
কুমিল্লা ব্যুরো ঃ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের হাতিমারা গ্রামে দশবছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ২আসামীকে ফাসিঁ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যককে একলক্ষটাকা অর্থদন্ড দেয় আদালত।
মঙ্গলবার (৮নভেম্বর ) কুমিল্লার নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল-১ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- বাচ্চু মিয়া, আমীর হামজা। দন্ডপ্রপ্তরা শিশুশিশু আক্তারকে ধর্ষণ করে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন।
নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল-১এর স্পেশাল পিপি এড. প্রদীপ কুমার দত্ত জানান- ২০১৮ সালের ৫মার্চ দুপুরে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের হাতিমারা গ্রামের শিমু আক্তার(১০০কে নিজবসত ঘরে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা করে।তারঁ বাবা ছায়েদুল হক এর দায়ের করা মামলায় ১৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় আসামী বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজাসহ দুইজনকে মৃত্যু না হওয়া পযর্ন্ত ফাসিঁর রুজ্জুতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদন্ডাদেশসহ একলক্ষ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত।
আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নিহতের পরিবার দাবী করেন যেকোন ধর্ষণ মামলায় যেন ফাসিঁ দেয়া আসামীদের পক্ষে যেন কোন আইনজীবি সহায়তা না করে। আর সেটা যেন সরকার একটি আইন প্রণয়নের দাবী নিহতের পরিবারের।
নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল-১এর স্পেশাল পিপি এড প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজা হাতিমারা গ্রামের শিমু আক্তারকে (১০) ধর্ষণ করে। পরে শিমু তার বাবাকে এঘটনার বিস্তারিত বলে দিবে বলে। তখন আসামী বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজা ঘরে থাকা বটি দা ও দা দিয়ে শিমু আক্তারকে কুপিয়ে ভিকটিমের নাকে, মুখে, তলপেটে, মাথার পিছনের দিকে, কপালে নীচে ডান চোখের কোনায় ঠোটে মুখে, গলার বাম পার্শ্বে এবং যৌনাঙ্গে মোট ১৩টি আঘাত করে তাকে খুন করে। এঘটনার পর শিমুর বাবা মো. ছায়েদুল হক মনোহরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তকালে আসামী বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজাকে গ্রেপ্তার করার পর তারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে শিমুকে ধর্ষণ করে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে রায় ঘোষণা হয়েছে। আদালতের আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।