Logo
শিরোনাম

কুমিল্লার উত্ত‌রে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ দক্ষি‌ণে শা‌ন্তিপূর্ণ পালন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৩৭৩জন দেখেছেন

Image

‌কুমিল্লা  ব্যুরো :

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া কুমিল্লার দেবিদ্বারের খাদঘর এলাকায় বিএনপির উত্তর জেলার নেতাকর্মীদের পদযাত্রায় পুলিশের লাঠি চার্জ ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এসময় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।             শনিবার বিকেল ৪ টার দি‌কে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হ‌য়ে‌ছে ব‌লে স্থানীয়রা জানায় ।এঘটনায় বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মী  আহত হয়েছেন বলে দাবী করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার ড. মারুফ হোসেন।

আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন, শিপন হোসেন ও হাসান পারভেজ। আহত পু‌লিশ সদস‌্যরা চান্দিনা থানায় কর্মরত।

এদিকে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের আহত নেতা-কর্মীরা হলেন, চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদ, চান্দিনা উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল হোসেন, যুগ্মআহবায়ক উজ্জ্বল, যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন, দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের যুবদল নেতা খোকন খাঁন, বনকোট গ্রামের সোহেল। কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন, কুমিল্লা (উঃ) জেলা বিএনপি’র অর্থ সম্পাদক আজহার মেম্বার, কুমিল্লা (উঃ) জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুফিয়া বেগম, কুমিল্লা (উঃ) জেলা যুবদল নেতা ভিপি শাহীন, কুমিল্লা (উঃ) জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাবু, দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল আউয়াল সাইফুল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক অব্দুর রহমান, বিএনপি নেত্রী তাছলিমা বেগম, আলেয়া বেগম, রমজান হোসেনসহ মোট ৩৫জন। তাদের চান্দিনা, দেবিদ্বার, দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি নেতা খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের খাদঘর এলাকায় একত্রিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খাঁন সোহেল বক্তব্যে ব‌লেন আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে পদযাত্রা করি। যখনই আমরা মহাসড়কে উঠতে যাচ্ছিলাম তখনই পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। এসময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ১৩ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে পুলিশ। ৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিনা এখনও জানিনা। পুলিশের এমন ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এবিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, বিএনপি নেতারা পদযাত্রার নামে মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল। এ সময় চান্দিনা থানা পুলিশ ও দেবিদ্বারের ভানী ক্যাম্প পুলিশ তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপরও হামলা করে। চান্দিনা থানার দুই পুলিশ সদস্যকে আহত করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ১৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে।                 এ‌দি‌কে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সরকারের পদত্যাগ সহ ১০দফা দাবিতে কুমিল্লায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি ও তারঁ অঙ্গসহযোগি সংগঠন। 

 শনিবার বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড বিএনপির প্রধান কার্য্যালয় থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে নগরের রাজগঞ্জ হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ভুলূ। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির এাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ,সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন,মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির,মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাদুল বারী আবু,মহানগর সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ জেলার নেতৃবৃন্দরা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পদযাত্রায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান  বরকত উল্লাহ ভুলূ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে বলেন,সরকার মিথ্যাচার করছেন ভারতের সরকারের সাথে চুক্তি করে নাই।কোন ব্যাক্তির সাথে সরকার চুক্তি করতে পারে না।৪/৫টাকাদামের বিদ্যূতের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৭টাকা। এ সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে।


আরও খবর



সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ, নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কদমরসুলপুর এলাকায় একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে আগুনে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ হয়েছেন ১৫ জন।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুমিরা ফায়ার স্টেশনের কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করছে।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি বিস্ফোরণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

এদিকে, কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছি।

বিকট শব্দে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক বলেন, এখন পর্যন্ত মেডিকেলে ১০ জন আসছে। ৩ জন মারা গেছে। মৃত দেহ জরুরি বিভাগে আছে।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ঢাকা ছাড়া সারা দেশে ওড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা। সবুজের জমিনে রক্তিম সূর্য খচিত মানচিত্রের বাংলাদেশের আজ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং ৫৩তম জাতীয় দিবস।

সেদিন বাঙালির জীবনে নেমে আসে এক ভয়ংকর, নৃশংস ও বিভীষিকাময় অন্ধকার রাত। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর যখন ঝাঁপিয়ে পড়ে ইতিহাসের বর্বরোচিত নিধনযজ্ঞ আর ধ্বংসের উন্মত্ত তাণ্ডব চালায়, সেদিন থেকে স্বাধীনতা কথা বাঙালির হয়ে যায়। অবশ্য ৭ মার্চের ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, তখন আর বাঙালির বুঝতে বাকি ছিল না লড়াই করতেই হবে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতেই হবে।

বঙ্গবন্ধুর আমি যদি হুকুক দিবার নাও পারির উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। কালরাত্রির বাঙালি নিধনযজ্ঞ চলাকালেই মধ্যরাতের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। আর সেই থেকেই স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের হয়ে গেল।

বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েই শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার পথচলা। আজকের দিনটি তাই বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরব ও অহংকারের। সবকিছু ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার দিন। একই সঙ্গে স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে যেসব বাঙালি তাদের প্রাণ আত্মাহুতি দিয়েছেন, যেসব মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন, যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার দিন।

স্বাধীনতার সরাসরি ঘোষণা আসে ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর। ওই রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পিলখানা, রাজারবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে হামলার পর রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন।

পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনাই ছিল গণহত্যা শুরুর পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের। সে অনুযায়ী, ওই রাতে কর্নেল জহিরের নেতৃত্বে একটি কমান্ডো প্লাটুন বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ক্যাপ্টেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে সেনারা ভবনের চারদিকে অবস্থান নেয়। মেজর বিলাল দোতলার বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে যায়। তারা বঙ্গবন্ধুকে ট্যাংক-কামানসহ কড়া পাহারায় শেরেবাংলা নগরের সামরিক সদর দফতরে নিয়ে যায়। পরে তাকে নেওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর অফিসার্স মেসে। টিক্কা খানের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুকে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকেই পরদিন নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানে।

বঙ্গবন্ধুর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাটি চট্টগ্রামে নোঙর করা একটি বিদেশি জাহাজের সেটেও ধরা পড়ে। শুনতে পান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার প্রধান মেজর সিদ্দিক সালিকও। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবরটি পাকিস্তান সরকার ও ইস্টার্ন জোনের সামরিক কর্মকর্তাদের জানান।

ওয়্যারলেস বার্তাটি চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জহুর আহম্মেদ চৌধুরী পেয়ে রাতেই তা সাইক্লোস্টাইল করে বিলির ব্যবস্থা করেন। পরদিন এ বার্তাটিই কালুরঘাট বেতার থেকে সর্বপ্রথম পাঠ করেন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান। তারপর বারবার ঘোষণাটি পড়ে শোনান অধ্যাপক আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার এ ঘোষণাটি পাঠ করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন চট্টগ্রামের বেতারকর্মী বেলাল মোহাম্মদ, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ ও অধ্যাপক আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। মেজর জিয়া প্রথমে নিজেকে সুপ্রিম কমান্ডার ঘোষণা করেন ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন।

ঢাকাসহ সারা দেশেই শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। সমগ্র জাতি দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান বুকে ধারণ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিপাগল বাঙালির অকুতোভয় লড়াই আর রক্তের বন্যায় ভেসে যায় পাকিস্তানের দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত বাহিনীর সব কৌশল। ৯ মাসের সংগ্রামে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নেয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

আজ সব স্মৃতির মিনারে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ দেশের সব স্মৃতির মিনার। দিনটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতার খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকদের দায়ের করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার দলিল-এর ৪ খণ্ড, তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট (১৯৪৮-১৯৭১)-এর ১৪ খণ্ডের মধ্যে ১১ খণ্ড সহ তার লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন প্রকাশ করেছি। আমার বিশ্বাস বইগুলো পড়লে নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতার দৃপ্ত পদচারণা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানলাভ করতে পারবেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, সূর্যোদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। ভোর ৫টা ৫৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। (রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অব্যবহিত পরে)।

সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধা জানাবে।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

এ ছাড়াও বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




ধামরাই বিভিন্ন মাদ্রাসা এতিমখানার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ডালি পাড়া আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমেনা জামান বালিকা মাদ্রাসা মুস্তি বেপারি বালক এতিমখানা ও জহুরুন নেছা বালিকা এতিমখানার উদ্যোগে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া মোহ্তামিম হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ নাইমুল ইসলাম 

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আমেনা নূর ফাউন্ডেশন ও সভাপতি, আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান ( সি আই পি) বলেন আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, এই স্বাধীনতা এমনিতেই আসেনি এর জন্য অনেক রক্ত দিতে হয়েছে, ৩০ লক্ষ্য প্রাণের বিনিময়ে বাংলার এই স্বাধীনতা।যার অবধানে এই দেশ স্বাধীন হন তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভূমিকা ছিল বলেই আজ এই দেশ স্বাধীন হয়েছে তার জন্ম যদি এই বাংলায় না হতো হয়তো এই বাংলাদেশ আজও স্বাধীন হতো না। এই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন অবশ্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বাঙালি স্বরণ করবে।

সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সৈয়দ বেনজির আহমেদ মুকুল, ধামরাই পৌর যুবলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান, ঢাকা জেলা পরিষদ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক ধামরাই পৌর সানাউল হক সুজন, ধামরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক বাবুল হোসেন, কুশুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ধামরাই সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি ছাত্রলীগ হাবিবুর রহমান হাবিব সহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকেই।


আরও খবর



রাণীনগরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার,বীজ বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরে প্রায় ২২শ‘কৃষকের মাঝে সার-বীজ বিতরনের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনা মূল্যে আউশ ফসলের ধানের বীজ,পাট বীজ ও সার বিতরনের উদ্ধোধন করেন নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল।

রাণীনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন,সহকারী কমিশনার(ভূমি) হাফিজুর রহমান,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম,অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌছ কানিজ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান,উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ২১শ‘কৃষকদের মাঝে আউশ ধানের বীজ,সার এবং ২০জন কৃষকের মাঝে পাট বীজ বিতরনের উদ্ধোধন করা হয়।


আরও খবর



দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ মার্চ সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার স্মৃতিসৌধে সরকারপ্রধানের শ্রদ্ধা শেষে পরিদর্শন বইতে তিনি এই প্রত্যয়ের কথা উল্লেখ করেন।

পরিদর্শন বইতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

শ্রদ্ধা জানাই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের। হানাদার পাকিস্তানিদের হাতে নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতি জানাই আমার শ্রদ্ধা।

বইতে শেখ হাসিনা আরও লেখেন, বেদনা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করছি আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেসা এবং আমার তিন ভাই ভ্রাতৃবধূসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাদের।

শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে লেখেন, আজকের এই দিনে আমি প্রত্যয় করি যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব। ইনশাআল্লাহ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।‌ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

এর আগে, মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান।

ঢাকার অদূরে সাভারে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির পরপরই জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান ও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