Logo
শিরোনাম

কোন কোন বিষয় দেখে আপনার পছন্দের মনিটর কিনবেন?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বর্তমান সময়ে আমরা কম্পিউটার কিংবা সিসিটিভি সহ বহুবিধ কাজের ক্ষেত্রে আউটপুট ডিভাইস হিসাবে মনিটর  ব্যবহার করে থাকি।এই মনিটর এর সুন্দর প্রদর্শিত চিত্র আমাদের কাজকে করে তুলে গুনগত মান সম্পন্ন।কিন্তু আমরা পিসি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে হারে গবেষণা অনুসন্ধান করে থাকি, কিন্তু মনিটর কেনার ক্ষেত্রে ঐরকমভাবে গবেষনা বা অনুসন্ধান আমাদের হয়ে উঠে না।তাই আজ আমরা জানবো যেসব বিষষে লক্ষ্য রেখে মনিটর কিনলে আপনি আপনার সঠিক মনিটর খুঁজে পাবেন।আসুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয় গুলোঃ

মনিটর কেনার আগে জানা জরুরি বিষয়গুলো:

প্যানেল টাইপ:

TN (Twisted Nematic): সাধারণত সস্তা এবং ফাস্ট রেসপন্স টাইম থাকে, কিন্তু ভিউইং এঙ্গেল খুব ভালো হয় না। গেমিংয়ের জন্য উপযুক্ত।

IPS (In-Plane Switching): ভালো কালার একুরেসি এবং ভিউইং এঙ্গেল থাকে, কিন্তু TN এর তুলনায় ধীর রেসপন্স টাইম থাকতে পারে। ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং বা সাধারণ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

VA (Vertical Alignment): ভালো কনট্রাস্ট রেশিও এবং কালো রং গভীর হয়। কিন্তু ভিউইং এঙ্গেল মাঝারি।

রেজোলিউশন:

1080p (1920x1080): সাধারণ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

1440p (2560x1440): গেমিং এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ভালো।

4K (3840x2160): অত্যন্ত উচ্চ রেজোলিউশন, ভিডিও এডিটিং এবং গেমিংয়ের জন্য আদর্শ।

রেফ্রেশ রেট:

হার্জ (Hz) এককে পরিমাপ করা হয়। উচ্চ রেফ্রেশ রেট মানে স্মুথ ভিজুয়াল এক্সপেরিয়েন্স। গেমিংয়ের জন্য কমপক্ষে 144Hz রেফ্রেশ রেট ভালো।

রেসপন্স টাইম:

পিক্সেলগুলি একটি রং থেকে অন্য রং পরিবর্তন করতে যে সময় নেয়। কম রেসপন্স টাইম মানে ভালো মুভমেন্ট ক্লিয়ারিটি।

পোর্ট:HDMI, DisplayPort, VGA ইত্যাদি পোর্টগুলো থাকা জরুরি।

আকার: আপনার ডেস্ক এবং ব্যবহারের ধরনের উপর নির্ভর করে মনিটরের আকার নির্বাচন করুন।

অতিরিক্ত ফিচার:

এডজাস্টেবল স্ট্যান্ড, ভেসা মাউন্ট, স্প্লিট স্ক্রিন, আই কেয়ার টেকনোলজি ইত্যাদি।


কোন মনিটরটি কিনবেন?

গেমিং: উচ্চ রেফ্রেশ রেট, কম রেসপন্স টাইম এবং ভালো কালার একুরেসি বিশিষ্ট TN বা IPS প্যানেলের মনিটর।


ভিডিও এডিটিং: উচ্চ রেজোলিউশন, ভালো কালার একুরেসি এবং বড় আকারের IPS প্যানেলের মনিটর।


অফিস ওয়ার্ক: ভালো ভিউইং এঙ্গেল এবং কম্পোর্ট বিশিষ্ট IPS প্যানেলের মনিটর।

কিছু জনপ্রিয় মনিটর ব্র্যান্ড: Dell, Asus, Acer, LG,Hp,Samsung.


