Logo
শিরোনাম

ক্ষমা আর ধৈর্য্য ধারণ প্রতিশোধের নয় - অমিত

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
 আনোয়ার হোসেন - নিজস্ব প্রতিনিধি::


যশোরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন, আজ সময় প্রতিশোধের নয়, ক্ষমায়। বিগত ১৭ বছর ধরে আমরা যেভাবে ক্ষমা করে  দিয়েছি। বাকি জীবনও একইভাবে সংযম ও ধৈর্য্য ধারণ করবো।

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ তার অতীতের কৃত কর্মের ফল ভোগ করছে। তারা ঘৃণিত সংগঠনে পরিণত হয়েছে। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর তাকে তো এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়নি। শেখ হাসিনার অপকর্ম এতটাই ভারি হয়েছিল যে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।

সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক আব্দার হোসেন খান, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ রাসেল, রূপদিয়া সার্বজনীন কালি মন্দির কমিটির সহ সভাপতি সৌম্য পদ দে, উপদেষ্টা সন্তোষ কুমার দে, নরেন্দ্রপুর ইউপি সদস্য সুবর্ণ কুমার দাশ, নরেন্দ্রপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মোহন লাল দাশ প্রমুখ। কোরআন তেলোয়াত ও গীতি পাঠের মাধ্যমে সম্প্রীতি সমাবেশ শুরু হয়।

যশোরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, আজ সময় প্রতিশোধের নয়, ধৈর্য্য ধারণ ক্ষমার। বিগত ১৭ বছর ধরে আমরা যেভাবে  যশোরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, আজ সময় প্রতিশোধের নয়, ক্ষমার। বিগত ১৭ বছর ধরে আমরা যেভাবে সর্বোচ্চ সংযম ও ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছি। বাকি জীবনও একইভাবে সংযম ও ধৈর্য্য ধারণ করবো। দিয়েছি। বাকি জীবনও একইভাবে সংযম ও ধৈর্য্য ধারণ করবো।

শনিবার সদর উপজেলা নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রূপদিয়া সার্বজনীন কালি মন্দির কমিটির সভাপতি শংকর কুমার রাহা। তিনি আরো বলেন, আপনার (সনাতন ধর্মাবলম্বীরা) আমার পরিচয় আমরা এই দেশের নাগরিক। আপনারা কেউ দুর্বল নন। আপনাদের পাশে আমার বিএনপির নেতাকর্মীরা ছায়া হয়ে থাকবো। যাতে করে কোন দুষ্কৃতিকারী, চক্রান্তকারী কিংবা আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী আপনাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে না পারে। রূপদিয়া বণিক সমিতি ও ইটা ভাটা মালিক সমিতিকে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এখানে একজন (নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন) বিতর্কিত চেয়ারম্যান ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।

যাকে প্রতিনিয়ত সনাতন ধর্মী ভাই এবং ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিতে হয়েছে। আগামীতে কাউকে চাঁদা দিতে হবে না। আমার কোন দলের নেতাকর্মীর অনাচারে লিপ্ত হওয়ার সাহস নেই। তারপরও কেউ যদি কোনভাবে লিপ্ত হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কেবল সাংগঠনিক ব্যবস্থা , তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে। আমরা সরকারের কোন পর্যায়ে না থেকেও আমার নেতাকর্মীরা আপনাদের যে ভাবে সুরক্ষা দিচ্ছেন, আগামীতেও সেটি অব্যাহত রাখবেন।

আরও খবর



আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছিল : মঈন খান

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নরিসংদীতে প্রথম নিহত হওয়া তাহমিদ ভূঁইয়া ও আমজাদ হোসেনের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। 



শনিবার সকালে তাহমিদের বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিডনের নন্দীপাড়া এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে গিয়ে তাহমিদের কবরে ও পলাশের আমজাদ হোসেনের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং দুজনের পরিবারের হাতে তিনি  নগদ অর্থও তুলে দেন।



এ সময় নিহত তাহমিদ ভূঁইয়ার কবর জিয়ারতকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। বাংলাদেশে যত স্বৈরশাসকই আসুক, যারা গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে তাদেরকে পরাভূত করে ছাত্র জনতা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।



তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে জালেমের সরকার কায়েম করেছে। যে আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবী করে, স্বাধীনতার ধারক বলে দাবী করে, সেই আওয়ামী লীগ যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, এক নায়কতন্ত্র কায়েম করে, বছরের পর বছর বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের ন্যায়-নীতিকে ক্ষুণ্ন করেছে। তার প্রতিবাদ করার জন্য এই তাহমিদ রাজপথে তার তাজা রক্তে ঢেলে দিয়ে শহীদ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ছাত্র জনতা বাংলাদেশের তথাকথিত কলুষিত রাজনীতিকে প্রত্যাখান করেছে।



এসময় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এরফান আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নরসিংদী জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান, পলাশ উপজেলা যুদলের সভাপতি নিছার আহমেদ খান ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলম মোল্লাসহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের কারণে গত - দিনে প্রায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা কমপক্ষে ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে, যার মধ্যে মংডু এলাকা থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেশি।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নোম্যানস ল্যান্ডে আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারে, তবে এই দফায় আরও লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে।

সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন যে, নতুন করে হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেছেন, "এটা কীভাবে ঠেকানো যায়, সেটা আমাদের চেষ্টা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নীতিগতভাবে আমরা নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেব না, যদিও এটা বলাটা আমাদের জন্য কষ্টকর, কিন্তু আমাদের সাধ্যের বাইরে, আমরা তাদের আশ্রয় দিতে পারব না।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, গত - দিনে ১৩-১৪ হাজার নতুন রোহিঙ্গা টেকনাফ উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নিয়েছে। মংডু সীমান্তে আরও ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষা করছে। নাফ নদী সীমান্তে বিজিবি কোস্টগার্ডের কড়া নজরদারির মধ্যেও নানা কৌশলে তারা বাংলাদেশে ঢুকছে। কিছু দালাল তাদের অর্থ নিয়ে ঢুকতে সাহায্য করছে।

উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা ইউনুস আরমান বলেছেন, "আমরা জানতে পেরেছি রাখাইন রাজ্যের মংডুতে যুদ্ধ তীব্র হচ্ছে। মংডু টাউনে থাকা সেনা বিজিপির দুটি ব্যারাক দখলের জন্য মরিয়া আরাকান আর্মি। গোলাগুলি মর্টার শেল, গ্রেনেড-বোমা ব্যবহার করা হচ্ছে, মাঝে মাঝে ড্রোন হামলাও চলছে।"

রোহিঙ্গাদের নাম্বার ক্যাম্পের এক নাম্বার ব্লকের হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন বলেছেন, "প্রতিদিন নতুন রোহিঙ্গারা আসছেন। তারা নাফ নদী অন্যান্য সীমান্ত থেকে আসছেন। স্থানীয় কিছু লোক তাদের বাংলাদেশে প্রবেশে সহায়তা করছে। সবাই ক্যাম্পে আসছে না, ক্যাম্পের বাইরেও তারা অবস্থান করছে।"

তিনি আরও বলেন, মংডুতে চলমান তীব্র সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গারা সেখানে টিকতে পারছেন না। তারা মিয়ানমারের সামরিক জান্তা আরাকান আর্মির হামলা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

টেকনাফের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল বাসার বলেন, " আগস্ট সরকার পতনের পর কয়েকদিন সীমান্ত দিয়ে ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। এখনও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। দালালরা তাদের ঢুকতে সহায়তা করছে। তারা প্রথমে কক্সবাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে, পরে আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, নতুন রোহিঙ্গা প্রবেশের কারণে আমরা আতঙ্কিত। আমরা ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছি, যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।"

কক্সবাজারে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, প্রতিদিন ক্যাম্পে নতুন রোহিঙ্গারা আসছে। এটা স্পষ্ট যে, সীমান্ত থেকে নতুন করে রোহিঙ্গারা ঢুকছে। তবে আমরা এখনও তাদের কোনো তালিকা তৈরি শুরু করিনি। সরকার থেকে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি।

মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল হক বলেন, যদি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো না যায়, তাহলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পে মাদক, অস্ত্র ব্যবসা নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখনই এই সমস্যা সমাধানের সময়। সরকারের উচিত কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা। আমরা নতুন রোহিঙ্গা নিতে পারব না।

আরেক সাবেক কূটনীতিক কসোভোতে সাবেক ইউএন আঞ্চলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এস এম রাশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে আশা করি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা ইস্যুটি শক্তভাবে তুলে ধরবেন। তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। আশা করি, তার প্রচেষ্টায় কাজ হবে।

তিনি আরও বলেন, এখনই সময় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে এই সমস্যা সমাধানের। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবসনই একমাত্র সমাধান। প্রয়োজনে আমাদের আরাকান আর্মির সাথে ভিন্ন চ্যানেলে কথা বলতে হবে।

আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সাথে দৃশ্যমান শক্তি দেখাতে হবে। একটি দেশে সীমান্তের ওপার তো নন-স্টেট অ্যাক্টরদের দখলে থাকতে পারে না," বলেন মো. শহীদুল হক।

 সূত্র: ডয়চে ভেলে



আরও খবর



বকশীগঞ্জে চেয়ারম্যানের কাজে মেম্বারদের বাধা,প্রশাসনের সহায়তা চান চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মাসুদ উল হাসান,জামালপুর :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউপি’র চেয়ারম্যানের দাপ্তরিক কাজে বাধাঁ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেম্বারদের বিরুদ্ধে। পরিষদে যেতে চেয়ারম্যানকে বাধাঁ দিচ্ছেন মেম্বাররা। চেয়ারম্যানের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে লাঠিসোঠা নিয়ে পরিষদে অবস্থান করছেন মেম্বার ও তাদের অনুসারীরা।  বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। 


জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবত কামালপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্বন্ধ চলে আসছে। গত কয়েক মাস আগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা দেন ১১ জন ইউপি সদস্য। কিন্তু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় অনাস্থা প্রস্তাব না মঞ্জুর করে দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। এরপর গত ৫ জানুয়ারি সরকার পতনের পর ইউপি সদস্যরা আবারো চেয়ারম্যানের অপসারনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছেন মেম্বাররা। এরপরেও নিয়মিত অফিস করছিলেন তিনি। গত বুধবার সকালে চেয়ারম্যানকে প্রতিহত করতে ইউপি সদস্যরা তাদের লোকজন নিয়ে লাঠি সোঠাসহ পরিষদে অবস্থান নেন। এতে করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে পরিষদে যেতে পারেন নি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। 


সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি বলেন, আমি জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করি। ২০ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদের যাওয়ার পথে খবর পাই প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাপ জামাল, ইউপি মেম্বার সুমন, লাবনী আক্তার, হোসনে আরা, সামিউল হক, নুরুল আমিন ও সাইফুল ইসলাম সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ও চারপাশে অবস্থান করছে। আমি সেখানে গেলে আমার উপর হামলা করা হতে পারে এমন আশঙ্কা থাকায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। এমন পরিস্থিতিতে তিনি আমাকে পরিষদে যেতে নিষেধ করেন। এই পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশে বাধা প্রদান করে আমাকে পরিষদের কার্যক্রমে অনুপস্থিত দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও তারা আমাকে দায়িত্ব পালনে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। 

চেয়ারম্যান আরো বলেন,অনৈতিক সুবিধা না পাওয়ায় একটি মহল দীর্ঘদিন যাবত তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য নানা ভাবে পায়তারা করে আসছে। তারা ইউপি মেম্বারদের ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এর আগেও মেম্বাররা অনাস্থা দিয়েছিল। মেম্বারদের সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় অনাস্থা প্রস্তাব না মঞ্জুর করে দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। এখন নতুন করে তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। চাইলে আমি পরিষদে যেতে পারি। এলাকার সকল সাধারণ জনগন আমার সাথে রয়েছে। তারা বাধাঁ দিয়ে আমাকে আটকাতে পারবে না। কিন্তু আমি আসলে সংঘাত চাই না। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন,মেম্বাররা সকলেই নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। মেম্বার এবং তাদের স্বজনদের নামে সরকারি বিভিন্ন ভাতার কার্ড রয়েছে। নিজেরা দুর্নীতি করে আমাকে দুর্নীতিবাজ বলছে। আমি কোন দুর্নীতি বা অনিয়মের সাথে জড়িত নই। র্দুর্নীতির কোন প্রমান দিতে পারলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবো। যতদিন দায়িত্বে আছি কাজ করে যেতে চাই। জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। 


