Logo
শিরোনাম

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্ধের আগে কোন প্রচার প্রচারনা করা যাবে না

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা।

কুমিল্লায় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী। 

রোববার সকালে কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলমসহ সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

 মতবিনিময় কালে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান,  প্রতীক বরাদ্ধের আগে কোন প্রচার প্রচারনা করা যাবে না। আচরণ বিধি লংঙ্খনের দায়ে ইতিমধ্যে ৫থেকে ৬জনকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। ৪লক্ষ টাকা জরিমানাসহ বেশ কয়েকটি মটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আজ নগরের প্রার্থীদের বিলবোর্ড সরিয়ে নেয়া হবে। একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষে সততা নিরপেক্ষতা দিয়ে সর্বাত্নাক চেষ্টা থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রিটানিং কর্মকতা।

 প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাত দিয়ে রিটানিং কর্মকর্তা বলেন- সহিংসতা মুক্ত একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্যই কাজ করছেন নির্বাচন কমিশন। কোন ভোট কেন্দ্রে যেন কোন প্রকার অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য পযাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে। সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় 

এসময় কুমিল্লায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেট্রনিকস্ মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সাথে রিটার্নিং কর্মকর্তা এই প্রথম মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



গরম নিয়ে দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কয়েক দিনের টানা গরমের দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া কিছুটা শীতল হয়েছে। তবে গত কয়েক দিন অধিকাংশ জায়গায় আবহাওয়া শীতল থাকার পর ফের উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা আবহাওয়া অফিসের। কয়েক জেলায় তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারেও ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ দুঃসংবাদ জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এ সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় সোমবার (৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আজ মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা এ তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। এ সময় সারা দেশেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া বুধবার (১০ এপ্রিল) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে। এরপর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।ঐ দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শফিউল আলম, স্টাফ রিপোর্টার :

সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

সুনামগঞ্জ-১(জামালগঞ্জ,তাহিরপুর,মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনের কমিউনিষ্ট পার্টি ও বিএনপি থেকে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেনের প্রথম  জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায়। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রথম  জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশের একটি চৌকুস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। 

জানাযায় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ আওয়ামীলীগ বিএনপি জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতৃবৃন্দ একাকার হয়ে জানাযায় অংশগ্রহন করেন। 

 এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী,প্রমুখ। 

উল্লেখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন  বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে যান। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জের ট্যাকেরঘাট সাব সেক্টরের সহকারী অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে সুনামগঞ্জ-১ আসনে  সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৩ সালের ১৫ই অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপিতে যোগদান করেন। পরে ১৯৯৬ সালে ঐ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে এবং ২০০২ সালে তিনি আবারও মোট তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

পরবর্তীতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সাতগাঁও শাহাপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানযার ইমামতি করেন মাওলানা শায়খ বাহাউদ্দীন। জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আরও খবর



শ্রেণিকক্ষে পাঠ বা কোচিং ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিকে উপজেলায় প্রথম হলেন ফাতেমা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

হাফেজ উম্মে ফাতেমা। কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বটে। কিন্তু কোন শ্রেণিক্ষ বা শিক্ষকের সাথে নেই কোন পরিচয়। একদিনও শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহন করেননি। বাড়িতে ছিলোনা কোন প্রাইভেট পড়ার শিক্ষকও। অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে তিনি ১৩০০ ’র মধ্যে ১১৬৫ নম্বর পেয়েছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হাফেজ উম্মে ফাতেমা অভাবনীয় মেধার অধিকারি। সে একদিনও কলেজে ক্লাশ বা কোচিং করেনি। বাড়িতে একাই তার পাঠ চর্চা করেছে। সে আমাদের কলেজের মুখ উজ্জল করেছে। হাফেজ উম্মে ফাতেমা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন আশাকরি।

উম্মে ফাতেমা মাত্র ৮ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হেফ্জ শেষ করেছেন। সে কারনে তার নাম এখন ‘হাফেজ উম্মে ফাতেমা’। তার পিতা মো. টিপু সুলতান আমতলী ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার ইংরজি বিষয়ে অধ্যাপক। মা শিউলি খাতুন একজন গৃহিনী। তবে তিনি লোক প্রশাসন বিষয়ে অনার্স মাষ্টারস্ শেষ করেছেন।  

হাফেজ উম্মে ফাতেমা ভবিষ্যতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতে চান। সে লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারিভউ দিয়ে খ ইউনিটে টিকেছেন। ইংরেজি, অর্থনীতি বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করতে আগ্রহী হাফেজ উম্মে ফাতেমা। 


আরও খবর



ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন,স্টাফ রিপোর্টার :

ঢাকার ধামরাইয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

গত রাত মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) ভোরে সেহরি রান্নার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন নান্নু মিয়া (৬০), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৮), একমাত্র কন্যা সাথী আক্তার (২১) ও ছেলে সোহাগ মিয়া (১৮)। বর্তমানে সকলেই শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আহত নান্নু মিয়া উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা ইব্রাহিম হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। নান্নু মিয়া ইব্রাহিম হোসেনের ৪ তলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন।

জানা যায়, ভোর রাতে নান্নু মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম সেহরি রান্নার সময় ঘরে জমানো গ্যাসে অটো সুইচ দিলেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই সাথে তিনটি কক্ষের সব পুড়ে যায় এবং ঘরে নান্নু মিয়াসহ স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের আর্তচিৎকারে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনসহ প্রতিবেশীরা নান্নাু মিয়া ও তার স্ত্রী পুত্র ও কন্যাকে উদ্ধার করে অতিদ্রুত ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ইমারজেন্সিতে দ্বায়িত্বে থাকা চিকিৎসক দ্রুত তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানায়, সেহরির সময় হঠাৎ করে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনের ঢাক চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। পরে এগিয়ে দেখি তার বাড়ির নিচ তলায় ভাড়াটিয়া নান্নু মিয়ার কক্ষে আগুন লেগেছে। পরে সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে ইসলামপুর সরকারি হাসাপাতালে নিলে সেখান থেকে আবার তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি অগ্নিদগ্ধ ৪ জনকেই স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওই পরিবারে লাইন গ্যাস ও সিলিন্ডার গ্যাস দুটোই আছে। তবে গ্যাসের সিলিন্ডার ফাটেনি। ধারনা করা হচ্ছে লাইন গ্যাসের সুইচ খোলা ছিল। সেই গ্যাস ধীরে ধীরে ঘরের ভিতর জমা হয়েছে এবং রান্নার সময় আগুন দেওয়ার সাথে সাথেই তিনটি কক্ষে মালামাল যা ছিল পুড়ে গেছে এবং পরিবারে ৪ জন সদস্য ছিল সবাই মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

অগ্নিদগ্ধদের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা বলেন, আজ সেহরির সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চার জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায়।তাদের কে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



থামানো যাচ্ছে না কিশোর গ্যাং

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী নানা উদ্যোগ নিলেও কিশোর গ্যাং এর তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বড় শহরগুলোর গণ্ডি ছড়িয়ে এ সমস্যা এখন বিস্তৃত হচ্ছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও। এমনকি অনেক জায়গায় একাধিক কিশোর গ্যাং একে অন্যের সাথে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে।

গত শুক্রবার চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হওয়া চিকিৎসক কোরবান আলী বুধবার মারা গেছেন। ছেলেকে ওই গ্যাংয়ের হামলা থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মি. আলী।

পুলিশ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছে মূলত কিছু রাজনৈতিক নেতার পৃষ্ঠপোষকতাই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য দায়ী। মাদক বাণিজ্য, চাঁদাবাজি এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্তৃত্ব তৈরির জন্য এলাকার শিশু কিশোরদের নিয়ে গ্যাং তৈরি করে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেন ওই ধরনের নেতারা।

পুলিশ প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বছরে ৪/৫শ আটক হচ্ছে। মামলা হচ্ছে। সংশোধনাগারে দেয়া হচ্ছে অনেককে। কিন্তু শিশু কিশোরদের নিয়ে এ ধরনের কিশোর গ্যাং তারপরও বন্ধ হচ্ছে না মূলত কথিত কিছু বড় ভাই ও কিছু পলিটিক্যাল নেতার কারণে, বলছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ফারুক হোসেন। অন্যদিকে সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলছেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও সমাজ ব্যবস্থায় ঘাটতির কারণেই কিশোর অপরাধ বা গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামেই সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন কিশোর গ্যাংগুলোর পেছনে যাদের মদদ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেশে এটি (কিশোর গ্যাং) নতুন সমস্যা, এটিকে দূরীভূত করার জন্য সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যে যেই থাকুক বা সে যে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং হচ্ছে, বলছিলেন তিনি।

এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনায় এসেছে কিশোর গ্যাং ইস্যুটি এবং এ নিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ওই বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, কিশোর অপরাধীদের সংশোধনে প্রয়োজনীয়উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান

কিশোর গ্যাংয়ে সংখ্যা কত? কারা জড়িত হচ্ছে?


বাংলাদেশ রাজধানী ঢাকার উত্তরায় ২০১৭ সালে স্কুল শিক্ষার্থী আদনান খুনের ঘটনায় প্রথমবারের মতো ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিলো কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তখন বেশ কয়েকজন কিশোরকে আটক করেছিলো র‍্যাব যারা একই গ্রুপের সদস্য ছিল।

সে সময় আলোচনায় এসেছিলো উত্তরা ডিসকো বয়েজ ও বিগ বস কিশোর গ্যাং নামের দুটো গ্রুপ।

কিন্তু এরপর থেকে নিয়মিতই ঢাকাসহ নানা জায়গায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা নিয়ে খবরাখবর প্রকাশ হচ্ছিলো গণমাধ্যমে।

২০১৯ সালে বরগুনায় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর আলোচনায় আসে 'বন্ড ০০৭' নামের একটি গ্রুপ।

ঢাকার উত্তরার ১২ নম্বরে সেক্টরে বসবাস করেন নাহিদ হোসেন। উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা নিয়ে প্রায়শই খবর আসে গণমাধ্যমে।

মি. হোসেন বলছেন, এরা হুট করে এসে একেকটা ঘটনা ঘটায়। আর তাতে তাৎক্ষণিক কারও ক্ষতি হয়ে যায়। যেমন কারও সাথে এদের আরও একটু কথা কাটাকাটি হলো, কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যাবে ৩০/৪০ জন এসে হামলা শুরু করলো

এলাকায় বস্তিগুলোতে থাকে এমন কিশোরদের পাশাপাশি পড়ালেখা করে এমন কিশোরদেরও দেখতে পাচ্ছি এসব গ্রুপগুলোতে, বলছিলেন মি. হোসেন।

কিন্তু ঢাকাসহ সারাদেশে এমন কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা কত বা কত কিশোর তরুণ এ ধরনের অপরাধে জড়িত তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া কঠিন।

তবে ২০২২ সালে পুলিশের এক প্রতিবেদনে সারাদেশে ১৭৩টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় থাকার তথ্য দেয়া হয়েছিলো। এতে বলা হয়েছিলো ঢাকাতেই ৬৬টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় আছে। আর এসব দলগুলোতে ১০ থেকে ৪০/৫০ জন পর্যন্ত সদস্য আছে।

গাংচিল, ম্যাক্স পলু, বাট্টু বাহিনী, পটেটো, কবজি কাটা গ্রুপ, লাল বাহিনী- এমন সব বাহারি নামের কিশোর গ্যাংগুলোর সদস্যরা ছিনতাই, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, জমি দখলে সহায়তাসহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ার তথ্য এসেছে গণমাধ্যমে।

তবে চলতি বছর জানুয়ারিতে ঢাকার মধুবাগে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে দু'দল কিশোরের সংঘর্ষে একজন নিহত হবার পর র‍্যাব জানায় যে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ১ হাজার ১২৬ জনকে শুধুই র‍্যাবই আটক করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে। এর মধ্যে ২০২৩ সালেই আটক হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচিও হাতে নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ও র‍্যাব।

কিন্তু তারপরও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েই চলেছে কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপির মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলছেন, কিছু রাজনৈতিক নেতা এ জন্য দায়ী।

তারাই কিশোর তরুণদের বিপথগামী করছে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য। আমরা রাজনৈতিক নেতা বিশেষ করে কাউন্সিলর ও অন্যদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় করছি এবং উৎসাহিত করছি যাতে কিশোর গ্যাংকে কেউ প্রশ্রয় না দেয়, বলছিলেন তিনি।

আবার অনেক মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের বড় ভাই বা মদদদাতা হিসেবে অনুসন্ধানে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদেরকেও আসামি করা হয়েছে, বলছিলেন তিনি।

এর আগে, পুলিশের প্রতিবেদনেও ঢাকার একুশ জন কাউন্সিলের নাম উঠে এসেছিলো কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে। যদিও তাদের কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

