Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

কু‌মিল্লায় খেলা দে‌খে ফি‌রে‌নি, ধান ক্ষেত মিল‌লো হাফেজ’র মরদেহ

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

‌কু‌মিল্লা ব্যুরো ঃ

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ধানখেত থেকে সাদেকুর রহমান (২২) নামে এক কোরআনে হাফেজের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নামতলা পূর্বপাড়ার একটি ধানিজমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাদেকুর পাশ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলার বিচুন্দাইর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জাবেদ উর রহমান বলেন, সাদেকুর  বু‌ড়িচং‌য়ের নামতলা এলাকায় আবুল বাশারের  বাড়িতে লজিং থাকতেন। পাশাপাশি সেনানিবাস এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে পার্ট টাইম চাকরি করতেন।  রাতে ফুটবল খেলা দেখেন সাদেক। পরে সকালে বাড়ির পাশে ধানীজ‌মি‌তে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।

ঘটনাস্থলে সিআইডির টিম কাজ কর‌ে‌ছে। তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন।‌নিহ‌তের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে খুনের রহস্য উদঘাটন হবে জানায় পু‌লিশ।


আরও খবর



প্রেম-ভালোবাসা'র বিয়ে, নওগাঁয় মেয়ের বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলের বাবা নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় বেয়াইয়ের ছুরিকাঘাতে আজিবর রহমান (৫০) নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী বেয়াইকে জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। মর্মান্তিক এঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বৈদ্যপুর বাজারে। নিহত আজিবর ভালাইন ইউনিয়ন এর বনতসর গ্রামের বাসিন্দা। ছুরিকাঘাতকারী তার বেয়াই দেলোয়ার হোসেন (৪৮) সে ও একই গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন এর মেয়ে উর্মি খাতুনের সাথে প্রেম- ভালোবাসা'র সম্পর্ক করে প্রায় ৩ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়।

এ কারণে বিয়ের পর থেকেই উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিলো। মেয়ের বাবা দেলোয়ার হোসেন একজন ফল ব্যবসায়ী। সে বৈদ্যপুর বাজার এর স্কুল মার্কেটে ফলের ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দু' বেয়াই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে থাকা চাকু নিয়ে বেয়াই আজিবর রহমান এর পেটে ঢুকিয়ে দেয়। এসময় স্থানিয়রা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী  মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনাস্থলে আটক করে রাখা দেলোয়ার হোসেন কে উদ্ধার পূর্বক পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তির মৃতদেহ ময়না তদন্ত সহ আইনানুহ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



কিশোর গ্যাং সদস্যদের কোনো ছাড় নয়

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

কিশোর গ্যাং সদস্যদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, তারা মারামারি, চাঁদাবাজি ও খুনের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলবে।

রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, রাজধানীর তেজগাঁও, গুলশান, উত্তরা ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত দুইদিনে কিশোর গ্যাংয়ের ৭৫ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।

তিনি আরো বলেন, কিশোর গ্যাং একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। তাদের দৌরাত্মের কারণে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছিনতাই, ইভটিজিং, হুমকি দেয়া, স্কুল-কলেজ ছাত্রীদের ভয় দেখানো ও বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ কাজগুলো তারা দলবদ্ধ হয়ে করে থাকে।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংগুলো মাদক ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে আসছে। কতিপয় বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে।

হারুন অর রশীদ বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চলবে। এই বিষয়ে কেউ সুপারিশ নিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শেখ রাসেল হল ছাত্রলীগ কর্তৃক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি  :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( মাভাবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল হল ছাত্রলীগ কর্তৃক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ ১৭ মার্চ (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ডাইনিং এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আজকের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ডঃ মো: ইদ্রিস আলী, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মো: শাহিন উদ্দিন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মো: ইকবাল মাহমুদ ও শেখ রাসেল হলের হাউজ টিউটরবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

এছাড়াও এইসময়  উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাভাবিপ্রবি শাখার অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ। 

উল্লেখ্য, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। l


আরও খবর



মঙ্গলবার চালু হচ্ছে বুড়িমারী এক্সপ্রেস

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানী থেকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী রুটে নতুন একটি ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুড়িমারী এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেন চলাচল শুরু করবে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে।

রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন বিষয়ক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক কামরুল আহসান।

রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে ঢাকায় কর্মরত সড়ক, রেল ও যোগাযোগ অবকাঠামো বিষয় নিয়ে কাজ করা গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর)।

কর্মশালায় বুড়িমারী এক্সপ্রেস ছাড়াও চলতি বছরের জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে আরও তিনটি ট্রেন চালু করার কথা জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে আরও তিন জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে নরসিংদী এবং ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন অল্প সময়ের মধ্যে চালু করা হবে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা রেলে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এবারের ঈদ যাত্রা এবং টিকিট বিক্রির কার্যক্রম আরও ভালো হবে। কোনো ধরনের টিকিট কালোবাজারি হবে না। একই সঙ্গে রেলকে নিরাপদ বাহন করার জন্য যা যা করার আমরা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, রেলওয়েতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে এটা সত্য। তবে সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সবকিছুই খারাপ, এমনটা বলা কিন্তু ঠিক হবে না। রেলে অনিয়ম আছে, ভুল আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা কিন্তু বসে নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রেলপথমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা আগামীতে রেলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যাব।


