Logo
শিরোনাম

করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ভারতের ওডিশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ জানা গেছে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল। এ থেকে দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওডিশা রাজ্যের বালেশ্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। ওই মহলের মতে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। যে ঘটনায় ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে ওডিশার বালেশ্বরে জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশন পেরিয়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস। যে লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। মূলত মেইন লাইন ধরে ভুবনেশ্বরের দিকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল করমন্ডল এক্সপ্রেসের। সেই ভুলের কারণেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। যে ভিডিওর ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ উঠে এসেছে, সেই ভিডিওটি ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস হাতে পাওয়ার দাবি করেছে। ওই ভিডিওতে নাকি দেখা গেছে যে, দুটি মেইন লাইন এবং দুটি লুপ লাইন আছে।

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস, তখন সেটি ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল, যা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের সাধারণ গতিবেগ। সেইসময় লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে করমন্ডল এক্সপ্রেস। লুপ লাইন থেকে কয়েকটি বগি ছিটকে মেইন লাইনে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে সেই মেইন লাইন দিয়ে আসে এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি করমন্ডলের ছিটকে যাওয়া কোচে ধাক্কা মারে। লাইনচ্যুত হয়ে যায় ওই ট্রেনেরও কয়েকটি বগি।

তবে চালকের ভুলে নাকি অন্য কারও ভুলে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এখনও কিছু বলতে চাইছেন না ভারতীয় রেলের কর্তারা। ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে প্রযুক্তিগত কারণে নয়, বরং মানুষের ভুলেই সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



এনার্জি ড্রিংকস : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি আড্ডা, পার্টি, পিকনিক কিংবা বাসাবাড়ির যে কোনো অনুষ্ঠানে অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে এনার্জি ড্রিংকস ও সফট ড্রিংকস (কোমল পানীয়)। কেউ কেউ ভাত-মাংস, এমনকি পানির মতো গ্রহণ করেন এগুলো। স্কুলের টিফিনে শিশুদের খাবার কিংবা কোমল পানীয় দিয়ে অতিথিকে আপ্যায়ন যেন মানুষের রীতি বা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড়দের জন্য এগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, অথচ শিশুদের ক্ষেত্রে? এটি নিয়ে কেউ কি চিন্তা করেছেন?

এসব পানীয়ের প্রতি আসক্তির বিষয়টি উঠে আসে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপে (২০২২)। সেখানে দেশের ৩০ হাজার ৩৭৫টি পরিবারের কাছ থেকে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। খাদ্য গ্রহণসংক্রান্ত তথ্য নেওয়া হয় ছয় থেকে ২৩ মাস বয়সী দুই হাজার ৫৭৮টি শিশুর কাছ থেকে। জরিপের ফলে উঠে আসে, ৩২ শতাংশ শিশু তথ্য সংগ্রহের আগের দিন কোমল পানীয় পান করেছেন। ৪৯ শতাংশ শিশু অতিরিক্ত চিনি ও লবণজাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছেন।

গবেষণায় কোমল পানীয়তে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনার্জি ড্রিংকসে এর মাত্রা আরও বেশি। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যাফেইনের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদিত সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১৪৫ পিপিএম হলেও একটি এনার্জি ড্রিংকসে এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে ৩২১.৭ পিপিএম। এ ছাড়া এক বোতল (২৫০ মিলি) কোমল পানীয়তে সিসার মাত্রা মিলেছে যথাক্রমে ০.০৫৩ ও ০.০৪৮ মিলিগ্রাম

