Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

কুমিল্লায় ট্রাকচালক হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

কু‌মিল্লা ব্যুরো ঃ

২০০৬ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আমানগন্ডা এলাকায় ট্রাক ড্রাইভার জয়নাল আবেদীন হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই ঘটনায় অপর এক আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত দুই আসামিকে ১ লক্ষ টাকা করে এবং কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলাটির রায় দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার। তবে দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিই মামলা চলাকালীন সময়ে জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্র্র পক্ষের পক্ষের আইনজীবী মো: মজিবুর রহমান বাহার জানান, ২০০৬ সালের ২০ জুন চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা এলাকায় ট্রাক লুট করার সময় চালক জয়নাল আবেদীনকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তে পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে আসামি আহসান উল্যাহ, মোঃ হোসেন ও মোঃ শামসুল হককে গ্রেফতার করে। আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এই মামলায় ১৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করে। ২০০৭ সালে ১ মার্চ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামলার আইনজীবী মোঃ মজিবুর রহমান বাহার জানান, আসামিরা মামলার চলাকালীন সময়ে জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে।


আরও খবর



উপকূল অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনার দাবী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ পানি আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ি উপকূলীয় অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সুন্দরবন উপকূলে ৭৩% পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত বা খারাপ পানি খেতে বাধ্য হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা পূর্বের তুলনায় ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। লবণাক্ততা এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। মিঠা পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে আসন্ন জাতীয় বাজেটে উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। 

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে "নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত ন্যায্যতা" শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা একথা বলেন। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ গোলবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল'র সভাপতিত্বে ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ'র সঞ্চালনায়

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান, মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও মংলা টেকনিক্যাল কলেজ'র অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম। 

গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস রনজিত কুমার, ব্রাক'র শফিকুর রহমান স্বপন, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, ড. অসিত বসু, ড. অপর্ণা অধিকারী, প্রভাষক সাহারা বেগম, লিডার্স'র কৌশিক রায়, মোংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা'র গীতিকার মোল্লা আল মামুন, লিডার্স'র কৌশিক, বাদাবন'র পপি, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র কমলা সরকার, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী শেখ রাসেল প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, পৌর এলাকায় দৈনিক ৬৫ লাখ লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২৯ লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দেয়া হয়। পৌর এলাকার ৫ হাজার ৬ শো হোল্ডিংধারীদের  মধ্যে ২ হাজার  ৬ শো হোল্ডিংধারীকে পানি সাপ্লাই দেয়া হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে ৩/৪ শো গ্রাহকের পানির লাইন সংযোগের আবেদন জমা পড়ে আছে পৌরসভায়। সরকারি নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পেলে পানি সংকটের সমাধান সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, সরকার উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিগত সময়ে মোংলা উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৮ হাজার পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বছরই উপকূলে সুপেয় পানির সংকট সমাধানে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে। 

এরআগে সকাল ৯টায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে মোংলার দক্ষিণ কাইনমারি পশুর নদীর পাড়ে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত লবণাক্ততার কবল থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি সরবরাহের দাবীতে অনুষ্ঠিত র‌্যালী ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। 

এ সময়ে তিনি বলেন ২০১০ সালে সুপেয় পানি পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে জাতিসংঘ। এসডিজি'র অভিষ্ট ৬ এর ৬.১ এ ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য সুপেয় পানি পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। সরকারকে উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে জলাধার-পুকুর খনন ও সংরক্ষন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। র‌্যালীতে শতাধিক নারী-পুরুষ খালি কলস হাতে অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়।


আরও খবর



রোজার আগেই গরম ফল বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

পবিত্র রমজান শুরু হতে সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। এদিকে রমজানের প্রভাবে বেড়েছে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম। এ জন্য ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, শুল্ক বেড়ে যাওয়া, এলসি জটিলতাসহ নানা কারণকে দূষছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে দেশি ফলের দামও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর মিরপুর-৬, কচুক্ষেত, গুলশান, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার এবং ফার্মগেট বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশে উৎপাদিত ফলের দামও।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রমজানে খেজুর ও মাল্টার চাহিদা বেশি থাকে। ঠিক এ কারণে রমজানের আগেই বেড়েছে এই ফলের দাম। এর পাশাপাশি বেড়েছে আপেল ও কমলার দামও। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মাল্টার সরবরাহ কম। এ কারণে দেশি মাল্টার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। গতকাল প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হয় ২৭০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২২০ টাকা। এদিকে দেশি কমলা বিক্রি হয় ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে আমদানি করা কমলা। প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। এ ছাড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে আনার কেজি বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তবে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে আঙুরের দাম। প্রতি কেজি সবুজ আঙুর বিক্রি করা হয় ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি কালো আঙুর বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। 

এদিকে বাজারে মারিয়াম খেজুরের দাম পড়ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মাবরুম ৬০০ থেকে ৬৫০, মেডজুল ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০, দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আজোয়া মানভেদে বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি। বাজারে আরও উচ্চমূল্যের খেজুর আছে। তবে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে জাহিদি খেজুর। দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। গত বছরের তুলনায় সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে যে আনারস বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়, গতকাল তা বিক্রি হয় ৬০ টাকা। এক সপ্তাহে আগে বড় বেলের দাম ছিল ১০০-১২০ টাকা। গতকাল বড় বেলের দাম ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। অন্য ধরনের বেল যা আগে ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, সেটি গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। গত সপ্তাহে পাকা পেঁপের দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আর গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়। পেয়ারার দাম ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা। গতকাল তা ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। 

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগে ২০ কেজি আপেলের প্যাকেটে শুল্ক দিতে হতো ৩০০ টাকা। এখন সেটি দিতে হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর এক কেজি আঙুরে দিতে হতো ৩০ টাকা। এখন সেটি দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা। আবার ডলারের রেট বেশি। সব মিলিয়ে খরচও বেশি।’

তিনি আরও বলেন, খেজুরে যে পরিমাণ শুল্ক কমানো হয়েছে, তাতে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। কারণ খেজুরে শুল্কায়ন হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। কেনা দামে শুল্কায়ন করা গেলে ভোক্তার কিছুটা সুবিধা হতো। 

মিরপুর-৬ বাজারে ফল বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, তিনি ২৫ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করেন। প্রতিবছর তিনি দেখেছেন রোজার সময় ফলের চাহিদা বেড়ে যায়। রমজানের প্রথম সপ্তাহজুড়ে ধনী-গরিব সবাই চেষ্টা করেন ইফতারে ফল রাখতে। এতে চাহিদা যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। এতে দামের ওপর প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া অনেক ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর সুযোগ নিয়ে থাকেন। 


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু ও সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। গাজা যুদ্ধের মধ্যেও এই বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়ে আসছিল দুই দেশ। লড়াইয়ের জন্য গোলাবারুদ সরবরাহ করে, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলোতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়ে বারবার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেই মজবুত বন্ধুত্বে একটু একটু করে ফাটল দেখা দিয়েছে।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। আর তাতে প্রথমবারের মতো কোনো আপত্তি জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এর আগে অন্তত তিনবার ভেটো দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিল।

সোমবার পাস হওয়া প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি হতে পারেনি ইসরায়েল। এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করেছে তেল আবিব। গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি নেতাদের।

রাফাহ শহরে ইসরায়েলের প্রস্তাবিত অভিযানের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের সিদ্ধান্তে অনড়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষপর্যন্ত নেতানিয়াহু যদি যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উপেক্ষা করে রাফাহ শহরে অভিযান চালান, তাহলে সেটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি, এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়াও স্থগিত করতে পারে।

এর মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আর আপত্তি না করার সিদ্ধান্ত নিলো বাইডেন প্রশাসন।

রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সাবেক আলোচক অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, এর ফলে বাইডেন এবং নেতানিয়াহুর মধ্যকার বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে। বিষয়টি যত্ন সহকারে পরিচালিত না হলে পরিস্থিতি শুধু খারাপের দিকেই হবে।

অবশ্য গাজায় বর্বরতা চালানো ইসরায়েলকে ক্রমাগত সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় নিজ দেশেই চাপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হচ্ছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। কিন্তু ইসরায়েল ইস্যুতে এবার মুসলিম আমেরিকানদের ভোট হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

স্বদেশে চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহুও। যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হামাসকে বাগে আনতে না পারা এবং জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে জোরেশোরে। চলছে আন্দোলনও।

এ অবস্থায় প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন সফর বাতিলের ঘোষণা দিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো না দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থান থেকে স্পষ্ট পশ্চাদপসরণ এবং এটি ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 


আরও খবর



চাঁদার টাকা না দেয়ায় হামলা ও বাড়ির গেটে তালা থানায় মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

চাঁদার টাকা পরিপূর্ণ না দেওয়াই রাজধানীর কদমতলীতে নির্মানাধীন বাড়িতে হামলা চালিয়ে কাজ বন্ধ করে বাড়ির গেটে তালা সহ মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় রাজধানীর কদমতলী থানা দিন পূর্ব ধোলাইপাড় ২ নং গলির শেষ মাথায় ঢাকা সিটি জরিপের দাগ নং ১৯৬/১ সদ্য ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জমির উপর খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের নির্মাণাধীন বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। হামলায় বাড়ির মালিক খন্দকার রাবেয়া নাসরিনের ছোট বোনের স্বামী মুহাম্মদ মফিজুর রহমান গুরুতর আহত হলে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বাড়ির মালিক খন্দকার রাবিয়া নাসরিন (৫২) বাদী হয়ে কদমতলি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং-৭ তারিখ ০৪-০৩-২০২৪ । কিন্তু বাদী পক্ষের অভিযোগ মামলা করার পর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার শুভর নেতৃত্বে আসামিরা তাদেরকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা রকম ভয়-ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে । এমনকি মামলা তুলে না নিলে বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যকে মাদক দিয়ে ফাসিয়ে মাদক মামলার দেয়ার ও হুমকি দেয়া হচ্ছে । মামলা সুত্রে জানা যায় , খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের ক্রয়কৃত জমির উপর ভবন নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে । এবং নির্মান কাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয় সন্ত্রাসী কিছু চাঁদাবাজ ক্রমাগত ভাবে ১০,০০০,০০ (দশ লক্ষ) টাকা চাদা দাবি করে আসছে । চাদা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকিতে ভয় পেয়ে রাবিয়া নাসরিন বিভিন্ন তারিখে তাদেরকে ৩,০০০,০০ (তিন লক্ষ) টাকা দেয় । কিন্তু ঘটনার দিন ২৯-০২-২০২৪ বৃহস্পতিবার বাকি ৭,০০০,০০ (সাত লক্ষ) টাকা চাদার দাবিতে চাদাবাজ আলী আকবর উল্লাস (৩৫)পিতা- হাজী জয়নাল আবেদীন, রাসেল আহমেদ বাবু- পিতা- মৃত এম এ মজিদ মিয়া, আবুল হোসেন ওরফে আবুল, মোহাম্মদ রুবেলসহ আরও ৪/৫ জন আনুমানিক বিকেল তিনটার সময় নির্মানাধীন বাড়ির ভিতরে ঢুকে রাজমিস্ত্রি ও হেল্পার কে এলো পাথাড়িভাবে মারধর করে তাদের যন্ত্রপাতি ও গ্রেডিং মেশিন ছিনিয়ে নেয় । পরবর্তীতে বাড়ির মালিক খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের উপর হামলা চালালে তার স্বামী মোঃ মফিজুল ইসলাম অসুস্থ থাকায় নির্মাণাধীন ভবন দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের ছোট বোনের স্বামী মো: মফিজুর রহমান এগিয়ে আসলে আলী আকবর উল্লাস পিস্তলের বাট দিয়ে মফিজের মাথার ডান পাশে আঘাত করার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মাটিতে পড়া অবস্থায় বাবু, উল্লাস, আবুল, রুবেল সহ অন্যান্য সন্ত্রাসী চাঁদাবাজগণ এলোপাতাড়ি ভাবে লাঠি, কাঠের ঢাসা, ইট দ্বারা অমানুষিক নির্যাতন করে বাড়ির বাইরে ফেলে দেয় । বাড়ির মালিক রাবিয়া নাসরিনকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে মেন গেটে তালা লাগিয়ে দেয়, তাৎক্ষণিক ৯৯৯ এ কল করলে স্থানীয় থানা পুলিশ এসে উদ্ধার করে বাসার মেন গেটের তালা ভেঙ্গে তাদেরকে বাসায় ঢোকার সুযোগ করে দেয় এবং মো: মফিজুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে পাঠানো হয় । এছাড়া সরোজমিনে খবর নিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একাধিক মামলা রয়েছে । এ বিষয়ে বাড়ির মালিক রাবিয়া নাসরিন বলেন, চাদার টাকা না দেওয়ার জন্য তারা আমাদের উপর এমন নির্যাতন চালিয়েছে, এবং এখন বিভিন্ন সময়ে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে আমি আমার স্বামী এবং আমার ছেলে মেয়ে সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তাই আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তাসহ চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি ।


আরও খবর



ঈদের পর কারওয়ানবাজারের ডিএনসিসি ভবন ভেঙে ফেলা হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিতে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঈদের পরে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিন। কারওয়ান বাজারের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেওয়া যাবে না।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর গাবতলীতে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির আওতাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের গাবতলীর আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তরের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মেয়র একটি চমৎকার সুযোগ আপনাদের জন্য দিচ্ছেন। আপনাদের অবশ্যই এই সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। মেয়র বলেছেন পাশেই নদীর পাশে বিজিবি মার্কেটে মাছের আড়ৎ নির্মাণ করে দেবেন। সব সুবিধাই আপনাদের জন্য নিশ্চিত করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন মেট্রোরেল হয়ে গেছে। কারওয়ান বাজার ধীরে ধীরে সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ট্রাক ঢুকতে অনেক সমস্যা হয়। এছাড়া কারওয়ান বাজারের ট্রাক তেজগাঁওয়ের রাস্তা দখল করে রেখেছে। কারওয়ান বাজার স্থানান্তর করে ওই এলাকার পরিবেশ সুন্দর করতে হবে। গাবতলীতে স্থানান্তর হওয়ার পরে আপনাদের কি কি সুবিধা প্রয়োজন সে বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আলাপ করবেন। মেয়র আপনাদেরই প্রতিনিধি তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।


আরও খবর