Logo
শিরোনাম

করোনার চতুর্থ ডোজ নেয়ার তাগিদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

যারা টিকা নেয়নি, তারাই করোনার নতুন ধরণ বিএফ সেভেনের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাই দ্রুত চতুর্থ ডোজ গ্রহনের তাগিদ দিয়েছে অধিদপ্তর।

রবিবার, সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে আলোচনা শেষে অনলাইন মিটিং-এ এসব জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলছেন, ষাটোর্ধ, সম্মুখ শ্রেণির পেশাতে থাকা মানুষ ও নানা জটিল রোগে ভুগছেন, এমন শ্রেণির মানুষদের প্রথম ধাপে করোনার টিকার চতূর্থ ডোজ নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একইসাথে বিমান বন্দর থেকে সকল পোর্টে সন্দেহভাজনদের রেপিড এন্টিজেন টেস্ট করতে বলা হয়েছে। 


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




আগুনে পুড়লো লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর ডেমরার ধার্মিকপাড়ায় একটি গ্যারেজে আগুন লেগে লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস পুড়ে গেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানীর ডেমরায় গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসের আগুন

ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নিসোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলছেন, এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্তের পর জানা যাবে


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




কেমন থাকবে ঈদের দিনের তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

একমাস সিয়াম সাধনা শেষে আগামীকাল বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। তীব্র গরমের মধ্যে রোজা শেষে ঈদের দিনের আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে আগ্রহ সবার।

বুধবার (১০ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. শামীম হাসান ভূইয়াঁ ঈদের দিনের আবহাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

আবহাওয়াবিদ ড. শামীম হাসান ভূইয়াঁ বলেন, ঈদের দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো থাকবে। শুষ্ক আবহাওয়ায় এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও তীব্র গরমের শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, ঈদের দিন সন্ধ্যার আগে অথবা পরে কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর ও সিলেটের কিছু জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আগামীকালের পর থেকে আবারও তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।

ড. শামীম আরো বলেন, গতকালের রেকর্ড অনুযায়ী ৭ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল অর্থাৎ ঈদের দিনও এই সাত জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




সচেতন ছাত্র সমাজ কর্তৃক বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৪ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন:

সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলায়  বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল, মাদ্রাসা,  সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান ও   গণিত অলিম্পিয়াডের আমেজ ছড়াতে “ সচেতন ছাত্র সমাজ (সিএসএস)” এর উদ্যোগে  বিজ্ঞান ও গণিত উৎসব- ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল ) সম্ভূদিয়া বহুমুখী  উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উক্ত বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াড  উৎসব- ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে  ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণী জুনিয়র, নবম-দশম শ্রেণী   মোট ২ টি ক্যাটাগরিতে সিএসএস কর্তৃক নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয় । এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ৫ এপ্রিল ।

সম্ভূদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাসরুমে সকাল ১০.৩০ টা থেকে বেলা ১১.৩০ টা  পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে এই বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা।

পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল ৯ টার সময়  মাঠে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন।

বিজ্ঞান ও গণিত  অলিম্পিয়াড উৎসব জুনিয়র  ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ৫০ জন ও সিনিয়র  ক্যাটাগরিতে বিজয়ী  ৫০ জন । 

অনুষ্ঠান শেষে CSS কর্তৃক বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াড উৎসব প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে বিজয়ীদেরকে পুরষ্কার হিসেবে বই, টি শার্ট ক্রেস্ট, মেডেল এবং সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার  বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল  বিশেষ অতিথি,  সন্মানিত  অতিথিবৃন্দ আর সিএসএস সদস্যবৃন্দ ও অভিভাবকবৃন্দ।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা BDTODAYS নিউজকে বলেন, “সচেতন ছাত্র সমাজ ” এর উদ্যোগে আয়োজিত “বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াড” আয়োজনটি খুব সুন্দর ভাবে নিয়েছেন এবং বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা  থেকে আগত শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতাসহ সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।


আরও খবর



ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। এবার সপ্তাহ জুড়ে অনলাইনে যারা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পেরেছেন তারাই আজ যাত্রা করছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ গত ২৪ মার্চ যেসব যাত্রী বুধবারের (৩ এপ্রিল) অগ্রিম টিকিট কেটেছেন কেবলমাত্র তারাই আজ কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় করছেন।

এদিন সকাল থেকেই শুরু হওয়া বিশেষ ট্রেন যাত্রায় ইতোমধ্যেই ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। তবে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে শুরুতেই৷ নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি কোনো ট্রেন।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রথমে ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৬টায়। দ্বিতীয় ট্রেন হিসেবে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু পর্যটক এক্সপ্রেস ৫ মিনিট বিলম্ব নিয়ে ৬ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে গেলেও সাড়ে ৬টারও পর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা ছেড়েছে। তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসও (৭০৯) ৪ মিনিট বিলম্ব নিয়ে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ঢাকা ছেড়ে গেছে।

সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদ যাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরের দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। টিকেট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না।

যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তার পাশেই বানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র‌্যাব- ৩ এর এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

আর প্ল্যাটফর্মের ভেতরে প্রবেশ করতে হলেও আবার দেখাতে হচ্ছে টিকিট। সেসব টিকিট স্ক্যান করে তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই ভেতরের দিকে তারা প্রবেশ করতে পারছেন।

