Logo
শিরোনাম

কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংবর্ধনা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কুমিল্লা ব্যুরো ঃ

টেলিভিশন সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংবর্ধনা দিয়েছে কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম।

কুমিল্লা নগরের একটি রেস্তোরায় এ সংবর্ধনার  আয়োজন করা হয়। 

সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন—বাংলাদেশ টেলিভিশেন সাবেক জেলা প্রতিনিধি মু,মিজানুর রহমান চৌধুরী,বিটিভির জাহাঙ্গীর আলম রতন, এটিএনবাংলা ও এটিএন নিউজের স্টাফ রিপোর্টার খায়রুল আহসান মানিক,আরটিভির স্টাফরিপোর্টার গোলাম কিবরিয়া,ভোরের কাগজ,দেশটিভির এম ফিরোজ মিয়া,যুমনা টিভির ব্যুরো প্রধান খোকন চৌধুরী, সময় টিভির বাহার রায়হান, নিউজটোয়েন্টিফোরের হুমাযুন কবির জীবন, ডিবিসির নাসির উদ্দিন,চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জাহিদুর রহমান,বাংলাটিভির আরিফুর রহমান,আনন্দটিভির সৈয়দ আহসান হাবীব পাখী,এসএ টিভির আনোয়ার হোসেন,দেশটিভির সুমন কবিরসহ ১৭জন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা সিটিকর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত।

মেয়র তারঁ বক্তব্যে কুমিল্লার উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি  একাত্তর টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী এনামুল হক ফারুক।অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা টেলিভিশন সাংবাদিক  ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জীবন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, কুমিল্লা ক্লাবের সহ-সভাপতি আলী মুনসুর ফারুক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র হাবিবুর আল আমিন সাদি, ধনুয়াখলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শামীম হায়দার, অনুষ্ঠান শেষে টেলিভিশন ক্যামেরাপার্সনদের কে শুভেচ্ছা উপহার দেয়া হয়। 

সাংবাদিকদের উদ্বুদ্ধ করতে টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সদস্যদের অনুপ্রাণিত করতেই এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর



একতরফা নির্বাচনের নীল নকশা বাংলার জনগণ রুঁখে দেবে

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদন :

প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের নীল নকশা বাস্তবায়ন করে সরকার দেশকে অনিবার্য ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। গণদাবির বিরুদ্ধে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে সরকার দেশপ্রেমী জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। দেশের জনসম্পৃক্ত দলগুলোর সাথে সংলাপ না করে সরকার একতরফা যে নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে, তা স্বৈরাচারের নামান্তর। পাশাপাশি হাবিবুল আউয়ালের অথর্ব নির্বাচন কমিশন সেই স্বৈরাচারের সহযোগী। এই ভোটচোর সরকার অচিরেই দৃষ্টান্তমূলক পরিণতি বরণ করবে।

আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর ২০২৩) বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত অবৈধ একতরফা ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আল আমিন সোহাগের সভাপতিত্বে এবং নগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ তালুকদার ও নগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাম্মাদ বিশ মোশাররফ এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম এসব কথা বলেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন বলেন, দেশের মুক্তিকামী মানুষের নেতা পীর সাহেব চরমোনাই সরকারকে এই সংকট উত্তরণের জন্য জাতীয় সরকার গঠনের যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তা মেনে নিলে আজ দেশ এই জ্বালাও-পোড়াও অবস্থায় নিপতিত হতো না। কিন্তু সরকার সেই পরামর্শ গ্রহণ করেনি। এখনও সুযোগ আছে, অনতিবিলম্বে বিরোধী দলগুলোর সাথে সংলাপের মাধ্যমে সমূহ সমস্যা সমাধানের। যদি সরকারের এখনো শুভবুদ্ধির উদয় না হয়, তাহলে আওয়ামীলীগ এই দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

এসময় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সরকার পতনের যে কর্মসূচি আসবে, তাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করবে, ইনশাআল্লাহ।



আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা, চেন্নাইয়ে নিহত বেড়ে ১৭

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চল। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বাপাতলা উপকূলে আঘাত হানে। এতে ভারি বৃষ্টিতে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে। এছাড়াও প্রবল এই ঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বাপাতল উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে তামিলনাড়ুর প্রাদেশিক রাজধানী চেন্নাই, কাঞ্চিপুরামসহ বিভিন্ন জেলা।

