Logo
শিরোনাম

কুমিল্লা বিবিরবাজার সীমান্তে মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image
এ.কে পলাশ - কুমিল্লা প্রতিনিধি ::

কুমিল্লা বিবির বাজার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহজনক চলাফেরার সময় মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে আটক করেছেন ১০-বিজিবির বিবির বাজার ক‍্যাম্পের সদস্যরা।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বিবির বাজার সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা।

বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন-১০ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: ইফতেখার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অধিনায়ক লে.কর্নেল মো: ইফতেখার হোসেন এ বার্তায় জানান, সোমবার দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর আওতাধীন বিবির বাজার আইসিপি সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় এম এম শাহাবুদ্দিন মোল্লা (৬৫) নামক একজন বাংলাদেশী নাগরিক সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করায় বিজিবি তাকে আটক করে। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অবৈধভাবে ভারতে গমনের উদ্দেশ্যে তিনি উক্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করেছিলেন বলে তিনি জানান।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




রাজাকারের বেকসুর খালাসকে উদযাপন করে আমাদের ভোট চান? সায়ান

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

সিনিয়র প্রতিবেদক :

যেকোনো অন্যায়-অবিচারের বিরুধে প্রায় সোচ্চার দেখা গেছে সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। তিনি গান-কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

 এ ছাড়া রাজপথেও তিনি  থাকেন সামনের সারিতে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে সোচ্চার ছিলেন সায়ান। পরবর্তী সময়েও অন্যায় অবিচারে নিজের প্রতিবাদ থামিয়ে রাখেননি।  

এবার নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ শিল্পী। 

বুধবার দুপুর ১ টায় (২৮ মে) দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়ে কোলাকুলি করে ‘ভোটের রাজনীতি’ করতে গিয়ে এই দেশে কিছুদিন আগেই একটা বড় দলের ত্রাহি মধুসূদন দশা হয়েছিল। 

আওয়ামী এমন নতুন ধারাবাহিক-গুরুতর পাপকর্ম করেছে দেশের মানুষের বিপক্ষে, যে সেই দলের গুরু-পাপকে ভুলিয়ে দিয়েছে প্রায়। 

নতুন দল এনসিপি’র সার্জিসরা, হাসনাতরা প্রথম থেকেই তাদের রাজনীতি পরিস্কার করে দিয়েছে। ধন্যবাদ। সেই হিসেবে দেশের মানুষের, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হলো।

 দিনের শেষে ভোটেই তো দাঁড়াতে হবে আপনাদের। জামায়াতকে বুকের সাথে আগলে রেখে, রাজাকারের 'বেকসুর খালাসকে' উদযাপন করে আপনারা আমাদের ভোট চান? বিবেকবান স্বাভাবিক সাধারণ মানুষের? 

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, একাত্তরের পরে জন্মেছি বলে কি জামায়াত চিনি না? আলবদর চিনি না? বীরাঙ্গনার ব্যাথা বুঝি না?? এই দেশের ছোট ছোট বাচ্চারাও, ইতিহাসবিদদের মতন দিন তারিখের রেফারেন্স দিয়ে জামায়াতের জন্ম ইতিহাস বলতে পারবে না হয়তো। 

কিন্তু জামায়াত কি, তাদের আদর্শ কি, তারা এই দেশের মানুষকে নিয়ে কি করতে চায়, তা আজকে সকালে জন্ম নেয়া বাচ্চটাও কালকে বিকালের মধ্যে শিখে যায়। 

এনসিপির সমালোচনা করে সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান লিখেছেন, এনসিপি যে এই জায়গাটা ধরতে পারে নাই, তা তাদের বুদ্ধিমত্তার নির্দেশক। তারা নতুন দেশ গড়ার কথা বলে নিজেদের ভোটের জন্য জামায়াতকে বুকে টেনেছে বলে মনে হয়। 

আবার তাদের আরেকটি সঞ্চয় হলো 'আওয়ামী-ঘৃণা'। আজকে দেশে অনেক অন্যায় ঘটছে। তাদের সেসবে হেলদোল নাই। কিন্তু জামায়াত আর আলবদরকে ভালোবাসায় তারা আগুয়ান। ধ ন্যবাদ এই স্বচ্ছতার জন্য। 