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যানকে ভুমিদস্যু ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে মেম্বাররা বলেন, দাবি একটাই চেয়ারম্যানের অপসারণ। চেয়ারম্যানকে কোনভাবেই পরিষদে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন তারা।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত বলেন,চেয়ারম্যানের অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও সার্বিক পরিস্থিতি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।


আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শ্রম আইনে বড় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সৌদি আরবে শ্রমিকদের বেশি সুযোগ-সুবিধা দিতে সংশোধন করে শ্রম আইনে বিশাল পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী নতুন আইন কার্যকর হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে।

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, দেশটিতে ইতোমধ্যে ডিক্রি জারি করা হয়েছে। এতে কিছু অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এসেছে এবং নতুন করে দুটি অনুচ্ছেদ যুক্ত হয়েছে। আর সাতটি অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়া হয়েছে

সৌদি আরবের শ্রম আইন অনুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটি আগে ছিল ১০ সপ্তাহ, অর্থাৎ আড়াই মাস ছুটি ছিল। নতুন আইনে ছুটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২ সপ্তাহ (তিন মাস)। আবার ভাই-বোনের মৃত্যুতে অংশ নিতে ছুটি বাড়িয়ে করা হয়েছে তিনদিন। আর কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রবেশনারি সময় থাকবে ১৮০ দিন

এছাড়া কর্মীরা ওভারটাইমে আর্থিক বিষয় ছাড়াও ছুটি কাটানোর ব্যাপারেও দাবি জানাতে পারবেন। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত একমাস আগে কর্মস্থলকে অবহিত করতে হবে। যা আগের আইন অনুযায়ী ছিল দুই মাস। কর্মস্থল থেকে আবাসন ও যাতায়াত খরচও দেওয়া হবে কর্মীকে

প্রতিবেদন আরও বলা হয়েছে, বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেও আইনে সংশোধন আনা হয়েছে। বিদেশি কর্মীদের বিশেষ চুক্তি অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করতে হবে নিয়োগদাতা কিংবা প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু এ ব্যাপারে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি বর্তমান আইনে। কাজের অনুমোদনপত্রের মেয়াদ অনুযায়ী চুক্তির নিয়োগ ঠিক হবে


আরও খবর

ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ ৪ বাংলাদেশি আটক

শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জীবন রক্ষায় ৬২৬ নাগরিক সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিল : আইএসপিআর

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


বিচারবহির্ভূত কর্মকান্ড রোধ, জীবন রক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জীবন বিপন্ন ৬২৬ জন নাগরিককে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল। আন্ত:বাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়েছে।



সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিবিধ নাগরিকদের আশ্রয় প্রদান এবং অভিযুক্তদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর প্রসঙ্গে আইএসপিআর’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়।


এসময় প্রাণনাশের আশঙ্কায় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিবিধ নাগরিকগণ সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এপ্রেক্ষিতে বিচার বহির্ভূত কর্মকান্ড রোধ, জীবন রক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জীবন বিপন্ন ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ২৮ জন পুলিশ অফিসার, ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য,বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজন (স্ত্রী ও শিশু)সহ সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়।’



পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন স্ব-উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেছে উল্লেখ করে  বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আশ্রয় প্রদানকৃত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে,যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত ৩ জন তাদের পরিবারের ৪ জন সদস্যসহ মোট ৭ জন সেনানিবাসে অবস্থান করছেন। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সকল তথ্যাদি প্রদান করা হয়েছে।



উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকান্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।



এক্ষেত্রে, গুজবে কান না দিয়ে সকলকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শনের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনসাধারণের পাশে আছে এবং থাকবে।


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