স্টেশনে আসা যাত্রীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। তবে সিডিউল অনুযায়ী যথাসময়ে ট্রেন ছেড়ে গেলে ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

আব্দুল লতিফ নামের এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটার ফলে এখানে এসে বাড়তি সময় নষ্ট করতে হয়নি। খুব সহজেই টিকিট পেয়েছি। এখন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। সিডিউল অনুযায়ী ট্রেন ছেড়ে গেলেই হলো। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। এ বিষয়টিই আনন্দের।

উম্মে সালমা নামের আরেক যাত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তেমন ভিড় কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক আছে। কোনো ট্রেনে খুব বেশি বিলম্ব হয়নি। আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি যাত্রীদের জন্য একটি সুন্দর ঈদযাত্রা আমরা উপহার দিতে পারবো।

প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন যাত্রার ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৬ মার্চ।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট ৩০ মার্চ বিক্রি করা হয়েছে।

এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। বিভিন্ন সময় ভোক্তা অধিদপ্তর নানা উদ্যোগ নিলেও তেমন কোনো কাজে আসছে না।

রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের নিজেদের মতো বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এতে করে সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে কিছু কিনতে গিয়েও থমকে দাঁড়ান মধ্যবিত্তরা।

তাছাড়া গত বছর রোজায় সাধারণ ক্রেতা যে দামে পণ্য কিনেছে। চালতি বছরের রমজানে তা বেড়েছে অনেক। ফলে খরচও বেড়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিটি জিনিসের দাম দফায় দফায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাড়ছে।

বাড়তি খরচের কথা চিন্তা করে সকল ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, রমজান আসলে আমাদের দেশে সকল জিনিসের দাম বেড়ে যায়। জিনিসের দাম বাড়লেও কারো আয় বাড়েনি। ফলে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্থির হয়ে আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ যখন কাজে আসছে না। কারণ অতি মুনাফাখোর জোট বেঁধে সিন্ডিকেট করেছে। প্রতিটা পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত কোন না কোনোভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে স্বস্তির দেখা যাচ্ছে না ক্রেতারা।

রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর কঠালবাগান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজাকে সামনে রেখে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়লেও মান বাড়েনি। আমি গত সপ্তাহে যে-সকল দামে মালামাল কিনেছি আজ তা অনেকটাই বেড়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে কথাটি ঠিক নয়। তবে আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর দামই বাড়তি অবস্থায় রয়েছে। এতে করে ক্রেতা কমেছে আগের তুলনায় অনেক। আবার অনেকে দাম বেশির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম জিনিস কিনেছে।

একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী মাহদীউজ্জামান কাঠাবাগান কাঁচাবাজারে আসেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত কিছু দিন আগে যে দাম ছিল আজ তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। প্রতিদিনই কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে।

আরিফ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, রমজানে অন্য মাসের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। কিন্তু প্রতিটি পণ্যের দামের বৃদ্ধির ফলে তা সম্ভব হবে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম রাড়ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০  থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫০০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

মাছ বাজারে দেখা যায়, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন  বলেন, ব্যবসায়ীরা রমজান মাসকে সুযোগ হিসাবে নিয়েছে। তাদের এক মাস ব্যবসা করে সারা বছরের লাভ করতে চায়। ব্যবসায়ীরা গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দাম বাড়ার পেছনে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কথা বলছে। অথচ এসবই হচ্ছে ভিত্তিহীন অজুহাত। তারা অতি মুনাফা লাভের মনোভাব থেকেই দাম বৃদ্ধি করছে।

কিছুদিন আগে এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন লাগার পরপরই চিনির দামটি বেড়ে গেছে। সেখানে যে চিনি নষ্ট হয়েছে তার রিফাইন যোগ্য চিনি ছিল না। কিন্তু তারপরেও দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা যখন অজুহাত পায় তখনই দাম বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

ক্যাবের সহ-সভাপতি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে সাথে দেশের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। অথচ অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে দাম বৃদ্ধির কোন নিয়ম নেই। ব্যবসার নিয়ম হচ্ছে পণ্য যদি বেশি দামি কেনা হয়, তাহলে বেশি দামে বিক্রি করবে। আর যদি কম দামে কেনা হয়, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে হবে। এসবের পেছনে ব্যবসায়ীরা মূল দায়ী। আমাদের দেশীয় পণ্যের সাথে ডলারের কোন সম্পর্ক নেই। অথচ এই সকল জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এরজন্য ব্যবসায়ীর সাথে সাথে যারা তদারকি করছেন তাদের গাফিলতি রয়েছে। সঠিক আইনের প্রয়োগ করলে তখনই এই অনিয়ম বন্ধ হওয়া সম্ভব। বিভিন্ন সময় অভিযান হলে সব জায়গায় হচ্ছে না। ফলে এর প্রভাব তেমন একটা নেই। মন্ত্রিপরিষদের বিরাট একটি অংশ ব্যবসায়ী শ্রেণি হওয়ার কারণে এসব দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বা দাম বাড়ার পরও কমছে না বলে মন্তব্য করেন ক্যাবের এই সহ-সভাপতি।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