Logo
শিরোনাম

কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image



বিডি টুডেস  রিপোর্ট:


কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লেখাপড়া বাদ দিয়ে কোটার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের যৌক্তিকতা তিনি দেখেন না।



রোববার (৭ জুলাই) যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গণভবনে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।


শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেখছি কোটা আন্দোলন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে কোটা, নারীদের কোটা সেটি বাতিল করতে হবে। সেটা কিন্তু একবার বাতিল করা হয়েছিল। সেটার ফলাফল কী? 



পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার হিসাব যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে আগে নারীরা যে পরিমাণ সুযোগ পেতো এই কয়বছরে তেমন সুযোগ পায়নি। এটাই বাস্তবতা। 



এমনকি অনেক প্রত্যন্ত এলাকা বা জেলার মানুষ বঞ্চিত থেকে গেছে। তারাও চাকরি পাচ্ছে না। এরকম বঞ্চিত হওয়ার কারণে একটা মামলা হয় আর হাইকোর্ট রায় দেয়।


তিনি বলেন, আমরা সবসময় হাইকোর্টের রায় মেনে নেই। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, কোটাবিরোধী আরেকটি আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। লেখাপড়া বাদ দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে, সেখানে মেয়েরাও আন্দোলন করে। 



প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছিল তাদের কতজন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়েছিল এবং কতজন পাশ করেছিল তার একটা হিসাব বের করা দরকার। তারা (মেয়েরা) দেখাক পরীক্ষা দিয়ে বেশি পাশ করেছিল কিনা। মেয়েরা প্রমাণ করুক তারা বেশি পাশ করেছে।



তিনি বলেন, ‘যুব মহিলা লীগ সবসময় আন্দোলন সংগ্রামে ছিল। বিএনপি-জামায়াত যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের অকথ্য নির্যাতন করেছে।’



সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশকে একটি উচ্চ আসনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় বিএনপির উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, তার সরকার জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। 



বিএনপি ভোটচুরি করে ক্ষমতা এসেছিল। দেশের মানুষ ভোট চোরদের ক্ষমতায় থাকতে দেয় না। ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে দুইবার পদত্যাগ করতে হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।



আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




গরমে হিটস্ট্রোক হওয়ার পূর্ব লক্ষণ এবং করণীয়

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

রক্তচাপের সমস্যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তা সেটি বেশি হোক বা কম। রক্তের চাপ স্বাভাবিক থাকা জরুরি। এটি বেশি হলে যেমন স্বাস্থ্যের ক্ষতি, তেমনি রক্তচাপ কমে গেলেও বিপদ ঘটতে পারে।

গরমে বেড়ে যায় নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা। সময়মতো সতর্ক না হলে এই কারণে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এটি ক্লান্তি ও হৃদরোগের জটিলতাও সৃষ্টি করে। তাই রক্তচাপের সমস্যা থেকে বাঁচতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি- 

গরমে রক্তচাপ কমে যায় কেন? 

গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত ঘাম। অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যায়। র ফলে রক্তের পরিমাণ কমে গিয়ে রক্তচাপ কমে যায়।

গরমে শরীরের মধ্যে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতে রক্তনালিগুলো প্রসারিত হয়ে যায়। এতে কমে যেতে পারে রক্তচাপ। এছাড়াও, গবেষকদের মতে প্রচণ্ড গরমের কারণেও রক্তনালিগুলি প্রসারিত হয়। ফলে রক্তচাপ অনেকটাই কমে যেতে পারে। 

গরমে রক্তচাপ ঠিক রাখতে করণীয়:

১. প্রচুর পানি পান করুন: 

সারা দিন প্রচুর পানি পান করুন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। রক্তের পরিমাণও ঠিক থাকে শরীরে। ফলে সহজে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় না। পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখুন লেবুর শরবত, ডাবের পানি, ওআরএস খেতে পারেন। 

২. সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণ করুন: 

গরমে সোডিয়ামের ঘাটতি হলেও রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এই ঘাটতি পূরণ করতে লেবুর পানিতে সামান্য লবণ, বাটারমিল্ক বা জিরার গুঁড়া দিয়ে নিন। এসব পানীয় সোডিয়ামের ঘাটতি মেটায়। এছাড়া খাদ্যতালিকায় রাখুন তরমুজ, শসা, কমলা, পেঁপের মতো ফল। 


আরও খবর



ভারতে বিমান বিধ্বস্ত : নিহতদের প্রত্যেক পরিবার পাবে ১ কোটি রুপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ভারতের শিল্পগোষ্ঠী টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এ সহায়তা ঘোষণা দেন।

এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার পুরো ব্যয় বহন করবে টাটা গোষ্ঠী। ক্ষতিগ্রস্ত বি জে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলটি নতুন করে নির্মাণেও সহায়তা দেওয়া হবে।

চন্দ্রশেখরন এক বিবৃতিতে বলেছেন, শোক প্রকাশের জন্য কোনো শব্দই এ মুহূর্তে যথেষ্ট নয়। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

বৃহস্পতিবার ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী ওই প্লেনটি ২৪২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের ৭৮৭ মডেলের তৈরি এ প্লেনটি ‘ড্রিমলাইনার’ হিসেবে পরিচিত। প্লেনটি ১৪ বছর আগে আকাশে ওড়া শুরু করেছিল। তবে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের কোনো প্লেনের এর আগে এভাবে ভেঙে পড়ার তথ্য নেই।


আরও খবর



জমজমের পানি যেভাবে পান করা সুন্নত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মসজিদে হারামের কাছে অবস্থিত বরকতময় জমজম কূপ। পবিত্র কাবা ও এই কূপের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৩৮ গজের। জমজমইব্রাহিম (আ.) এর ছেলে ইসমাঈল (আ.) এর স্মৃতিবিজড়িত কূপ।

হজ ও ওমরাহ আদায়কারীর জন্য বিশেষভাবে এবং পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মুস্তাহাব। সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে নবীজি (সা.) নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন। -(সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫৫৬)

জমজমের পানি পানের ফজিলত 

হজরত আবু জর (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য। -(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৪৭৩)

মুসনাদে তায়ালুসিতে এই হাদিসের একটি বর্ধিত অংশ উদ্ধৃত হয়েছে, এবং রোগীর ওষুধ। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের সঙ্গে পাত্রে ও মশকে করে জমজমের পানি বহন করতেন। তা অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। (সুনানে তিরমিজি) 

এ বর্ণনা থেকে এ কথাও জানা যায় যে জমজমের পানি বহন করা জায়েজ। আর যারা জমজম কূপের কাছে নয়, তাদের পান করানো রাসূল (সা.) এর সুন্নত।

জমজমের পানি পানের নিয়ম 

জমজম থেকে পানি পানকারী ব্যক্তির জন্য সুন্নত হলো পুরোপুরিভাবে পরিতৃপ্ত হয়ে পান করা। ফকিহগণ জমজমের পানি পানের কিছু আদব উল্লেখ করেছেন, যেমন- কিবলামুখী হওয়া, বিসমিল্লাহ বলা, তিন শ্বাসে পান করা, পরিতৃপ্ত হওয়া, শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা ইত্যাদি। জমজমের পানি পান করার সময় একটি বড় কাজ হলো দোয়া করা। 

এ জন্য আমরা পূর্বসূরি মনীষীদের জীবনেতিহাসে দেখতে পাই, তারা জমজমের পানি পানের সময় বিভিন্ন দোয়া করতেন। এখানে কয়েকজন মনীষীর উদ্ধৃতি দেয়া হলো-

আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) বলেন, হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জমজমের পানি পান করেছিলাম স্মৃতিশক্তিতে হাফিজ শামসুদ্দিন জাহাবি (রহ.) এর স্তরে পৌঁছার নিয়তে। সুয়ুতি বলেন, ইবনে হাজার ওই স্তরে পৌঁছেছিলেন; বরং তার স্মৃতিশক্তি আরো অধিক প্রখর হয়েছিল। (তাবাকাতুল হুফফাজ : ১/৫২২)

রাসুল সা. যেভাবে পান করতেন

জমজমের পানি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পান করেছেন। তাই জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করাকে উত্তম মনে করা হয়। তবে এভাবে জমজমের পানি পান করা জরুরি নয়।

তবে স্বাভাবিক অবস্থায় অন্যান্য পানি দাঁড়িয়ে পান করাকে মাকরূহে তানজিহী। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পানি পান করাতে নিষেধ করেছেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এবং তার কিছু সাহাবির দাঁড়িয়ে পানি করা সম্পর্কিত হাদীস পাওয়া যায়। যা প্রমাণ করে দাঁড়িয়ে পানি পান করা হারাম বা মাকরূহে তাহরীমি নয়। 

হজরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২০২৭)


আরও খবর

আগামী ২৫ বছর গরমকালে হজ হবে না

মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫




করোনা বাড়ছে সতর্কতা জরুরি এখনই

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ডা. মুহাম্মাদ সিদ্দিক :