এছাড়াও ঘর-বাড়ির পাশাপাশি হাসপাতালে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রাণহানির সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে, বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে পানিবন্দীদের উদ্ধার করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। দুর্গম এলাকাগুলোতে হেলিকপ্টারের সাহায্যে ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যাসহ বৃষ্টিপাতজনিত নানা কারণে ভারতের চেন্নাইয়ে ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

এছাড়াও মিগজাউমের প্রভাবে চেন্নাই এয়ারপোর্টের বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এতে বিড়ম্বনায় পড়েন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী।

এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার কারণে চেন্নাইয়ে আইফোন উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে তাইওয়ানের ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠান ফক্সকন।

 


আরও খবর

গাজায় গণহত্যা অব্যাহত

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




অবৈধ নির্বাচনে সহযোগীদেরও জনগণ ক্ষমা করবে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সমস্যা ভারতে সমাধান করার জন্য আমরা দেশকে স্বাধীন করিনি। তলে তলে আপোষের বার্তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়ে অঙ্গরাজ্য বানানোর পায়তারা করছে আওয়ামী সরকার। বর্তমান আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আওয়ামী সরকারের দলদাসে পরিণত হয়েছে। শিক্ষিত হয়েও জালেমের পক্ষে ও মজলুমদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন আয়োজনের নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এদেশের জনগণ হাবিবুল আউয়াল কমিশনকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমান আওয়ামী সরকারের পাতানো অবৈধ নির্বাচনে যারাই সহযোগী হবে দেশবাসী তাদের কাউকে ক্ষমা করবে না।

ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তামাশার তফসিল বাতিল এবং সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিয়ে অবাধ- সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আজ ২৯ নভেম্বর’২৩, বুধবার দুপুর ২:৩০ এ জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ'র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এর সঞ্চালনায় ঢাকা মহানগর পশ্চিম'র সভাপতি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ ।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নির্বাচনে দেশের মানুষকে এই আশা দিয়েছিলেন যে, আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে আমার উপর আস্থা রাখুন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা এদেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। বাংলার মানুষ বারবার ফাঁদে পা দিবে না। উন্নয়নের ফাঁকা বুলি  স্বৈরাচারের টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার। আজকে বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত। দেশের মানুষ উন্নয়নের ফাঁকা বুলি শুনতে চায়না তারা ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়।

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মীরা নব্য রাজাকারের রূপ ধারণ করেছে। দেশকে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়ার পায়তারা করছে তারা। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাসা চিহ্নিত করে আওয়ামী প্রশাসন দিয়ে গ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশি পাহারায় এই ধরনের জঘন্য ফৌজদারি অপরাধ করা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আইন হাতে তুলে নিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। রাজনীতি করা দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। শুধুমাত্র বিরোধী মত লালন করায় দমন পীড়ন দেশকে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। 

খেলোয়াড়, নায়ক, গায়কদের নমিনেশন দেওয়া প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগ একটি জনবিচ্ছিন্ন সংগঠনের পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই পাতানো নির্বাচনে কোন সচেতন নাগরিক ভোট কেন্দ্র যাবে না বরং ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটাবে।

তাই অনতিবিলম্বে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তামাশার তফসিল বাতিল এবং সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিয়ে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আল আমিন সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন, প্রকাশনা সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ আলী হায়দার, কওমি মাদ্রাসা সম্পাদক হোসাইন আহমেদ, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইব্রাহিম খলিল, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক সাব্বির আহমাদ, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি ইউসুফ পিয়াস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি

এইচ এম কাওসার মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি এম. মাইদুল হাসান সিয়াম প্রমুখ।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা কত তা জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থাটির দেওয়া তথ্যমতে বাংলাদেশের প্রকৃত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।

সেখানে জানানো হয় দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৬০ লাখ গ্রামে বসবাস করেন। আর শহরে বাস করেন ৫ কোটি ৩৭ লাখ।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০১১ সালে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৭৬ জন করে বাস করলেও ২০২২ সালে এসে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১১৯ করে বাস করছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি আছেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করছেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।