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণাতেও কোমল পারীয় ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষণায় কোমল পানীয়তে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনার্জি ড্রিংকসে এর মাত্রা আরও বেশি। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যাফেইনের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদিত সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১৪৫ পিপিএম হলেও একটি এনার্জি ড্রিংকসে এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে ৩২১.৭ পিপিএম। এ ছাড়া এক বোতল (২৫০ মিলি) কোমল পানীয়তে সিসার মাত্রা মিলেছে যথাক্রমে ০.০৫৩ ও ০.০৪৮ মিলিগ্রাম।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, নমুনার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পানীয়ের পিএইচ (পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন) ও অ্যাসিটিক মাত্রা আসে ৩-এর নিচে, যা দাঁতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ২৫০ মিলিলিটারের (মিলি) কোমল পানীয়তে চিনির পরিমাণ ২০.৮ থেকে ২৮.৮ গ্রাম এবং এনার্জি ড্রিংকে তা ২২.৬ থেকে ৩৭.০ গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এটি একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা পূরণের সমান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দিনে সর্বোচ্চ চিনি গ্রহণের মাত্রা ২৫ গ্রাম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইন থাকে যার পরিমাণ হয় ২৫০ মিলিলিটার (মিলি) ক্যানে অন্তত ৮০ মিলিগ্রাম (মিগ্রা)। যেখানে ৩৩০ মিলির একটি কোকাকোলা ক্যানে এর পরিমাণ থাকে ৩২ মিগ্রা। সেখানে ৬০ মিলির একটি এনার্জি ড্রিংকসের বোতলে ১৬০ মিগ্রা পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকতে পারে। বেশি মাত্রার ক্যাফেইন উদ্বেগ ও আতঙ্কিত হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।

এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইন থাকে যার পরিমাণ হয় ২৫০ মিলিলিটার (মিলি) ক্যানে অন্তত ৮০ মিলিগ্রাম (মিগ্রা)। যেখানে ৩৩০ মিলির একটি কোকাকোলা ক্যানে এর পরিমাণ থাকে ৩২ মিগ্রা। সেখানে ৬০ মিলির একটি এনার্জি ড্রিংকসের বোতলে ১৬০ মিগ্রা পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকতে পারে। বেশি মাত্রার ক্যাফেইন উদ্বেগ ও আতঙ্কিত হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন  ধরনের কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকস বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু আছে কার্বনেটেড ওয়াটার, কিছু কার্বনেটেড ড্রিংকস ও সফট ড্রিংকস। এগুলোর ক্ষতির মাত্রাও ভিন্ন। এসব পানীয়তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। চিনির কারণে বাচ্চাদের ওজন দ্রুত বেড়ে যায়।

ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে বাচ্চাসহ বয়স্ক ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়ারেটিকস  দ্রুত বাড়ে। এমনকি কোমল পানীয় বাচ্চাদের মধ্যে এক ধরনের আসক্তিও তৈরি করে। ঠিক তামাকের নিকোটিনের মতো। এ কারণে বাচ্চারা একবার অভ্যস্ত হলে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

কেমিক্যাল-কাঁচামালে নকলের ছড়াছড়ি

ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত যেসব ড্রিংকস বা জুস আছে, সেগুলোতে ফলমূলের ব্যবহার খুবই কম থাকে। ব্যবহার হয় মূলত কেমিক্যাল, সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে চিনি। তাও আসল চিনি নয়। চিনির নামে ফ্রুক্টোজ, যা সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এগুলোতে খুবই উচ্চমাত্রার ক্যালরি থাকে, যা শরীরে মেটাবলিক প্রবলেম (বিপাকীয় সমস্যা) তৈরি করে।

বেশি ক্ষতি শিশু-কিশোরদের

দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ  বলেন, কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসে কোনো পুষ্টিকর উপাদান নেই। বরং দেহের জন্য ক্ষতিকর কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে। বেশকিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, কোমল পানীয় দাঁতের ক্ষয়রোগ সৃষ্টি করে, মাড়ি দুর্বল করে। এমনকি এর প্রভাবে হাড়, পেশি ও লিভারে জটিল রোগ দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় শিশু-কিশোররা।

গবেষকরা বলেন, কোমল পানীয়ের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ক্যাফেইন। এটি অত্যন্ত আসক্তিকর মাদক। এটি শুধু স্নায়ুতন্ত্র নয় দেহকেও কৃত্রিমভাবে উত্তেজিত করে। হৃৎস্পন্দন ও সাময়িক বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়, অবসন্ন ভাব বা ক্লান্তি-শ্রান্তি দূর করে। ছোটরা তাই একবার খেলে আবারও খেতে চায়।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জশনে জুলুস পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

