Logo
শিরোনাম

কুমিল্লা বিবিরবাজার সীমান্তে মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
এ.কে পলাশ - কুমিল্লা প্রতিনিধি ::

কুমিল্লা বিবির বাজার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহজনক চলাফেরার সময় মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে আটক করেছেন ১০-বিজিবির বিবির বাজার ক‍্যাম্পের সদস্যরা।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বিবির বাজার সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা।

বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন-১০ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: ইফতেখার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অধিনায়ক লে.কর্নেল মো: ইফতেখার হোসেন এ বার্তায় জানান, সোমবার দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর আওতাধীন বিবির বাজার আইসিপি সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় এম এম শাহাবুদ্দিন মোল্লা (৬৫) নামক একজন বাংলাদেশী নাগরিক সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করায় বিজিবি তাকে আটক করে। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অবৈধভাবে ভারতে গমনের উদ্দেশ্যে তিনি উক্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করেছিলেন বলে তিনি জানান।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

আরও খবর

সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিচ্ছেন ৬ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামিরা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করছেন।

ওই ৬ শিক্ষার্থী হলেন— ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া , মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া , পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ , জিওগ্রাফির আল হসাইন সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল আলম।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ওই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহার উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



৭ দিনই হাফ পাস সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সপ্তাহের সাত দিনই শিক্ষার্থীরা হাফ পাস সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের এক সচেতনতামূলক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

সাইফুল আলম বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় ইউনিফর্ম অথবা ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে আজ (সোমবার) থেকেই শিক্ষার্থীরা হাফ পাস সুবিধা পাবেন।

তিনি আরও বলেন, আগের সময়সীমা (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) বাতিল করে এখন থেকে ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ সুবিধা দেওয়া হবে।

ঢাকা মহানগর এলাকার সব রুট ও এলাকার সব সিটি বাসে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ হবে বলেও জানান ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

নিরাপদ সড়ক আন্দোনের (নিসআ) আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত বলেন, ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিশেষ অবদানের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে হাফ পাস বাস্তবায়ন করা হয়।

এ সময় হাফ পাস শুধু বাস নয়, রেল ও নৌযানসহ সব পরিবহনে সরকারকে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



সরকারি কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সরকারি কর্মকর্তা সেজে ভূমি অফিসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির নিউমার্কেট থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ আলমগীর হোসেন।

গ্রেফতারকৃত মোঃ আলমগীর হোসেন কাঁটাবন ভূমি অফিসে কম্পিউটার অপারেটর পদে এক যুবককে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৮ লক্ষ টাকায় চুক্তি করে এবং নগদ সাত লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও চাকরি না দিলে নিউমার্কেট থানায় অভিযোগ করেন সেই যুবক। এ ঘটনায় মামলা রুজু হলে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪খ্রি.) বিকেলে কাঁটাবন ভূমি অফিসের সামনে থেকে আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের সময় আলমগীর হোসেনের হেফাজত থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দুইটি ভুয়া নিয়োগপত্র, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক পদে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র, তিন লক্ষ টাকার জমা স্লিপ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের চাকরির দুইটি ভুয়া আবেদন ফরম, একটি সিম্ফনি বাটন মোবাইল ফোন, দশ টাকা মূল্যের দুইটি স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন কাগজপত্র, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড এবং নগদ ২,৫০০ টাকাসহ একটি মানিব্যাগ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর সুধারামপুর থানা, ডিএমপির শাহবাগ থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৬ টি প্রতারণা মামলা রয়েছে।

নিউমার্কেট থানার রুজুকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃতকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অবনতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮১ তম, স্কোর ছিল ১৯। তবে এ বছর ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪ তম, স্কোর ১৯ দশমিক ৪। বাংলাদেশে ক্ষুধার মাত্রা মধ্যম পর্যায়ে। এই সূচক প্রকাশ করেছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স। তবে ২০১৬ সালের তুলনায় এবছর ক্ষুধার মাত্রা কমেছে বাংলাদেশে, তখন স্কোর ছিল ২৪ দশমিক ৭।

সূচক বলছে, ক্ষুধার মাত্রা উচ্চমাত্রায় থাকলেও বাংলাদেশ ক্ষুধা নিরসনে ভালো করছে। তবে এখনও ১১.৯ শতাংশ মানুষ অপুষ্টির শিকার। আর ২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু তার পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মৃত্যুবরণ করে। অপুষ্টির কারণে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর বয়স অনুপাতে উচ্চতা বাড়ছেনা আর ১১ শতাংশ ৫ বছরের কমবয়সী শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ছে না বলেও উল্লেখ করা হয় সূচকে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৫৬তম। নেপালের অবস্থান ৬৮ তম। এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের অবস্থান ১০৫ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১০৯ তম।

এ বছরের ক্ষুধা সূচক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধার মাত্র গুরুতর কারণ এই অঞ্চলে রয়েছে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অপুষ্টি। দক্ষিণ এশিয়ার ২৮২ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টির মধ্যে আছে।

