Logo
শিরোনাম

লাগামছাড়া ডিম-মাংসের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ২৭৯জন দেখেছেন

Image

ইবাদত হোসেন :লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিম আর মাংসের দাম। লাগামছাড়া দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভোক্তারা। নিম্ন আয়ের মানুষ অনেকে ডিম ও গোশত খাওয়া বাদ দিয়েছেন। নিম্ন মধ্যবিত্তদের অবস্থাও ব্যতিক্রম নয়। যারা কিনতে পারছেন, তারাও পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। আগে যারা ডজন ডজন ডিম কিনতেন এখন তারা হালিতে নেমেছেন। গরু কিংবা খাসির গোশত খাওয়া তো অনেকে ভুলেই গেছেন। ব্রয়লার বা লেয়ার মুরগি দিয়ে যারা আমিসের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করতেন তারাও এখন পড়েছেন বিপাকে।

রমজান শুরুর আগেই এভাবে ডিম ও গোশতের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুধু ডিম আর গোশতই নয়, বর্তমানে রাজধানীর প্রতিটি কাঁচাবাজারে সব ধরনের সাক-সবজিও আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ও আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

লাগামহীন দাম বেড়ে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে। গত মাসেও ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে ছিল। অর্থাৎ এ সময়ে দাম বেড়েছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা। আর শেষ দফায় গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। তখন দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।

এ পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন পর যারা ব্রয়লার মুরগি কিনতে বাজার এসেছেন তারা পিলে চমকে যাচ্ছেন। বিপাকে পড়ছেন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম নিয়েও। কারণ প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজনে। প্রতি হালি ৫০ টাকা, যা আগে ৪৫ টাকা ছিল। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার সাথে সাথে লেয়ার বা পাকিস্তানি জাতের মুরগির দামও কেজিতে অন্তত ২০ টাকা বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে ২৮০ টাকায় পাকিস্তানি মুরগি পাওয়া গেলেও এখন ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি ও ডিমের মতো বাড়তি দেখা গেছে গরুর মাংসের দাম। বেশিরভাগ বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ৭০০ থেকে ৭২০ টাকায় মিলতো। আর খাসির গোশত এখন ১০৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাবে না রাজধানীর কোনো বাজারে। বকরি ৯৫০ টাকা। আগে যেখানে বকরি ৮০০ ও খাসির গোশত ৯০০ টাকায় পাওয়া যেত।

ক্রমাগত পণ্যের এ মূল্যবৃদ্ধি বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। দোকানে দোকানে দাম নিয়ে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাগবিতণ্ডা। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের ডিমের দাম বাড়ায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা কষ্টে পড়ে গেছেন। বেশকিছু ক্রেতাকে দাম শুনে খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

এদিকে বিক্রেতারাও মুরগি ও ডিমের দাম দফায় দফায় বাড়ার কোনো সঠিক কারণ বলতে পারছেন না। যাত্রাবাড়ি বাজারে মুরগি বিক্রেতা শামসুজ্জামান বলেন, সরবরাহ কম তাই দাম বেশি শুধু এটুকুই জানি। আমরা বেশি দামে কিনেছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম এভাবে বাড়ুক আমরা সেটা চাই না। কারণ দাম বাড়ায় বিক্রি কম হচ্ছে।

মালিবাগ ও রামপুরা বাজার ঘুরে গরুর মাংসের দামও বাড়তি দেখা গেছে। মাংস বিক্রেতা মোসলোম  বলেন, কম দামে গরু কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না বলে আগের দামে মাংস বিক্রি করে পরতা হচ্ছে না। সবখানে দাম বেড়েছে। তবে সেখানে একজন ক্রেতা বলেন, রমজানের সরকার গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়। তাই আগেই এরা দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে সবজির দামও কিন্তু খুব বেশি স্বস্তিদায়ক নয়। গ্রীষ্মের নতুন সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ কমে আসায় শীতের সবজির দামও বাড়ছে। 


আরও খবর

ঈদের বাজারেও চড়া দাম

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩

সরকারের প্রশংসায় ব্লুমবার্গ

শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩




গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ১০ দফা প্রস্তাবনা পেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা :

কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি রোধ, জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচনের প্রতিবাদ, কুমিল্লা বিভাগ ও কুমিল্লা বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা সহ ১০  দফা দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ব্যবস্থাপনায় শনিবার সকাল ১০ টায় কুমিল্লার টাউন হল ময়দানে বিভাগীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন। প্রধান বক্তা ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ক্ষমতায়  জন্য ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এ অসুস্থ প্রতিযোগিতার বলী হয় সাধারণ জনগণ। গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ভুলন্ঠিত হচ্ছে বার বার। এ অবস্থা আর চলতে পারে না। আমরা চাই দেশে সুস্থধারার রাজনীতির বিকাশ হোক, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত হোক। এ জন্য চাই স্বচ্ছ , অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য  নির্বাচন। আইন পাশ করে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর স্বাধীন করতে হবে। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক বা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারেনা এবং নিরপেক্ষ, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পাদনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি যে স্থায়ী সমাধান নয় তা  ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন দেশের অধিকাংশ মানুষ সূফিবাদী। অথচ সুফিবাদীরা দেশে সবচেয়ে অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত। সুফিবাদী আলেম ও কর্মীদের কোন হত্যার বিচার হয় নি। বায়তুল মুকাররম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ কোথাও সুন্নি জনতার প্রতিনিধিত্ব নেই। দেশের উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণাধীন ৫৬০ টি মডেল মসজিদের অধিকাংশই আজ স্বাধীনতা বিরোধী উগ্রবাদীদের দখলে। আমরা  সুফিবাদী জনতাকে তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। তিনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে প্রেরিত অর্থে প্রদানসহ অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষার সংকোচনের প্রতিবাদ জানিয়ে এম এ মতিন বলেন, ধর্মহীন শিক্ষানীতি জাতিকে পঙ্গু করার নামান্তর। অবিলম্বে প্রত্যেক শ্রেণিতে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। একই সাথে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন, সীমান্তহত্যা বন্ধ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের আকর্ষণ করেন। তিনি ঐতিহাসিক কুমিল্লার ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে কুমিল্লা বিভাগ নামকরণের দাবি জানান। 

প্রধান বক্তা অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ বলেন, বিদ্যুত-গ্যাসের একেরপর এক মূল্যবৃদ্ধি করে জনজীবনকে অসহনীয় করেছে, অন্যদিকে পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির কালোবাজারি অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও দ্রব্যসামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে আসছে। অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য লাগাম ধরুন। সাধারণ মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে সিয়াম-সাধনার সুযোগ করে দিন। তিনি পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের কর্তৃক মুসলমানদের গুলি বর্ষণের নিন্দা জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।


ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী এম এ ওয়াহিদ সাবুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আবেদী আলকাদেরী , অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, এম.সোলায়মান ফরিদ, সৈয়দ মোজাফ্ফর আহমদ মোজাদ্দেদী, যুগ্ম মহাসচিব মাসুম বিল্লাহ মিয়াজী, সাংগঠনিক সচিব এড. ইসলাম উদ্দিন দুলাল, দপ্তর সচিব আবদুল হাকিম, সহকারী দপ্তর সচিব মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম,  জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি মাওলানা মোঃ আব্দুল মান্নান, প্রচার সচিব মাষ্টার আবুল হোসাইন, প্রকাশনা সচিব সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, তথ্য ও প্রযুক্তি  সচিব মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ইসলামিক স্কলার মাওলানা গোলাম কিবরিয়া আজহারী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন কাদেরী, মাওলানা আবদুল মোস্তফা রাহিম আযহারী, সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আযহারী, এড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মোখতার আহমদ ছিদ্দিকী ,  হাফেজ মাওলানাআমিনুল ইসলাম, মোঃ: তাবারুক হোসাইন,সাংবাদিক গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, হাজী মোহাম্মদ রুবেল,  মহিউদ্দিন মোল্লা, পীর মাওলানা মোঃ আবদুল জব্বার, মাওলানা মোঃ আবদুল জলিল রেজভী,  কাজী আবুল বাশার, তাজুল ইসলাম ভূইয়া, গোলাম মোস্তফা শাহ, হোসাইন মোঃ আলমগীর, জসিম উদ্দিন নূরী, পীরজাদা কাজী ওমর ফারুক, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, যুবনেতা অধ্যক্ষ ডা. এস এম সরওয়ার,  শাহিদুল ইসলাম মামুন,ছাত্রসেনার সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল জাবের ।


আরও খবর



আমের মুকুলের মৌ,মৌ সূগন্ধে মুখরিত গোটা ফুলবাড়ি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে ছোট একটি কবিতা দিয়ে শুরু করছি, বসন্ত এলো যে ধরায়,উদাসী কোকিলের সুর মন ভরায়, কৃষ্ণ চূড়ার রাজপথ সাজে, সঙ্গীতের কলতান কানে বাজে।ভ্রমরায় দল বেঁধে চলে, ফুল ফোটে কাননে,কাননে বৃক্ষে নতুন পত্র- পল্লব জাগে, সবকিছু অপরুপ লাগে।

সেই অপরূপ সাজে সেজেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার আম বাগান গুলো আমের মুকুলের সুগন্ধিতে মুখরিত উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের আম বাগান গুলো। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে পাড়া গায়ের আমের গাছগুলো কি অপরূপ সৌন্দর্য। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবারে উপজেলায় প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে আম বাগান করা হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য আম চাষিদের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে প্রতিনিয়ত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এবছর প্রায় ৯০শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে।এতে করে আম বাগান মালিকরা মনে করছেন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় আর আবহাওয়া যদি অনুকুলে থাকে তাহলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এক একটি বাগানে নানান ধরনের আম রয়েছে যেমন: ফজলি, আম্রপালি,ল্যাংড়া,হারিভাঙ্গা, মল্লিকা, বারি-৪,দেশি ইত্যাদি।এ অঞ্চলের আম চাষি ও বাগান মালিকরা বাণিজ্যিক ভাবে লাভের আশায় এখন থেকে ভালো ভাবে আম বাগানের পরিচর্যায় মেতে উঠেছে।


উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের আম বাগান চাষি মোহাম্মদ আলী শেখ ও আবুল হোসেন শেখ জানান, দীর্ঘ তিন,চার বছর থেকে প্রায় ২০

বিঘা জমিতে আম্রপালি ও বারি-৪ আমের চাষ করে আসছি গত বছরের চেয়ে এবারে বেশি করে আমের মুকুল এসেছে তাই ভালো ভাবে পরিচর্যা করছি যাতে মুকুল গুলি ঝরে না যায় আশাকরি গতবারের তুলনায় এবার বেশি লাভবান হতে পারবো।

আম বাগান পরিচর্যা কারি শ্রমিক রফিক মিয়া ও জব্বার আলী জানান, আমের সিজন আসলে আমারা এ বাগানের পরিচর্যা করে থাকি এবারে সব গাছে মুকুল এসেছে সেই জন্য আগে থেকেই আমরা মুকুলে স্প্রে করছি যাতে মুকুল ঝরে না যায়।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, জানান গত বছরের তুলনায় এবছর আমের মুকুল অনেক বেশি এসেছে এই মুকুল গুলি যাতে ঝরে না পরে সেই জন্য আম চাষিদের ছত্রাক নাশক ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তিনিও আশা করছেন বৈরী আবহাওয়া বা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় তাহলে এবারে কৃষকরা আমে ভালো লাভবান হবে বলে আমি মনে করছি।



আরও খবর



খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ১০ দফা দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

ইবাদত হোসেন :

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  বলেন 

সবকিছুর দাম উর্দ্ধমুখী, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, মানুষ হাহাকার করছে। সারাদেশের মানুষ খাদ্যের অভাবে পড়ে গেছে। 

সরকার আবার নির্বাচনের উদ্যোগ নিচ্ছে 

সরকারের মন্ত্রীরা বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে অথচ মানুষের ভোটের অধিকার নেই। অতীতে দেশের মানুষ কারচুপির নির্বাচনের নমুনা দেখেছে।

সরকার আবার পাতানো, সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। সরকারের অধীনে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে ভোট নিরপেক্ষ হবে না।

বিদ্যুৎ আনতে ভারতের কোম্পানির সাথে অসম চুক্তি করেছে সরকার। সরকারের জনগনের প্রতি দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা নেই। সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছে, অর্থনীতি চালাতে ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ নয় সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা।

সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হবে না। 

সেজন্য বলা হয়েছে সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদকে ভারতের আদালত খালাশ দিলেও সরকার তাঁকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়নি সরকার।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি।

আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনের মতো নির্বাচন করতে চাইলে মানুষ এবার আর হতে দেয়া হবে না। তামাশার নির্বাচন এদেশে হতে দেয়া হবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে।

১৫ বছরে মামলা নির্যাতন করে দমিয়ে রাখা যায়নি।

বাঁধা দিলে জনগনের শক্তি দিয়ে অতিক্রম করা হবে।

১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১১ই মার্চ সকল মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা।

আমান উল্লাহ আমান:

আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ না।  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে। 

নিজেদের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই বলে সরকার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে জনগন রাজপথে নেমে এসেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

খন্দকার মোশারফ :

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সারাদেশে পদযাত্রা। কাজিরগা, যাত্রাবাড়ী। যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপি।

বিএনপি যেইদিন ই সমাবেশের ডাক দেয়,  সেইদিন ই আওয়ামীলীগ পাল্টা কর্মসূচি দেয়। তারা বিএনপিকে ভয় পায় বলেই কর্মসূচি দেয়।

এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। জনগণের ভোটে না। 

যে দেশে গনতন্ত্র নেই, সে দেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। মানবাধিকার লংঘন করেছে এই সরকার।

তারা ভয় পায় বলেই মামলা দিয়ে নেতা কর্মীদের দমন করছে।

দ্রব্যমূল্য এমনভাবে বেড়েছে, সব মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দেশের গরীব মানুষ আরো গরীব হয়েছে। মধ্যবিত্তরা গরীব হয়ে গেছে। লুটেরাদের হতে ওএমএস এর চাল দেয়ার দায়িত্ব পড়েছে।  আওয়ামী সিন্ডিকেটের হাতে পড়েছে ব্যাবসা। কাজেই দ্রব্যমূল্য আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এই সরকারকে বিদায় না করলে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হবে না। নির্বাচন ও সুষ্ঠু হবে না। মোশাররফ বলেন, ১০ দফা দাবি মেনে না নিলে, জনগন জানে কিভাবে বিদায় করতে হয়। সব নেতা কর্মীদের আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



মোদীবিরোধী প্রচারে গ্রেপ্তার আট

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০জন দেখেছেন

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে 'আপত্তিকর' পোস্টার লাগানোর অভিযোগে গুজরাটে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পোস্টারটিতে লেখা ছিল 'মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও'।

শুক্রবার আহমেদাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। পুলিশ বলছে, 'আপত্তিকর' পোস্টারগুলো 'অননুমোদিত উপায়ে' শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছিল। এদিকে গ্রেপ্তারকৃতরা আম আদমি পার্টির কর্মী বলে দাবি করেছেন গুজরাটে দলটির প্রধান ইসুদান গাধভি। তিনি বিজেপিকে 'স্বৈরাচার' বলে অভিযুক্ত করেছেন এবং বলছেন, সরকার ভয় পেয়েই গ্রেপ্তারকাণ্ড শুরু করেছে। সম্প্রতি ভারতজুড়ে ১১টি ভাষায় 'মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও' প্রচারণা শুরু করেছে আম আদমি পার্টি। 


আরও খবর



লালমনিরহাটে ৩দিন ব্যাপী "লালমনি লোকজউৎসব-১৪২৯" অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব  প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটে "শেকড়ে সৃজনে মুক্তি" স্লোগান নিয়ে ৩দিন ব্যাপী "লালমনি লোকজউৎসব-১৪২৯ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকাল ৪টায় লালমনিরহাটের ফায়ার সার্ভিস রোড বাবুপাড়াস্থ এম. টি. হোসেন ইনসটিটিউটে লোকসংস্কৃতি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের আয়োজনে এ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক ছিলেন লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। বক্তব্য রাখেন লোকসংস্কৃতি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের আহবায়ক সূফী মোহাম্মদ, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র মোঃ রেজাউল করিম স্বপন, ড. মেহেজেবুন নেসা রহমান, সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আদেলুর রহমান আদেল, লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক শেরিফা কাদের এমপি প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়রের সহধর্মিণী ও সমাজকর্মী জাকিয়া সুলতানা রিমু, লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব জাহিদ হাসান লিমন, লালমনি লোকউৎসব উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব মুনীম হোসেন খন্দকার প্রতীক, সদস‍্য শামীম আহমেদ, উৎসব উপ-কমিটির আহবায়ক মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, সদস‍্য সচিব মোঃ হেলাল হোসেন কবিরসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এ উৎসবের ফুড ও বেভারেজ পার্টনার ছিলেন "প্রাণ"।


আরও খবর

মা হলেন মাহিয়া মাহি

বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩

শাকিবকে বাঁচাতে মরিয়া অপু-বুবলী

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