Logo
শিরোনাম

কমলাপুরে চার স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনে বাড়ি ফেরা শুরু হয়েছে আজ। ভোর ৬টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে ঈদযাত্রা শুরু হয়।

বিশেষ এই ট্রেনযাত্রা উপলক্ষে বরাবরের মতো তিন স্তরের টিকিট চেকিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। স্টেশনে প্রবেশ পথে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। তবে স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টিকিট চেকিং কার্যক্রম কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত স্টেশন এলাকায় দেখা যায়, পার্কিং এরিয়ার পর থেকে প্রথম টিকিট চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানে শুরুর দু-একজনকে টিকিট চেক করতে দেখা গেলেও বাকিদের তেমন একটা চেক করতে দেখা যায়নি। তারা বাধাহীনভাবেই ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন। দু-একজন টিকিটবিহীন যাত্রী পেলে তাদের থেকে ৫০ টাকা হারে জরিমানাসহ গন্তব্য স্টেশনের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় চেকিং করা হচ্ছে টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে। এখানে তিনটি সারিতে টিকিট চেকিং করা হচ্ছে। এখানেও দুজনকে ধরলে একজনকে ছেড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা।

সর্বশেষ চেকিং হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে। এখানে বেশ কয়েকজন টিটি কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। তবে এখানেও প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে যাওয়া যাত্রীদের টিকিট কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে না।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি প্রবেশপথে ছিলাম। চেকিং ভালোভাবে হচ্ছে। যখন যাত্রী কম থাকে তখন লোকবল কম থাকতে পারে। আমরা ভালোভাবে চেকিং করার ব্যবস্থা করেছি।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর



জুমার দিন ও জুমার নামাজের কিছু সুন্নত ও আদব.

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

১) জুম’আর দিন গোসল করা। 

(বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)। পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসাবে সেদিন নখ ও চুল কাটা একটি ভাল কাজ।

২) জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০)

৩) মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭, ইঃফাঃ৮৪৩)

৪) গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ৮৮৩)

৫) উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। (ইবনে মাজাহঃ১০৯৭)

৬) মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিযীঃ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ১১৩৬)

৭) মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ৮৫৭, আবু দাউদঃ১১১৩, আহমাদঃ১/২৩০)


৮) আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। (বুখারীঃ৮৮১, মুসলিমঃ৮৫০)


৯) পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৫)


১০) জুম’আর দিন ফজরের নামাজে ১ম রাক’আতে সূরা সাজদা (সূরা নং-৩২) আর ২য় রাকা’আতে সূরা ইনসান(দাহর)(সূরা নং-৭৬) পড়া। (বুখারীঃ৮৯১, মুসলিমঃ৮৭৯)


১১) সূরা জুম’আ ও সূরা মুনাফিকুন দিয়ে জুম’আর সালাত আদায় করা। অথবা সূরা আলা ও সূরা গাশিয়া দিয়ে জুম’আ আদায় করা। (মুসলিমঃ৮৭৭, ৮৭৮)


১২) জুম’আর দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ। (আবু দাউদঃ ১০৪৭)


১৩) এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।। (বুখারীঃ ৯৩৫)


১৪) মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারীঃ৯১০, ৮৮৩)


১৫) মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)


১৬) কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারীঃ৯১১, মুসলিমঃ২১৭৭, ২১৭৮)


১৭) মসজিদে গিয়ে ফরজের আগে চার রাকাত কাবলাল জুমা আদায় করা।(আল মুজামুল কাবির, হাদিস : ১২৬৭৪) (আল মুজামুলআওসাত,

হাদিস: ১৬১৭) 


১৮) জুম’আর দিন জুম’আর পূর্বে মসজিদে জিকির বা কোন শিক্ষামূলক হালাকা না করা। অর্থাৎ ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে না বসা, যদিও এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন। (আবু দাউদঃ ১০৮৯)


