Logo
শিরোনাম

কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদের দাবিতে (কুকসু) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে পদার্থবিজ্ঞান ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের  আরাফ ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে আটটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, গণতন্ত্রের চর্চা, সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখা, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতার বিকাশ, ক্যাম্পাসের শান্তি বজায় রাখা, লেজুড়বৃত্তিক ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে মুক্তি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করা।

কুবির ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ফার্মেসী বিভাগ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান বলেন, 'ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে এসে রাজনীতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে তৈরী হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির নামে অপরাজনীতি বন্ধ হবে। আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ চালু করবে এবং শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্র প্রতিনিধি তৈরীর একটা সুযোগ সৃষ্টি করবে।'

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইকবাল বলেন, 'আমরা জানি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি, যা আমাদের জন্য লজ্জার। এখনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো একটি যৌক্তিক দাবি আসলে তা প্রশাসনের সাথে এটা উপস্থপনা করার জন্য ওইভাবে কোনো ছাত্রসংগঠন নেই। আমরা এই সমস্যার দ্রুত অবসান চাই। আমরা চাই এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন (কুকসু) হউক যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক যে কোনো দাবি তুলে ধরতে আর কোনো সমস্যা না  হয় এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, নেতৃত্ব বিকাশ এবং সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।'

কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমি একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে আমার এখন কোনো মন্তব্য নেই। আলোচনা করে পরে জানানো হবে। 


আরও খবর



মাভাবিপ্রবি 'সিআরসি'র উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মো.হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

 কাম ফর রোড চাইল্ড (সিআরসি) মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ২৫ জানুয়ারী (শনিবার) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় একাডেমিক ভবনের সামনে ১০০টি পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের অসহায় মানুষ, বিভিন্ন মেসের খালা ও শহরের রাস্তার পাশে বস্তিতে   থাকা অসহায়দের মাঝে শীতের কোম্বল তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাভাবিপ্রবি সিআরসির সভাপতি মো.আরিফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো.ইমাম হোসেন বলেন, "আজকের এই প্রোগ্রাম আমাদের শিক্ষার্থীদের সুন্দর মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমি আশা করবো সামনের দিনগুলোতে সিআরসি আরও সমাজকল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসবে।" পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। 


ক্লাবের উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, "আজকের এই প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে সফল করার জন্য সিআরসি সহ যারা আজকে এখানে এসে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে সফল করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সিআরসি অসহায়,দরিদ্র,এতিম ও পথ শিশুদের  নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।"

সিআরসির সভাপতি মো.আরিফুল ইসলাম বলেন, "আমরা অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় আমরা চেষ্টা করি দুর্যোগ কবলিতদের পাশে থাকার এবারও চেষ্টা করেছি অসহায়দের পাশে থাকার।

সিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মাভাবিপ্রবি সিআরসি শাখার প্রধান সমন্বয়ক তোকির আহমেদ বলেন, "ভুপেন হাজারিকার "মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য" এই উক্তিকে সামনে নিয়ে আমরা কাজ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি পরবর্তীতে যারা দায়িত্বে আসবে তারাও এভাবে অসহায়দের পাশে থেকে কাজ করে যাবে।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর আব্দুল হালিম, সহকারী অধ্যাপক শাকিল মাহমুদ শাওন, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিআরসির সভাপতি ফরহাদ হোসেনসহ ক্লাবের সদস্যরা।


আরও খবর



প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্তির সুপারিশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত কনসালটেশন (পরামর্শক) কমিটি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে।

সুপারিশ অনুযায়ী- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধু ‘শিক্ষক’ পদবি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তীতে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টাকে এ সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয় পরামর্শক কমিটি। পরে বিকেল ৫টায় এ নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

এসময় পরামর্শক কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ৯ সদস্যের এ পরামর্শক কমিটি দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মোট ১৪টি সুপারিশ করেছে।

শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের শিক্ষাকর্মীদের পেশাগত মর্যাদা, পদোন্নতি ও পেশাগত অগ্রগতির ব্যাপারে নির্দিষ্ট আশু পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদে প্রাথমিক শিক্ষকসহ বিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো বিবেচনা করার সুপারিশ করে কমিটি। এ উদ্দেশ্যে আশু উদ্যোগ নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।

পরামর্শক কমিটির সুপারিশে শিক্ষকদের বেতন বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন। প্রধান শিক্ষকদের জন্য সরকার ১১তম গ্রেড দিয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে পদায়নের দাবি উচ্চ আদালতে সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করেছে।

সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটির অন্তর্বর্তী সুপারিশ হলো- শিক্ষক পদে প্রবেশ ১২তম গ্রেডে, দুই বছর পর স্থায়ীকরণ, আরও দুই বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি।

প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে যে সুপারিশ সরকারের রিভিউ আবেদন প্রত্যাহার ও প্রধান শিক্ষকের জন্য ১০ম গ্রেড নির্ধারণ ও সকল প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ। শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক নিয়মানুসারে উচ্চতর স্কেল পাওয়ার যোগ্য হবেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে ও সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে দায়িত্বভাতাসহ পদায়ন করা যেতে পারে।

মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পদোন্নতিযোগ্য পদসমূহ ও শূন্যপদ আশু পূরণ, সমন্বিত গ্রেডেশন, পারস্পরিক বদলি, আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

সুপারিশ প্রতিবেদনের শেষাংশে বলা হয়, শিক্ষা সংস্কারের জন্য কোনো সহজ জাদুকরী সমাধান নেই। প্রস্তাবিত সুপারিশের বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সমন্বিত বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। পঞ্চম প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কার্যক্রম ও সরকারের বার্ষিক বাজেট হবে সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রধান বাহন।

গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। কমিটিতে একজন সদস্যসচিব ও ৭ জন সদস্য ছিলেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সচিব খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-২ এর সাবেক যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, গণসাহায্য সংস্থার পরিচালক (শিক্ষা) বেগম সামসি হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরাম মারিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ এবং শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল আলম।


আরও খবর



পর্যটনের হাতছানি দিচ্ছে ‘তারুয়া’ সমুদ্র সৈকত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পর্যটনের অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত। যার একদিকে সবুজ বন, অন্যদিকে সৈকত পাড়ে বালুর ঝলকানি আর লাল কাঁকড়ার বিচরণসহ জীব বৈচিত্র্যের সমারোহে ভরপুর এ চরটি যেন প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। প্রায় ৪ দশক আগে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে জেগে ওঠা এই চরের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রতিনিয়ত ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করছে। বলছিলাম ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনায় অবস্থিত তারুয়া সমুদ্র সৈকতের কথা। এই চরটি প্রকৃতির সুনিপুণ নিখুঁত এক অপরূপ সৃষ্টি।

জানা গেছে, জেলা শহর থেকে প্রথমে চরফ্যাশনে যেতে হবে। যার দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। এরপর চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কপথ এবং ১৫ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিলেই দেখা মিলবে তারুয়া চরের। প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘের এই চরটি দেখতে অবিকল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতই। সৈকতের একপাশে বঙ্গোপসাগর আর অন্য পাশে বিস্তীর্ণ চারণভূমি, যা শেষ হয়েছে সৈকত ঘেরা ম্যানগ্রোভ বনে গিয়ে। এই চরের মোহনীয় রূপ সকলকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

স্থানীয় জেলে সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের বুকচিরে জেগে ওঠে এই চর। ওই চর মোহনায় একসময়ে শত শত তারুয়া নামের এক প্রকার মাছ ধরা পড়ত জেলেদের জালে। তাই সেই মাছের কারণেই এ চরের নামকরণ করা হয়েছে তারুয়া। শীত মৌসূমে এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো পর্যটক ঘুরতে আসে। অধিকাংশ পর্যটক তাঁবু টানিয়ে রাত্রী যাপন করে থাকেন। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।

তারুয়া সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা লিটন, আরিফ ও শাহাবুদ্দিন বলেন, তারুয়া সৈকত প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য চমৎকার জায়গা। এখানে অপার সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যেতে যে কারো ইচ্ছা করবে। এটা দেখতে অবিকল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতই।

ঘুরতে আসা পর্যটক মামুন বলেন, আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিগত বছরে কক্সবাজার, কুয়াকাটা গিয়েছি। সেখানকার থেকে কোনো অংশে কম না তারুয়া সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত এবং যাতায়াত ব্যবস্থা যদি সহজ করা যায়, তাহলে এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দিতে পারে। সরকার যদি এখানে পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম পর্যটন স্পটে পরিণত হবে।

জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, পুরো দ্বীপজেলাতেই পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো মনপুরা, ঢালচরের তারুয়া সৈকত ও চর কুকরি-মুকরি। এই জায়গাগুলোতে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ ও সহজ যোগাযোগব্যবস্থার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে তারুয়া সমুদ্র সৈকতের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, যাতে পর্যটকরা এখানে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও থাকতে পারে।


আরও খবর

দুই বছর পর খুলল বান্দরবানের দেবতাখুম

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪




এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সাত হাজার অভিবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলে রেখেছিলেন, দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে এসেই তিনি অবৈধ অভিবাসী তাড়ানো শুরু করবেন। আদতে তিনি করছেনও তাই।

গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৭ হাজার ২৬০ জন নথিবিহীন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমসবিষয়ক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

এদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৬৩ জনকে কারাগারে রাখা হয়েছে। শিগগিরই তাদের নিজ নিজ দেশ কিংবা কিউবার গুয়ান্তানামো কারাগারে পাঠানো হবে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আইসিই।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউইয়র্ক সিটি, ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের শিকাগো এবং ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এই নথিবিহীন অভিবাসীদের।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতি যৌন সহিংসতা, বন্দুক ও মাদকসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে শনিবারের এক্সবার্তায় জানিয়েছে আইসিই।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




অন্যায় অযৌক্তিকভাবে বন্ধ হওয়া পাটকল চালু না হওয়া দুঃখজনক

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ২৭ এ জানুয়ারি ২০২৫ গণতন্ত্র অভিযাত্রার সপ্তম দিনে খুলনার বৈকালিক মোড় থেকে খালিশপুর অঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে পদযাত্রা ও মতবিনিময় করেছেন। 

এ সময় তিনি বিভিন্ন শ্রমিক অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন। শ্রমিকরা জানান, তারা তাদের যৌবনের পুরো সময়টা ব্যয় করেছে এ অঞ্চলে পাট শিল্প রক্ষার জন্য। তাদেরকে হঠাৎ করে চাকরিহারা করা হলো। পাটকল বন্ধ করা হলো। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পরও এখনো পাটকল খোলার কোন নাম গন্ধ নেই। বরং বিভিন্ন এলাকায় পাটকল গুলোর জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে, কল কবজা লুটপাট হচ্ছে। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে হাত পেটা খেয়ে জীবন ধারণ করছে। 

রুহিন হোসেন প্রিন্স ,স্বৈরাচারী শাসনামলে অন্যায় অযৌক্তিকভাবে বন্ধ হওয়া পাটকল চালু না হওয়াকে দুঃখজনক অভিহিত করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই পাট উপদেষ্টার সাথে দেখা করে লাভজনকভাবে পাটকল চালুর বিকল্প পথ আমরা তুলে ধরেছিলাম। তিনি কথা দিয়েছিলেন পাটকল চালুর ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আমরা দেখলাম উপদেষ্টার পরিবর্তন হলো। এমন একজনকে উপদেষ্টা করা হলো তিনি নিজেদের মালিকানায় আধুনিক পাট কলেজ স্থাপন করেছেন। কিন্তু তীব্র শ্রমিক শোষণ করে নিজেদের অর্থবিত্ত গড়ে তুলছেন। 

তিনি বলেন এসব দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের দিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আধুনিককরণ করে পাটকল চালুর সম্ভাবনা ক্ষীণ। 

তিনি বলেন খুলনা এক সময় শিল্পনগরী হিসাবে খ্যাত ছিল। এখন শিল্পহীন নগরীতে পরিণত হয়েছে। এখানে বন্ধ শিল্প কলকারখানা চালু ও নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা ছাড়া এ অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকার উন্নয়ন করা যাবে না। 

তিনি বলেন এসব দাবিতে শ্রমিক মেহনতি মানুষকে নিজেদের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। 

তিনি কলকারখানা চালু এবং এই অঞ্চলে স্থাপিত যেকোনো কারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাক্তন শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়োগের দাবি জানান। একই সাথে নানা নিয়মের মারপ্যাঁচে যেসব শ্রমিক কর্মচারী এখনো তাদের সমুদয় পাওনা পাননি তাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবি জানান। 

পদযাত্রা ও মতবিনিময় সিপিবির খুলনা জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাস, সাধারণ সম্পাদক এস এ রশিদ , এইচ এমন শাহাদাত, মিজানুর রহমান বাবু, চিত্তরঞ্জন গোলদার, মিজানুর রহমান স্বপন, গাজী আফজাল হোসেন, নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ ঢালি , বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, তোফাজ্জল হোসেন, পলাশ দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার ভূষণ চন্দ্র তরুণ, অধ্যাপক সঞ্জয় সাহা , সৈয়দ রিয়াসাত  আলী রিয়াজ, সাইদুর রহমান বাবু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

মতবিনিময়ে স্থানীয় জনসাধারণ পাটকল ও পাট শিল্প রক্ষায় এবং মানুষের স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রাখায় সিপিবি নেতৃবৃন্দ কে ধন্যবাদ অভিনন্দন জানান। তারা আগামীতে এসব আন্দোলনের সাথে থাকারও অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।


আরও খবর