এছাড়া বিশ্বের ৬টি দেশে বুরুন্ডি, শাদ, মাগাগাস্কার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনে ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক। ৩৬টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা রয়েছে গুরুতর পর্যায়ে। ২২টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে আছে।


আরও খবর



৮ মাসে ২২৪ কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২২৪ জন কন্যাশিশু। একই সময়ে হত্যার শিকার হয়েছে ৮১ জন এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ১৩৩ জন কন্যাশিশু।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর সৈয়দা আহসানা জামান (এ্যানী)

সৈয়দা আহসানা জামান (এ্যানী) বলেন, বর্তমানে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া সত্ত্বেও ধর্ষণ যেন প্রতিযোগিতা করে বেড়েই চলেছে। গত ৮ মাসে মোট ২২৪ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া, ৩২ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে একক ধর্ষণের শিকার ১৩৪ জন, গণধর্ষণের শিকার হয় ৩৩ জন কন্যাশিশু, প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু রয়েছে ৯ জনধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী ভেদে কেউ বাদ যায়নি এই জঘন্যতম বর্বর আচরণ থেকে। প্রেমের অভিনয়ের ফাঁদে ফেলে ৩৫ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে

এ সময় ডিএমপির গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তাদের পরিচালিত গবেষণায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে প্রায় ২৪ শতাংশ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ৮ মাসে ৮১ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এর অন্যতম কারণ ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আগে থেকে পারিবারিক শত্রুতার জের, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন। পাশাপাশি ২০ জন কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কেন মৃত্যু হয়েছে, এ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো কারণ বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি

আত্মহত্যার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ৮ মাসে ১৩৩ জন কন্যাশিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এর পেছনে মূলত যে কারণগুলো কাজ করেছে তা হলো হতাশা, পারিবারিক মতানৈক্য বা দ্বন্দ্ব, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়া এবং শারীরিকভাবে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ, যা নির্ভয়ে প্রকাশ করার মতো কোনো আশ্রয়স্থল না থাকা

চলতি বছরের গত ৮ মাসের অন্যান্য নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরে সৈয়দা আহসানা জামান বলেন, এই বছরের প্রথম আট মাসে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৮ জন কন্যাশিশু। অপহরণ ও পাচার হয়েছে ১৯ জন, পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জন কন্যাশিশুর। এছাড়া ১০ জন গৃহশ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে, একজনকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে এবং চারজন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কন্যাশিশু যদি বঞ্চনার শিকার হয় তাহলে পুরো জাতিকে তার মাশুল দিতে হবে। আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে ভালো করলেও পুষ্টির ক্ষেত্রে ভালো করতে পারিনি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জন্মের পর থেকেই ছেলে শিশুদের তুলনায় কন্যা শিশুদের অপুষ্টির হার সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি কন্যা শিশুদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই বিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে তারা অল্প বয়সে গর্ভবতী হয়ে যায়। যে কারণে মা ও শিশু দুজনই অপুষ্টিতে ভোগে

পরিবর্তিত ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ১১টি প্রত্যাশা ও দাবি জানিয়েছে। এগুলো হচ্ছে

-যৌন হয়রানি, উত্ত্যক্তকরণ ও নিপীড়ন রোধে সর্বস্তরের জন্য 'যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন' নামে একটি আইন জরুরি ভিত্তিতে প্রণয়ন করা

-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার সব ঘটনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা

-ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ এলে ধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যার পরিবর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হবে যে, সে এ ঘটনা ঘটায়নি, এ সম্পর্কিত প্রচলিত আইনের বিধান সংশোধন করা

-হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠনের কঠোর নির্দেশনা মনিটরিংয়ের ভিত্তিতে নিশ্চিত করা, যেন যৌন নিপীড়নের যেকোনো ঘটনার বিচার করা যায়। এ সংক্রান্ত জোরালো নির্দেশনা প্রতিটি অফিস-আদালতেও প্রণয়ন করা, যাতে একজন নারী বা কন্যাশিশু কোনোভাবেই যেন তার সহকর্মী, শিক্ষক বা বন্ধু কারও দ্বারা নিপীড়নের শিকার না হন

-কন্যাশিশু নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করা

-শিশু সুরক্ষায় শিশুদের জন্য একটি পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা

-বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা

-বর্তমানে বেশিরভাগ শিশুই স্মার্টফোনের মতো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে। তাই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রযুক্তির নেতিবাচক দিক থেকে তাদেরকে রক্ষার জন্য উচ্চপর্যায়ের আইসিটি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় সব ধরনের পর্নোগ্রাফিক সাইট বন্ধ করা

-সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ বাস্তবায়ন করা এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা

-একজন কন্যাশিশুও যেন পর্নোগ্রাফির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা

-সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাজেট বৃদ্ধি করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কন্যাশিশু ও তাদের অভিভাবকদের এর আওতায় আনা এবং ক্রমবর্ধমান কন্যাশিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারী-পুরুষ, সরকার, প্রশাসন, নাগরিক সমাজ, মিডিয়া, পরিবার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং পাশাপাশি তরুণ ও যুবসমাজকে সচেতনকরণ সাপেক্ষে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাদেরকে যুক্ত করা


আরও খবর