Logo
শিরোনাম

লাহোরে সমাবেশ স্থগিত করেছে পিটিআই

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

লাহোরে ১৪৪ ধারা জারির পর নির্বাচন সম্পর্কিত সমাবেশ স্থগিত করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান।

পাঞ্জাব রাজ্য সরকারের জারি করা ওই ১৪৪ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে রবিবার আদালতে মামলা করেন পিটিআই নেতা বাবর আওয়ান। এর আগে পাঞ্জাবের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রদেশের রাজধানীতে যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক টুইটে ইমরান খান বলেন, শুধু পিটিআইয়ের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন বন্ধ করতেই আবারো অবৈধভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নির্বাচনী সূচি ঘোষণার পরেও কীভাবে প্রদেশের রাজধানীতে জরুরি অবস্থা জারি করা যায়, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। 


আরও খবর



নওগাঁয় শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় ৪ শিক্ষক সহ ৫ জন শ্রীঘরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী সিফাত হোসেন (১৪) কে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় ৪ জন শিক্ষক সহ ৫ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে নওগাঁ জেলা ও দায়েরা জজ আদালত। সোমবার দুপুরে তারা বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমতিয়াজুল ইসলাম।

কারাগারে পাঠানো ৪ জন শিক্ষক সহ ৫জন হলেন, কীর্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ আজাহারুল ইসলাম (৫৬), সহকারী শিক্ষক মোঃ সাজেদুর রহমান সাজু (৪৩), শ্রী সুবল মণ্ডল (৩৯), মোঃ নজরুল ইসলাম (৫১) ও দাসকান্দি গ্রামের মৃত হক সাহেবের ছেলে মিঠু। মামলার এজাহার নামীয় অন্য আসামীরা হলেন, ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ স্বরন সাহারিয়ার (১৬), শ্রী রিত্তিক (১৬), মোঃ রিয়াদ হোসেন (১৬)।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের ৩১ মে সকালে স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কীর্ত্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী সিফাত হোসেনকে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্মরণ শাহরিয়ার, হৃতিক ও রিয়াদ হোসেন মারধর করেন। ঘটনাটি সিফাত তার পরিবারকে জানালে ঐ দিনই সিফাতের বাবা মিজানুর রহমান প্রধান শিক্ষক আজহার আলীর কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিষয়টিতে কর্ণপাত না করে উল্টো সিফাতকেও মারপিট করতে বলেন, নতুবা হাতে মেয়েদের চুরি পরে থাকতে বলেন।

এঘটনায় প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী স্মরণ শাহরিয়ারের বাবা সাজেদুর রহমান শিক্ষার্থী সিফাতকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বিদ্যালয় হতে টিসি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুবল মন্ডল ও নজরুল ইসলামও সিফাতকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। ন্যায়বিচার না পাওয়ায় অত্যন্ত মনোকষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরে ঐ দিন রাতে গ্যাস বড়ি (কীটনাশক) খায় সিফাত। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন (১ জুন) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নওগাঁ আমলী আদালতে ঐ বছরের ৯ জুন মামলা দায়ের করে 


আরও খবর

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




অসহায় পুলিশ : থামছে না তিন চাকার যান

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার: উত্তরাঞ্চল মহাসড়কে এখন বড় বিপদ তিন চাকার যান। দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে গতির পাল্লা দিয়ে চলছে এই ঝুঁকিপূর্ণ বাহনগুলো। শুধু তাই নয়, এসব অবৈধ যানের স্ট্যান্ডও করা হয়েছে মহাসড়কের ওপরই। প্রধান সড়কগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত অব্দি দেখা যাচ্ছে তিনচাকার যানবাহনের রাজত্ব।

বগুড়াসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে গত তিন বছরে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভটভটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে দুই শতাধিক মানুষ। আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে দুজন করে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং সাতজন আহত হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ, বেসরকারি একাধিক এনজিওর তথ্য থেকে মিলেছে এই চিত্র।

 

জাতীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভিপতি হানিফ খোকন   জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে জাতীয় আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে ইজিবাইক, সিএনজিসহ অন্য থ্রি-হুইলার। অতীতের চেয়ে এই চলাচল বেড়ে যাওয়ার কারণে অহরহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু আহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে সড়কে অরাজকতা কমবে না।

হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, তাদের সব রকমের চেষ্টার পরেও মহাসড়কে ত্রিচক্র যান চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা প্রতিনিয়ন অভিযান চালাচ্ছেন, চালকদের সচেতন করছেন, মামলা দিচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও এই যানের দৌরাত্ম কমছে না। উল্টো মহাসড়কে থাকা পুলিশ সদস্যরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ করতে হলে এখন পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও উদ্যোগ নিতে হবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলা অংশে মহাসড়ক দখল করে থাকে নিষিদ্ধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এই সড়কেই রয়েছে সিএনজির একাধিক অবৈধ স্ট্যান্ড। সেখানে এলোমেলোভাবে পার্কিং করা হচ্ছে শতশত অটোরিকশা।

যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কে অটোরিকশা ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। আবার তিনজনের আসনে বসছেন পাঁচজন। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এক অটোরিকশাচালক বলেন, বগুড়া থেকে বিভিন্ন রুটে অন্তত তিনশ অটোরিকশা চলাচল করে। মহাসড়কের উভয়পাশ দিয়ে বগুড়া শহর এবং অন্য উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের শাখা সড়ক আছে। এতে সময় একটু বেশি লাগে, তবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম থাকে। কিন্তু রিজার্ভ না নিলে কেউ ছোট সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে না। মহাসড়কেই চলাচল করে।

উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল, বগুড়ার শেরপুর, নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলায় রয়েছে হাইয়ের পুলিশের থানা ক্যাম্প। অভিযোগ রয়েছে এসব থানা পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে অবৈধ যানবাহনকে মহাসড়কে চলাচলের সুযোগ দিয়ে থাকেন। যার কারণে গোপনে নয়, বরং প্রকাশ্যে শোডাউন করে দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেন তারা। গতির দিক থেকেও বাস-ট্রাককে পেছনে ফেলে রীতিমতো ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। আর বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের।

শেরপুরের বাসিন্দা আকবর মিয়া বলেন, সকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত স্ট্যান্ড এবং বাজারের মুখগুলোতে সিএনজি অটোরিকশা ঠাসাঠাসি করে থাকে। তিনজনের বসার আসন থাকলেও পাঁচজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হয়। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলে আসছে। অথচ এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের ১১টি জেলার শতশত ভারী যানবাহন চলাচল করে। পাশেই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বিষয়গুলো দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়ার শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন বলেন, মাসিক কোনো চুক্তি করা হয় না। আমরা সিএনজির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। মামলা দিচ্ছি। আসলে এরা পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে চলাচল করে।

নন। যাত্রীদের অনুরোধ উপক্ষো করে দ্রুতগতিতে চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।

দেশের মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ায় ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে সব মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পু সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে সরকার। আদেশ জারির পর পুলিশ অভিযান চালালেও এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে।

মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মূলত বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকেই এই সিএনজি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অবাধ চলাচল রয়েছে। এই রুটে দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও মহাসড়কে অবাধে চলাচল করে এই ঝুঁকিপূর্ণ যান।

আর ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বগুড়ার অংশের মধ্যে বনানী, বেতগাড়ী, লিচুতলা, সাজাপুর, টিএমএসএস ফিলিং স্টেশন, শাজাহানপুর নতুন থানা ভবন, উপজেলা পরিষদ, শাজাহানপুর বন্দর এলাকা, আড়িয়া বাজার, নয়মাইল, শেরপুরের জামালপুর, দশমাইল, গাড়ীদহ, দুগ্ধ প্রাণী উন্নয়ন খামার, মহিপুর বাজার, হাজীপুর, কলেজরোড, উপজেলা পরিষদ, আহলে হাদিস পাক মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, খেজুরতলা, ধুনট মোড়, হামছায়াপুর, কাঁঠালতলা, শেরুয়া, শেরুয়া বটতলা, মৎস্যখামার, যমুনাপাড়া, কৃষ্ণপুর, মদনপুর, মির্জাপুর, রানীরহাটমোড়ের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায়ই দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।

সম্প্রতি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা সদরে গিয়ে দেখা গেছে, অন্ধকার মহাসড়কে শুধু সিএনজি অটোরিকশা নয়, ব্যাটারি পায়েচালিত রিকশা-ভ্যান চলাচল করছে। তাদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিআরটিএ বগুড়া অফিসের সহকারী পরিচালক মাইনুল হাসান বলেন, দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধে সরকারি নির্দেশ রয়েছে। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। অনেক সময় মহাসড়কে গিয়ে কোনো থ্রি-হুইলার গাড়ি দেখা যায় না। আবার কখনো কখনো এত গাড়ি থাকে যে অভিযান চালাতে আমাদের হিমশিম অবস্থায় পড়তে হয়।

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




গণধর্ষনের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলার বাদী গৃহবধূ জেল-হাজতে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় গণধর্ষনের অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এক আইনজীবীর স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর রায় দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন। 

রায় দেওয়ার পর মৌসুমি  নামের ঐ গৃহবধুকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর স্পেশাল পিপি এ্যাড. মকবুল হোসেন-২ জানান, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা কোলা ইউনিয়ন এর গয়রা গ্রামের মোজাহার আলীর মেয়ে উক্ত মৌসুমী নিজেকে বিধবা পরিচয় দিয়ে একই গ্রামের হাবিবুর রহমান সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষনের অভিযোগ এনে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ২০১৩ সালে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে গত ২০২৩ সালের ৯ মার্চ এক রায়ে উক্ত মামলা সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা প্রমানিত হয়ে সকল আসামীরা বেকসুর খালাস পান।

মিথ্যা মামলা করার দায়ে হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল সোমবার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতে ১৭/৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় মৌসুমী আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। আদেশের পর মৌসুমীকে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।


আরও খবর

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




র‌্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিল ও বিদেশী মদ সহ মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

র‌্যাবের অভিযানে ৩৫৩ বোতল ফেন্সিডিল ও বিদেশী ৩ বোতল মদসহ মাদক কারবারি এক যুবক আটক।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩,জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়,

র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকশ অভিযানিক দল কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে রবিবার ১৯ মার্চ পনে ৪টারদিকে জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৫৩ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ বোতল বিদেশী মদ সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ফারুক হোসেন জয়পুরহাট জেলা সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের

মৃত কলম বকস এর ছেলে।

র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত যুবক গঙ্গাদাসপুর এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সীমান্ত এলাকা থেকে ফেন্সিডিলের একটি বড় চালান আসবে এবং রাতেই তা বাসে করে ঢাকায় পাঠানো হবে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাবের একটি চৌকশ অভিযানিক দল গঙ্গাদাসপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মাদক সহ আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। এব্যাপারে নিকটস্থ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।


আরও খবর



নওগাঁয় ইরো-বোরো ধান চাষে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ,ধানের মূল্য বাড়ানোর দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

শস্য-ভান্ডার নামে সারা দেশে পরিচিত উত্তরাঞ্চল এর নওগাঁ জেলার ১১ টি উপজেলায় এবার ইরি-বোরো ধান উৎপাদন (চাষে) খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। ধান চাষি কৃষকরা বলছেন, বিগত ধান চাষের মৌসম থেকে এবার চলতি ইরি-বোরো ধান চাষে দ্বিগুণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দিন মজুর ও ধানের চারা রোপন কাজের শ্রমিকের মূল্য যেমন বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ তেমনি বাজারে ডিজেল এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জমি চাষের খরচও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ, এছাড়া সার এর মূল্য কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে পানি সেচ মূল্য, বীজ, কীটনাশক সহ কৃষি শ্রমিকের মজুরি। যার ফলে বিগত বছরের থেকে এবার প্রতি বিঘা ইরি-বোরো ধান চাষে ৪-৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। একই সাথে কৃষকরা জানিয়েছেন, ধান - কাটা মাড়াই এর শুরু থেকেই বাজারে প্রতি মণ ধান সর্বনিন্ম ১৫-১৬ শ’ টাকা দরে যদি বিক্রি করতে পারেন, সেক্ষেত্রে তারা কিছুটা লাভমান হতে পারেন। এরনিচে কম মূল্যে বিক্রি করলে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বেন।

তবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বর্গাচাষিরা। ইউরিয়া সার, শ্রমিক, চাষের খরচ সহ পানি সেচ বাবদ খরচ বেড়ে যাওয়ায় জেলায় এবার গত বছরের চেয়ে ৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে করতে হচ্ছে কৃষকদের। 

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নওগাঁ জেলার সদর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, সাপাহার, নিয়ামতপুর, মান্দা, বদলগাছী, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭শ' ৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পরিমাণ জমিতে ধান চাষে পানি সেচ ও সার বাবদ খরচ হবে ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। গত বছর এক লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদে সার ও সেচে খরচ হয়েছিল ২১৩ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা। চলতি বছর এ বাড়তি খরচ প্রান্তিক চাষি (কৃষকদের) জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা সার, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে এনে ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবিও জানিয়েছেন কৃষকরা।

নওগাঁ জেলার পল্লী গ্রামের মাঠ গুলোতে এবার চিকন ধান জিরাশাইল, কাটারিভোগ, সম্পা কাটারি, ব্রি-২৮, ২৯, ৮১, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতে সবুজের সমারোহ নজর কাড়ব যে কারো মনে। ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন মন্ডল, খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বাবু সহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবার ইরি-বোরো ধান চাষে খরচ অনেক বেড়েছে। তারা বলেন, শ্রমিকের খরচ, পানি সেচ খরচ ও ডিজেল এর মূল্য রাড়ানোর ফলে জমি চাষ খরচ সহ কিটনাশকের মূল্যও ব্যাপক বৃদ্ধি হওয়ায় চলতি ইরিবোরো ধান চাষে বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ বৃদ্ধি হয়েছে, এজন্য বাজারে ধানের মূল্য ও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকরা। অপরদিকে আত্রাই উপজেলার দমদমা গ্রামের পোস্ট মাস্টার আব্দুল লতিফ চাকরির পাশাপাশি কৃষি কাজও করেন। এবার তিনি সারে ৪ বিঘা জমিতে ইরো বোরো ধান লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে কীটনাশকের দাম, জমি চাষ, ধানের চারা লাগানো, নিড়ানিসহ বিভিন্ন খরচ গত বছরের চেয়ে এবার বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়েছে। প্রতি মণ ধান ১৫শ' টাকা থেকে ১৬' টাকায় বিক্রি করা না গেলে ধানে লোকসান গুণতে হবে।

বদলগাছী উপজেলার চাংলা গ্রামের কৃসক ওয়াহেদ আলী এবার সারে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ইরি বোরো ধান রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, গতবছর ধানের চারা রোপণ ৭০০-৮০০ টাকা বিঘা হিসেবে শ্রমিকের মজুরি ছিল। এবার তা বেড়ে ১৫০০ টাকা দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া একজন শ্রমিক এক বেলা খাওয়া দিয়ে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৬-১৭ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধান পাবো ২০ মণ। এর মধ্যে জমির মালিককে প্রতি বিঘাতে ৭ মণ করে ধান দিতে হবে। ৭ মন ধান দেওয়ার পর বিঘাতে ১৩ বা ১৪ মন ধান পাবো, তাহলে ধান চাষ করে কী লাভ হবে। এবার ধানের মন বিগত বছরের থেকে ৩০০-৪০০ টাকা বেশি না করা হলে আমরা ক্ষতির মুখে পড়বো।

রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের ধান চাষি কৃষক শুকবর আলী বলেন, এবছর ধার-দেনা করে ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বিঘা বোরো আবাদের শুরুতেই খরচ বেড়েছে ২হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রমিকের মজুরি গত বছর ছিল ৩শ' টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫শ' থেকে সারে ৫শ' টাকায়। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ ও জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করায় খরচ বেড়েছে। এই ধার-দেনার টাকায় ধান কাটার পরেই তা বিক্রি করতে হয়। তখন (ধান-কাটা মাড়াই এর) সময় আবার ধানের দামও পাওয়া যায় না। ধান ঘরে তোলার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। শ্রমিকদেরকে বেশি টাকা দিয়ে ধান কাটাতে হয়। তাই এবার ধানের দাম না বাড়লে ধান চাষি কৃষকরা মাঠে মারা যাবে বলেও মনে করেন তিনি।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একে এম মঞ্জুরে মাওলা জানান, ইতিমধ্যেই জেলায় মতভাগ আবাদি ধান চাষের জমিতে ধান রোপন সম্পূর্ণ করেছেন কৃষকরা। এখন ধান নিরানি, কিটনাশক, সেচ সহ ধান ক্ষেতের পরিচর্যা নিয়ে ব্যাস্ত কৃষকরা। তবে এখন পর্যন্ত জমিতে ইরি বোরো পরিবেশ ভালো রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি আরো বলেন, এবছর বিদ্যুৎ খরচ ও সেচ খরচ বেড়েছে, বেড়েছে শ্রমিকের মূল্যও। আর যেকোনো বিষয়ে উৎপাদন খরচ বাড়লে সেটি শেষ পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে বেড়ে যায়। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করার সময় বর্তমান বাজার দরের সমন্বয় করবেন। তবে বাজারে ধানের দামও ভালো পাবেন কৃষকরা এবং কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা এই কৃষি কর্মকর্তার।


আরও খবর