চট্টগ্রামে শাহসূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী'র নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস 

ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন এক শ্রেষ্ঠ ইবাদত ও উম্মতে মোহাম্মদীর নাজাতের উসিলা

মক্কা বিজয় ঘটেছে প্রিয় নবীর (দ.) নেতৃত্বে জশনে জুলুসের মাধ্যমে 

‘ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন এক শ্রেষ্ঠ ইবাদত। এটা উম্মতে মোহাম্মদীর নাজাতের উসিলা হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী।'

তিনি বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে জশনে জুলুস (আনন্দ র‌্যালি) আয়োজনের মধ্য দিয়ে সত্যপন্থীদের জাগরণ ঘটেছে এবং বাতিল অপশক্তির আদর্শিক পতনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে।'

২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদে জুমা চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারী মাদাম বিবির হাট হযরত শাহ্ জাহানী শাহ্ রহ. মাওলানা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। 

সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, ‘মদিনা শরিফ থেকে প্রিয় নবী (দ.) হাজার হাজার হা্জার সাহাবি নিয়ে জুলুসসহ মক্কা শরিফে গমন করেন। মক্কা বিজয় ঘটেছে জশনে জুলুসের মাধ্যমে প্রিয় নবীর (দ.) নেতৃত্বে। আল্লাহ পাক প্রিয় নবীর (দ.) সৃষ্টির পর ফেরেশতাদের মাধ্যমেও জশনে জুলুস পালন করে নবীজীর (দ.) মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে। তাই এটি কখনোই বিদআত বা মন্দ কাজ হতে পারে না।

বিএসপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমানে একশ্রেণির লোক ইসলামের মৌলিক আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। তাদের কারণে শান্তি সমপ্রীতির ধর্ম ইসলামকে নেতিবাচক ধারায় উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ মহানবীর (দ.) সব কর্মের প্রধান উপজীব্য হল মানবতাবোধ, মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ সাধন। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন সাম্য মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ববোধ, বৈষম্যহীনতা ও ন্যায়পরায়ণতার।


তিনি আগামী ১২ রবিউল আউয়াল (২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার) রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার উদ্যোগে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) ও আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশে দলে দলে যোগদান করতে সকল নবী প্রেমিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন, হযরত শাহজাহান শাহ (রহঃ) মাওলানা জামে মসজিদের খতিব শাহজাদা মাওলানা আহমদুল হক মাইজভাণ্ডারী।

এতে সভাপতিত্ব করেন, ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন জশনে জুলুস পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলম ।

এ ছাড়াও এলাকার অন্যান্য নেতৃস্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক সহ হাজারো নবী প্রেমিক জনতা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবীন বরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মো.হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

 টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)  এর  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের নবীনবরন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সন্ধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসআরএম বিভাগের গ্যালারী রুমে  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের (চিত্রক-১৬) শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। 

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের  চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জয় কৃষ্ণ সাহা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রকৌশলী এ.কে.এম আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ উপস্থিত ছিলেন। 

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  সহযোগী  অধ্যাপক  প্রকৌশলী এ.কে.এম আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ বলেন,  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার যেমন দরকার আছে, ঠিক তেমনিই জীবনে মানুষের মত মানুষ ও রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ এর অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে । কারণ প্রথাগত বইয়ের সাথে তোমার ভালো সম্পর্ক হতেই পারে, কিন্তু বইয়ের বাহিরেও একটা বিশাল জগৎ আছে। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এর মাধ্যমে সুন্দর করে গুছিয়ে  কথা বলা, সৃজনশীল চিন্তাশক্তি বিকশিত করা, বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপনা করা ইত্যাদি গুন গুলো তোমার মধ্যে সঞ্চারিত হবে। তুমি একজন ভালো ছাত্র হতেই পার, কিন্তু তুমি একজন ভালো এডমিনিস্ট্রেটর নাও হতে পারো এবং তুমি একজন ভালো ছাত্র হতে পারো আবার একজন  ভালো শিক্ষক নাও হতে পারো। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সব সময় সবদিক দিয়েই সেরা। তাই এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস বাস্তব জীবনে সাফল্য অর্জন করতে সহায়তা করবে। 

