Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

করোনার জরুরি অবস্থা তুলে নিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করেছে জাতিসঙ্ঘের অন্যতম অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মহামারী শেষ হওয়ার জন্য এটিকে একটি বড় পদক্ষেপ বলছে সংস্থাটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা মহামারীর কারণে ৬ দশমিক ৯ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্ব অর্থনীতিকে ব্যাহত করেছে এটি। তবে এখন আর স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার প্রয়োজন নেই।

গেব্রিয়েসুস বলেছেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) জরুরি কমিটি ১৫ বারের মতো বৈঠকে বসেছে এবং বিশ্বে জারি থাকা জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার জন্য আমার কাছে সুপারিশ করেছে। আমি সেই পরামর্শ মেনে নিয়েছি। অতঃপর আমি কোভিড-১৯ এ বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করেছি।

ডব্লিউএইচও জরুরি অবস্থা তুলে নেয়াকে এই মহামারী মোকাবেলায় বিশ্বের অগ্রগতির লক্ষণ বলে বর্ণনা করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, করোনা মহামারীতে ৬৯ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন আর স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তা আস্তে আস্তে বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার এক মাসের মাথায় (৩০ জানুয়ারি) একে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি তথা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেsয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 


আরও খবর



রাজধানীজুড়ে রেস্তোরাঁগুলো নজর রাখছে ডিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও নজর রাখছে। যেসব রেস্তোরাঁ অগ্নিঝুঁকি রয়েছে এবং নিরাপত্তা নেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বেইলি রোডের ঘটনা উল্লেখ করে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে নিহতের তালিকায় আমাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হন। এই এক আগুনে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। যার সন্তান মারা যায় সেই শোক বোঝেন।

তিনি আরো বলেন, মানুষ মারা যাওয়ার পর শোক করি, কান্না করি, জ্ঞান দেই। আসলে আমাদের প্রতিটি সংস্থার যে দায়িত্ব আছে, সেগুলো যদি আমরা পালন করতাম, তাহলে এমন ঘটনা হয়তো ঘটতো না। তাই এখন আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁগুলো খোঁজ নিচ্ছি।

যেসব রেস্তোরাঁয় অনিয়ম রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে উল্লেখ করে ডিবিপ্রধান বলেন, ঢাকা শহরে এমন কোনো রেস্তোরাঁ আছে কি না যেগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা মানা হচ্ছে না, দ্রুত বের হওয়ার রাস্তা আছে কি না, বাতাস চলাচলের রাস্তা আছে কি না আমরা সবকিছুর খোঁজ নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং পুলিশের আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

হারুন অর রশীদ আরো বলেন, এমন দুর্ঘটনার পেছনে গাফিলতি থাকেই। ঘটনা ঘটার পর আমরা গাফিলতি খুঁজি। নিয়ম-কানুন না মেনে যত্রতত্রভাবে ভবন বানানো হচ্ছে। এসব ভবনের খোঁজ-খবর যদি আগে থেকে নিয়ে রাখা হতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। বঙ্গবাজার, নিমতলী, বনানীর এফআর টাওয়ারে মতো এমন ঘটনা বারবার ঘটতো না।

 


আরও খবর



দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :  অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন। এর মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৫৪ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে ।

সম্প্রতি প্রকাশিত ফায়ার সার্ভিসের একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

