Logo
শিরোনাম

কোমর ব্যথায় নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, সপ্তাহে পাঁচবার আধা ঘণ্টা করে হাঁটলে ও ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী চললে কোমর ব্যথা ফিরে আসার সময়টা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ নিয়মিত হাঁটা ব্যক্তিরা, যারা হাঁটেন না, তাদের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যথামুক্ত থাকতে পারেন।

বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ লো ব্যাক পেইন বা কোমরের ব্যথায় ভোগেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজনের ব্যথা সেরে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে আবারও ব্যথা ফিরে আসে

গবেষণার প্রয়োজনে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া ৭০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে অর্ধেক ব্যক্তির জন্য হাঁটা কর্মসূচি ও ফিজিওথেরাপিস্টের সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাকিদের নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল

তবে হাঁটা কেন কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করে, তার নির্দিষ্ট কারণ জানতে পারেননি গবেষকরা

এছাড়া হাঁটার কারণে কার্ডিওভাস্কুলার হেলথ, হাড়ের ঘনত্ব, শারীরিক ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়েও সুবিধা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষণা প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপির অধ্যাপক মার্ক হ্যানকক।

 সূত্র : ডিপিআরসি হাসপাতাল


আরও খবর



গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিজ আসনে চাপা পড়া চালককে উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 | হালনাগাদ:সোমবার ১২ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:

ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভাটেরচর নতুন রাস্তা এলাকায় দুর্ঘটনায় পিকাপে আটকে পড়া চালককে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের একদল কর্মী। আজ সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় এ ঘটনা ঘটে। 

পরে তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ঢাকাগামী একটি পিকাপ ভ্যান দ্রুতগতিতে  মহাসড়কের ভাটেরচর এলাকা অতিক্রমের সময়  চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অজ্ঞাত গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে পিকাপের সামনের অংশ দুমরে-মুচড়ে যায়। 

এ সময় পিকাপ চালক সানি মিয়া তার আসনে আটকা পড়ে। আহত চালক সানি মিয়া কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার গাজীরচর গ্রামের আসু মিয়ার ছেলে।


আরও খবর



নানা সংকটে জর্জরিত মহাখালী বাস টার্মিনাল

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর যাত্রীদের নিয়ে এখান থেকে বাস ছেড়ে যায় এবং ছেড়ে আসে। প্রতিদিন গড়ে আসা-যাওয়া করে এক হাজার দূরপাল্লার বাস, যাতে পরিবহন হয় ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী। অথচ টার্মিনালটিতে যাত্রীসেবা বলতে কিছুই নেই। বিপুলসংখ্যক যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য স্যানিটেশন ব্যবস্থা নামমাত্র। মাত্র তিনটি শৌচাগার, তাও ব্যবহারের অনুপযোগী। যাত্রীদের জন্য থাকা বিশ্রামাগারটি দখলে নিয়েছে ভবঘুরে ও মাদকসেবীরা।

কিশোরগঞ্জগামী যাত্রী মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, আমাদের দেশের কোনো যোগাযোগ খাতই উন্নত নয়। বাস, ট্রেন, লঞ্চ সবকিছুতেই ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। স্টেশনগুলো অপরিচ্ছন্ন, খাবার হোটেল কিংবা টয়লেটগুলোয় অধিকাংশ সময়ই যাওয়া যায় না। অতিজরুরি না হলে কেউ যেতেও চায় না। আবার যারা যাচ্ছেন তাদের অভিজ্ঞতা কতটা যে বাজে হয়, সেটি বলে প্রকাশ করা যাবে না। বিশেষ করে নারী ও শিশু যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে এক্ষেত্রে।

মহাখালী বাস টার্মিনালটি পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মধ্যে। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার বাস চলাচল করলেও টার্মিনালটির ধারণক্ষমতা মাত্র ৪০০ গাড়ির। আর বৃহস্পতিবার, শুক্র ও শনিবার ১ হাজার ২০০ পর্যন্ত বাস এ টার্মিনালে প্রবেশ করে ও ছেড়ে যায়। ফলে বেশির ভাগ বাসই রাখতে হয় টার্মিনালসংলগ্ন সড়কে। মহাখালী থেকে তেজগাঁওয়ের তিব্বত পর্যন্ত সড়ক ও লিংক রোডগুলোয় এসব বাস রাখায় যানজট সৃষ্টি হয় বনানী পর্যন্ত।

