Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের হীরক জয়ন্তী পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০২ নভেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

কুমিল্লা ব্যুরো ঃ

 ঐতিহ্যবাহি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের হীরক জয়ন্তীতে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করেছে শিক্ষাবোর্ড।

বুধবার সকালে বেলুন উড়িয়ে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ৬০ বছর পূর্তির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল নাসের। শোভাযাত্রাটি শিক্ষাবোর্ড প্রাঙ্গন থেকে নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরের উদ্যোনে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় নবীণ-প্রবীণের মেলবন্ধনে দেশের সেরা শিক্ষার্থীসহ শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষক,শিক্ষার্থীসহ অবসরে যাওয়া শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা অংশ নেন।


কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেণী, নোয়খালী ও লক্ষীপুর ৬ জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম সফল ভাবে চালিয়ে আসছে।

১৯৬২ সালে যখন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় তখন মাত্র ২৭টি কলেজ এবং ৫৩২টি মাধ্যমিক স্কুলের দায়িত্ব পালন করে এই প্রতিষ্ঠানটি। আর বর্তমানে ৪২৬টি কলেজ এবং ১৯৬৫টি মাধ্যমিক স্কুলের দায়িত্ব পালন করছে কুমিল্লা বোর্ড। 

একসময় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের সকল জেলার দায়িত্ব পালন করেছে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বোর্ড আলাদা হয় এবং আরো পরে সিলেট বোর্ডও স্বতন্ত্র দায়িত্ব পায়।


আরও খবর



অধিকাংশ লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বিভিন্ন রুটে স্বল্প দূরত্বের পরিচিত যান হিউম্যান হলার-লেগুনা বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুটপারমিট ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলেও প্রভাবশালী রাজনীতিকদেরমদতেআর পুলিশের আস্কারায় লক্কড়ঝক্কড় অবস্থায় বছরের পর বছর বীরদর্পে রাজপথে চলছে বিপজ্জনক এই যান পুরাতন মাইক্রোবাস কেটে লেগুনায় রূপান্তর করা এসব যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণও 

ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে, এসবের স্টিয়ারিংও রয়েছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের হাতে। যাদের হেলপারও কোমলমতি শিশু। লেগুনা মালিক-শ্রমিকরা এক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করছেন না। শিশুশ্রম বিষয়টিও বেমালুম কেয়ারই করছে না শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তবে কাগুজে তৎপরতা কিছুটা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। 

ছাড়া দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম হলেও নিয়ে কোনো ভূমিকাই দেখা যাচ্ছে না পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের। নিয়মনীতি মেনে না চলা এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নজিরও খুবই কম। যার অন্যতম কারণ এসব লেগুনার মালিকানায় রয়েছেন খোদ পুলিশ সদস্যরাও। গতকাল দৈনিক বাংলা মোড়ে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় দুই কনস্টেবলের সাথে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)  

তারা জানান, রাজনৈতিক নেতা, প্রতিবন্ধী, সাংবাদিক পুলিশের মালিকানায় চলছে রাজউক ভবনের সামনে থেকে বাসাবো-খিলগাঁও রুটের লেগুনা। রুটপারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই; জানা থাকলেও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। কোনো একটি লেগুনা আটকালেই সাংবাদিক, না হয় রাজনৈতিক নেতা কিংবা খোদ পুলিশ অফিসাররাও ফোন দিচ্ছেন। চা খাওয়ার দাওয়াত দিচ্ছেন। 

তবে প্রতিদিন দৈনিক বাংলা মোড়ে ফকিরাপুল মোড়ে দুটি করে লেগুনা রেকার করা হয়। রেকার বিল নিয়ে আবার ছেড়েও দেয়া হয়। সরকারের রাজস্বের যোগান হলেও অনিময়মের মধ্য দিয়েই চলার কারণ রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ সাংবাদিকদের মালিকানা। রাজউক ভবন থেকে খিলগাঁও-বাসাবো রুটে যে কটি লেগুনা চলছে এর মধ্যে ১৫টি সাংবাদিকের, পুলিশের মালিকানায়ও প্রায় ২০-৩০, বাকি সব রাজনৈতিক নেতাদের, প্রতিবন্ধীদের। ঢাকার অন্যান্য রুটেও একই অবস্থা বলে বলছেন তারা। 

ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা প্রাপ্তবয়স্ক চালকদের কাগজপত্র তল্লাশি করতে দেখা গেলেও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্বিকার। পুলিশের সামনে দিয়েই যানবাহনের স্টিয়ারিংয়ে বসে মাঝে মাঝে যাত্রীবাহী লেগুনা নিয়েই অপ্রাপ্তবয়স্করা মেতে উঠছে গতির লড়াইয়েও। ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দায়িত্বশীল দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, অনেক সময় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদেরও এসব লেগুনায় যাতায়াত করতে দেখা যায়

বেশ কিছু দিন ধরে সরেজমিন ঘুরে ঢাকার রাস্তায় চলাচল করা অধিকাংশ লেগুনাতেই দেখা গেছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। যারা ওস্তাদের দেয়া ট্রেনিংয়ের ভিত্তিতেই স্টিয়ারিং ধরেছে বলে জানায়। আর এই ট্রেনিং তাদের কাছে বিআরটিএর লাইসেন্সের চেয়েও মূল্যবান। বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই চালকের আসনে বসা এসব বালক চালকদের সহযোগীও কোমলমতি শিশুরা। ঢাকায় সরকারি হিসাবে বৈধ প্রায় পাঁচ হাজার লেগুনার স্টিয়ারিংয়ে বসে আছে অন্তত ১০ হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। সংখ্যার ৬০ শতাংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া প্রতিটি লেগুনায় রয়েছে একজন করে হেলপার। সে হিসাবে ১০ হাজার হেলপারের মধ্যে হাজারই অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং কোমলমতি শিশুও রয়েছে । 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক হয়, সেখানে ১৩-১৪ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোররাই বনে যাচ্ছে চালক-হেলপার। যারা মানুষের সাথে সঠিক আচরণ কীভাবে করতে হয় তাও বুঝে না এখনো। আর এদেরই কাজে লাগাচ্ছে লেগুনা সংশ্লিষ্টরা। যেখানে আন্তর্জাতিকভাবেই শিশুশ্রম নিষিদ্ধ।     

বাংলাদেশে শ্রম অধিদপ্তরের কলকারখানা পরিদর্শকরা যেসব প্রতিষ্ঠানে শিশুশ্রমিক আছে বা যেসব মালিকরা শিশু শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু প্রক্রিয়াও এখন কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।হানিফ খোকন বলেন, ‘শিশুশ্রমের ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ। ঢাকায় লেগুনাচালক অপ্রাপ্তবয়স্ক কেবল তাই না, বিভিন্ন সিএনজি গ্যারেজে মিস্ত্রি হিসেবেও কাজ করছে শিশু-কিশোররা। ছাড়া ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ, লেদ আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতেও যারা কাজ করে তাদের বয়সও সর্বোচ্চ ১০-১২ বছর। শিশুশ্রমে জর্জরিত আমাদের দেশ। ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক ড্রাইভাররাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেগুনার চালক-হেলপার নেয়। রাস্তায় ঘুরাফেরা করে এমন শিশু-কিশোরদের তারা ধরে এনে স্টিয়ারিংয়ে বসাচ্ছে। 

ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কাজ করছে দৈনিক ২০০ টাকার লোভ, আর নিয়োগ দেয়া চালকের ভাবনায় থাকছে প্রফেশনাল কাউকে নিলে দিতে হবে বেশি বেতন খাবার খরচ। বাড়তি খরচ এড়াতেই ২০০ টাকায় শিশু-কিশোর দিয়ে লেগুনা চালাচ্ছে তারা। 

তিনি আরও বলেন, লেগুনাগুলো চলে দৈনিক জমায়। গাড়িগুলোও খুবই লক্কড়ঝক্কড়। প্রাপ্তবয়স্ক অভিজ্ঞ চালকরা এসব চালাতেও চায় না। যারা লাইসেন্স পায়নি, অপ্রাপ্তবয়স্ক বা হেলপারি করত ঝুঁকি উপেক্ষা করেই তাদের হাতেই স্টিয়ারিং দিচ্ছে তারা। ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থারও ব্যর্থতা রয়েছে, শ্রম অধিদপ্তরেরও অবহেলা আছে। অন্যথায় লেগুনা কিংবা গণপরিবহনে শ্রম আইনের এমন বরখেলাপ হতে পারে না

এদিকে অদক্ষ হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনার প্রবণতাও বাড়ছে। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওস্তাদের কাছ থেকে ড্রাইভিং শেখা অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা যাত্রী পরিবহন করে পুলিশের নাকের ডগায়। সড়কে চলাচলরত অবস্থায় লাইসেন্সের বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক ডিভিশনের। তাদের দায়সারা দায়িত্ব পালনের কারণেও এসব বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। একাধিক অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পুলিশ থামায়, পরে ছেড়েও দেয়। 

যাত্রীরা বলছেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা নিজের মতো গাড়ি চালায়। কোনো কিছুর ধার ধারে না। এদিকে নিজেদের দক্ষতার কথা জানান দিয়ে এসব চালকদের ওস্তাদরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, অভিজ্ঞ সিনিয়রদের না দিয়ে কম বয়স্কদের দিয়ে বেশি আয় করার জন্য গাড়ি চালান তারা। যদিও কম বয়সি চালকরা কিছুটা অসতর্কতার সাথে চালায় বলেও স্বীকার করছেন তারা। ভবিষ্যতে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ের হাল ধরার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই কোমলমতি শিশু হেল্পাররাও। সব জেনেও কেন উঠেন এমন প্রশ্নের জবাবে যাত্রীরা বলছেন, বাধ্য হয়েই লেগুনায় উঠছেন তারা।  

পরিবহন বিশেষজ্ঞ . মো. শামসুল হক বলেন, ‘অদক্ষ, অবৈধ চালক দিয়ে যখন চালানো হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই এরা যানজটের দিকে লক্ষ করবে না, নিরাপত্তার ইস্যুটিও লক্ষ করবে না। তাদের নজর রাস্তায় থাকে না, নজর থাকে যাত্রীর দিকে। রাজধানীতে অধিকাংশ লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা। যাদের না আছে লাইসেন্স, না আছে সংকেত সম্পর্কে কোনো ধারণা। অদক্ষ চালকের কারণেই দেশে আশঙ্কাজনক হারে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

এদিকে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চাইল্ড লেবার ইউনিট শিশুদের জন্য ট্রাক বা টেম্পো বা বাস হেলপারের কাজটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২০১৩ সালে একটি তালিকা প্রণয়ন করে। সেখানে বলা হয়, সরাসরি রৌদ্রের মাঝে ট্রাক বা টেম্পো বা বাস হেলপার হিসেবে কাজ করার কারণে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির ধোঁয়া সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়মিত খাবার গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এসব শিশু-কিশোরদের। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা, পাকস্থলিতে ঘা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, মূত্রনালীতে সংক্রমণ এবং শারীরিক মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে বলেও উল্লেখ করা হয়। 

এসব থেকে পরিত্রাণ মোটকথা, শিশুশ্রম বন্ধের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা প্রণয়নের পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দিনে দিনে খাতে শিশু-কিশোরদের সংশ্লিষ্টতা বেড়েই চলেছে। এসবের তদারকিতে যেন এক ধরনের অনীহা প্রকাশ পাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। তবে সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদেরউপানুষ্ঠানিক শিক্ষাদক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণপ্রদানের মাধ্যমে শিশুশ্রম নিরসনে বিকাশের মাধ্যমে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বৃত্তি মেধাবৃত্তি বিতরণ করবে বলে বিকাশের সাথে একটি চুক্তি করে। এক লাখ শিশুর জন্য এই প্রকল্প। 

গণপরিবহনে নিয়োজিত শিশু-কিশোরদের জন্য পৃথক কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব . সেলিনা আক্তার বলেন, ‘এদের জন্য আলাদা করে কিছু নেই। যেসব এনজিও নিয়ে কাজ করছে তারা তালিকা দিচ্ছে। আমরা দেখছি। তবে আলাদা করে কিছু নেই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় তারাও পড়বে

 


আরও খবর



তরমুজের ব্যাপক দরপতন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর আড়তে তরমুজ রাখার জায়গা পাচ্ছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এতে বাধ্য হয়ে ট্রাক ও ট্রলারে রেখেই চলছে তরমুজ বিক্রির চেষ্টা। তবে তরমুজ কেনার পাইকার কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তিন দিন ধরে আড়তে তরমুজের সরবরাহও বেড়ে গেছে। এতে দাম নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে।

সরেজমিনে মুক্তারপুর তরমুজ আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ১২টি আড়তের সামনে তরমুজের স্তূপ। আড়তগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আড়তগুলোর সামনে রয়েছে তরমুজ ভর্তি ১০টি ট্রাক। পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ৬টি ট্রলার ভর্তি তরমুজ। এসব ট্রলার ও ট্রাকে কয়েক লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। রাতে ট্রলার ও ট্রাক থেকে তরমুজ নামাতে দেখা গেলেও তরমুজ কেনার পাইকার তেমন দেখা যায়নি।

আড়তে তরমুজ নিয়ে আসা কৃষক ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪-৫ দিন আগে বরিশাল বিভাগে সামন্য শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি হলে তরমুজ সাধরণত নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই কম বেশি ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষক শিলা বৃষ্টির ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে বাজারে প্রচুর পরিমাণ তরমুজের সরবারহ বেড়েছে। যার কারণে দাম অনেক কমে গেছে।

এই আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, চার দিন আগে আমাদের এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রতিদিনিই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই নষ্ট হওয়ার ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে এই আড়তে নিয়ে আসছিলাম। দুই দিন ধরে ঘাটে ট্রলার ভিড়িয়ে বসে আছি। বেচাবিক্রি তেমন নেই। আগে যে তরমুজ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন তা ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দামে তরমুজ বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে।

একই এলাকার অপর চাষি মিজান হাওলাদার বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে জমি থেকে তরমুজ সব তুলে ফেলছি। এখন আড়তে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করতে পারছি না। সবকিছুর দাম বেশি। এ বছর তরমুজ লাগানোর মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তরমুজের চারার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই তরমুজের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। যে তরমুজ উৎপাদন করতে আমাদের ১২০-১৫০ টাকা খরচ হয়েছে, এখন তা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাহিন এন্টার প্রাইজের মালিক আলমগীর কবির বলেন, গত শনিবার থেকে তরমুজের দাম অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। কৃষকরা বলছে শিলাবৃষ্টির কারণে তারা তরমুজ জমি হতে তুলে নিয়ে আসছে। আড়তে প্রচুর তরমুজের আমদানি হয়েছে, কিন্তু ক্রেতা আগের চেয়ে কমছে। যার কারণে দাম অনেক কমলেও পাইকাররা সেভাবে আসছে না।

মুক্তারপুর আড়ত সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, তরমুজের অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের তরমুজ আড়তে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ৪ দিন আগেও যা ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। শিলাবৃষ্টির কারণে কৃষক সব তরমুজ কেটে একসঙ্গে আড়তে নিয়ে আসছেন, যার কারণ আমরা আড়তে তরমুজের জায়গা দিতে পারছি না। আমার এখানে ১২টি আড়তের প্রত্যেকটি তরমুজে ভরপুর জায়গা দেওয়ার স্থান নেই। তরমুজ প্রচুর থাকলেও সেভাবে পাইকার নেই।

 


আরও খবর



রিশাদ তাণ্ডবে সিরিজ জিতল টাইগাররা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। লঙ্কানদের হারানোর দিনে দলের চাপের মুখে ঝড়ো ব্যাটিং করেন রিশাদ হোসেন। ১৮ বলে ৪৮ রান করে দলকে সিরিজ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রিশাদ।

সোমবার (১৮ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট ও ৫৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-২ ব্যবধানে জিতে নিল স্বাগতিকরা।

২৩৬ রান তাড়ায় আহত সৌম্য সরকারের বদলি কনকাশন সাব হিসেবে ব্যাটিং করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৫০ বলে ৫০ রানের জুটি ছিল তার। ২২ বলে ১২ রান করে ড্রাইভ করতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে আভিশকা ফার্নান্দোর হাতে ক্যাচ দেন বিজয়। লাহিরু কুমারার বলে আউট হয়ে যান তিনি।

