Logo
শিরোনাম

কঠোর কর্মসূচির দেয়ার ইঙ্গিত বিএনপির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ের কথা বললেও ক্রমেই কঠোর কর্মসূচির দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। সেক্ষেত্রে হরতাল, অবরোধ এবং অসহযোগ কর্মসূচির ভাবনাও আছে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ফয়সালা করতে চায় দলটি।

সেক্ষেত্রে তফসিল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ঘোষণা হলেই হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কর্মসূচির ধরণ ও সময় পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানা গেছে।

দলীয় সূত্র বলছে, জানুয়ারিতে নির্বাচন হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে একাধিক কমিশনার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিএনপি নেতারা মনে করছেন- আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপের মুখে নিজেদের অধীনে নির্বাচনের অবস্থান থেকে সরকার সরে আসবে। তাই আপাতত হার্ডলাইনে না যাওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তফসিলের আগেই হরতালের মতো কর্মসূচি আসতে পারে।

যদিও এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা হলেই তারা হরতালের কর্মসূচি আসবে এমনটা চিন্তা আছে নীতিনির্ধারকদের। তবে কর্মসূচি যাই হোক তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ওপর। যারা সক্রিয় থাকবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে হাইকমান্ড।

কর্মসূচির বিষয় আলাপকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য একজন সদস্য বলেন, আন্দোলনের তো মাত্রা থাকে। সেটা তুঙ্গেও উঠবে। কিন্তু সেই সময় তো দরকার। আমরাও হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির চিন্তা ভাবনা করছি।

সেটা কবে নাগাদ ঘোষণা করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নীতি নির্ধারক বলেন, তফসিল কবে ঘোষণা করবে সেটা নির্বাচন কমিশন জানে। আমরা আমাদের মাত্রা ঠিক করে তফসিলের আগেও কঠোর কর্মসূচির দিতে যেতে পারি। অনেক ধরণের আলোচনা চলছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তিনজন নেতা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি নিয়ে কোনোভাবে এগুবে তাও ঠিক করবে বিএনপি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, রোডমার্চের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। বেশ সাড়াও পাচ্ছি। চলমান কর্মসূচি শেষ হোক। সবাইকে নিয়েই উপযুক্ত কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এবার আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, তারা চাইছেন তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন ইস্যুর রাজনৈতিক ফয়সালা নিশ্চিত করতে। এ লক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার চিন্তা রয়েছে তাদের। এসব কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ঘেরাও, সচিবালয় ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘিরে কর্মসূচিসহ নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়ে দলটির অভ্যন্তরে আলোচনা রয়েছে।

অবশ্য সরকারি দল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব কর্মসূচি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে গেলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন বিএনপি নেতারা।

অন্যদিকে একযোগে বিএনপির মহাসচিবসহ একাধিক শীর্ষ নেতা বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হরতালের কর্মসূচি আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের মতো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যতদিন আপনি (শেখ হাসিনার সরকার) থাকবেন এটা আরও সংঘাতের দিকে যাবে, খারাপের দিকে যাবে এবং সংঘাত আরও বাড়তে থাকবে। এখনও তো সংঘাত শুরু হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে জনগণ রুখে দাঁড়াবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, শত প্ররোচনার মুখেও আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এটার শেষ পরিণতি কী হবে তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণ কি হচ্ছে তার ওপর।

মহাসচিবের বক্তব্যের পর এদিকে সিলেটের রোডমার্চে অংশ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী হরতাল, অবরোধের মতোন কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

ভৈরবে সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন রাখেন, আমরা এখনও হরতাল দেইনি। হরতাল দেওয়া দরকার আছে? অবরোধ দেওয়ার দরকার আছে? আপনারা পালন করবেন? তিন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা বলেন, হ্যাঁ

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ঠিক আছে আপনাদের রায় পেলাম। আমরা হরতাল করি নাই, কিন্তু করব না সেই প্রতিজ্ঞাও করিনি। এবার ডু অর ডাই হবে।

অন্যদিকে প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রিজভী বলেন, এক দফা দাবি আদায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বুঝে তাহলে দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।


আরও খবর



ফুলবাড়িতে, জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে সারাদেশের ন্যায় জেলহত্যা দিবস পালিত হয়।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে ০৩(নভেম্বর) শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বিকেল সাড়ে তিনটায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুস সামাদ এর সভাপতিত্বে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুবক্কর সিদ্দিক মিলন উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান লাভলু, শিমুলবাড়ি  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এজাহার আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন প্রমুখ।

আলোচনা শেষে জাতীয় চার নেতা সহ সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোঃ মনজুরুল ইসলাম বকসি। 