এদিকে চট্টগ্রামের বিএম ডিপো কিংবা বনানীর এফআর টাওয়ার, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ও নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এখনও সবার মনে দাগ কাটে। এসব ঘটনায় হতাহতের পরিবারগুলো এখনও লাল আগুনের নীল কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিবছরই ঢাকাসহ সারা দেশে এমন অগ্নিকাণ্ডে হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরও কার্যকর উদ্যোগ নেন না সংশ্লিষ্টরা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও টনক নড়ে না তাদের। বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কেউ মাথাও ঘামান না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ৫ হাজার ৮৬৯টি ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। এতে ২ হাজার ২২৩টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৬৭১টি এবং ১ হাজার ৬০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। একই সঙ্গে অগ্নিনিরাপত্তায় ৩ হাজার ৯৬টি ভবনে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। চট্টগ্রামে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে ৫৪ দশমিক ২৯ শতাংশ ভবনে। এ ছাড়া বরিশালে ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, খুলনায় ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রংপুরে ২৪ শতাংশ, সিলেটে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি ১ হাজার ১৬২টি ভবন পরিদর্শন করে ৬৩৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। যার মধ্যে ১৩৬টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৯৯টি ঝুঁকিপূর্ণ। আর ৫২৭টি ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা সন্তোষজনক।

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১ হাজার ৬৭৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৯১০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। এ এলাকায় অতিঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৪৬৩টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শন করা ভবনগুলোর তথ্যানুযায়ী, বরিশালে ৬৯২টি ভবন পরিদর্শন করে ২০৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খুলনায় ৪১০টি ভবন পরিদর্শন করে ১৭০টি, রাজশাহীতে ৯৩৫টি ভবন পরিদর্শন করে ১৪০টি, রংপুরে ৫১২টি ভবন পরিদর্শন করে ১২৩টি, সিলেটে ১৭২টি ভবন পরিদর্শন করে ৩৪টি এবং ময়মনসিংহে ৩০৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৬টি ভবন অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিদর্শনের সময় ভবনের মাটির নিচের জলাধারের ধারণক্ষমতা, অবস্থানকারীর সংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, ধোঁয়া ও তাপ শনাক্তকরণ যন্ত্রের উপস্থিতি, মেঝের আয়তন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, লিফট ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভবনগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এর আগে ঢাকায় বড় কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ২০১৭ সালে ভবনগুলোর ওপর বিশেষ জরিপ চালায় ফায়ার সার্ভিস। হাসপাতাল, মার্কেট, আবাসিক হোটেল ও উঁচু ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায় ঢাকার অধিকাংশ ভবনই অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ওই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার ৯৬ শতাংশ বিপণিবিতান, ৯৮ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৯৮ শতাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিক অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কর্তৃপক্ষ কেউই আমলে নেয় না। ফায়ার সার্ভিসের কাছে আইনি ক্ষমতা না থাকায় কোনো ধরনের ব্যবস্থাও নিতে পারে না তারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপরেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে মালিকদের চিঠি দেই। আমাদের কাজ সমস্যা চিহ্নিত করা, মানুষকে সচেতন করা।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বল প্রয়োগ করা আমাদের কাজ নয়। যারা মানছে না আমরা তাদেরও চিহ্নিত করি। আইন প্রয়োগ করার জন্য অন্য সংস্থা রয়েছে।

জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তার সঙ্গে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত। এসব সেবা-সংস্থার মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের ঘাটতি আছে। যথাযথ সমন্বয় ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় অনেকেই অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন। তবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের কঠোর হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সংস্থাগুলোর মধ্যেও অনেক সময় ভীতি কাজ করে। কেননা বহুতল ভবনগুলোর মালিক সবাই প্রভাবশালী। কখন কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে কী হয়ে যায়, তাদের ভেতর এমন এক ধরনের চাপ কাজ করে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘সরকারি ভবনের চেয়ে ব্যাক্তিমালিকানাধীন ভবনে অগ্নি ঝুঁকি বেশি। সরকারি ভবনগুলোতে অনেকাংশেই অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা থাকে। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবন মালিকদের নিজ থেকে উদ্যোগী হতে হবে। তারা নিজেরা ভবনের অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা নিশ্চিত না করলে ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সংস্থাগুলোকে জননিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসেরর অবশ্যই করণীয় আছে। ভবন নির্মাণের আগে তারা সার্টিফিকেট দেয়। অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা যথাযথভাবে অনুসরণ করা না হলে ভবনের অনুমোদন হওয়ার কথা না। যারা ফায়ার সেফটি ছাড়া ভবন নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্যদিকে গত বছরের ৪ জুন চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ৫১ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যান। একই বছর ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৭০ জন আহত হন। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন মানুষ প্রাণ হারান।