পরের ওভারে এসে নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরান কুমারা। তার বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দেন ৫ বলে ১ রান করা এই ব্যাটার। পরে কুমারাই নেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উইকেট। ২৫ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি ছোঁয়া তানজিদ খেলেন ৮১ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের ইনিংস।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মিরাজকে ফিরিয়ে হাসারাঙ্গা চাপ বাড়ান বাংলাদেশের ওপর। ৬২ বলে ৪৮ রানের জুটি ছিল তাদের। মিরাজ ফেরার পর উইকেটে আসেন রিশাদ।

উইকেটে এসে প্রথম বলেই হাসারাঙ্গাকে ছক্কা হাঁকান রিশাদ। ওই ওভারের বাকি চার বলে আরও একটি চার ও ছক্কা। হাসারাঙ্গা আবার ৪০তম ওভার করতে আসেন। ওই ওভারে ২৪ রান নেন রিশাদ। এতে দলের জয়ও তখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে থিকসানাকে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক।

২৫ বলে তার সঙ্গে রিশাদের জুটি ছিল ৫৯ রানের। ১৮ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ রান করেন রিশাদ। ৩৬ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

এ জয়ে সিরিজটিও নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশ জেতার পর দ্বিতীয়টিতে জিতেছিল সফরকারীরা।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জেনিথ লিয়ানাগে একাই খেলেন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডার। ১০১ রান করেন তিনি। এ ছাড়া ৩৭ রান করেন চারিথ আশালঙ্কা ও ২৯ রান করেন কুশল মেন্ডিস।


আরও খবর



নেত্রকোনায় প্রেস রিলিজ গাইডলাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আয়োজিত প্রেস রিলিজ গাইডলাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) শহরের কাটলি এলাকায় পিবি আই কার্যালয়ের হলরুমে এ সংক্রান্ত মূল আলোচনা করেন সময় টিভির রিপোর্টার সিনিয়র সাংবাদিক আলপনা বেগম।

কর্মশালায় ভিডিও বিষয়ে ধারণা দেন সময়ের চিত্র সাংবাদিক আবু সুফিয়ান।

কর্মশালায় পিবিআই নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবিরের সঞ্চালনায় পিবি আই ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরসহ ২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মশালায় পিবি আইয়ের সদস্যরা নারী ইস্যুতে ধর্ষণ খুন সহ চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিকটিমদের প্রকাশসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। 

এসকল ঘটনাসহ ভিডিও ধারণ সংক্রান্ত ধারণাও দেয়া হয়। 

বিশেষ করে এসকল তথ্য নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহিদুল হক, ইমদাদুল হক বাশার, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো: আশরাফুল হাসান, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান সহ অন্যরা তথ্য পরিবেশন ও ভুল বা সঠিক তথ্য সংক্রান্ত আলোচনা করেন।  


আরও খবর



তিতাসের অভিযানে গজারিয়া উপজেলার সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শাহাদাত হোসেন সায়মন :অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অভিযান চালাচ্ছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক মাসের অভিযানে গজারিয়া উপজেলার ১১ হাজার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে তিতাস কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া পুরাতন ফেরি ঘাট এলাকা থেকে অভিযান শুরু করে তিতাস। অভিযানের শুরুতে কাজী ফার্মস লিমিটেড সংলগ্ন অবৈধ একটি ঢালাই লোহা কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তারপর পুরান ব্যবসা এলাকায় এবং ভবেরচর বাজারে,   চরপাথালীয়া অভিযান চালায় তিতাস কর্তৃপক্ষ।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বৈধ সংযোগের তুলনায় অবৈধ সংযোগ বেশি হওয়ায় ওই এলাকাগুলোতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এন.এম. আবদুল্লাহ-আল-মামুন।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্, তিতাস গ্যাসের সোনারগা আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের  উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সরুজ আলম,মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান,সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক (মিটার এন্ড ভিজিল্যান্স) আতিকুল ইসলাম।

অভিযানে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুনচর চাষি, বলুরচর, এলাকয় বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া, ভবেরচর ইউনিয়নের কলেজ রোড,  ভবেরচর বাজার এলাকায়  ১১কিলোমিটার এলাকা জুরে ১ হাজার ৫'শ আবাসিক সংযোগ,২টি ঢালাই কারখানা, এবং একাধিক চা স্টলের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিতাস গ্যাস  মেঘনা অঞ্চলিক বিপনণ অফিসের ব্যাবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান পলাশ।


আরও খবর