Logo
শিরোনাম

ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়: কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, যে মানুষটির (মওলানা ভাসানীর) জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না, যে মানুষটির জন্ম না হলে পাকিস্তান হতো না আর পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হতো না। তার অনাদর দেখে খুব কষ্ট লাগে, খুব খারাপ লাগে। 

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অতীতের বর্জন করে অস্বীকার করে এই পরিবর্তন যদি কেউ করতে চাই। তাহলে আহাম্মকের স্বর্গেই বাস করছে। দুদিন পরে তাদেরকেও রকম হতে হবে। মানুষ খুব আশা করেছিল কিন্তু গত তিন মাসে মানুষের আশার মতো ফল পাই নাই। 

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের যে উপার্জন তারা বাজারে যেতে পারছে না, স্ত্রী-সন্তান পরিবার নিয়ে খেতে পারছে না ভালোভাবে। তারপরেও মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পীরে কামেল এরকম অলি, এরকম জনগণের বন্ধু এই উপমহাদেশে খুব কম আছে। আমি আল্লার কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ তাকে যেন বেহেস্ত নসিব করেন। তার উসুলাই বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে রাখেন। 

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, যারা সরকার চালাচ্ছে তাদেরকে অনুরোধ করবো-তারা যেন দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেন। ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়। যারা ছিলেন তাদের জন্য যেমন নয়, আজকে যারা এসেছেন তাদের জন্যও নয়। এজন্য দেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন। দেশের মানুষকে সম্মান করুন, অতীতকে সম্মান করুন। 


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শহিদ স্মৃতি পাঠচক্রের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব, সংগ্রাম" এই মূলনীতিকে সামনে রেখে  মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে "শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি"র অফিসিয়াল যাত্রা শুরু করা হয়।

আজ ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস ভবনের সামনে বিভিন্ন বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় এই পাঠচক্রের শুভ যাত্রা ঘোষণা করা হয়।

এসময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, "আমরা সবাই একটা কথা জানি যে, পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে সুন্দর সমাজ, রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকল অন্যায়, শোষণ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলমান থাকবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমকে জাগিয়ে তুলতে, দেশ ও বহির্বিশ্বের ইতিহাসকে জানতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের কণ্ঠস্বরকে জাগিয়ে তুলতেই আমাদের এই শহীদ স্মৃতি পাঠচক্রের যাত্রা শুরু করেছি।  ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সময়ে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে বিশেষ করে ১৯৫২,১৯৬৯,১৯৭১ এবং সর্বশেষ ২০২৪ এ যতজন শহীদ হয়েছেন সকল শহীদদের স্মরণে এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা এ সংগঠন তৈরির প্রয়োজনীয়তা মনে করেছি। সবাইকে এ সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য অনুরোধ জানানো হলো।"

ক্রিমিনোলোজি এন্ড পুলিশ সাইন্স বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আখতারুজ্জামান সাজু বলেন, "ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গনঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সহ জুলাই গনঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ স্মরণে আমরা 'শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র' এর উদ্যোগ নিয়েছি। শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি শোষণমুক্ত রাষ্ট্র কায়েম করা। আর শোষণ মুক্ত রাষ্ট্র গঠনে নাগরিকের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার বিকল্প নেই । আমরা মনে করি, আমাদের এই সংগঠন নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভুমিকা রাখবে। আশা করি সবাই সাথে থাকবেন।"

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর শিক্ষার্থী মুত্তাকী বলেন, "শহিদ স্মৃতি পাঠ চক্র একটি প্রগতিশীল শিক্ষামূলক সংগঠন, যা তরুণ সমাজকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে মুক্তবুদ্ধির চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে।  এটি পাঠচক্র, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত।  ২৪ এর চেতনা, মানবিক মূল্যবোধ, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাসের শিক্ষা এ সংগঠনের মূল প্রেরণা।

আমি এ সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি ও ক্যাম্পাসের পরবর্তী প্রজন্মকে এই সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সমাজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে আকুল আবেদন করি।


আরও খবর



ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক। এ ধরনের কর এমন এক সময়ে বাড়ানো হলো যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে শুধু নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষ নয়; মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। তারা এখনো বাজার সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

এমনিতেই মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের ওপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও চাপে ফেলবে, বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য। জনজীবনের নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করেন, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে না সংসার প্রশ্নটিই মুখ্য হয়ে উঠতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদেরকে সফল দেখতে চায় কিনা, মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্তির কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান, সহ প্রচার আসাদুল করিম শাহীন, কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির সদস্য (দফতরে সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।


আরও খবর



চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও ভারতের বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকটি বাতিল হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিএসএফের এক কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতি বছর দুইবার করে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, মাদক বিরোধীসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই বাহিনীর প্রধান বৈঠক করেন। বিএসএফ এবং বিজিবি (তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস) এর ডিজিদের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ২ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর ১৯৯৩ সালে দিল্লি ও ঢাকায় দ্বিবার্ষিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবারের বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে।

বাতিল করা বৈঠকটি একটি রুটিন বৈঠক হলেও এবার তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেননা, ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে আর কোনও বৈঠক হয়নি।

নভেম্বরে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশ এটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে নতুন করে আর কোনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ডিসেম্বরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা করা হচ্ছিলো। তবে এ মাসেও তা না হওয়ায় ২০২৪ সালে বৈঠক হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই।

এ বিষয়ে বিএসএফের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি। তাই চলতি বছর বৈঠকটি আর হচ্ছে না। গত মাসে বৈঠক স্থগিতের পর ডিসেম্বরে এর আয়োজন নিয়ে আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসু হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সদস্যদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে সেগুলো ছোট বিষয়। যে বিষয়গুলোর সমাধান করা সম্ভব নয় সেগুলো দুই বাহিনীর প্রধানের বৈঠকে তোলা হবে। তবে এই মুহূর্তে তাদের বৈঠক না হওয়াটাকে আমরা বড় করে দেখছি না। কেননা, মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।


আরও খবর



ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভোটার তালিকা হালনাগাদে কোনোরকম অনিয়ম, অবহেলা, অস্বচ্ছতা বরদাস্ত করা হবে না বলে নিজেদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার হালনাদাগের তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন সিইসি।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না নির্বাচন কমিশন।

ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ইসি আবদুর রহমান মাছউদও। তিনি বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত বলেও মনে করে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

এ সময় আরেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে।

ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে এবার ইসি বেরিয়ে আসতে পারবে দাবি করে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল, তা কমে এসেছে। মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, বিগত নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে, তার সবটুকুই করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

ইসি তাহমিনা আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।


আরও খবর



২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু করবে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এ কার্যক্রম শুরু করতে পারব। ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ৫ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করতে পারব। যারা এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন তারা মাঠের যে জনবল বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।

তিনি আরও বলেন, ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এটি আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেব। জনগণ এটা দেখার সুযোগ পাবেন। সেখান থেকে যদি কেউ বাদ পড়ে থাকেন তাহলে তাদের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির একটা ব্যবস্থা করা হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ কাজ আমরা প্রতি বছরই করে থাকি। এটাকে আমরা চব্বিশের হালনাগাদ ও পঁচিশের ভোটার তালিকা হিসেবে গণ্য করব।

আগাম এক বছরের তথ্য সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শুধু পঁচিশ সালের তথ্য সংগ্রহ করব না। একইসঙ্গে ছাব্বিশ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের তথ্যও সংগ্রহ করব। তাদের আমরা ২০২৬ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করব। তবে তারা পঁচিশ সালের কোনো নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন না।

দেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা যখন বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।


আরও খবর