সর্বশেষে তিনি সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন ও সফল করার জন্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


আরও খবর



সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি নির্বাচন চায় না, উল্লেখ করে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে নিউইয়র্ক মেট্রাপলিটন আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।

এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, বিএনপি কী আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে? প্রধানমন্ত্রী এখন জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পলাতক আসামি, অর্থ চোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী (তাদের নেতা) এই যদি একটি দলের নেতা হয়-তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে?

তিনি বলেন, তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।

নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ইনশাআল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে- তারা নৌকায় (আ.লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, নৌকায় (দেশের জনগণ) ভোট দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তাদের বুঝতে হবে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না, এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।

প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সবসময় উজ্জ্বল হয়-তা আপনাদের সকলকে সর্বদা মনে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ যখন বিশ্বনেতারা (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।

নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার করলে তাদের মুখ উন্মোচিত করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।এই চোরচক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ভারত ফাইনালে, বাংলাদেশের বিদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ইয়াশফি রহমান : দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের লক্ষ্যটা হাতের কাছে রাখায় দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন দুনিথ ভেল্লালাগে। এরপর ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে লড়াই করেন বুক চিতিয়ে। কিন্তু সঙ্গীদের ব্যর্থতায় বৃথা যায় তার প্রতিরোধ। তাতে ভারতের কাছে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকদের এই হারে জটিল এক সমীকরণে টিকে থাকা বাংলাদেশের শেষ আশারও সমাপ্তি ঘটে। গতকাল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালের টিকেট কেটেছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ৫১ বল বাকি থাকতেই ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।

এই হারের পরও পাকিস্তানের চেয়ে রান রেটে এগিয়ে স্বাগতিকরা। তাতে এখনও টিকে আছে তাদের ফাইনালের স্বপ্ন। সেই হিসেব মেলাতে গেলে আগামীকাল পাকিস্তানকে হারাতে হবে লঙ্কানদের। যদি বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্তও তবুও নেট রান রেটের হিসেবে ১৭ অক্টোবর শিরোপা লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গী হবে দ্বীপ দেশটি। আর তাতে ১৫ অক্টোবর সুপার ফোরে ভারতের ম্যাচটি সাকিব আল হাসানদের জন্য হয়ে উঠল কেবলই নিয়মরক্ষার। সেই হিসেবে আগামীকাল পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি তৈরি হলো অলিখিত সেমি-ফাইনালে। সেই ম্যাচের জয়ী দল আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনালে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারতের বিপক্ষে।

এদিন লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাই ভালো করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। জাসপ্রিত বুমরাহর তোপে দলীয় ২৫ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে পাথুম নিসাঙ্কাকে লোকেশ রাহুলের ক্যাচে পরিণত করার পর হাওয়ায় কুশল মেন্ডিসকে অতিরিক্ত ফিল্ডার সুরিয়াকুমার যাদবের ক্যাচে পরিণত করেন বুমরাহ। ১৮ বলে ২ রান করার এ ব্যাটারের হঠাৎই ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে ধরা পড়েন সিপে।