- লেখক,

মোঃকাউসার আহমেদ 

বি,এস,সি (অনার্স) ইন  সি,এস,ই, এম,এস,সি ইন পি এম আইটি (অধ্যয়ন),জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। 

আইটি অফিসার

বি,কে,এস,পি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।


আরও খবর



দুদকের মামলায় খালাস পেলেন ফালু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় খালাস পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও এনটিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালু।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ১০নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় মোসাদ্দেক আলী আদালতে হাজির ছিলেন।

রায়ে মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করেন আদালত।

মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীর আইনজীবী বোরহান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় বিচারক তাকে খালাস দিয়েছেন।


আরও খবর



জাল টাকা ও টাকা ছাপানোর সরঞ্জাম সহ আটক ঝালকাঠির নাইম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

রাজাপুরের যুবকসহ দুজন আটক, বিপুল পরিমান জাল টাকার নোট ও ছাপানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র‌্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-৮) এর সদস্যরা। 

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল পৌনে চারটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব- ৮ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান। এর আগে বুধবার বরিশাল বন্দর থানাধীন কর্নকাঠী ও চরকাউয়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানাধীন চরকাউয়া ইউনিয়নের ময়দান এলাকার লাল মিয়ার ছেলে মিজান হাওলাদার (১৯) ও ঝালকাঠির রাজাপুর থানার লেবুবুনিয়া এলাকার ফরিদ হোসেনের ছেলে নাঈম হোসেন (২৫)।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, কর্নকাঠি গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন সড়কে জাল টাকার নোট ক্রয়-বিক্রয়ের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মিজান ও নাঈম পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানায়, সে নগদ ২০ হাজার টাকায় ১ লাখ জাল টাকার নোট নাঈমের কাছে বিক্রির জন্য ঘটনাস্থলে আসে। এরপর মিজানের সাথে থাকা স্কুল ব্যাগ থেকে ১ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

সূত্রে আরও জানা গেছে, জাল নোট উদ্ধারের পর মিজান হাওলাদার জানায় সে নিজ বাড়িতে জাল টাকা উৎপাদন করেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বন্দর থানাধীন চরকাউয়া গ্রামে মিজানের ঘরে অভিযান চালায় র‌্যাব সদস্যরা। ওই অভিযানে আরও ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকার জাল নোট উদ্ধারের পাশাপাশি জাল টাকা ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত একটি প্রিন্টার, একটি ল্যাপটপ, চার বোতল প্রিন্টারের কালি, একটি মডেম, তিন প্রকার আঠার কৌটা, কয়েকটি ক্যাবলসহ কয়েক প্রকার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বরিশাল বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে। রাজধানীর গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক বিএনপি নয়; সিদ্ধান্ত নেবে দেশের মানুষ, নির্বাচন কমিশন। সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে বলেও জানান তিনি। তিন বলেন বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি।

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যত শিগগিরই নির্বাচন হবে ততই মঙ্গল হবে বলেও মন্তব্য করেন মঈন খান।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

কার্টার সেন্টারের ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- তারা শরিফ, সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর; মাইকেল বালদাসারো, ডেটা সায়েন্টিস্ট; সাইরাহ জাইদি, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর; ড্যানিয়েল রিচার্ডসন, পিস ও ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট এবং কাজী শহীদুল ইসলাম, স্থানীয় মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ।

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গে এ বৈঠক করেন কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিরা।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন এরই মধ্যে হয়ে গেছে। অধ্যাদেশ অনুসারে বিষয়টি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের।

জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার যুক্তিসঙ্গতভাবে মনে করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা দরকার।

এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

এছাড়া, আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কাজ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লিখিত অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহু মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং অন্যদেশে পলাতক তাদের নেতাসহ অন্য নেতাকর্মী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য প্রদান, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।

এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে, দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে যে, আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

