।
সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হবে না।
সেজন্য বলা হয়েছে সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদকে ভারতের আদালত খালাশ দিলেও সরকার তাঁকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়নি সরকার।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি।
আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনের মতো নির্বাচন করতে চাইলে মানুষ এবার আর হতে দেয়া হবে না। তামাশার নির্বাচন এদেশে হতে দেয়া হবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে।
১৫ বছরে মামলা নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যায়নি।
বাঁধা দিলে জনগনের শক্তি দিয়ে অতিক্রম করা হবে।
১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১১ই মার্চ সকল মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা।
আমান উল্লাহ আমান:
আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে।
নিজেদের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই বলে সরকার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে জনগন রাজপথে নেমে এসেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
খন্দকার মোশারফ :
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সারাদেশে পদযাত্রা। কাজিরগা, যাত্রাবাড়ী। যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপি।
বিএনপি যেইদিন ই সমাবেশের ডাক দেয়, সেইদিন ই আওয়ামীলীগ পাল্টা কর্মসূচি দেয়। তারা বিএনপিকে ভয় পায় বলেই কর্মসূচি দেয়।
এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। জনগণের ভোটে না।
যে দেশে গনতন্ত্র নেই, সে দেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। মানবাধিকার লংঘন করেছে এই সরকার।
তারা ভয় পায় বলেই মামলা দিয়ে নেতা কর্মীদের দমন করছে।
দ্রব্যমূল্য এমনভাবে বেড়েছে, সব মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দেশের গরীব মানুষ আরো গরীব হয়েছে। মধ্যবিত্তরা গরীব হয়ে গেছে। লুটেরাদের হতে ওএমএস এর চাল দেয়ার দায়িত্ব পড়েছে। আওয়ামী সিন্ডিকেটের হাতে পড়েছে ব্যাবসা। কাজেই দ্রব্যমূল্য আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এই সরকারকে বিদায় না করলে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হবে না। নির্বাচন ও সুষ্ঠু হবে না। মোশাররফ বলেন, ১০ দফা দাবি মেনে না নিলে, জনগন জানে কিভাবে বিদায় করতে হয়। সব নেতা কর্মীদের আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।