১৯) কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা তাকে থামার জন্য ইশারা করা। (নাসায়ীঃ ৭১৪, বুখারীঃ ৯৩৪)


২০) মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। (বুখারীঃ ৮৫৩)


২১) ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা বদল করে বসা। (আবু দাউদঃ ১১১৯)


২২) ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)


২৩) খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হলেও ইমাম থেকে দূরে উপবেশনকারীরা বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদঃ ১১০৮)


২৪) জুম’আর দিন সূরা কাহফ পড়া। এতে পাঠকের জন্য আল্লাহ তায়ালা দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেন। (হাকেমঃ ২/৩৬৮, বায়হাকীঃ ৩/২৪৯)


২৫) জুম’আর আযান দেওয়া। অর্থাৎ ইমাম মিম্বরে বসার পর যে আযান দেওয়া হয় তা।(বুখারীঃ ৯১২)


২৬) জুম’আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে ৪ রাকা’আত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখারীঃ ১৮২, মুসলিমঃ ৮৮১, আবু দাউদঃ ১১৩০)


২৭) উযর ছাড়া একই গ্রাম ও মহল্লায় একাধিক জুম’আ চালু না করা। আর উযর হল এলাকাটি খুব বড় হওয়া,বা প্রচুর জনবসতি থাকা,বা মসজিদ দূরে হওয়া, বা মসজিদে জায়গা না পাওয়া,বা কোন ফিতনা ফাসাদের ভয় থাকা। (মুগনি লিবনি কুদামাঃ ৩/২১২, ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহঃ ২৪/২০৮)


২৮) ওজু ভেঙ্গে গেলে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া। অতঃপর আবার ওজু করে মসজিদে প্রবেশ করা। (আবু দাউদঃ ১১১৪)


২৯) একান্ত উযর না থাকলে দুই পিলারে মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সালাত আদায় না করা। (হাকেমঃ ১/১২৮)


৩০) সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা,যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা (আবু দাউদঃ৮৬২)। অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।


৩১) কোন নামাজীর সামনে দিয়ে না হাঁটা অর্থাৎ মুসুল্লী ও সুতরার মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে না হাঁটা। (বুখারীঃ৫১০)


৩২) এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া,যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদঃ ১৩৩২)


৩৩) পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযীলত অন্তরে জাগরূক রাখা।

৩৪) হাঁটার আদব মেনে মসজিদে গমন করা।

৩৫) খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ। (বুখারীঃ ১০২৯, মুসলিমঃ ৮৯৭)


৩৬) হানাফী আলেমগন বলেছেন যে,ভিড় প্রচণ্ড হলে সামনের মুসুল্লীর পিঠের উপর সিজদা দেওয়া জায়েজ (আহমাদঃ১/৩২)। দরকার হলে পায়ের উপর ও দিতে পারে (আর রাউদুল মুরবী)


৩৭) যেখানে জুম’আর ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হল ঐ একই স্থানে সুন্নাত না পড়া। অথবা কোন কথা না বলে এখান থেকে গিয়ে পরবর্তী সুন্নাত সালাত আদায় করা। (মুসলিমঃ ৭১০, বুখারীঃ ৮৪৮)

৩৮) ইমাম সাহেব মিম্বরে এসে হাজির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাসবীহ-তাহলীল, তাওবা- ইস্তিগফার ও কুরআন তিলাওয়াতে রত থাকা।


আরও খবর

হজ অ‍্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন

সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫




আদালতের গ্রিল কেটে টাকা ও স্বর্ণালংকার ‍চুরি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নাটোরে আদালতের স্টোররুমের জানালার গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে।এতে ৩৭ লাখ টাকাসহ ১৫ ভরি স্বর্ণ ও ১৭ ভরি রুপা চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নাটোর আদালতের স্টোররুমে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকালে আদালতের পুলিশ কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ করলে স্টোররুমের তালা ভাঙা দেখতে পান। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাটি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান। পরে খবর পেয়ে এসপি মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইনসহ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন।

মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইর আমাদের সময়কে বলেন, সকালে স্টোররুমের জানালার গ্রিল কাটা ও তালা ভাঙা দেখতে পায় পুলিশ সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পাই স্টোররুমে তালা ভাঙা। এটি সংঘবদ্ধ চোরের একটি দল ঘটিয়েছে। তারা প্রথমে জানালার গ্রিল কেটে অফিসের প্রবেশ করে। এরপর স্টোররুমের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আনুমানিক নগদ ৩৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণ ১৫-১৬ ভরি এবং ১৭-১৮ ভরি রুপা চুরি করে পালিয়ে যায়। এর আগে চক্রটি আদালতের আশপাশের সিসিটিভি সংযোগ এবং ভিডিও রেকর্ডারসগুলো বিচ্ছিন্ন করে খুলে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কয়েকটি টিম তদন্ত কাজ করছে।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জ জেলা মাদকের অভিযানে বিশেষ স্বীকৃতি পেলেন আজাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

মুন্সিগঞ্জ জেলা মাদকের অভিযানে গোয়েন্দা পুলিশকে শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি হলেন এসআই আবুল কালাম আজাদ সাহেবের চৌকস বাহিনী সোর্স সিরাজদিখান ও শ্রীনগর এবং লৌহজং থানায় এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার ও বিপুল পরিমাণের গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায়।

মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য ও মানবিক পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয় অদ্য ইং ২১/০৪/২০২৫ তারিখ দুপুর ১২.০০ ঘটিকার সময় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইন্স শহিদ কনস্টবল বোরহান উদ্দিন খান মিলনায়তন-এ মাসিক কল্যাণ সভার সভাপতি মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ ও পুলিশ সুপার মহোদয় বিপুল পরিমাণের মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য ও মানবিক পুলিশ সুপার মহোদয় আমাকে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী কর্মকর্তা হিসেবে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন।

 আমাদের চৌকস পদ্মা সেতু উত্তর টিমকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে পুরস্কার প্রদান করেন । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্), মুন্সিগঞ্জ জনাব মোঃ ফিরোজ কবির। মাদকদ্রব্য উদ্ধার উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান সহ অভিযানের সাহস এবং অভিযানের বিষয় সার্বিক সহযোগিতা করেন মুন্সিগঞ্জ জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্), মুন্সিগঞ্জ জনাব মোঃ ফিরোজ কবির এবং অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ ইশতিয়াক আহমেদ রাসেল, জেলা গোয়েন্দা শাখা মুন্সিগঞ্জ মহোদয়।


আরও খবর



চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হলে নিহতের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়ায়।

নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, দুজন শিশু ও পাঁচজন পুরুষ। তবে তাদের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২ জন।

আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় রিল্যাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে দুটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৭ জন, লোহগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী মতিন মিয়া জানান, ‘চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী রিলাক্স পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। বেশ কয়েকবার চালক বাসটি থামানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যেই বিপরীত দিক থেকে আসা কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের আট যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন ৪ জন।

এর আগে একই স্থানে ঈদের দিন সোমবার দুই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার একই স্থানে দুইটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৮ জন আহত হন।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন বলেন, নিহতদের মধ্যে একজনের নাম দিলীপ। তিনি ঝিনাইদহের বোয়ালিয়া এলাকায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বার বার একই এলাকায় দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদিন আগেও এখানে দুর্ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন। আমার ৩ মাসের অভিজ্ঞতায় বলছি, কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অপরিচিত চালকরা এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালান। তারা সড়কটি সম্পর্কে জানেন না। পাশাপাশি সড়কে যথাযথ সিগন্যাল নেই। দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই একটা বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। অন্য এলাকার চালক হলে এটা কতটুকু বিপজ্জনক বুঝতে পারেন না।


আরও খবর