Logo
শিরোনাম

কক্সবাজার আগমন ইচ্ছুক পর্যটকগনের প্রতি কিছু পরামর্শ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

১. বাস থেকে নামার পর নিজেদের ইচ্ছামত অটোতে উঠবেন, অবশ্যই গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে ভাড়া ঠিক করে উঠবেন। (আমরা সুনির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিয়েছি)

২. সম্ভব হলে আগেই হোটেল বুকিং দিয়ে যাবেন। তবে বুকিং দেবার আগে ভাড়া ঠিক করে নেবেন। যারা কক্সবাজার এসে হোটেল ঠিক করতে চান তারা অবশ্যই অটো চালকের কথায় কোন হোটেলে যাবেন না। নিজেরা যাচাই করে, রুম দেখে ভাড়া ঠিক করে হোটেলে উঠবেন

৩. হোটেলে উঠার সময় অবশ্যই এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড সাথে আনবেন এবং হোটেলে কপি জমা দেবেন।

৪. বিচে নামার সময় মূল্যবান জিনিসপত্র হোটেলে রেখে আসাই উত্তম

৫. কিটকটে বসে কোন ম্যাসেজ বয় কে দিয়ে ম্যাসেজ করাবেন না, ম্যাসেজ বয় দেখলে কিটকটের দায়িত্বে থাকা কর্মিকে সরিয়ে দিতে বলবেন অথবা ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানাবেন। ( ম্যাসেজের আড়ালে তারা আপনার মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে যেতে পারে), ট্যুরিস্ট পুলিশ ম্যাসেজ বয়দের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

৬. কোন ভিক্ষুক, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ দেখলে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবহিত করুন

৭. বিচ থেকে ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শীঘ্রই ভ্রাম্যমাণ হকার মুক্ত করা হবে। আপনার ভ্রাম্যমাণ হকার থেকে কেনাকাটা থেকে বিরত থাকুন

৮. ফটোগ্রাফার থেকে ছবি তোলার ক্ষেত্রে আগে থেকেই দরদাম ঠিক করে নিতে হবে। সম্ভব হলে তার লাইসেন্স আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিবে এবং মোবাইল নাম্বার ও ফটোগ্রাফারের ছবি তুলে রাখবেন।

৯. বিচবাইক, ওয়াটার বাইকে চড়ার ক্ষেত্রে তাদের রেইট নির্ধারণ করে দেয়া আছে, যাচাই করে, দাম ঠিক করে উঠবেন। 

১০. পানিতে নামার ক্ষেত্রে যেখানে লাইফ গার্ড রয়েছে তার আশেপাশে নামার চেষ্টা করবেন।

১১. কোন ধরনের হয়রানি হবার সম্ভাবনা হলে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিবেন। 

১২. হোটেলে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে মূল্য তালিকা দেখে নিবেন।

১৩. স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

১৪. কক্সবাজার বিচ এলাকা ও এর আশপাশ নিরাপদ তবে সন্ধ্যার পর ঝাউবন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা এভয়েড করাই উত্তম।

১৫. যে কোন আইনী সহায়তা ও হয়রানি প্রতিরোধে যোগাযোগ করুন ডিউটি অফিসার ০১৩২০১৫৯০৮৭, এএসপি ০১৩২০১৫৯২০৯, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ০১৩২০১৫৯০৩৫

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন ২৪/৭ পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় একান্তই কাম্য।


আরও খবর

দুই বছর পর খুলল বান্দরবানের দেবতাখুম

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলহাজ্ব মানিক সওদাগর সভাপতি ও জাহিদুল ইসলাম প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট বকশীগঞ্জ উপজেলা কমিটি এবং এডভোকেট আনিছুজ্জামান গামা সভাপতি ও সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট পৌর কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ১২ মার্চ কমিটির অনুমোদন দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি জমা দানের নির্দেশ দিয়েছে জেলা কমিটি। উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসিবুল হক সঞ্জু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ক্বারী ও ময়নুর হোসেন সম্পদকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌর বিএনপির কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সানোয়ার সওদাগর,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও সাংবাদিক শাহজাহান পারভেজ শাহীনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৬ বছর পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বকশীগঞ্জে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বকশীগঞ্জ খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। উৎসব মুখর পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও সেদিন কমিটি ঘোষনা করা হয়নি। সম্মেলনের ২৩ দিন পর কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি।  

এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদার বলেন,পৌর বিএনপির সকল নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি জননেতা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম,সাধারণ সম্পাদত এডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন ভাইয়ের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সততার সাথে পালনের জন্য সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভ্পাতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,নতুন কমিটি দিয়ে তৃনমূল নেতাকর্মীদের চাওয়া পাওয়া পুরন করেছেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ভাই। তাই এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও জেলা কমিটির সভাপতি ,সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এর দিকনির্দেশায় সুন্দর একটি পুর্নাঙ্গ কমিটি উপহার দেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



গাজার ধ্বংসস্তূপে শুধুই লাশ, বাড়ছে প্রাণহানি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৩৭০ জনে পৌঁছেছে।

দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর গত মাসেই ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। তবে এরপর থেকেই সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের লাশ। আর এতে করে বেড়েই চলেছে প্রাণহানির সংখ্যা।

এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩৬৫ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরও ১৯ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৭৮০ জনে পৌঁছৈছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।


আরও খবর



নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-১, আহত-৬

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ও সিএনজি চালিত অটো-বাইক চালক ও মোটরসাইকেল আরোহী ৬ জন আহত হয়েছেন। মাত্র ১৪ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক ৩টি স্থানে দূর্ঘটনাগুলো ঘটে। বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী সকালে নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার বিহারিনগর মোড়ে পিকনিকের যাত্রীবাহী বাসের চাপায় কামাল হোসেন (৪০) নামে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানাগেছে, সকাল সারে ৭টারদিকে ধামুরহাট উপজেলা পরিষদ মার্কেটের ফটোস্ট্যাট দোকান ব্যবসায়ী কামাল হোসেন নিজেই একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে নওগাঁ যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে ধামইরহাট টু পত্নীতলা সড়কের বিহারীনগর মোড় নামক এলাকায় পৌছালে এসময় জয়পুরহাট অভিমুখি পিকনিকের যাত্রীবাহী একটি বাস মোটরসাইকেলকে চাপাদিলে দূর্ঘটনাস্থলেই কামাল হোসেনের মৃত্যু হয়।

নিহত কামাল হোসেন ধামইরহাট উপজেলার উত্তর চকযদু গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াদ আলীর ছেলে বলে প্রাথমিকভাবে পরিচয় পাওয়া যায়। মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাইসুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং মৃতদেহ পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অপরদিকে বুধবার সকাল সারে ১০ টারদিকে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের চৌমাশিয়া বাজার এলাকায় বিপরীত মুখি প্রাইভেটকার ও অটো-বাইক মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানিয়রা জানান,  প্রাইভেটকার ও অটো-বাইক মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় অটো-বাইক চালক সহ ৩ জন আহত হোন। আহতদের মধ্যে  অটো-বাইক চালকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেন নি স্থানিয়রা। এরপূর্বে মঙ্গলবার সন্ধার পর নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের চেয়ারম্যানের মোড় নামক এলাকায় অটো-বাইক ও মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় মোট ৩ জন আহত হোন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শিরা।


আরও খবর



রমজান:-পূর্ণ মুমিন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

চলছে পবিত্র রমজান। আল্লাহর অনুগ্রহ: তিনি আমাদের মানুষ বানিয়েছেন, শেষ নবীর উম্মত নির্বাচিত করেছেন এবং দান করেছেন রমজানের মতো বরকতে পূর্ণ একটি মাস। এখন আমরা সেই রমজান-ই অতিক্রম করছি।

আল্লাহর কাছে রমজান মাস সব চেয়ে প্রিয় ও দামি। কারণ, এ মাসে তিনি পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত:১৮৫)

কোরআন নাজিল ছাড়াও রমজান মাসে ইসলামের আরও একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। বদরের যুদ্ধ, মক্কা বিজয় ইত্যাদি এ মাসের ইউল্লেখযোগ্য ঘটনা। আর এ মাসের একটি রাত, যেটি শবে কদর নামে পরিচিত। মর্যাদা ও সম্মানে রাতটি এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।