ফায়ার সার্ভিসের ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২২ সালে সারা দেশে ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন ১৩ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৯ টাকা। আর উদ্ধার করা মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ টাকা। এ ছাড়া ৯ হাজার ৫১৭টি অগ্নিকাণ্ডের অপারেশনে যাওয়ার আগে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন ও নারী ১৩ জন। অগ্নিনির্বাপণে গিয়ে দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হয়েছেন ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন।

প্রতিবেদন আরও বলা হয়, নদীপথসহ পুকুর ও ডোবায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিসে কল আসে ১ হাজার ৫৫৬টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৩৮ জন। আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যাদের সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ৫১৪টি দুর্ঘটনার কবল থেকে ৫৩০টি পশুপাখি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১১ হাজার ৯১১টি অন্যান্য দুর্ঘটনায় আহত হন ১৩ হাজার ১৬৮ জন। আর নিহত ২ হাজার ৫২২ জন। এসব দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন কর্মীও আহত হয়েছেন।

সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এ ছাড়া বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ, চুলা থেকে ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ অজ্ঞাত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ।


আরও খবর



নেত্রকোনায় জেলা পর্যায়ে কৃষক সমন্বয় সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা :

আজ ১৪ মার্চ ২০২৪ ইং, বেলা ১০.৩০ মিনিট এ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পিগোষ্ঠী নেত্রকোনা কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ে কৃষক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা বারসিক এর আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত উপ—পরিচালক জনাব সাধন কুমার গুহ মজুমদার। নেত্রকোনা জেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি’র সভাপতি জনাব সায়েদ আহমদ খান বাচ্চু’র সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন বারসিক’র কর্মসূচি কর্মকর্তা রনি খান। সভায় নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩০ টি কৃষক সংগঠণের যুব কৃষক, প্রবীণ কৃষক, কৃষাণী, হাওরের কৃষক, আদিবাসী কৃষক, সমতলের কৃষক, কৃষক নেতা, জেলে সংগঠনের নেতা, রাজনৈতিক নেতা, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক ও যুব সংগঠকসহ মোট ৩৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বারসিক নেত্রকোনা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়ক মো: অহিদুর রহমান। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পিগোষ্ঠী নেত্রকোনা জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক জনাব অসিত কুমার ঘোষ, বারসিক’র সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়ক শংকর ¤্রং, মোহনগঞ্জ উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি জনাব সজীব দাস, আটপাড়া উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি’র সমন্বয়ক যোগেশ বর্মণ, মদন উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম পুতুল, কলমাকান্দা উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি ও বহুত্ববাদী সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক কুমকুম নকরেক প্রমুখ। 


সভায় হাওর থেকে পাহাড় বিস্তৃত এ জনপদের কৃষির সাফল্য, সংকট, সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। বর্তমান সরকারের নানা সময়োপযোগী উদ্যোগের কথা তাঁর বক্তব্যে ব্যক্ত করেন প্রধান অতিথি। তিনি বলেন ‘এ সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষিকে যুগোপযোগী করতে নানা ধরণের প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। তবুও আপনারা যারা মাঠে কাজ করেন তারাই কৃষির প্রাণ। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলেই একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।’ সভায় কৃষকদের আলোচনার প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত দাবীগুলো তুলে ধরা হয়। 

১। সীমান্ত অঞ্চলে যেখানে পাহাড়ি বালুতে জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেখানে সরকারি উদ্যোগে বালু সহনশীল ফসল চাষ করতে পারি কি না চেষ্টা করে দেখতে হবে। 