পুলিশ বলছে মূলত পাড়া মহল্লার কিশোরদের দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করার যে প্রবণতা সেটিকেই ব্যবহার করে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি এসব গ্যাং তৈরি করেন।

১৫/১৬ বছর বা কাছাকাছি বয়সের কিশোরদের মধ্যে একটা হিরোইজম কাজ করে। সেটাকেই ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি তাদের ভুল পথে ঠেলে দেয়। এভাবেই তারা জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমে, বলছিলেন মি. হোসেন।

যদিও সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলছেন কিশোর অপরাধীরা যেসব অপরাধ করে এবং এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগ্রহ হয় তার ভাগবাটোয়ারা অনেক দূর পর্যন্ত যায় এবং এমনকি যাদের প্রতিরোধ করার কথা তারাও কেউ কেউ সুবিধা নিয়ে এসব কিশোর গ্যাংকে সুযোগ করে দেয়।

থামানো যাচ্ছে না কেন


তৌহিদুল হক বলছেন কিশোর অপরাধের ক্ষেত্রে 
বাংলাদেশ যে ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটি একপক্ষীয় এবং সংশোধনাগারগুলোও মানসম্মত নয়, অর্থাৎ কিশোর অপরাধীদের সংশোধন করে ভালো নাগরিক করার জন্য সক্ষম নয়।

এখানে যে অপরাধ করছে শুধু তাকেই ধরা হচ্ছে। যারা কিশোরদের সংঘবদ্ধ করে অপরাধ করাচ্ছে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। অর্থাৎ মদদদাতা বড় ভাই বা রাজনৈতিক নেতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, বলছিলেন তিনি।

যদিও পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলছেন যে এর আগের মামলাগুলোর তদন্ত পর্যায়ে মদদদাতা হিসেবে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মামলার আসামি করা হয়েছে।

তবে পুলিশ ও সমাজ অপরাধ গবেষকরা সবসময়ই বলে আসছেন যে পরিবারের তরুণ সদস্যদের সঠিক নির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে সব পিতা মাতা কিংবা পরিবার সবসময় ভূমিকা রাখতে পারছে না।

বিশেষ করে দরিদ্র অর্থাৎ প্রান্তিক পরিবারগুলোতে সঠিক অভিভাবকত্ব দেখা যায় না বলে সেসব পরিবারের কিশোররা সহজে ভুল পথে যায়, এমন অনেক উদাহরণের কথা জানাচ্ছেন তারা।

অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকের সাথে সন্তানের দূরত্ব, সঠিক নির্দেশনা বা সঠিক প্যারেন্টিং না থাকার সুযোগে অপরাধের সাথে কিশোর বয়সেই অনেকের পরিচয় ঘটে যায়। আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে ধরা পড়লে যেসব সংশোধনাগারে পাঠানো হয় সেগুলো খুবই সেকেলে। পাশাপাশি সামাজিক অনুশাসন একেবারেই ঢিলেঢালা পর্যায়ে চলে যাওয়ার কারণেই কিশোর গ্যাংয়ের বিস্তার থামানো যাচ্ছে না,

ফারুক হোসেন বলে শুধু কয়েকজনকে শাস্তি দিয়ে বা আইনের প্রয়োগ করেই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি বন্ধ করা অসম্ভব, বরং এজন্য সবার সহযোগিতা জরুরি।

সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কিশোর তরুণরা যেন ভুল পথে না যায় সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব পরিবার থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি সবার। পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে সবাইকে মোটিভেট করার যাতে অল্প বয়সী বাচ্চারা ব্যবহৃত না হয়, বলছিলেন তিনি।

ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকার বাইরেও


গত ত্রিশে মার্চ দক্ষিণাঞ্চলীয় পিরোজপুর জেলায় তরুণীকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করে সেখানকার পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, আটককৃতরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, যাদের বয়স ১৫ থেকে সতের বছরের মধ্যে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান জানান পিরোজপুর শহর ও এর আশেপাশে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়েই চলেছে।

এর আগে, পনেরই মার্চ মাদারীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয় এবং পুলিশ দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় গত ফেব্রুয়ারিতে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হন এক যুবক।  খেলার সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

ওই মাসেই জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ে ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

ত্রিশে জানুয়ারি কুমিল্লায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অস্ত্রের মহড়া ও গুলি করার ঘটনা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো।

গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের অনেক ঘটনায় উঠে এসেছে কিশোর গ্যাংয়ের নাম।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