Logo
শিরোনাম

অস্তিত্ব সংকটে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী দখল ও দূষণে পড়েছে রীতিমতো অস্তিত্ব সংকটে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে মৃতপ্রায় এ নদী উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নদীর ৫০০ একর ভূমি উদ্ধারে ১৫৭ জন প্রভাবশালী দখলদারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে এই সংস্থা। ইতোমধ্যে কিছু দখলদারকে নোটিশও দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপসহকারী পরিচালক জানান, পর্যায়ক্রমে বাঁকখালী নদীর সব দখলদারের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বাঁকখালী দখলদারদের তালিকা তৈরি করে তাদের উচ্ছেদ এবং দূষণের উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নদীর তীরে চিংড়ি চাষ, তামাক বা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে ইজারা প্রদান থেকে বিরত থাকতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ ১০ সরকারি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত।

কিন্তু আদালতের নির্দেশনার ছয় বছর পরও জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা কক্সবাজার পৌরসভা কার্যকর কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। দখলবাজ চক্র নদী তীরে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার পাশাপাশি বাঁকখালী নদীর জমি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ গ্রহণের নজিরও রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে নদী দখলদারদের যে তালিকা করা হয়েছে তাতে প্রভাবশালী অনেকের নাম বাদ পড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে ওই তালিকার বাইরে থাকা দখলদারদের বিরুদ্ধেও দুদক তদন্ত করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া থেকে মাঝেরঘাট পর্যন্ত নদীর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ভরাট ও দখল তৎপরতা বেশি। কস্তুরাঘাটের বিআইডব্লিউআইটি টার্মিনাল সংলগ্ন নদীর ভরাট জমিতে গড়ে উঠেছে নানা স্থাপনা। তৈরি হয়েছে চিংড়িঘের, লবণ উৎপাদনের মাঠ, প্লট বিক্রির হাউজিং কোম্পানি, নৌযান মেরামতের ডকইয়ার্ড, ময়দা ও বরফ কল, শুঁটকি মহালসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি।

শহরের চারটি পয়েন্টে ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদীর তলদেশ ভরাট করছে খোদ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ভরাট নদীতে ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিনের কারণে কেওড়া ও বাইন গাছের প্যারাবন মরে যাচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।

আদালতের নির্দেশের পর প্রশাসন কতিপয় দখলদারের একটি তালিকা তৈরি করে নোটিশ জারি করেছিল। এরপর কয়েক দফা লোকদেখানো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হয়নি। উচ্ছেদ হয়নি অবৈধ দখলদারও। প্রায় ৮০ কিলোমিটারের এই নদীর বাংলাবাজার থেকে নুনিয়াছড়া পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার অংশে দখলের ঘটনা বাড়ছে। এসব এলাকায় দখলদারের সংখ্যা অন্তত এক হাজার।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। খুব শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




৫৪ জেলায় বইছে তাপদাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল তাই দেশের প্রায় সবখানে এখন তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে অবস্থায় দেশের ৫৪ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আগামী তিনদিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অফিস

সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া পূর্বাভাসে তথ্য জানানো হয়েছে। রাঙামাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্ব্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে

এদিকে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। তীব্র গরমে উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন

আবহাওয়া অফিস বলছে, রংপুর ,নীলফামারী, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা,বরিশাল ,চট্টগ্রাম, সিলেটে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ পরবর্তীতে সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারে কোনো কোনো জেলায় তাপমাত্রা  উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রির ওপরে

আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

এদিকে গত চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু মাঝারি তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে মানুষ বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। সকাল ১০টার পর থেকে রোদের তাপে তেতে উঠছে চারপাশ। জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশিরভাগ দিনই ৩৮ ডিগ্রির ওপরে থাকছে

এছাড়া গত দুইদিনের প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে  কুষ্টিয়ার জনজীবন। ঈদের পরদিন থেকে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপদহের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা বলছেন, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে তাদের রাস্তায় বের হয়ে কাজ কর্ম করতে চরম কষ্ট হচ্ছে

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস বলছে, কুষ্টিয়ায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




টি-টোয়েটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড চূড়ান্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আর মাত্র দেড় মাস পরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েটি বিশ্বকাপের নবম আসর। এই আসরকে কেন্দ্র করে স্কোয়াড গোছাতে মাঠে নেমে পড়েছে দলগুলো। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়, শক্তিশালী দল তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পারছে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নির্বাচক প্যানেল।

বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড প্রায় চূড়ান্ত বিসিবির। শুধু কয়েক জায়গায় বার বার চিন্তা করছে নির্বাচক, কোচ ও অধিনায়ক।

শ্রীলঙ্কার সিরিজের মাঝ পথে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তবে আসন্ন বিশ্বকাপে তার ওপরেই ভরসা রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার সঙ্গী হিসেবে দেখা মিলবে সৌম্য সরকারের। বাড়তি ওপেনার হিসেবে দলে জায়গা পাচ্ছেন তরুণ তানজিদ তামিম।

লঙ্কানদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে সৌম্যর বদলি হিসেবে খেলতে নেমে ৮১ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস অর্জন করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। তিনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, এরপর তাওহীদ হৃদয় এবং সাকিব আল হাসানের জায়গা নিশ্চিত।

ফিনিশারের ভূমিকা পালনের জন্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাশাপাশি তরুণ জাকের হোসেনকে দলে রাখতে চায় নতুন নির্বাচক প্যানেল। বিপিএলের পর লঙ্কানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন এই ডান হাতি ব্যাটার।

বাংলাদেশের স্কোয়াডে তিন পেসার অটোচয়েজ। যেখানে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। তবে পেস বিভাবে শক্তি বাড়াতে লড়াই হচ্ছে তানজিম হাসান সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মধ্যে। দীর্ঘ দিন ধরেই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব ভালোভাবেই টের পাচ্ছে টাইগাররা।

তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হওয়ায় বিশ্বকাপ দলে সাইফউদ্দিনই এগিয়ে রয়েছে। কারণ, নতুন বলে সুইং এবং ডেথ ওভারে এই ডান বোলারের ইয়োরকার দেওয়ার দক্ষতা যেকোনো দলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

অন্যদিকে স্পিন বিভাগে মূল ভূমিকায় থাকবেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে দেখা যাবে লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন ও অফ স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী। বিপিএল এবং লঙ্কানদের বিপক্ষে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার। ফলে ১৫ সদস্যের স্কোয়াডের ১৪ জন ক্রিকেটার চূড়ান্ত।

তবে ১৫ নম্বর সদস্য কে হবে তা নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তা করছে নির্বাচকরা। একটি জায়গার জন্য লড়াই করছেন তানজিম হাসান সাকিব, শামীম হোসেন পাটেয়ারী ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে সাইফউদ্দিনকে দিয়ে চার পেসার নিশ্চিত হওয়ায় এই লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েছেন তানজিম সাকিব।

তাই মিডিল অর্ডারের অভাব পূরণের জন্য শামীম ও আফিফের মধ্যে একজনকে বেঁছে নিতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আফিফের বিপিএলের ব্যর্থতা এবং দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকায় শামীমের জায়গা অনেকটাই নিশ্চিত। এ ছাড়াও কোচ হাথুরুসিংহের অপছন্দের তালিকায় রয়েছেন আফিফ। ফলে সব কিছু মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়তো মিস করতে চলেছে এই বাঁহাতি ব্যাটার।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মাহেদী ও শামীম পাটোয়ারী।


আরও খবর



দুই দশকে প্রোস্টেট ক্যান্সার হবে দ্বিগুণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 বিশ্বব্যাপী নতুন প্রোস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যা আগামী দুই দশকে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। কারণ দরিদ্র দেশগুলো ধনী দেশগুলোর বার্ধক্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে। শুক্রবার প্রকাশিত ল্যানসেটের প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে।

জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে মেডিক্যাল জার্নালে বলা হয়েছে, আমাদের অনুসন্ধানগুলো বলেছে যে বার্ষিক নতুন প্রোস্টেট ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২০২০ সালে ১৪ লাখ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে ২৯ লাখে দাঁড়াবে।

সমীক্ষার পেছনে গবেষকরা বলেছেন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি সারাবিশ্বে বর্ধিত আয়ু এবং বয়সের পিরামিডের পরিবর্তনের সাথে যুক্ত।

গবেষকরা বলেছেন, প্রোস্টেট ক্যান্সার পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক। আক্রান্ত প্রায় ১৫ শতাংশ। এটি বেশিভাগই ৫০ বছর বয়সের পর আবির্ভূত হয় এবং পুরুষদের বয়স হিসাবে এর আশঙ্কা আরো বৃদ্ধি পায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আয়ু বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রোস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।

তারা জোর দিয়েছিলেন, জনস্বাস্থ্য নীতিগুলো ফুসফুসের ক্যান্সার বা হৃদরোগের ক্ষেত্রে পরিবর্তনকে প্রভাবিত করতে পারে না।

গবেষকরা আরো বলেছেন, কার্যকর চিকিৎসা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আগে স্ক্রীনিংয়ে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। কারণ, এই রোগটি প্রায়শই খুব দেরিতে নির্ণয় করা হয়।


সূত্র : বাসস


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




প্রেম সংক্রান্ত জের:কুমিল্লা তিতাসে ফয়সাল হত্যা মামলায় প্রেমিকার দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কুমিল্লা ব্যুরো :

কুমিল্লা তিতাসে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ফয়সল হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। তবে রায়ের সময় দণ্ডিতরা আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ।

তারা হলেন- কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. শামীম মিয়া (২৪), একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. দুলাল(২৬) ।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এড.নুরুল ইসলাম জানান,কলেজ পড়ুয়া তরুনী মেহেদী আক্তারের সাথে প্রেম ছিলো একই এলাকার ফয়সলের।আর সেই প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মোবাইলে ডেকে নিয়ে ফয়সল(২২)কে গলাকেটে হত্যা করে প্রেমিকার মামাতো ও ফুফাতো ভাই শামীম ও দুলালসহ দুইজন। 

তিনি জানান, আসামিরা ২০২০ সালের ৫জুন রাত ৯টায় ফয়সলকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে দুলাল গামছা পেচিয়েঁ শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে শামীম ছুরি দিয়ে জবাই করে হোমনা সাফলেজী আমিরুল ইসলাম বালিকা নির্মাণার্ধীন ভবনের নিচে মাটি চাপা দেয়। গ্রেপ্তারের পর মামলা তদন্তে আসামী দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে ১২দিন পর আসামীদের দেখানো মত জায়গা থেকে মো:ফয়সলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ব্যাপারে নিহতের বড়বোন সালমা আক্তার ভাই নিখোঁজের ঘটনা উল্লেখ্য করে হোমনা থানায় সাধারণ ডায়েরী করে।ওই সাধারণ ডয়েরীর সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। 

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পরিমল চন্দ্র দাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠন ও রাষ্ট্রপক্ষে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক, শুনানি শেষে আসামি শামীম ও  দুলাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।  

রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এড শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।


আরও খবর



বাগেরহাটের রামপালে লোকালয়ে ঘুরছে দুটি হনুমান

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই গাববুনিয়া গ্রামে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুটি হনুমান।  হনুমান দুটিকে দেখতে এলাকার ছোট বড় সবাই ভিড় জমাচ্ছে।

শনিবার(৩০ মার্চ) ভোররাত থেকে গাববুনিয়া গ্রামের আতিয়ার তালুকদারের বাড়িতে হনুমান দুটিকে দেখা যায়। 

আতিয়ার তালুকদারের বাড়িতে দুটি হনুমানের আগমন ঘটেছে খবরটি মুহূর্তে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর পেয়ে এলাকার ছোট বড় অনেকেই হনুমান দুটিকে দেখতে ভিড় জমায়। উৎসুক জনতা হনুমান কলা, রুটি, বাদাম,  বিস্কুট,  পাকা টমেটোসহ নানান খাদ্য খাবার খেতে দিচ্ছে। হনুমান দুটি নির্ভয়ে মানুষের সে খাদ্য খাবার খাচ্ছে। 

এ ঘটনা জানতে পেরে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে উপস্থিত হয় এবং হনুমানের উপস্থিতর ঘটনার সত্যতা দেখতে পায়। হনুমান দুটি সকালে বেলা আতিয়ার তালুকদারের বাড়িতে অবস্থান করলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাদের চলাফেরার স্থান পরিবর্তন করতে থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফেরদৌস ফকির জানান, সকাল বেলা জানতে পারি আমাদের গ্রামে দুটি হনুমান এসেছে৷ আমরা খবর পেয়ে আতিয়ারের বাড়িতে দেখতে যাই। অনেকে অনেক খাদ্য খাবার খেতে দিচ্ছে এবং সে হনুমান সেই খাবার খাচ্ছে। 

আরেক স্থায়ী বাসিন্দা কুলছুম বেগম জানান, হনুমান গ্রামে এসেছে শুনতে পেয়েই আমাদের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয় এবং আমরা দ্রুত হনুমান দুটিকে দেখতে ছুটে যাই। 

হনুমান দুটি কোথা থেকে লোকালয়ে এসেছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। হনুমানকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমানোর ফলে মাঝে মধ্যে হনুমান দুটি ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক হাওলাদার আজাদ কবিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, হনুমান সাধারনত যশোরের কেশবপুর এলাকা থেকে কলা বা কাঁঠাল বোঝাই ট্রাকে করে বিভিন্ন চলে যায়। 

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মোঃ মফিজুর রহমান চৌধুরীর সাথে তার ব্যবহৃত ০১৭২১-০৮৮৮৪৪ নম্বরে একাধিক বার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর