Logo
শিরোনাম

ক্ষমা আর ধৈর্য্য ধারণ প্রতিশোধের নয় - অমিত

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image
 আনোয়ার হোসেন - নিজস্ব প্রতিনিধি::


যশোরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন, আজ সময় প্রতিশোধের নয়, ক্ষমায়। বিগত ১৭ বছর ধরে আমরা যেভাবে ক্ষমা করে  দিয়েছি। বাকি জীবনও একইভাবে সংযম ও ধৈর্য্য ধারণ করবো।

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ তার অতীতের কৃত কর্মের ফল ভোগ করছে। তারা ঘৃণিত সংগঠনে পরিণত হয়েছে। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর তাকে তো এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়নি। শেখ হাসিনার অপকর্ম এতটাই ভারি হয়েছিল যে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।

সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক আব্দার হোসেন খান, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ রাসেল, রূপদিয়া সার্বজনীন কালি মন্দির কমিটির সহ সভাপতি সৌম্য পদ দে, উপদেষ্টা সন্তোষ কুমার দে, নরেন্দ্রপুর ইউপি সদস্য সুবর্ণ কুমার দাশ, নরেন্দ্রপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মোহন লাল দাশ প্রমুখ। কোরআন তেলোয়াত ও গীতি পাঠের মাধ্যমে সম্প্রীতি সমাবেশ শুরু হয়।

যশোরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, আজ সময় প্রতিশোধের নয়, ধৈর্য্য ধারণ ক্ষমার। বিগত ১৭ বছর ধরে আমরা যেভাবে  যশোরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, আজ সময় প্রতিশোধের নয়, ক্ষমার। বিগত ১৭ বছর ধরে আমরা যেভাবে সর্বোচ্চ সংযম ও ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছি। বাকি জীবনও একইভাবে সংযম ও ধৈর্য্য ধারণ করবো। দিয়েছি। বাকি জীবনও একইভাবে সংযম ও ধৈর্য্য ধারণ করবো।

শনিবার সদর উপজেলা নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রূপদিয়া সার্বজনীন কালি মন্দির কমিটির সভাপতি শংকর কুমার রাহা। তিনি আরো বলেন, আপনার (সনাতন ধর্মাবলম্বীরা) আমার পরিচয় আমরা এই দেশের নাগরিক। আপনারা কেউ দুর্বল নন। আপনাদের পাশে আমার বিএনপির নেতাকর্মীরা ছায়া হয়ে থাকবো। যাতে করে কোন দুষ্কৃতিকারী, চক্রান্তকারী কিংবা আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী আপনাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে না পারে। রূপদিয়া বণিক সমিতি ও ইটা ভাটা মালিক সমিতিকে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এখানে একজন (নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন) বিতর্কিত চেয়ারম্যান ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।

যাকে প্রতিনিয়ত সনাতন ধর্মী ভাই এবং ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিতে হয়েছে। আগামীতে কাউকে চাঁদা দিতে হবে না। আমার কোন দলের নেতাকর্মীর অনাচারে লিপ্ত হওয়ার সাহস নেই। তারপরও কেউ যদি কোনভাবে লিপ্ত হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কেবল সাংগঠনিক ব্যবস্থা , তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে। আমরা সরকারের কোন পর্যায়ে না থেকেও আমার নেতাকর্মীরা আপনাদের যে ভাবে সুরক্ষা দিচ্ছেন, আগামীতেও সেটি অব্যাহত রাখবেন।

আরও খবর



৬ মার্চ, যশোর হত্যাকাণ্ড দিবসে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করবে উদীচী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

আগামীকাল ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার যশোর হত্যাকাণ্ড দিবস। ১৯৯৯ সালের এই দিনে, যশোর টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলন এর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। হাজার হাজার মানুষ আনন্দঘন পরিবেশে যখন উপভোগ করছিল বাউল শিল্পীদের পরিবেশিত গান, তখন হঠাৎ রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে ঘাতকের বোমা হামলায় প্রকাণ্ড বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সেদিনের সেই বোমা হামলায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ১০ টি তাজা প্রাণ, আহত হয়ে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায় অসংখ্য মানুষ। যাদের  মধ্যে অনেকেই আজও মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। যশোর হত্যাকাণ্ডের দুই যুগেরও অধিক কাল অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, রাষ্ট্র ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে অনেক, কিন্তু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি আজও। 


দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালনের জন্য বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আগামীকাল ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উদীচী চত্বর, তোপখানা রোডে  (প্রেসক্লাবের বিপরীতে) প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশের আয়োজন করেছে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ।এই সমাবেশে উদীচীর শিল্পী কর্মীগণ যশোর হত্যাকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে নির্মিত নাট্যালেখ্য পরিবেশনের মাধ্যমে যশোর হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও বিচারের দাবী জানাবে। সমাবেশটি সফল করতে সকলের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 


আরও খবর



ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। দিনটি নিয়ে গত ১৫টি বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও আজ নেই কোনো আয়োজন।

১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণের মধ‍্য দিয়ে তিনি পরবর্তী দিক নির্দেশনা দেন। এদিন লাখো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিব বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।

এই ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধের প্রতীক হয়ে ওঠে সেসময়। হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল। এটি বাঙালির রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি যুদ্ধকালে বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করেছে এবং বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত সাহস যুগিয়েছে।

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে তিনি ইতিহাসের পুরো চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তিনি ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের এই ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। প্রতি বছর ৭ মার্চে এই ভাষণটি সারাদেশে মাইকে বাজানোর ব্যবস্থা করতো আওয়ামী লীগ। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় কোথাও নেই আওয়ামী লীগ। ফলে নেই তাদের কোনো আয়োজনও।


আরও খবর



সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

একেকজনের ত্বক একেক রকম, তেমনি ত্বকের সমস্যাও ভিন্ন। ত্বকে যা দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, আরেকজনের ক্ষেত্রে হয়ত হিতে বিপরীত। তবে ত্বকের যত ধরনের সমস্যা দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার পেছনে অনেকটাই দায়ী সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি।

এছাড়াও ত্বকের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল সানবার্ন বা পোড়াত্বক। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এই অতিবেগুনী রশ্মি বা সানবার্ন থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখাই মূলত সানস্ক্রিনের কাজ।

প্রতিদিন আমাদের ত্বক ২ ধরনের সূর্য রশ্মির মুখোমুখি হয়। একটি ইউভি-এ অন্যটি ইউভি-বি। ইউভি-এ রশ্মি ত্বকের ভেতর পর্যন্ত যেয়ে ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন কমিয়ে দেয়। যার ফলে চামড়া কুঁচকে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়, ত্বকে বয়সের ছাপ বোঝা যায়, ফাইন লাইনের মতো সমস্যা এবং রিংকেল তৈরি হয়। ইউভি-বি রশ্মি মূলত সানবার্নের মতো সমস্যার জন্য দায়ী। এছাড়া ত্বকের কালো দাগ বা পিগমেন্টেশনের সমস্যাগুলো হয় ইউভি-বি এর কারণে।

কানাডিয়ান ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন এবং আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি উভয় সংগঠনই মেলানোমা এবং ননমেলানোমা উভয় ত্বকের ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে এবং প্রতিরোধের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহারের সুপারিশ করে। কেননা কানাডায়, প্রতি বছর ৮০ হাজারেরও বেশি ত্বকের ক্যান্সার ধরা পড়ে। যার ৮০-৯০ শতাংশ অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণের সংস্পর্শে হয় বলে অনুমান করা হয়।

ইউভি-এ এবং ইউভি-বি দুরকম সূর্য রশ্মিই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে সেটি ইউভি-বি এর পাশাপাশি কত ভালো ইউভি-এ রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে তা বিবেচনা করতে হবে। কেনার আগে লেবেলে পিএ+, পিএ++, পিএ + + + এরকম কিছু লেখা আছে কিনা দেখে নিতে হবে যতগুলো প্লাস চিহ্ন থাকবে ত্বক তত সুরক্ষিত থাকবে।

সানস্ক্রিন কিংবা যেকোনো প্রসাধনী ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করলেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব। সাধারণত মানুষের ত্বকের ধরণকে ৪টি ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়। স্বাভাবিক, তৈলাক্ত, সংবেদনশীল ও শুষ্ক। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরনের ত্বকের জন্য আর্দ্রতা বজায় রাখবে এমন সানস্ক্রিন বাছাই প্রয়োজন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে যদি ঘাম হয় বিশেষত তৈলাক্ত ত্বক যাদের, তারা সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার না করে তার পরিবর্তে ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন, জেল সানস্ক্রিন, কিংবা স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারে। এতে ত্বক সহনশীল থাকবে এবং ঘামও কম হবে। অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যায়। সমুদ্রের পানিতে নামতে অথবা সুইমিং পুলে গোসল করতেও ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তা নাহলে পানি এবং ঘামের সঙ্গে সানস্ক্রিন উঠে যাবে। অর্থাৎ তেলতেলে ত্বক হলে জেল বেসড বা ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন। শুষ্ক ত্বক হলে অয়েল বেসড সানস্ক্রিন ভালো কাজ করবে।

সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অপশন থাকে। কিন্তু সবচেয়ে বড় যে বিষয় লক্ষ্য করা প্রয়োজন তা হচ্ছে এসপিএফ। এসপিএফ হল সান প্রটেক্টর ফ্যাক্টর। সানস্ক্রিন ক্রিম ছাড়া রোদে গেলে ত্বক মাত্র ২০ মিনিটেই ত্বক পুড়ে যায়। এই পুড়ে যাওয়ার সময়টুকুকে বর্ধিত করে দেয় এসপিএফ। মূলত এসপিএফ এর উপরেই নির্ভর করে সানস্ক্রিন একজনের ত্বককে কত সময়ের জন্য সুরক্ষা দিতে পারে।

এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি থাকলে তা ত্বককে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করতে পারে। এসপিএফ-৩০ আল্ট্রাভায়োলেট-বি ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়। আবার এসপিএফ-৫০ আল্ট্রাভায়োলেট-বি ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়।

কেউ যদি এসপিএফ-১৫ এর একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে এসপিএফ-১৫ কে ১০ দিয়ে গুন করে যত মিনিট পাওয়া যাবে তত সময় সূর্য রশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে ফলাফল আসে ১৫০ মিনিট অর্থাৎ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের জন্য নিশ্চিন্ত। এভাবে যে যত এসপিএফ এর সানস্ক্রিন ব্যবহার করছেন তা ১০ দিয়ে গুন করলে পেয়ে যাবে কতক্ষণ ইউভি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত আছে। মূলত এজন্যই সানস্ক্রিন বাছাই করার সময় অনেকেই বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন পছন্দ করেন।

সানস্ক্রিনগুলো প্রায়শই ২টি বিভাগে বিভক্ত হয়: রাসায়নিক ও খনিজ। রাসায়নিক সানস্ক্রিনগুলোতে অ্যাভোবেনজন, অক্টিসালেট, অক্টোক্রাইলিন, হোমোসালেট এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করা হয়। খনিজ সানস্ক্রিনে জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে। রাসায়নিক এবং খনিজ উভয় সানস্ক্রিন একইভাবে কাজ করে (অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে এবং সেই শক্তিকে অল্প পরিমাণে তাপে রূপান্তর করে) ।

কারো কারো জন্য, রাসায়নিক সানস্ক্রিন ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে, ঘন ঘন প্রতিক্রিয়া হলে খনিজ সানস্ক্রিন সেদিক থেকে ভাল হতে পারে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার

বাইরে বের হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এতে ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া যায়। না হলে সূর্যের আলোতে বের হওয়ার পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করে কোনো লাভ হয় না।

রোদ না থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রায় ৮০ ভাগই আটকাতে পারেনা মেঘ। তাই মেঘাচ্ছন্ন এমনকি বৃষ্টির দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়।

শুধু মুখে নয় বরং শরীরের যেসব অংশ রোদের সংস্পর্শে আসতে পারে, সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। প্লাস ওয়ানের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রায় ২০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের চোখের পাতায় সানস্ক্রিন প্রয়োগ করেননি। অংশগ্রহণকারীদের ধারণাও ছিল না তারা এই স্থানটি বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এটি ছিল তাদের জন্য ভীষণ উদ্বেগজনক কেননা চোখের পাতার ত্বকে প্রতি একক জায়গায় স্কিন ক্যান্সারের ঘটনা সর্বোচ্চ।

দিনের বেলায় বাসায় যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাসায় থাকলে কম এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও চলবে কিন্তু বাইরে বের হলে বেশি এসপিএফ যুক্ত বাছাই করতে হবে।

