বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে ইতিবাচক সাড়া
মিলবে এমনটাই আশা করছেন পরিবারের সদস্যরা। এ জন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে
হাসপাতালের খোঁজ করছেন তারা
সূত্রে জানা গেছে, অনুমতি পাওয়া গেলে
যাতে দ্রুত খালেদা জিয়াকে বাইরে নেয়া যায়, সে জন্যই এ
প্রস্তুতি। খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা চার দেশের হাসপাতালে খোঁজ নিচ্ছেন।
এর আগে বিএনপির
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে সরকারের কাছে
চিঠি দিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খান কামালের সাথে সাক্ষাৎ করে এই চিঠি দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
‘বাইরে পাঠানোর জন্য দুই-তিন দিন আগে শামীম ইস্কান্দার সাহেব
এসেছিলেন। ওইদিনই বলে দিয়েছি। তিনি আমার কাছে চিঠি দিয়েছেন। আইনি জটিলতার কারণে
চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। উনি (আইনমন্ত্রী) এখন ব্যাখ্যা দেবেন।
এই বিষয়ে
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে করা
আবেদনটি অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
দীর্ঘ এক মাসের
বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট শারীরিক
অসুস্থতার কারণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর থেকে হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এর আগেও অবশ্য খালেদা জিয়াকে বেশ
কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া লিভার
সিরোসিস, আর্থাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে
জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা
সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া তার মেরুদণ্ড, হাত ও হাঁটুতে বাতের
সমস্যাসহ আরো কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা
জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে প্রায় দুই বছর কারাবন্দি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরও সাত বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০
সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারির শুরুতে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার
সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল সরকার। এরপর থেকে তার
মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।