এ ছাড়া ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, আমি প্রতি মুহূর্তে নিজের রাজনীতিকে পরিবর্তন করার পক্ষে। আজকে যাকে ভালো লাগছে, কালকে তাকে ছুড়ে ফেলে দিতে দ্বিধা করি না, মাটির প্রশ্নে। সেই হিসেবে আমার রাজনৈতিক-ঈমান খুব তরল এবং সেটাই আমি চাই। নাহিদরা যখন বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল গত জুলাইতে, ওদের জন্য ভালোবাসা ছিল, সমর্থন ছিল। 

সেদিন সেটাই ছিল আমার রাজনীতি। ওদের সেই মৃত্যুর মুখে দাঁড়ানো, সেটাকে সেই সময়ের সত্যিকারের দেশপ্রেম, আর মানুষ প্রেম, মাটি-প্রেম মনে হয়েছিল। তার জন্য আমি একটুও দু:খিত হবো না কোনোদিন। আমার সেইদিনের সমর্থনের জন্য আমি কোনদিন অনুতপ্ত হবো না। নেভার! 

ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান লিখেছেন, কিন্তু গত কয়েক মাসের তাদের অনেক আচরণ, অনেক কিছু দেখতে দেখতে দেখছি, আজকে সেই একই দলের ছেলেমেয়েরা যে আজহারের বেকসুর খালাসকে উদযাপন করলো, আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সমর্থন করলো, (এমন কি লজ্জায় বা কৌশলে চুপ করে থাকলো না, প্রকাশ্যে সমর্থন করলো), আর নাদিরা ইয়াসমিন- এর অন্যায়ভাবে বদলির বিরুদ্ধে একটা কথাও বললো না, এই দেশের একজন মানুষ হিসেবে এটাই আমার আপাতত: রাজনীতি, যে এরপর এই নতুন দলটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আজকে থেকে বর্জন করলাম। 

এইটুকু করার কথা ভেবেই নিজের অশান্ত মনকে আমি খানিকটা শান্তি দিতে পারছি। আগামী নির্বাচনে আমি এনসিপি, জামায়াত, এই সমমনা দলগুলোকে ভোট নিজে তো দেবই না, এবং মানুষকে অনুরোধ করবো, যেন তারা এই দলগুলো থেকে দূরে থাকেন। একজন একক ব্যক্তি হিসেবে এটাই আমার সাধ্য। 

ইংরেজিতে তিনি আরও লিখেছেন, আই উইল নেভার সাপোর্ট এনসিপি (আমি কখনো এনসিপিকে সমর্থন করব না)!


আরও খবর



প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে নওগাঁয় এলেন ভারতীয় কিশোরী

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সীমান্ত পেরিয়ে প্রেমের টানে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে নুপুর সরকার (১৬) নামের এক ভারতীয় কিশোরী। গতকাল দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বামন পাড়া বিওপি সীমান্ত পিলার ২৪৫/সি এস এলাকা দিয়ে কিশোরী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করেছেন। এ ঘটনায় সীমান্ত আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বাবনগোলা থানার কাশেমপুর গ্রামের নুপুর সরকারের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বাংলাদেশি যুবক মাসুদের পরিচয় হয়। পরে মাসুদ ভারতে কাজ করতে গেলে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এরপর গতকাল দুপুরে প্রেমিক মাসুদের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে কিশোরীটি। তবে ভারতের বিএসএফ সদস্যরা মাসুদকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যান। নুপুর একাই বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করলে বামন পাড়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন। বিজিবি সূত্র জানায়, ঘটনার পরপরই পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেয়েটিকে ফেরত নেয়ার জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে সন্ধ্যায় বিজিবি সদস্যরা তাকে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করেন।

সত্যতা নিশ্চিত করে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আজিজ বলেন, বিজিবির মাধ্যমে মেয়েটিকে থানায় হস্তান্তরের পর সীমান্ত আইন অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে থানায় রাখা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের ফলে দেশের চার সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলেছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুকের দেওয়া সমুদ্রবন্দরের সতর্ক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সংস্থাটি জানায়, সাগরে লঘুচাপের ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




কিছু জায়গায় লবণ না দেওয়ায় চামড়া নষ্ট হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ |

Image

সরকার এবার কাঁচা চামড়ায় লবণ দেওয়ার জন্য প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ দিয়েছে। কিন্তু কিছু জায়গায় চামড়াতে লবণ না দেওয়ার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণলায়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্প নগরীর হলরুমে ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা জানান।

