Logo
শিরোনাম

কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। বছর খানেক ধরে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী মাঠে আছে বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। কিন্তু সম্প্রতি জেলা পর্যায়ে বিএনপির এক নেতার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাদের বিরূপ মন্তব্যকে দেশবিরোধী কাজ ও ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছে আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যে এবার সরাসরি প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। বিএনপির নেতাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ শন্তিপূর্ণ কর্মসূচি বিএনপির নেতাদের সহ্য হয় না। আওয়ামী প্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আবার বিদেশিদের কাছেও নালিশ করে। বিএনপিকে মোকাবিলা করতে প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যন্ত সারা দেশে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে মাঠে থাকবেন ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মূলত, দ্বাদশ নির্বাচনে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। কিন্তু গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক জনসভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। বিরোধী দলীয় নেতার এমন বক্তব্যের পরিপেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা। এই বক্তব্যের মধ্যমে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনার নীলনকশা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কর্মসূচি পালন করে। ভিন্ন ভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও বাকি সংগঠনগগুলো। এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে এ নির্দেশের পর ঢাকা মহানগরের দুটি বড় ইউনিট উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সব থানায় এ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কঠোরভাবে মাঠে থাকবেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বড় দুই ইউনিট উত্তর ও দক্ষিণ। তারা আগামীতেও রাজনীতির মাঠে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নির্দেশে সোমবার মহানগরের অন্তর্গত প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। একইভাবে ঢাকা মহানগর উত্তরও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। সকাল থেকে নিজ নিজ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে তারা বিকেলে মহানগরের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে মহানগরের থানা-ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগরের নেতারাও নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিরোধে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান করেন।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, বিএনপি সরকার উৎখাত করে নির্বাচনে আসতে চায়। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি তাদের (বিএনপি) গভীর ষড়যন্ত্র। বিএনপি ও তাদের দোসররা এখনো খুন-হত্যা থেকে বের হতে পারেনি। তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।

রাজধানীতে রবিবার এক শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকার পতনের এক দফার নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এজন্য এখন থেকে শান্তি সমাবেশ নয়, সারা দেশে বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আর শান্তি সমাবেশ নয়, তাদের প্রতিরোধ করা হবে। দলীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ অনুসারেই আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মাঠে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্বারের রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জের জালকুড়িতে হা পা বাঁধা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্বারের ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মুল আসামী মোঃ কমল ওরফে কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করেছে। সনাক্ত করেছে নারীর পরিচয়। নিহত নারীর নাম নাসরিন আক্তার। সোমবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এ তথ্য জানান। রবিবার রাতে কড়িগ্রামের চিলমারীর পুর্বপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

পুলিশ সুপার জানান, গত ১৯ মে সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি শিমা ডাইংয়ের পাশে ফাঁকা বালুর মাঠে নামে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ হাত ও পা বাধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরদিন সনাক্ত হয় নিহতের নাম নাসরিন আক্তার। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আশরাফ দেওয়ান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাসরিন হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে এবং গত রবিবার রাতে চিলমারীতে অভিযান চালিয়ে কমলকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে কুদ্দুস স্বীকার করে জানায়, গত ১৯ মে রাতে সে ও অভির উদ্দিন সহ জালকুড়ির পাংখা শাহ মাজারে সাপ্তাহিক ওরশে গান শুনতে যায়। গান শেষে রাত অনুমান সোয়া ৩ টায় নাসরিন আক্তার (৪০) এর সাথে পরিচয় হয় ও এক সাথে চা পান করে। এর পরে অভির উদ্দিনের সাথে ভিকটিমের অর্থের বিনিময়ে একান্ত সময় কাটানোর কথা হলে ভিকটিম সম্মত হয়। এর ধারাবাহিকতায় কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমকে নিয়ে একটি জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় নাসরিনের মোবাইলে একটি ফোন কল আসে এবং সে মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাইরে যায়। তাৎক্ষনিক ঘরে দুই জন পুরুষ প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কমল ও অভির উদ্দিনের কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার ৪ শ’ টাকা নিয়ে যায়। এতে কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে কমল ভিকটিমকে আরো টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের সাথে আরো সময় কাটানের জন্য বলে। নাসরিন রাজি হলে তাকে জালকুড়ি থানাধীণ তালতলা খালপাড় বালুর মাঠে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌছালে কমলের গলায় থাকা লালসালু কাপড় দিয়ে নাসরিনের হাত বেঁধে এবং নাসরিনের গায়ের ওড়না দিয়ে দুই পা বেঁধে লালসালু দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর



করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

ভারতের ওডিশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ জানা গেছে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল। এ থেকে দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওডিশা রাজ্যের বালেশ্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। ওই মহলের মতে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। যে ঘটনায় ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে ওডিশার বালেশ্বরে জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশন পেরিয়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস। যে লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। মূলত মেইন লাইন ধরে ভুবনেশ্বরের দিকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল করমন্ডল এক্সপ্রেসের। সেই ভুলের কারণেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। যে ভিডিওর ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ উঠে এসেছে, সেই ভিডিওটি ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস হাতে পাওয়ার দাবি করেছে। ওই ভিডিওতে নাকি দেখা গেছে যে, দুটি মেইন লাইন এবং দুটি লুপ লাইন আছে।

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস, তখন সেটি ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল, যা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের সাধারণ গতিবেগ। সেইসময় লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে করমন্ডল এক্সপ্রেস। লুপ লাইন থেকে কয়েকটি বগি ছিটকে মেইন লাইনে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে সেই মেইন লাইন দিয়ে আসে এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি করমন্ডলের ছিটকে যাওয়া কোচে ধাক্কা মারে। লাইনচ্যুত হয়ে যায় ওই ট্রেনেরও কয়েকটি বগি।

তবে চালকের ভুলে নাকি অন্য কারও ভুলে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এখনও কিছু বলতে চাইছেন না ভারতীয় রেলের কর্তারা। ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে প্রযুক্তিগত কারণে নয়, বরং মানুষের ভুলেই সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



নওগাঁয় জাতীয় কবির ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা কবি পরিষদ এর আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৪ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কবির জীবন ও সাহিত্যকর্ম বিষয়ক আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সারে ১০টায় পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর অস্থায়ী কার্যালয় নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে উক্ত আলোচনা সভায় মূল্যবান বক্তব্য রাখেন, পত্নীতলা উপজেলা কবি পরিষদ এর সভাপতি কবি গুলজার রহমান, উপজেলা কবি পরিষদ এর সিনিয়র সহসভাপতি ও পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি ইউনুছার রহমান, উপজেলা কবি পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ও পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, উপজেলা কবি পরিষদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ছানাউল হোসাইন, নির্বাহী সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। আলোচনা শেষে কবির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপজেলা লাইব্রেরীয়ান মাও মোহাঃ মাসুদ আলী। 


আরও খবর



রবী ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিক'র জাতীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে নওগাঁয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৩৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিক'র মূল অনুষ্ঠান এবছর অনুষ্ঠিত হবে নওগাঁর পতিসরে।  সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে এবং নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই  ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। 

রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তি উৎসবমুখর অনুষ্ঠানকে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। নওগাঁ জেলার রাণীনগর আত্রাই, নাটোর জেলার সদর ও সিংড়া উপজেলা, বগুড়া জেলার আদমদীঘি ও নন্দীগ্রাম উপজেলা এবং রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গ্রাম গুলোতে এই উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে দূর দূরান্তের গ্রামগুলো থেকে আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসছেন।  প্রত্যেক বাড়িতে চলছে নানা রকমের খাবারের আয়োজন। নতুন ধান বাড়িতে ওঠায় যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।

এদিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসন রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তি ৩ দিনের অনুষ্ঠানমালা বাস্তবায়নের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। 

অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন ৮ মে ২৫ শে বৈশাখ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২-৩০ মিনিটে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ, ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।  এ অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাষ্টি মফিদুল ইসলামা। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি'র সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শহীদুজ্জামান সরকার এমপি,  ছলিম উদ্দিন তরফদার এমপি, ব্যারিস্টার নিজামুদ্দিন জলিল জন এমপি, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য   প্রফেসর ডঃ শাহ আজম, নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান এবং নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক। এই অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক ও রাজশাহী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডক্টর মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ঢাকা'র বিশিষ্ট কলাকূশলী এবং নওগাঁর কলাকুশলী সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।  

দ্বিতীয় দিন ৮ মে ২৬ বৈশাখ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে। এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আত্রাই রানীনগর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল। আত্রাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইকতেখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নওগাঁ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলে রাব্বি,  আত্রাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এবাদুর রহমান এবং রানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রউফ। এ'দিন স্মারক বক্তা হিসেবে বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক  আবুল মোমেন ও আলোচক হিসেবে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শরিফুল ইসলাম খান।  

দ্বিতীয় দিনে আত্রাই ও রানীনগর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন।

আয়োজনের তৃতীয় দিন ১০ মে ২৭ বৈশাখ যথারীতি অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল সাড়ে তিনটায়। এ দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।  নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার জি এস এস জাফরুল্লাহ এনডিসি এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহা-পরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। এ দিন স্মারক বক্তা হিসেবে আলোচনা করবেন রবীন্দ্র গবেষক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক জুলফিকার মতিন। 

সমপনী এ অনুষ্ঠানে ঢাকা, নওগাঁ,  রানীনগর ও আত্রাই উপরে বাছাইকৃত শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




মোখা ১৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথ বলছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে তা স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। এতে এ দুই জেলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখানকার উপকূলীয় এলাকা ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রায় ১৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১০৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

১১ মে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখামোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে স্থায়ী ৫৩০টি এবং অস্থায়ী ৫০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেয়া যাবে। এছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ উপজেলার ইউএনওরা এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

 

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আট হাজার এবং সিসিপির আট হাজার ৮৮০ মিলিয়ে মোট ১৬ হাজার ৮৮০ স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে ১১৬টি, বাঁশখালীতে ১২২টি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯৪টি, ফটিকছড়িতে ১১২টি (অস্থায়ী), হাটহাজারিতে ১৮টি (অস্থায়ী), মীরসরাইতে ৮৫টি, রাঙ্গুনিয়ায় ২১৭টি (অস্থায়ী), রাউজানে দুটি, সীতাকুণ্ডে ২৫টি, বোয়ালখালীতে ৮টি, চন্দনাইশে ৬টি, পটিয়ায় ১২৬টি (অস্থায়ী), সাতকানিয়ায় ৪টি, আনোয়ারায় ৫৮টি, লোহাগাড়ায় ২৭টি (অস্থায়ী) এবং কর্ণফুলীতে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা সিডরের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে। ১১ মে অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। বর্তমান গতি-প্রকৃতি অনুযায়ী সিডরের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা।

 

এদিকে, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেল থেকে প্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় মোখার ৫১টি সম্ভাব্য যাত্রাপথের বেশিরভাগ পথ নির্দেশ করছে যে, এটি (মোখা) চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। 

 

স্থলভাগে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড় মোখার বাতাসের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। আর এ গতিতে মোখা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূল অতিক্রম করলে, এ দুই জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

জলবায়ু গবেষক পলাশ আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।  

 

সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার এবং বরিশাল বিভাগ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোয় ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান তিনি।  

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