চাপে পড়া দলের হাল সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে ধরেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। চতুর্থ উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। সামারাবিক্রমাকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন আগের দিন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেওয়া কুলদিপ যাদব। এরপর আসালাঙ্কাকেও ফেরান এই স্পিনার। উইকেটের পেছনে অবশ্য দারুণ ক্যাচ ধরেন রাহুল। দলীয় ৯৯ রানে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে তাকে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। সিপে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফলে বড় চাপে পড়ে যায় দলটি। তবে সপ্তম উইকেটে ভেল্লালাগেকে নিয়ে লঙ্কানদের ফের স্বপ্ন দেখান ধনাঞ্জয়া। ৬৩ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ ধৈর্য হারান ধনাঞ্জয়া। মিডঅন উপর দিয়ে হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন সুরিয়াকুমারের হাতে। কার্যত তখন হার দেখতে থাকে লঙ্কানরা। এরপর মহেশ থিকসানাকে হার্দিক পান্ডিয়া আউট করার পর লেজের দুই উইকেট ছাঁটাই করেন কুলদিপ। ফলে দারুণ এক জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ভেল্লালাগে। ৪৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ৬৬ বলে ৫টি চারে ৪১ রান করেন ধনাঞ্জয়া। ভারতের পক্ষে ৪৩ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন কুলদিপ।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করে ভারত। ৬৭ বলের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮০ রান। এরপর শুরু হয় ওয়েলালাগের স্পিন ভেলকি। দ্বাদশ ওভারে বল করতে এসে নিজের প্রথম বলেই শুবমান গিলকে বোল্ড করেন। টার্নে পরাস্ত হন তিনি। ভারতের স্কোরবোর্ডে আর ১১ রান যোগ হতে ওয়েলালাগে সাজঘরে পাঠান বিরাট কোহলি আর রোহিতকেও। পিচে পড়ে কিছুটা থেমে আসা বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। নিচু হওয়া ডেলিভারিতে স্টাম্প হারানোর আগে রোহিত ওয়ানডেতে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ভারতের ষষ্ঠ ও সব মিলিয়ে ১৫তম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

৯১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন ইশান কিশান ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল। ৮৯ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন দুজনে। এই জুটিও ভেঙে শ্রীলঙ্কাকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু দেন ভেল্লালাগে। এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ভারত। কোহলিকে কুপোকাত করার মতো প্রায় একই বলে রাহুলকে ফিরতি ক্যাচ বানান ওয়েলালাগে। আরেক থিতু ব্যাটার ইশানের আউটেও ভূমিকা রাখেন তিনি। আসালাঙ্কার বলে শর্ট মিডউইকেটে নেন দুর্দান্ত ক্যাচ। এরপর বিপজ্জনক হার্দিক পান্ডিয়াকে রিভিউ নিয়ে দ্রুত ফেরায় লঙ্কানরা। এই উইকেটের মাধ্যমে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো ফাইফারের স্বাদ নেন ওয়েলালাগে।

পরের গল্পটা আসালাঙ্কার। রবীন্দ্র জাদেজার পর টানা দুই বলে তিনি শিকার করেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদবের উইকেট। আর আক্সার প্যাটেলকে ঝুলিতে ঢুকিয়ে ভারতকে গুটিয়ে দেন থিকশানা।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন অধিনায়ক রোহিত। ৪৮ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। ইশান ৬১ বলে ৩৩ রান করেন একটি করে চার ও ছক্কায়। রাহুলের ব্যাট থেকে ২ চারের সাহায্যে আসে ৪৪ বলে ৩৯ রান। শেষদিকে আক্সার ৩৬ বলে একটি ছক্কায় করেন ২৬ রান। তার কারণে ভারতের সংগ্রহ ছাড়িয়ে যায় দুইশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১০ ওভারে একটি মেডেনসহ ৪০ রানে ৫ উইকেট নেন ২০ বছর বয়সী ওয়েলালাগে। আসালাঙ্কা ১৮ রানের বিনিময়ে পান ৪ উইকেট। অপর উইকেটটি পান মাহিশ থিকশানা। ফলে ভারতের ১০ উইকেটের সবকটিই নেন লঙ্কান স্পিনাররা। ওয়ানডে এবারই প্রথম কোনো ম্যাচে স্পিনারদের কাছে ১০ উইকেট হারাল ভারত। সবমিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এমনটা ঘটল ১০ বার।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