এ সময় ট্যানারিতে চামড়া সংগ্রহ নিয়ে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, এবার সাভারের বিসিক শিল্পনগরী ট্যানারিতে তিন লাখ ৮৮ হাজার কুরবানির পশুর চামড়া এসেছে। সারা দেশে আরও সাত লাখ ৫০০ হাজারেরও বেশি চামড়া রয়েছে। সেগুলো খুব শিগগিরই ট্যানারি কারখানাতে ঢুকবে। সরকার চেষ্টা করেছিল এবার চামড়া সংগ্রহটা যেন ভালোভাবে হয়। যেন মূল্যটা আমরা যতদূর সম্ভব, যেভাবে নির্ধারিত করেছি সেই ভাবে পাই। সরকার এবার কাঁচা চামড়ায় লবণ দেওয়ার জন্য প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ দিয়েছে। কিন্তু কিছু জায়গায় চামড়াতে লবণ না দেওয়ার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে। আর বাকি চামড়াগুলো আস্তে আস্তে ঢাকায় আসছে। সরকার চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।

আদিলুর রহমান খান বলেন, কিছু কিছু ছোট মাদ্রাসা চামড়ায় সময়মতো লবণ লাগাতে পারেনি। তবে বড় মাদ্রাসাগুলো লবণ ঠিকমতো লাগাতে পেরেছে। সরকার শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে চায়। চামড়াটা যেন নষ্ট না হয় সেটাও চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য ট্যানারিতে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিল্প টিকিয়ে রাখতে যা করা দরকার সব করা হবে।

ট্যানারি শিল্পের খারাপ অবস্থার জন্য বিগত সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, ট্যানারি শিল্পতে খারাপ অবস্থার কারণে আগের সরকারের সময় যারা দায়িত্বে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে দুর্নীতি দমন কমিশন ডাকছে। এটা ১৭ সালের সরকার না, এটা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। এর আগে যে সরকার উল্টো কাজ করেছে, তারা পালিয়ে গেছে। এই সরকার যা করা দরকার তাই করবে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




তিন মাসে ব্যাংকে ৪০ হাজার কোটি টাকা আমানত বেড়েছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশের ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এতে করে মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে আমানতের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ২৩ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এই পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। তিন মাসে আমানত বেড়েছে ৩৯ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা, যা প্রায় ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানত বেড়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ২০২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের মার্চ শেষে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।

এই সময়ে গ্রামীণ এলাকায় আমানত প্রবৃদ্ধি ছিল তুলনামূলক বেশি। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে গ্রামীণ এলাকায় আমানত বেড়েছে তিন শতাংশের বেশি, যেখানে শহরাঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ছিল এক দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে মোট আমানতের অধিকাংশই এখনো শহরকেন্দ্রিক। মার্চ শেষে শহরাঞ্চলের আমানতের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ২২ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, যা মোট আমানতের প্রায় ৮৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে আমানতের পরিমাণ তিন লাখ এক হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমানতের সঙ্গে সুদহারও বেড়েছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে গড় সুদহার ছিল ৬.০৪ শতাংশ, যা মার্চ শেষে বেড়ে সোয়া ছয় শতাংশ হয়েছে। সুদহার বৃদ্ধিই আমানত প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে জনগণের আস্থা কমে গিয়েছিল। বেশ কয়েকটি ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দেয় এবং কিছু ব্যাংক আমানত ফেরত দিতেও ব্যর্থ হয়। সরকারও ব্যাংক খাত থেকে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে বেশি পরিমাণে অর্থ ধার করায় সুদহার বেড়ে যায়, যার ফলে আমানতের প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়ে।

তবে গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একাধিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তনের পর নতুন ব্যবস্থাপনা আমানত সংগ্রহে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তারা সুদহার বাড়িয়ে নতুন আমানত আকর্ষণ করে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে সামগ্রিক আমানত প্রবৃদ্ধিতে।

এদিকে, তিন মাসে আমানত যেমন বেড়েছে, তেমনি ঋণও বেড়েছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। গত প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এই পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। তিন মাসে ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা বা এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।

ঋণের ক্ষেত্রেও শহর ও গ্রামের মধ্যে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। মার্চ শেষে মোট ঋণের ৯২ শতাংশ, অর্থাৎ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা গেছে শহরাঞ্চলে। অন্যদিকে, গ্রামীণ অঞ্চলে গেছে মাত্র এক লাখ ৩৬ হাজার ৭২১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের মাত্র আট শতাংশ।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