২। টপ সয়েল বিক্রি করা বন্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। 

৩। বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভূমি রূপ অনুযায়ী ধান গবেষণা করতে হবে। 

৪। কৃষি উৎপাদন ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে। উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম কমাতে হবে। 

৫। কৃষিজমি সুরক্ষা আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

৬। হওরের মাছে কৃত্রিম খাদ্য, রোটানলসহ সকল ধরণের কীটনাশক, ভিটামিন ইত্যাদি প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। 

৭। নিরাপদ কৃষি বিপনণ কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। 

৮। নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। 


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে দুই মাদকসেবির দুই মাসের কারাদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুই মাদকসেবির দুই মাসের কারাদন্ড ও ১০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মোবাইল কোর্ট। দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন পূর্ব সরালিয়া গ্রামের মজনু পাহলানের ছেলে আজাদ পাহলান (৪০) ও দক্ষিণ ভাইজোড়া গ্রামের মহারাজ শেখের ছেলে জিহাদ শেখ (২৫)। 

মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম তারেক সুলতান এ দণ্ডাদেশ দিয়ে দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করেন। 

এর আগে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মিলন ব্যানার্জীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে ইয়াবা সেবনরত অবস্থায় আজাদ ও জিহাদকে আটক করে। তাদের নিকট থেকে ৭ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে দলটি। 


আরও খবর



পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত বাংলাদেশকে ৩৮ টাকা দরে পেঁয়াজ দিচ্ছে এমন খবরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে দাম কমেছে ৫০ টাকা। এর ৩ মাস আগে ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে পেঁয়াজের দাম এক রাতেই কেজিতে বেড়েছিল ৬৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. আশরাফ জানান, বাজারে দুই ধরনের পেঁয়াজ আছে এখন। এরমধ্যে একটি হচ্ছে পাবনার এবং অন্যটি হচ্ছে ফরিদপুরের। আজকের বাজারে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি পাল্লার (৫ কেজি) দাম ২৮০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ২৬০ টাকা। গত সপ্তাহের মঙ্গলবারে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৪০০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী জলিল বলেন, গতকাল থেকেই পেঁয়াজের দাম কমেছে। আগে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৭২ থেকে ৮০ টাকা। এখন পেঁয়াজের দাম ৫২ থেকে ৫৬ টাকা। দাম কেনা বাড়লো বা কমলো, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। আমরা কিনে এনে এখানে মাত্র ২/৩ টাকা লাভে বিক্রি করি।

ভারতের পেঁয়াজ দেশে আসলে দাম আরো কমবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের পেঁয়াজ আসবে কী না তারই তো কোনো ঠিক নেই। আসলেও দাম এমনই থাকবে।

এদিকে মগবাজারের চারুলতা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, যে পেঁয়াজের দাম একদিন আগেও ১১০ টাকা ছিল, সেটি কমে হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়।

কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ বলেন, গতকাল বিকাল থেকে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এখন পাবনার পেঁয়াজ ১১০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫০ টাকা। দাম বাড়া-কমার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো কারিশমা নেই। আমরা যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি।

ওই দোকানের ক্রেতা মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২ দিন আগে এই দোকান থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ১১০ টাকা দিয়ে। আজও এক কেজিই নিতে এসেছিলাম। কিন্তু এক কেজির দামে আজ ২ কেজি কিনতে পারলাম। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়। কী এমন হলো যে দাম অর্ধেকে নেমে এলো। তারা কিন্তু সীমিত লাভ করলে সারা বছরই মানুষ একটা লেভেলে বাজার করতে পারে। কিন্তু সেটি তারা করে না। কোনও মাসে একই বাজার হয় ১০ হাজার টাকা আবার কোনও মাসে ওই একই বাজার হয় ১৫-১৬ হাজার টাকায়।

গতকাল বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল), এমন খবর প্রকাশ পায়। খবরে বলা হয়, প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ডিসেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর বিশেষ বিবেচনায় ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