আরও খবর



ভাড়া বাড়ছে যাত্রীবাহী ট্রেনের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভাড়া বাড়তে যাচ্ছে ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত দূরত্বের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের। মূলত ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে রেয়াতি (ছাড়) সুবিধা বাতিলের মাধ্যমে এ ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি ট্রেনে নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের ভাড়ার সঙ্গে বাড়তি চার্জ যুক্ত করার মাধ্যমেও আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কাছ থেকে এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়ে গেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্ধিত ভাড়া কার্যকরের জন্য টিকিট ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত বেসরকারি অপারেটর সহজকে (জেভি) এরই মধ্যে স্টেশন টু স্টেশন বাণিজ্যিক দূরত্বের হিসাবও হস্তান্তর করা হয়েছে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও (ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া) ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী মাসেই নতুন এ ভাড়া কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

রেল কর্মকর্তারা বলছেন, সড়ক ও নৌপথের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রেলের যাত্রী বাড়লেও রাজস্ব আয় সেভাবে বাড়েনি। আয়ের বিপরীতে ব্যয় বেশি হওয়ায় লোকসানের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না রেলওয়ে। ট্রেনের ভাড়া সর্বশেষ বাড়ানো হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর রেলের জ্বালানি-যন্ত্রাংশ এবং কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ পরিচালন ব্যয় বাড়লেও সংস্থাটির ভাড়া বাবদ আয় তেমন বাড়েনি। কয়েক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা রাজনৈতিক বিবেচনায় কার্যকর হয়নি। যদিও আয়-ব্যয়ের অসামঞ্জস্যে লোকসান থেকে বের হতে পারেনি রেলওয়ে।  

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। যদিও একই সময়ে আয় করেছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। এ অনুযায়ী গত অর্থবছরে আয়ের চেয়ে ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে রেলওয়ে। সংস্থাটি এর আগে নিট লাভে ছিল শুধু ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে। ওই সময়ে সংস্থাটির নিট লাভ ছিল ১৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এরপর প্রায় আড়াই দশক ধরে টানা লোকসান দিয়েছে সংস্থাটি। এ অবস্থায় পরিচালন আয় বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রেলওয়ে। যাত্রী ভাড়া বাবদ আয় বাড়ানোর পাশাপাশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে রুট বৃদ্ধি ও পণ্য পরিবহনেও। 

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭-৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় এখন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে যাত্রীদের ভাড়ায় রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজিত অতিরিক্ত কোচে শ্রেণীভেদে বাড়তি ভাড়া (রিজার্ভেশন চার্জ) যুক্ত করা হচ্ছে। রেলসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার ও রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানো হলে রেলের বার্ষিক রাজস্ব আয় বাড়বে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। 

এ বিষয়ে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার এরই মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেলসেবাকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রেলের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে সরকারের কিছুটা দোটানা রয়েছে। যদিও প্রতি বছর রেলের লোকসান বেড়েই চলেছে। এজন্য বিদ্যমান বিভিন্ন সুবিধা প্রত্যাহার করে ভাড়া বাবদ আয় বাড়ানোর পথে হাঁটতে হচ্ছে রেলওয়েকে।

রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই সময় রেলের যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হতো সক্ষমতার তুলনায় কম। যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আকৃষ্ট করতে ওই সময় দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু করা হয়। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম। ঢাকা-কক্সবাজার নতুন রেলরুট ছাড়া (ঢাকা-কক্সবাজার) সারা দেশের সব ট্রেনেই ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য রেয়াতি সুবিধা বহাল রয়েছে। এক্ষেত্রে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য রেয়াতের হার ২০ শতাংশ। আর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য রেয়াতের হার ২৫ শতাংশ।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের নন-এসি বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। যদিও রেলের আন্তঃনগর ট্রেনের একই সুবিধার আসনে ভাড়া ৩৪৫ টাকা। এছাড়া লোকাল, মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রামে ভাড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। এতে রেলযাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারি হলেও প্রাপ্য রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে। গত অক্টোবরে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে বিভিন্ন রেলসেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার এবং ভায়াডাক্ট বা রেল ফ্লাইওভারের প্রতি কিলোমিটারকে পাঁচ কিলোমিটার হিসাব করে বাণিজ্যিক দূরত্ব নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে রেলপথে প্রকৃত দূরত্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক দূরত্ব বেড়ে রেলের আয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। 

আবার যাত্রী চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রুপ টিকিটের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ট্রেনে প্রায়ই নির্ধারিতের অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দিতে হচ্ছে। গমন ও ফেরত (আপ অ্যান্ড ডাউন)দুই ক্ষেত্রেই এ অতিরিক্ত কোচের চাহিদা থাকলে রেলের কিছু বাড়তি আয় হয়। কিন্তু চাহিদা একমুখী হলে (শুধু গমন) ফিরতি যাত্রায় টিকিট অবিক্রীত থেকে যায়। এজন্য অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণীর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণীতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করা হবে। 

এজন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সারসংক্ষেপ আকারে উত্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এতে সই করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর । এরপর ২ মার্চ প্রস্তাবে সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ৭ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সালাহ্উদ্দিন আহমেদ রেলওয়ে মহাপরিচালক বরাবর যাত্রী পরিবহনে দূরত্ব রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার এবং অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের টিকিট বিক্রিতে রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের জন্য চিঠি দেন।  

রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, ‘‌বাংলাদেশ রেলওয়ের মান ও সেবা অনুযায়ী ভাড়া প্রতিযোগিতামূলক বাজারের চেয়ে অনেক কম। জনগণ এর সুবিধা পেলেও রেলওয়ে লোকসানে থাকে। রেলকে আরো গতিশীল করতে ভাড়া বাড়িয়ে সড়ক যানবাহনের সমান পর্যায়ে নিয়ে আসা জরুরি। কিন্তু আপাতত মূল ভাড়া না বাড়িয়ে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধাগুলো প্রত্যাহারের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। রেলের বিভিন্ন আধুনিকায়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পর ধারাবাহিকভাবে আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে লোকসানও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। 


আরও খবর