কোন সানস্ক্রিনই পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই সানস্ক্রিনের এসপিএফ এর উপরই কেবল নিশ্চিন্ত না থেকে ২ ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস করা উচিত।

সতর্কতা

১) সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিতে পারেন। এতে করে এলার্জি কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রভাব প্রথমেই চেহারার পড়বে না।

২) সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর অতিরিক্ত ঘাম হলে প্রয়োজনমত সানস্ক্রিনের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ঘামের সমস্যা কমে যাবে।

৩) সানস্ক্রিনের কাজ শেষ হলে অবশ্যই ভালো করে ক্লিনজিং করতে হবে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




তৌসিফ-তটিনীকে নিয়ে ‘মন দিওয়ানা’

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

তৌসিফ-তটিনী জুটি হয়ে আজকাল অনেক গল্পেরই নায়ক-নায়িকা হচ্ছেন। পাচ্ছেন সফলতাও। তবে এই ঈদে খানিকটা ভিন্ন গল্পের আবহে পর্দায় হাজির হচ্ছেন তারা। দুজনকে জুটি করে হাসিব হোসাইন রাখি নির্মাণ করেছেন ঈদের বিশেষ নাটক মন দিওয়ানা

সিএমভির ব্যানারে সদ্য নির্মিত এই নাটকের সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন রাজু রাজ। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী। চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাতা নিজেই।

মন দিওয়ানার গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতার সারসংক্ষেপ এমন- রুসু বাউণ্ডুলে ও বন্ধুপ্রেমী একটা ছেলে। ভার্সিটিতে পড়লেও সারাদিন বাইকে চেপে ঘুরে বেড়ায় আর বাউণ্ডুলে জীবন কাটায়। এদিকে গল্পের নায়িকা মারজান মাত্র কলেজ লাইফ শেষ করে ভার্সিটিতে পা দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। একই ভার্সিটির সিনিয়র রুসু। মারজান ক্যাম্পাসে প্রথম পা দিয়েই টের পায়, চলছে নতুনদের র‌্যাগিং! তার সিরিয়াল পড়ে রুসুদের গ্রুপে। মজার বিষয়, সেদিন মারজানকে র‍্যাগ না দিয়ে ছেড়ে দেয় রুসু। এবং মারজানকে বলে দেয়, কেউ কিছু বললে বলতে যে, আমি রুসুর গার্লফ্রেন্ড!

নির্মাতা হাসিব হোসাইন রাখির মতে, গল্পটা শুধু প্রেমের নয়, বন্ধুত্বেরও। যেখানে প্রেম ও বন্ধুত্বকে তুলে ধরা হয়েছে সমান্তরাল গতিতে। যা দেখে দর্শকরা ভিন্নতার স্বাদ পাবেন।

মন দিওয়ানার প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, এবারের ঈদ উৎসবে অন্তত ২০টি বিশেষ নাটকের পসরা সাজাচ্ছে সিএমভি। যা চাঁদরাত থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হবে প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।


আরও খবর



পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অডিও-ভিডিও কলিং পরিষেবা স্কাইপ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট জানিয়েছে, আগামী মে মাসে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করা স্কাইপ একসময় বিপ্লব ঘটিয়েছিল যোগাযোগের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে এটির প্রভাবে ল্যান্ডফোনের দুনিয়ায় ধস নামে। কম খরচে অডিও ও ভিডিও কল করার সুবিধার কারণে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কাইপ এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে পরিণত হয়েছিল। কারণ এতে কম্পিউটরের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনো চার্জ ছাড়াই কথা বলতে পারতেন। তাই এটি অন্যান্য পরিষেবার তুলনায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ওই সময় স্কাইপের মতো আরও কিছু পরিষেবা ছিল।

মাইক্রোসফট এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, স্কাইপ ব্যবহারকারীরা মাইক্রোসফট টিমস-এ সাইন ইন করতে পারেন। এতে করে তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা অন্যদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন।

স্কাইপ ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও মাইক্রোসফট এটি কিনে নেয় ২০১১ সালে। ওই সময় মালিকানা পেতে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা। যা তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি দামে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কেনার ঘটনা ছিল।


আরও খবর

দাম কমেছে সব ধরনের ইন্টারনেট

রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