সড়কে গাড়ি রাখা প্রসঙ্গে মহাখালী-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী একটি বাসের চালক জানান, সব গাড়ি টার্মিনালে জায়গা হয় না। তাই গাড়িগুলো কখনো কখনো টার্মিনালের বাইরে রাখতে হয়। তবে রাস্তার ওপরে কোনো গাড়িই বেশিক্ষণ রাখা হয় না। ট্রাফিক পুলিশ সবসময় নজর রাখে। যত্রতত্র গাড়ি থামানো বা যাত্রী ওঠানামারও এখন সুযোগ নেই। মাঝে মাঝে সামান্য যানজট হয়, তবে সেটি বড় না।

বাস টার্মিনালের যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে ময়লা-আবর্জনা। সেই সঙ্গে ভ্যানগাড়ি ও ভাসমান দোকান বসিয়ে টার্মিনালের আশপাশে অনেকটা জায়গা দখল করে রেখেছে বহিরাগতরা। ব্যস্ত টার্মিনালটির স্যানিটেশন নিয়ে তীব্র ক্ষোভের পাশাপাশি রয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকারও অভিযোগ। নিম্নমানের ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই বাড়ে ভোগান্তি। পরিবহন শ্রমিকদের জন্যও এ টার্মিনালে কোনো বিশ্রামাগার নেই।

এ বিষয়ে কথা হলে পরিবহন কর্মীদের বেশ কয়েকজন তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। তারা জানান, যাত্রীরা বাস টার্মিনালের স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিনিয়ত। এসবসহ নানা সমস্যার বিষয়ে বাস টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ সিটি করপোরেশনকে সমাধানের জন্য একাধিকবার তাগাদা দিলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

সরেজমিন দেখা যায়, মহাখালী টার্মিনাল ভবনের নিচতলায় রয়েছে দুটি শৌচাগার। একটি নারীদের এবং অন্যটি পুরুষদের ব্যবহারের জন্য। তবে সেগুলো খুবই নোংরা ও দুর্গন্ধময়। তার পাশেই রয়েছে উন্মুক্ত গোসলের জায়গা, যেটি পরিবহন শ্রমিক ও টার্মিনালের কর্মীরা ব্যবহার করেন।

এ নিয়ে ডিএনসিসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, মহাখালী টার্মিনালে টয়লেট সংকট নেই। পর্যাপ্ত টয়লেট আছে। সংকট তখনই বলা যাবে যখন দেখা যাবে মানুষ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষ তো লাইন ধরে নেই। তার মানে সেখানে সংকট নেই। তবে এগুলো অপরিষ্কার, এর সঙ্গে আমিও একমত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত সকালে হয়তো একবার পরিষ্কার করে, সারা দিন আর করে না। কিছুক্ষণ পর পর পরিষ্কার করতে গেলে বেশি লোকবল নিয়োগ দিতে হবে, ফলে খরচও বেশি হবে। এজন্য তারা এসব করে না হয়তো।

জানা গেছে, মহাখালী বাস টার্মিনালটির ইজারা নিয়েছে এসএফ করপোরেশন। এটি পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শেখ ফরিদ। অনেক চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে টার্মিনালে ইজারাদারের হয়ে কাজ করা সবুজ নামের এক তরুণ বলেন, টার্মিনালটি পর্যাপ্ত পরিপাটি করে রাখা হয়। যাত্রী বা পরিবহনসংশ্লিষ্ট কারো কোনো অভিযোগ কখনই আমরা পাইনি।

টার্মিনালে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রেও চলছে চরম বিশৃঙ্খলা। এ নিয়ে ট্রাফিক বিভাগের কোনো উদ্যোগ বা নির্দেশনা কাজে আসছে না। ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ ও বাস মালিকরা বলছেন, টার্মিনালের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস বৃদ্ধির কারণে রাস্তায় রাখতে বাধ্য হচ্ছেন চালকরা। আবার অনেক দূরপাল্লার চালক টার্মিনালে প্রবেশে গাড়ির লম্বা লাইন থাকলে রাস্তার পাশেই গাড়ি রেখে বিশ্রামে চলে যান বলে অভিযোগ।

মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গাড়ি নিয়ে আমরা বিড়ম্বনায় রয়েছি। টার্মিনালে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ গাড়ি রাখার জায়গা। কিন্তু প্রতিদিন এর দ্বিগুণের বেশি গাড়ি চলাচল করে। আমরা এগুলো রাখব কোথায়? সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অসংখ্যবার বলেছি, আমাদের গাড়ি রাখার বিকল্প ব্যবস্থা করেন। তারা এখনো করেনি। এতে বাধ্য হয়েই সড়কে গাড়ি রাখতে হচ্ছে। বাইরে গাড়ি রাখলে তো আমাদেরও ক্ষতি, তেলসহ গাড়ির ছোটখাটো যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রায় একই কথা বলেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাবুল।

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঠামোগত ত্রুটির কারণেই টার্মিনালে যাত্রীদের অধিক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এজন্য কাঠামোগত সংস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, বাস টার্মিনাল শুধুই অবকাঠামো নয়। এটিকে অপারেশনও করতে হয়। মানে যাত্রীদের প্রয়োজনে এটিকে বিভিন্নভাবে পরিচালনা করতে হবে। আমাদের দেশের কাঠামোই যাত্রীবান্ধব নয়, পুরো হযবরল অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, টার্মিনালে নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম থাকবে, যেখান থেকে গাড়িতে যাত্রীরা উঠবেন এবং সেখানেই এসে বাসগুলো যাত্রী নামাবেন। কিন্তু আমাদের এখানে এমন অবকাঠামো নেই। প্লাটফর্মভিত্তিক এমন অবকাঠামো থাকলে নাগরিক সুবিধা দেয়া খুবই সহজ হয়। যাত্রীদের কোথায় পানি, টয়লেট বা বিশ্রামাগার প্রয়োজন, সেগুলো নজর রাখাও সহজ হয় তখন।


আরও খবর



আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে। রাজধানীর গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক বিএনপি নয়; সিদ্ধান্ত নেবে দেশের মানুষ, নির্বাচন কমিশন। সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে বলেও জানান তিনি। তিন বলেন বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি।

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যত শিগগিরই নির্বাচন হবে ততই মঙ্গল হবে বলেও মন্তব্য করেন মঈন খান।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

কার্টার সেন্টারের ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- তারা শরিফ, সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর; মাইকেল বালদাসারো, ডেটা সায়েন্টিস্ট; সাইরাহ জাইদি, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর; ড্যানিয়েল রিচার্ডসন, পিস ও ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট এবং কাজী শহীদুল ইসলাম, স্থানীয় মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ।

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গে এ বৈঠক করেন কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিরা।


আরও খবর



জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

গণঅভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে জুলাই গণ অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার। আজ সোমবার অধিদপ্তর গঠন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।


আরও খবর



আবার নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে।সম্প্রতি ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহাড়ি শহর পহেলগামের কাছে এক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ায় চলমান উত্তেজনার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তান ২০২১ সালে এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। তবে এর পরেও একাধিকবার এই চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে।

গতকাল ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এক কর্মকর্তাও রাতভর দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিয়ন্ত্রণরেখার ঠিক কোন এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে পৃথক গোলাগুলির ঘটনায় বান্দিপোরায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ঝিলম উপত্যকা জেলার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা সৈয়দ আশফাক গিলানি বলেন, লিপা উপত্যকায় রাতভর পোস্ট-টু-পোস্ট গুলিবর্ষণ চলছে। তিনি বলেন, বেসামরিক জনগণের উপর কোনও গুলিবর্ষণ হয়নি। জীবনযাপন স্বাভাবিকভাবে চলছে। স্কুল খোলা রয়েছে।

পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রশাসনিক কেন্দ্র মুজাফ্ফরাবাদ শহর থেকে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার পূর্বে ভারতের সাথে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর অবস্থিত লিপা উপত্যকা।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত বিভক্ত হওয়ার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ১৯৭২ সালে নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের মধ্যে একটি চুক্তি যুদ্ধবিরতির সময়কার রেখাকে সামরিকায়িত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) রূপান্তরিত করে।

এই অঞ্চল নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ একাধিক যুদ্ধ করেছে এবং আরও বেশ কয়েকটি ছোট সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তবে ২০১৯ সালে কাশ্মীরে একটি গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ৪০ জন ভারতীয় আধাসামরিক পুলিশ নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সবচেয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার দুই বছর পর ২০২১ সালে উত্তেজনা কমে আসলে দুই দেশই আবার এলওসি দ্বারা বহাল যুদ যুদ্ধবিরতিতে ফিরে যায়।


আরও খবর