এ অবস্থায় সরকার মনে করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে বহিস্কৃত নেতাকে নিয়ে পথসভা ,বিএনপির প্রতিবাদ

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বহিস্কৃত এক নেতাকে নিয়ে পথসভা করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার দুপুরে পৌর বিএনপি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফ্রিং করে প্রতিবাদ জানান তারা। তাদের দাবি আবদুর রউফ তালুকদার গত ১৭ বছর আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে চলেছেন এবং একাধিকবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন,যে কারনে বিএনপি থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।  

উল্লেখ্য গত ৫ মে সোমবার বকশীগঞ্জের নিলাক্ষিয়া মোড় ও পৌরশহরের বটতলা মোড়ে পথসভা করেন সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুম। পরে সন্ধ্যায় পুরাতন ইসলামী ব্যাংক ভবনে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। এ সময় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রউফ তালুকদারসহ পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়,ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকার পতনের পর বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র কমিটি নিয়ে তোড়জোর শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা হয়। সম্মেলনকে প্রতিহত করতে মাঠে নামেন সাবেক আইজিপির অনুসারীরা। এতে নেতৃত্ব দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার। সম্মেলন ঘিরে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও বিভক্তি দেখা দেয়। সম্মেলন সফল করতে মিছিল সমাবেশ করেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের সমর্থকরা। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক (বর্তমান সভাপতি) মানিক সওদাগর। সম্মেলনকে ঘিরে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্র্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ১৮ ফেব্রুয়ারি বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেদিন নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। সম্মেলনের ২২ দিন গত ১২ মার্চ বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখার ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। মানিক সওদাগর সভাপতি ও জাহিদুল ইসলাম প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক এবং এডভোকেট আনিছুজ্জামান গামা সভাপতি ও সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অনুমোদনের পর বাতিলের দাবিতেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আবদুর রউফ তালুকাদারের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

গত ৫ মে সোমবার দুপুরে বকশীগঞ্জে আসেন বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম। পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের নিয়ে একাধিক পথসভা ও মতবিনিময় সভা করেন তিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে তার সাথে ছিলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত আবদুর রউফ তালুকদার।

এই ঘটনায় বুধবার প্রেসব্রিফ্রিং করে বিএনপি। আবদুর রউফ তালুকদারকে আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে এবং তাকে নিয়ে পথসভা করায় তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মানিক সওদাগর,সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স,পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার শাকিল প্রমূখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাহান পারভেজ শাহীন,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক বিপ্লব সওদাগর,সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লাভলু,পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তানজির আহমেদ সুজন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আশিকুর রহমান তোলন,সদস্য সচিব শহিদুল হক দুলাল,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শেখ রহমত আলী,সদস্য সচিব মিজানুর রহমান,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জুবাইদুল ইসলাম শামীম,পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য সচিব আহম্মেদ সায়েমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন,দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আবদুর রউফ তালুকদার দল থেকে একাধিকবার বহিস্কার হন। ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে আবার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারও করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সবশেষ গত ২০২৪ সালের ২১ মে তাকে আবারো দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপরও তিনি দলের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তাই গত ২৫ মার্চ তাকে স্থায়ীভাবে আজীবনের জন্য বহিস্কার চেয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচির বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সকল নেতা স্বাক্ষর করেছেন। তিনি আরো বলেন,গত ১৭ বছর তিনি আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে চলেছেন। দলের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে কাজ করেছেন। আওয়ামীলীগের চিহ্নিত দোসর বহিস্কৃত একজন নেতাকে নিয়ে পথসভা দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাই এর  তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবদুল কাইয়ুম বলেন,বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তৃনমূল বিএনপিকে উপেক্ষা করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অগনতান্ত্রিক ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা কমিটিতে আছেন তারা দলের দু:সময়ে ছিলেন না। আবদুর রউফ তালুকদার ৪ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি দলের জন্য অনেক শ্রম দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলের জন্য কাজ করে যাবো আমরা।


আরও খবর