আল্লাহ বলেন, ‘আমি কোরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো কদরের রাত কী ?  কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও অধিক উত্তম। এ রাতে ফেরেশতা আর রূহ ( জিবরাঈল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে প্রত্যেক কাজে অবতীর্ণ হয়। এ রাতে বিরাজ করে শান্তি আর শান্তি, ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।’ (সুরা কদর)

এ মাসের নফল ইবাদতের সওয়াব অন্য মাসের ফরজ ইবাদতের সওয়াবের বরাবর। উল্লিখিত আলোচনায় বোঝা যায়, এ মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব অনন্য। এ জন্য রাসুল ( ﷺ ) পবিত্র রমজানে রাব্বুল আলামিনকে খুশি করার জন্য বেশি বেশি কালিমা তাইয়্যেবা ও ইস্তেগফার পাঠের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। একইসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) জান্নাত প্রার্থনা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার প্রতি জোর দিয়েছেন। এ জন্য পবিত্র রমজানকে আমাদের ইবাদতের সুবর্ণ সুযোগ মনে করা উচিৎ। আমরা যদি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর নির্দেশনা অনুযায়ী মাসটিকে অতিবাহিত করতে পারি, তাহলে আমরা সহজেই অনেক সওয়াব ও উপকার হাসিল করতে পারবো।

নিচে রমজানের বিশেষ কিছু সুন্নাত আমল তুলে ধরা হলো–

১.রমজানের চাঁদ দেখলেই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা এবং সব সৃষ্টির জন্য রমজানের রহমত প্রাপ্তির দোয়া করা।

২.প্রতি দিন বেশি থেকে বেশি পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা। কারণ, হাদিসে এসেছে, কোরআন তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।

৩.বেশি বেশি কালিমা তাইয়্যেবা ও মুহাব্বাতের সঙ্গে রাসুল (সা.) এর ওপর দরুদ পাঠ করা এবং তাঁর কাছে সালাম পৌঁছানো।

৪.নিজের জীবনের ছোট-বড় সব গোনাহ থেকে ক্ষমা চেয়ে ইস্তেগফার পড়া। একইসঙ্গে আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করা।

৫.একান্ত ওজর ছাড়া রমজানে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত পরিত্যাগ না করা। সেহরির আগে তাহাজ্জুদ নিয়মিত পড়া। পাশাপাশিই এশরাক, চাশত, আওয়াবিন আদায়ের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া।

৬.গিবত না করা এবং অনর্থক কোনও কাজে সময় ব্যয় না করা। প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহকে স্মরণ করা। রমজানই এবাদতের মাস। এ মাসে একজন পরিপূর্ণ মুমিন হয়ে ওঠার আল্লাহ আমাদের তৌফিক দেন, আমিন।


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




ব্যাংক আমানতে ফিরছে সুদিন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে দেশের ব্যাংকখাতে। এতে দীর্ঘদিন ধরেই আস্থা সংকটে ভুগছিল ব্যাংকগুলো। তবে সম্প্রতি আস্থা ফিরতে শুরু করেছে ব্যাংক খাতে। টানা চার মাস পর জানুয়ারিতে ব্যাংকখাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে ৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ গত জানুয়ারি শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময় এই পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। পরবর্তীতে অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এর আগে ব্যাংকখাতে আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সবশেষ চার মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য হ্রাসের পাশাপাশি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সামনে আনা হলে লোকজন ব্যাংকে টাকা জমা রাখা কমিয়ে দেওয়া দিয়েছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই ১০ শতাংশের ওপর থাকা উচিত। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে থেকেই ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন, রেমিটেন্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের সংকট ছিল। আন্দোলনের ধাক্কা সামলে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও অর্থনীতিতে গতি কম। সরকার পতনের মাস অগাস্টে দেশে ব্যাপক সহিংসতা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতেও ব্যাংক আমানতে ৯.৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাঝে কিছুটা কমে তা আবারও বাড়ছে যা ইতিবাচক।


আরও খবর