আহমেদ ফারুক মিল্লাত মৌলভীবাজার ঃ
চা শ্রমিকদের ৩’শ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে ডাকা দুই ঘন্টা কর্মবিরতির আজ শুক্রবার ছিলো শেষ দিন। এদিকে টানা ৪র্থ দিনেও শ্রমিকদের দাবী দাওয়ার বিষয়ে মালিক পক্ষের আশ্বাস না পাওয়ায় আগামীকাল শনিবার থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি, ফ্যাক্টরির সামনে অবস্থান ধর্মঘটসহ বৃহত্তর ও কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন সাধারন চা শ্রমিকরা।
এদিকে টানা দুই ঘন্টা কর্মবিরতির শেষ দিনে মৌলভীবাজার জেলার ছোট বড় মিলিয়ে ৯৭টি চা বাগানসহ দেশের ১৬৭টি চা বাগানে এক যোগে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতির নেতৃত্বে শ্রমিকরা মিছিল মিটিং করেছেন। এসময় সাধারন শ্রমিকরা বলেন, মাত্র ১২০ টাকা মজুরিতে কি ভাবে সংসার চলবে। এক লিটার তেলের দাম কত, চাল, ডাল, ছেলেমেয়েদের স্কুল খরচ, সংসাদের চিকিতসা খরচ। তাই তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
এদিকে চা শ্রমিকদের আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়েনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, আজ বিকেলের মধ্যে মজুরি বৃদ্ধির দাবী মানা না হলে আগামীকাল সকাল থেকে মৌলভীবাজার জেলার সবগুলো চা বাগানসহ দেশের সবকটি চা বাগানে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচী পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে চা শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ এবং চা জনগোষ্টি রয়েছে প্রায় ৬ লাখ। এদিকে নূন্যতম মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চা শ্রমিকদের মজুরী ১২০টা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অপরদিকে বাগান মালিক ও শ্রমিকদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে তাদের মজুরী ১২০ টাকার সাথে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অথচ দেশের বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মাঝে এই টাকা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। তাই তারা দৈনিক মজুরি নুন্যতম ৩’শ টাকার দাবীতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা।