Logo
শিরোনাম

কুবিতে ‘ইউর ক্যাম্পাস’-এর সেবা চালু; স্বয়ংক্রিয় লন্ড্রি সেবা দিয়ে যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রা সহজ ও সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসন এবং ‘ইউর ক্যাম্পাস’-এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রথমে স্বয়ংক্রিয় লন্ড্রি সেবা চালু করা হবে এবং পরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য সেবা চালু করা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসনের সঙ্গে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। 

‘ইউর ক্যাম্পাস’ একটি উদ্ভাবনী স্টার্টআপ, যা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে প্রযুক্তি-নির্ভর সেবা প্রদান করে। তাদের সেবার মধ্যে রয়েছে ইউর লন্ড্রি (ওয়াশিং মেশিন), ইউর শপ (ভেন্ডিং মেশিন), ইউর অফারস্ (ই- কমার্স) এবং সেইভ ইউর প্ল্যানেট (স্মার্ট বিন)।

চুক্তি অনুযায়ী, ‘ইউর লন্ড্রি’ সেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বল্প খরচে আধুনিক এবং স্বয়ংক্রিয় মেশিন ব্যবহার করে তাদের পোশাক ধোয়ার সুবিধা পাবেন। প্রতিবার ৩০-৫০ টাকায় ১৫-২০টি কাপড় পরিষ্কার করার সুযোগ থাকবে। সেই সাথে থাকবে স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি ই- কমার্স সাইট স্ন্যাকস ও বেভারেজের জন্য ভেন্ডিং মেশিন ইত্যাদি।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক মোঃ জিয়া উদ্দিন, বিজয় ২৪ হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান, কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক মোঃ হারুন, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আফরিন সানি এবং ‘ইউর ক্যাম্পাস’ এর কো-ফাউন্ডার ও সিআরও মোঃ ইসতিয়াক উদ্দিন। এসময় সুনীতি শান্তি হলের পক্ষে স্বাক্ষর করেন নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রভোস্ট।

এ বিষয়ে প্রভোস্ট কমিটির আহবায়ক সহযোগী অধ্যাপক মোঃ জিয়া উদ্দিন বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের স্বতন্ত্র চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত হওয়ায়, নগর জীবনের সাধারণ সুবিধাগুলো শিক্ষার্থীরা তত দ্রুত উপভোগ করতে পারে না। শিক্ষার্থীদের এই সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে আমরা প্রভোস্ট কমিটির একটি মিটিংয়ে আলোচনা করে ‘ইউর ক্যাম্পাস’ নামক অর্গানাইজেশনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছি এবং তাদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।”


তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তির আওতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হল ও একটি ডরমিটরিতে ওয়াশিং মেশিন, ভেন্ডিং মেশিনসহ ‘ইউর ক্যাম্পাস’ এর অন্যান্য সেবা সরবরাহ করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দুই ধরনের সুফল পাচ্ছে—একদিকে নতুন প্রযুক্তির সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, অন্যদিকে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলো সহজেই উপভোগ করছে।”

‘ইউর ক্যাম্পাস’-এর সিআরও মোঃ ইসতিয়াক উদ্দিন বলেন, “আমরা সবাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরেছি শিক্ষার্থীদের হলে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমরা "ইউর ক্যাম্পাস" উদ্যোগটি শুরু করি। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের বেসিক প্রয়োজনগুলোর সমাধান করা। তাই আমরা ভেন্ডিং মেশিন (ইউর শপ), ওয়াশিং মেশিন সার্ভিস (ইউর লন্ড্রি), ই-কমার্স, লকার সার্ভিস, এবং স্মার্ট বিনের মতো শিক্ষার্থী বান্ধব সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছি।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে, আমরা ইতিমধ্যে ২৬টি ক্যাম্পাসে পৌঁছে গেছি এবং আমাদের রেজিস্টার্ড অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭৬ হাজারের বেশি। তবে এখানেই থেমে নেই। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবর্তনে বিশ্বাসী এবং তাদের প্রতি দায়বদ্ধ। শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য আমরা সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

‘ইউর ক্যাম্পাস’ এর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এম্বাসেডর রুহিত পাল বলেন, “যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যাই তখন সর্বপ্রথম ‘ইউর ক্যাম্পাস’ এর সার্ভিসগুলো সম্পর্কে জানতে পারি। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল নিজের ক্যাম্পাসে এরকম প্রযুক্তি নির্ভর সুযোগ-সুবিধা সমূহ নিয়ে আসার। অনেক প্রচেষ্টার পর অবশেষে ‘ইউর ক্যাম্পাস’ এর সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”

আগামী মার্চ মাসের মাঝের দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইউর লন্ড্রি’ সেবাটি চালু হবে। ভবিষ্যতে ইউর শপ, ‘ইউর অফারস, লকার সার্ভিস এবং সেইভ ইউর প্ল্যানেট সেবাগুলোও পর্যায়ক্রমে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘ইউর ক্যাম্পাস’ বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের ২৬ টি ক্যাম্পাসে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


আরও খবর



বাড়তে পারে গরম

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপদাহ। শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রবিবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এমন তাপদাহ আরও কয়েক দিন চলতে পারে। তবে বৃষ্টির বার্তাও আছে। সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত বছরের মতো এ বছরও গরমে পুড়বে দেশ এমনটাই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৪ সাল। গত এপ্রিলে তাপমাত্রা ছিল ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশে টানা ৩৫ দিন তাপপ্রবাহ চলে। এবারও তাপমাত্রার চোখরাঙানি দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। এপ্রিল ও মে মাসে মেঘ সৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি থাকতে পারে। কালবৈশাখীর সংখ্যাও বাড়তে পারে। আর তাতে গত বছর যেভাবে একটানা দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলেছে, তা নাও থাকতে পারে। তবে গরমের অনুভূতি আগের চেয়ে বেশি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদদের ধারণা যে অমূলক নয়, পুরো শীতকালেই খানিকটা আঁচ পাওয়া গেছে। এবার শীত তেমন অনুভূত হয়নি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা বেশি ছিল ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেখা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গেছে। এই শীতে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহও দেখা যায়নি। শীতে বৃষ্টিও হয়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতোমধ্যে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলেছে, মার্চে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষ দিকে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। এপ্রিলজুড়ে থাকবে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করতে পারে এবং তা অব্যাহত থাকবে। শীতের মাসগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা এবার ইঙ্গিত দিচ্ছে, গরম অনেকটাই বেশি পড়বে।


আরও খবর



জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তা দিবে কে.? নওগাঁয় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তা দিবে কে? এ স্লোগানকে সামনে রেখে নওগাঁয় ফাতেমা ছোঁয়া নামের এক শিক্ষার্থী অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিশু ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবিতে নওগাঁ জেলা শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

সোমবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থী ফাতেমা ছোঁয়া মুখে কালো কাপড় বেধে, হাতে প্রতিবাদী পোস্টার নিয়ে ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

প্রতিবাদী ফাতেমা ছোঁয়া'র বাবা দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড "যাযাবর" এর সঙ্গীত শিল্পী ক্যাপ্টেন জানান, বর্তমান সময়ে আমার আপনার বাচ্চা নিরাপদ নয়। প্রতিনিয়ত ভঁয় কাজ করে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আমরা দেখেছি সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় অজস্র শিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর কতো? আমরা আর কতো প্রান হারাতে দেখবো?  আর কবেই বা আমার আপনার সন্তানরা ভঁয় মুক্ত সত্যিকারের স্বাধীন দেশ পাবে। স্বাধীন বাংলায় কোন ধর্ষকের স্থান নাই।  আমরা আছিয়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থী, জীবিত আর কোন আছিয়াকে আমরা হারাতে চাইনা। মৃত আছিয়াসহ সকল ধর্ষণের ও নির্যাতনের শিকারে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। এব্যাপারে স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি এনাম হক বলেন, মাগুরায়  ধর্ষনের শিকার হওয়া ৮ বছরের শিশু আছিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। সম্প্রতি সারাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন যেভাবে বেড়ে চলছে তার প্রতিবাদ হিসেবে আজকের এই অবস্থান কর্মসূচি সত্যিই প্রসংশার দাবিদার।  দেশব্যাপী এমন অপকর্মের ধিক্কার জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনে জড়িত সকল অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।  ধর্ষকদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করার জোর দাবী জানান তিনি।


আরও খবর



ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ওএসডি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) করা হয়েছে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলামকে। একই আদেশে দেশের আরো ২৮ জন সিভিল সার্জনকে ওএসডি করা হয়েছে।

রোববার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সনজীদা শরমিন এতে স্বাক্ষর করেছেন।

ঝালকাঠিতে ২১ তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঝালকাঠি ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে তত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

এদিকে,  ওএসডি করা ২৯ সিভিল সার্জনকে আগামী ৬ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ মান্য না করলে ৯ মার্চ তারা স্টান্ডরিলিজ হয়ে যাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

একেকজনের ত্বক একেক রকম, তেমনি ত্বকের সমস্যাও ভিন্ন। ত্বকে যা দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, আরেকজনের ক্ষেত্রে হয়ত হিতে বিপরীত। তবে ত্বকের যত ধরনের সমস্যা দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার পেছনে অনেকটাই দায়ী সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি।

এছাড়াও ত্বকের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল সানবার্ন বা পোড়াত্বক। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এই অতিবেগুনী রশ্মি বা সানবার্ন থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখাই মূলত সানস্ক্রিনের কাজ।

প্রতিদিন আমাদের ত্বক ২ ধরনের সূর্য রশ্মির মুখোমুখি হয়। একটি ইউভি-এ অন্যটি ইউভি-বি। ইউভি-এ রশ্মি ত্বকের ভেতর পর্যন্ত যেয়ে ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন কমিয়ে দেয়। যার ফলে চামড়া কুঁচকে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়, ত্বকে বয়সের ছাপ বোঝা যায়, ফাইন লাইনের মতো সমস্যা এবং রিংকেল তৈরি হয়। ইউভি-বি রশ্মি মূলত সানবার্নের মতো সমস্যার জন্য দায়ী। এছাড়া ত্বকের কালো দাগ বা পিগমেন্টেশনের সমস্যাগুলো হয় ইউভি-বি এর কারণে।

কানাডিয়ান ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন এবং আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি উভয় সংগঠনই মেলানোমা এবং ননমেলানোমা উভয় ত্বকের ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে এবং প্রতিরোধের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহারের সুপারিশ করে। কেননা কানাডায়, প্রতি বছর ৮০ হাজারেরও বেশি ত্বকের ক্যান্সার ধরা পড়ে। যার ৮০-৯০ শতাংশ অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণের সংস্পর্শে হয় বলে অনুমান করা হয়।

ইউভি-এ এবং ইউভি-বি দুরকম সূর্য রশ্মিই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে সেটি ইউভি-বি এর পাশাপাশি কত ভালো ইউভি-এ রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে তা বিবেচনা করতে হবে। কেনার আগে লেবেলে পিএ+, পিএ++, পিএ + + + এরকম কিছু লেখা আছে কিনা দেখে নিতে হবে যতগুলো প্লাস চিহ্ন থাকবে ত্বক তত সুরক্ষিত থাকবে।

সানস্ক্রিন কিংবা যেকোনো প্রসাধনী ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করলেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব। সাধারণত মানুষের ত্বকের ধরণকে ৪টি ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়। স্বাভাবিক, তৈলাক্ত, সংবেদনশীল ও শুষ্ক। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরনের ত্বকের জন্য আর্দ্রতা বজায় রাখবে এমন সানস্ক্রিন বাছাই প্রয়োজন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে যদি ঘাম হয় বিশেষত তৈলাক্ত ত্বক যাদের, তারা সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার না করে তার পরিবর্তে ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন, জেল সানস্ক্রিন, কিংবা স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারে। এতে ত্বক সহনশীল থাকবে এবং ঘামও কম হবে। অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যায়। সমুদ্রের পানিতে নামতে অথবা সুইমিং পুলে গোসল করতেও ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তা নাহলে পানি এবং ঘামের সঙ্গে সানস্ক্রিন উঠে যাবে। অর্থাৎ তেলতেলে ত্বক হলে জেল বেসড বা ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন। শুষ্ক ত্বক হলে অয়েল বেসড সানস্ক্রিন ভালো কাজ করবে।

সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অপশন থাকে। কিন্তু সবচেয়ে বড় যে বিষয় লক্ষ্য করা প্রয়োজন তা হচ্ছে এসপিএফ। এসপিএফ হল সান প্রটেক্টর ফ্যাক্টর। সানস্ক্রিন ক্রিম ছাড়া রোদে গেলে ত্বক মাত্র ২০ মিনিটেই ত্বক পুড়ে যায়। এই পুড়ে যাওয়ার সময়টুকুকে বর্ধিত করে দেয় এসপিএফ। মূলত এসপিএফ এর উপরেই নির্ভর করে সানস্ক্রিন একজনের ত্বককে কত সময়ের জন্য সুরক্ষা দিতে পারে।

এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি থাকলে তা ত্বককে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করতে পারে। এসপিএফ-৩০ আল্ট্রাভায়োলেট-বি ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়। আবার এসপিএফ-৫০ আল্ট্রাভায়োলেট-বি ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়।

কেউ যদি এসপিএফ-১৫ এর একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে এসপিএফ-১৫ কে ১০ দিয়ে গুন করে যত মিনিট পাওয়া যাবে তত সময় সূর্য রশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে ফলাফল আসে ১৫০ মিনিট অর্থাৎ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের জন্য নিশ্চিন্ত। এভাবে যে যত এসপিএফ এর সানস্ক্রিন ব্যবহার করছেন তা ১০ দিয়ে গুন করলে পেয়ে যাবে কতক্ষণ ইউভি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত আছে। মূলত এজন্যই সানস্ক্রিন বাছাই করার সময় অনেকেই বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন পছন্দ করেন।

সানস্ক্রিনগুলো প্রায়শই ২টি বিভাগে বিভক্ত হয়: রাসায়নিক ও খনিজ। রাসায়নিক সানস্ক্রিনগুলোতে অ্যাভোবেনজন, অক্টিসালেট, অক্টোক্রাইলিন, হোমোসালেট এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করা হয়। খনিজ সানস্ক্রিনে জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে। রাসায়নিক এবং খনিজ উভয় সানস্ক্রিন একইভাবে কাজ করে (অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে এবং সেই শক্তিকে অল্প পরিমাণে তাপে রূপান্তর করে) ।

কারো কারো জন্য, রাসায়নিক সানস্ক্রিন ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে, ঘন ঘন প্রতিক্রিয়া হলে খনিজ সানস্ক্রিন সেদিক থেকে ভাল হতে পারে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার

বাইরে বের হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এতে ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া যায়। না হলে সূর্যের আলোতে বের হওয়ার পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করে কোনো লাভ হয় না।

রোদ না থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রায় ৮০ ভাগই আটকাতে পারেনা মেঘ। তাই মেঘাচ্ছন্ন এমনকি বৃষ্টির দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়।

শুধু মুখে নয় বরং শরীরের যেসব অংশ রোদের সংস্পর্শে আসতে পারে, সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। প্লাস ওয়ানের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রায় ২০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের চোখের পাতায় সানস্ক্রিন প্রয়োগ করেননি। অংশগ্রহণকারীদের ধারণাও ছিল না তারা এই স্থানটি বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এটি ছিল তাদের জন্য ভীষণ উদ্বেগজনক কেননা চোখের পাতার ত্বকে প্রতি একক জায়গায় স্কিন ক্যান্সারের ঘটনা সর্বোচ্চ।

দিনের বেলায় বাসায় যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাসায় থাকলে কম এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও চলবে কিন্তু বাইরে বের হলে বেশি এসপিএফ যুক্ত বাছাই করতে হবে।

কোন সানস্ক্রিনই পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই সানস্ক্রিনের এসপিএফ এর উপরই কেবল নিশ্চিন্ত না থেকে ২ ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস করা উচিত।

সতর্কতা

১) সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিতে পারেন। এতে করে এলার্জি কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রভাব প্রথমেই চেহারার পড়বে না।

২) সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর অতিরিক্ত ঘাম হলে প্রয়োজনমত সানস্ক্রিনের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ঘামের সমস্যা কমে যাবে।

৩) সানস্ক্রিনের কাজ শেষ হলে অবশ্যই ভালো করে ক্লিনজিং করতে হবে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

আধুনিক ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর হাত ধরে একটু বিবর্তিত হচ্ছে। শুরু হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এবারের আসরে দুটি নতুন নিয়ম যুক্ত করার পাশাপাশি পুরোনো একটি নিয়মও ফিরিয়েছেন আয়োজকরা।

মুম্বাইতে বিসিসিআইয়ের সদর দপ্তরে আইপিএলের ১৮তম আসরের ‘ক্যাপ্টেনস মিট’ হয়। সেখানে ১০ দলের অধিনায়কদের নিয়মের বদলগুলো অবহিত করা হয়েছে বলে খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। ভারতীয় কন্ডিশনে রাতের ম্যাচে শিশিরের প্রভাব থাকে। এতে প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট হয় বলে মনে করছে আয়োজকরা। এজন্য দ্বিতীয় ইনিংসের ১১তম ওভারের পর যেকোনো সময় আরেকটি বল নিতে পারবে ফিল্ডিং দল।

তবে বল পরিবর্তনের আগে আম্পায়ার পরীক্ষা করে নেবেন আগের বলটি শিশিরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না।

আরেকটি নিয়মে এবার থেকে উচ্চতা এবং অফ স্টাম্পের বাইরের ওয়াইড বলে ডিআরএস নেওয়া হলে হক-আই এবং বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। সঙ্গে আইসিসি এখনো বলে থুতু বা লালার ব্যবহার শিথিল না করলেও করোনার সময় আরোপিত এই নিয়ম এবার থাকছে না আইপিএলে।


আরও খবর