এর আগে প্রাথমিক প্রতিবেদন দেয় সংস্থাটি। পরে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে যাচাই-বাছাই করে আরও একটি প্রতিবেদন দেয় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১। গত জুলাইয়ে বিবিএস প্রকাশিত পরিসংখ্যানে যা দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬।

২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




নৌকার মনোনয়নে বিবেচনা করা হচ্ছে উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

 দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ, উচ্চ শিক্ষিত ও করোনাকালীন ভূমিকা। এ কারণে বাদ পড়ছেন বর্তমান অনেক এমপি। 

একই পরিবারের দুই বা ততোধিক সদস্যের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মূলেও রয়েছে তিন ক্যাটাগরিতে বাদ পড়ার শঙ্কা । এমন আসনের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৫টি।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের ২ জন সদস্য  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে ১/১১-এ ভূমিকা বিবেচনা করা হয়েছিল। 

তিন ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতও (মোহাম্মদ এ আরাফাত)।

 তিনি বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার না থাকলেও উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরির পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

 তিনি ঢাকা-১০ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-কলাবাগান-হাজারীবাগ থানার সমন্বয়ে গঠিত এই আসনটি। বর্তমানে এই আসনে সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। 

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। পরে তিনি সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হন।

আগামী নির্বাচনে ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও মাগুরা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এবার তিনি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। 

ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরিতে এগিয়ে রয়েছেন। উচ্চ শিক্ষিত হ্যাপি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন।

 ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এই বার্তা নিয়ে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের জন্য চালু করেছিলেন ‘মানবতার ডাকঘর’। সেই ডাকঘরের সন্ধান পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মোবাইল ফোন নম্বর। 

ফোন করে অসহায় কোনও মানুষ তাদের সমস্যার কথা জানালেই তার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য অনুষঙ্গ। এমনকি কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি রাতের বেলাও অনেকটা গোপনে মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী। যা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। 

এদিকে তিন ক্যাটাগরিতে বাদ পড়ার শঙ্কায় বেশ কয়েকটি জায়গায় বাবা-ছেলে,  ভাই ভাই, স্বামী স্ত্রী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ-মতলব উত্তর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) ও তার বড় ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দিপু)। 

একই পরিবারের সবচেয়ে বেশি সদস্যের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) ও পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে।

 ঠাকুরগাঁয়ে দলীয় মনোনয়নের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম, তার ছেলে, মেজো ভাই, ভাতিজাসহ চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

 দবিরুলের বড় ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন, এ নেতার মেজো ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী এবং ভাতিজা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েলও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

পাবনা-৪ আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর দুই ছেলে ও মেয়ে, জামাতাসহ চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। 

পরিবারের বড় মেয়ে মাহজেবিন শিরিন পিয়া, দুই ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ, সাকিবুর রহমান শরীফ, জামাতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন।

কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিন সহোদর। তারা হলেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, তার বড় ভাই ও রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল এবং তাদের ছোট বোন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। 

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেন প্রয়াত সংসদ সদস্য (এমপি) আফাজ উদ্দীন আহমেদের তিন ছেলে। নৌকার প্রার্থী হতে চাওয়া তিন ভাই হলেন আফাজ উদ্দীন আহমেদের বড় ছেলে নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস, মেজো ছেলে আরিফ আহমেদ বিশ্বাস ও ছোট ছেলে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস। 

যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কেনেন বাবা ও ছেলে। বাবা-ছেলে হলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তফা আশিষ ইসলাম। 

একই ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের বেলায়ও। এখান থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও তার ছেলে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমন। 

জাসদের এক সময়ের আধ্যাত্মিক নেতা প্রয়াত কর্নেল তাহেরের এক ছোট ভাইয়ের আসনে এবার মনোনয়ন চেয়েছেন আরেক ছোট ভাই। 

নেত্রকোণা-৫ আসনের (পূর্বধলা উপজেলা) জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তার ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। 

আবার এমন ঘটনাও আছে যে, নিজের আসনে ছেলে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে বাবা নিজেই দলীয় কার্যালয়ে ছেলের সঙ্গে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিমের মনোনয়নপত্র জমা দিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজি সেলিম। তিন ক্যাটাগরিতে এগিয়ে আছেন বলে দাবি সোলায়মান সেলিমের।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