আরও খবর



সাগরে লঘুচাপ, বৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে, এটি ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আব্হাওয়ার তথ্যে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবারের (১৫ নভেম্বর) আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে পিকআপের ধাক্কা, চালক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের তালগাছের সাথে ধাক্কা লেগে  দূর্ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক রায়হান আলী (২৪) নামে এক যুবকের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত পিকআপ চালক রায়হান আলী হলেন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার নোনাহার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে। একই দূর্ঘটনায় চালকের পাশে বসে থাকা পিকআপের মালিক একই গ্রামের মৃত আবু তালেব এর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এদূর্ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ বালিকা বিদ্যালয় মোড় নামক স্থানে।

স্থানীয়রা জানান, পিকআপটি মহাদেবপুর থেকে পোরশা যাওয়ার সময় পথিমধ্যে চাঁন্দাশ বালিকা বিদ্যালয় মোড়ে পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি তালগাছের সাথে ধাক্কা লাগার পর ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক রায়হান আলীর মৃত্যু হয় এবং চাপা অবস্থায় থাকলে খবর পেয়ে মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে পিকআপ এর দরজা কেটে রায়হান আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন এবং অপর পাশের দরজা কেটে গুরুতর আহত অবস্থায় পিকআপের মালিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। 

দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 


আরও খবর



৪৮ ঘন্টার নতুন কর্মসূচি আসছে বিএনপির

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

এক দফা দাবিতে দেশজুড়ে হরতালের পর অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ হচ্ছে দলটির দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। হরতাল-অবরোধে দূরপাল্লার বাস ও নগর পরিবহন কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে চলমান আন্দোলনে পরের কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে দলটি।

গতকাল রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির পর আবার নতুন কর্মসূচি আসছে।

জানা গেছে, আজ সোমবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বিএনপি। সে ক্ষেত্রে আগামীকাল মঙ্গলবার এক দিন বিরতি দিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ফের হরতাল কিংবা অবরোধের ডাক দিতে পারে দলটি। পরের সপ্তাহে কী কর্মসূচি থাকবে, সে সিদ্ধান্ত গতকাল পর্যন্ত হয়নি। দলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, সরকার নানা ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর দায় চাপাবে। আমাদের নেতাকর্মীরা, সহযোগী-অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আপনারা প্রত্যেকে সজাগ থেকে শুধু জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করে রাস্তায় নামবেন। অবরোধ কর্মসূচি যেটা চলছে সেটা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে যাবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, টানা অবরোধের মধ্যে থাকলে কর্মসূচি নিয়ে সবার মধ্যে একগুঁয়েমি তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া তফসিল ঘোষণার আগে-পরে কর্মসূচির তীব্রতা বাড়াতে হবে। এজন্য কর্মসূচিতে বৈচিত্র্য আনতে চায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

একটি সূত্র জানায়, নতুন কর্মসূচির বিষয়ে গত দুই দিন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে অবরোধ রেখে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ঘেরাও, অবস্থান ও অসহযোগ আন্দোলনের মতো প্রস্তাব ওঠে। তবে এগুলোর কোনোটি যুৎসই মনে করছেন না নীতিনির্ধারকরা।

বৈঠকে কয়েকজন নেতা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কঠোর কর্মসূচি ছাড়া বিকল্প নেই। তারা মনে করেন, ২৮ অক্টোবর সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে হরতাল-অবরোধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখন তফসিল ঠেকাতে হলে বড় কর্মসূচি দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে শীর্ষ নেতারা বক্তব্য শেষ করার আগেই পুলিশের টিয়ারগ্যাস, গুলি, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয়। হামলার প্রতিবাদে মহাসমাবেশ থেকে পরের দিন ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ওই কর্মসূচির পর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন সারাদেশে সড়ক, রেল ও নৌপথে অবরোধ পালন করে দলটি। এরপর গত রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টার টানা অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়, যা শেষ হচ্ছে আগামীকাল সকাল ৬টায়।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রওশন এরশাদের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

১৯ নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সোয়া এক ঘণ্টার আলোচনায় তিনি তফসিল পরিবর্তন ও সব দলের অংশগ্রহণের স্বার্থে আলোচনার প্রস্তাব দেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মহামান্য রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর এটা প্রথম সাক্ষাৎ; রাষ্ট্রপতির শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা।

তিনি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর করতে সবার সঙ্গে আলোচনা করা যায় কিনা, রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন থাকায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল পরিবর্তন করা যায় কিনা, সেই অনুরোধও করেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি এ বিষয়টি ইসির সঙ্গে আলোচনা করে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন, উল্লেখ করেন মশিউর রহমান রাঙ্গা।

বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে সবার সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে অনুরোধ করেন জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

মুখপাত্র জানান, ৩০ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ও মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন বিবেচনায় নিয়ে পুনঃতফসিল করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিরোধীদলীয় নেতা।


আরও খবর