বিগত সময়ের মতো আবারও কড়া নাড়তে শুরু করেছে COVID-19. COVID-19 Omicron XBB 1.5 সাবভেরিয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত সতর্কতা এবং নির্দেশিকাগুলো জানা দরকার।

এবারে করোনা ভিন্ন : COVID-19-এর একটি নতুন রূপ- Omicron XBB সাবভেরিয়েন্ট দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এ রূপটি পূর্ববর্তী রূপগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি সাধারণ লক্ষণ না দেখিয়েই ছড়িয়ে পড়ে। অতএব স্বাস্থ্য সতর্কতা অনুসরণ করা এবং মাস্ক পরা আবারও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

Omicron XBB কী এবং এটি কীভাবে আলাদা : Omicron XBB হলো একটি রিকম্বিন্যান্ট সাবভেরিয়েন্ট, যা দুটি Omicron স্ট্রেনের সংমিশ্রণে গঠিত। গবেষণা অনুসারে, এটি: পূর্ববর্তী রূপগুলোর চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কখনও কখনও স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষায় শনাক্তকরণ এড়িয়ে যায় (মিথ্যা নেতিবাচক)। ক্ল্যাসিক্যাল COVID লক্ষণ না দেখিয়ে ব্যক্তিকে সংক্রামিত করতে পারে।

নতুনভাবে পর্যবেক্ষণ করা লক্ষণ : অনেক রোগীর কাশি বা জ্বরের মতো সাধারণ লক্ষণ দেখা যায় না। এর পরিবর্তে যে লক্ষণগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে রিপোর্ট করা হচ্ছে তা হলো- জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পিঠব্যথা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, হালকা থেকে মাঝারি নিউমোনিয়া। অনেক ক্ষেত্রে নাকের সোয়াব পরীক্ষা ভাইরাস শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। তবে বুকের এক্স-রে বা সিটি স্ক্যানের মতো ইমেজিং পরীক্ষায় ফুসফুসের সংক্রমণ প্রকাশ করে। লক্ষণগুলো হালকা হলেও অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিপজ্জনক রূপ : বর্তমান তথ্যের ওপর ভিত্তি করে (যদিও XBB দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তবু এটি উচ্চ মৃত্যু বা বিষাক্ততার কারণ কিনা) সে সম্পর্কে এখনও কোনো বৈজ্ঞানিক ঐক্যমত্য নেই। তবে, বয়স্ক ব্যক্তি, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি অথবা অন্তর্নিহিত অবস্থার (যেমন- ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ) রোগীরা আরও গুরুতর জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন।

যেভাবে সুরক্ষা পাবেন : জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন (নাক ও মুখ উভয়ই ঢেকে রাখুন)। ঘনঘন হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। কমপক্ষে ১.৫ মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। যদি কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার কোভিড ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ করুন (যদি সময় থাকে)।

ভুল তথ্য থেকে সাবধান : ইন্টারনেটে অতিরঞ্জিত বা বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে। সঠিক তথ্যের জন্য বিশ্বস্ত উৎসের ওপর নির্ভর করুন।

সচেতনতাই সবচেয়ে শক্তিশালী ঢাল : ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু অসাবধানতারও কোনো সুযোগ নেই। আপনি যদি সতর্ক থাকেন, নিয়মিত মাস্ক পরেন এবং স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করেন, তবে নিজে যেমন সুস্থ ও ভালো থাকবেন, তেমনি আপনার প্রিয়জনদের জন্যও ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারবেন।

লেখক : চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক

ওয়াশিংটন ডিসি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


আরও খবর



নির্বাচন সুষ্ঠু করাই এখন লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই এখন লক্ষ্য বকলে জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে হওয়া বৈঠক নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই অধ্যাপক ইউনূসকে, যিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে সংকটপূর্ণ এক মুহূর্তে তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানান। চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকে অনেক কথা বলেছেন বিভিন্নভাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন সবচেয়ে প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। অতীতের ছোটখাটো ভুল-ভ্রান্তি ভুলে গিয়ে আমাদের সামনে তাকাতে হবে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটি যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, এটাই এখন লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আজকে এই দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং সেই হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই বৈঠক নিয়ে গোটা জাতি উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আমি তো আগেই বলেছিলাম, এই বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। সত্যিকার অর্থেই বৈঠকটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে যে ফ্যাসিস্ট কাঠামো গড়ে উঠেছে, সেটিকে ভেঙে নতুন একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার সময় এখন এসেছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর পর গণতন্ত্রে উত্তরণের একটি সুযোগ পাচ্ছি এবং সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তারেক রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (তারেক রহমান) আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরত সব জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