Logo
শিরোনাম

লাখো ভক্ত জনতার অংশগ্রহণে শেষ হল বাবাভাণ্ডারীর ৮৯তম ওরশ শরীফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

সৃষ্টির কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়াই হচ্ছে হযরত বাবাভাণ্ডারী’র জীবন দর্শন’

-বাবাভাণ্ডারী’র প্রপৌত্র ও বিএসপি চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী :

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ও বাবাভান্ডারীর প্রপৌত্র রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরিকত হজরত শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হজরত বাবা ভাণ্ডারীর জীবন দর্শন। তিন দিনব্যাপী ওরশ শরীফের সমাপনী দিবসে শনিবার (০৫ এপ্রিল) আন্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজ ভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া শরিফ, রওজায় গিলাফ চড়ানো, ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, রক্তদান, ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনার লক্ষ্যে র‍্যালিসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লাখো ভক্ত-জনতার অংশগ্রহণে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার পূর্ণতাদানকারী হযরত গাউছুল আজম শাহ্সুফি মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারীর (ক.) ৮৯ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ মহাসমারোহ উদযাপিত হয়েছে। রাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আশেকানদের উদ্দেশে বিশেষ নসিহত ও বিশ্বশান্তি, নিপীড়িত মানবতার মুক্তি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান, বাবাভান্ডারীর প্রপৌত্র রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরীকত হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (মাজিআ)। তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের মহান ওলীগণ মানুষকে ইসলামের সহজ-সরল সঠিক পথই দেখান। আল্লাহ পাকের সেরা সৃষ্টি মানুষ। আর মানুষের সেবা ও কল্যাণ করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত। মানুষের প্রতি দরদী ও কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.) আল্লাহ পাকের যোগ্য প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বই পালন করেন। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর রহমান নামের গুণাবলীর উজ্জ্বল প্রতীক। মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথই দেখিয়েছেন তিনি। সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হযরত বাবাভাণ্ডারীর জীবন দর্শন। তিনি আরো বলেন, আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থান্ধতা ও ভোগল্পিসাই আজ পৃথিবীতে যতো অশান্তি-হানাহানির মূল কারণ। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ত্যাগের পথ ধরতে হবে।

গণকল্যাণে নিজেদের ব্যাপৃত রাখতে হবে। এটাই হচ্ছে বাবা ভাণ্ডারীর শিক্ষা। হজরত গাউছুল আজম বাবা ভান্ডারী (ক.) আর্তমানবতা ও গণকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রেখে অবিস্মরণীয় কর্মকীর্তির স্বাক্ষর রেখে পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন বলে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মাজিআ) উল্লেখ করেন। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন- মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মেহবুব এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শাহজাদা সৈয়দ মাশুক এ মইনুদ্দীন আল হাসানী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজ ভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব খলিফা অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজ ভাণ্ডারীয়ার মহাসচিব আলহাজ মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজ ভাণ্ডারী, বিএসপির ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মাওলানা মুফতি বাকিবিল্লাহ আজহারী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী মাইজভাণ্ডারী, আনজুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি খলিফা আলহাজ বোরহান উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজী মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।


আরও খবর



পাকিস্তানকে সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও দেবে না ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেন পাকিস্তানে না যায় সেই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ভারত। ২৫ এপ্রিল দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন ভারতের জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া পোস্টে সিআর পতিল লেখেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে বৈঠকে একটি রোপম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈঠকে তিনটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার স্বল্পকালীন, মধ্যকালীন এবং দীর্ঘকালীন ব্যবস্থার ওপর কাজ করছে যেন পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও না যায়। শিগগিরই নদীর প্রবাহ বন্ধ করতে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হবে এবং প্রবাহ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়া হবে।”

২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যার মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি। এটি ২০১৯ সালের পর ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা।

এই হামলার পর ভারতীয়রা প্রতিবেশী পাকিস্তানকে দুষছে। দেশটির বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে একটি হলো পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করা। যদিও এ মুহূর্তে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ আটকানোর মতো অবকাঠামো ভারতের নেই। তবে পানির প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল।

এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে নেয়া পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সংসদ ভবনে সর্বদলীয় বৈঠকে হয়। বৈঠকে বিরোধীরা ভারতের যদি পর্যাপ্ত জলাধার না থাকে, তবে কেন সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জবাবে সরকার পক্ষ জানায়, এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক ফলের জন্য নয়, বরং এটি একটি প্রতীকী ও কৌশলগত পদক্ষেপ।

এদিকে পাকিস্তান হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি সিন্ধু নদের পানির প্রবাহ বন্ধের চেষ্টা চালানো হয় তাহলে এটিকে তারা যুদ্ধের কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

শুক্রবার সিনেট অধিবেশনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, ভারত কোনো প্রমাণ ছাড়াই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এগুলো ভারতের ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য।

অতীতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে ভারতকে সতর্ক করেন ইসহাক দার। বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’। যেকোনো শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডের চূড়ান্ত জবাব দেয়া হবে।


আরও খবর



আত্রাইয়ের পতিসরে পালিত হবে কবি গুরুর ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ)  : 

কাল ২৫বৈশাখ (৮মে) নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিসর বিশ্ব কবি স্মৃতিবিজড়িত কাছারি বাড়িতে পালিত হচ্ছে কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে এখানে ৩দিন ব্যপী নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এক সময় এই কাছারি বাড়িতেই কবিগুরু দায়িত্ব পালন করেছিলেন জমিদারির কাজের অংশ হিসেবেএবং এখানেই বসে অসংখ্য গান,কবিতা রচনা করেছেন তিনি। সেই স্মৃতি আজও বয়ে বেড়ায় প্রতিসরের মানুষ। রবীন্দ্রজয়ন্তীর উৎসবমুখর অনুষ্ঠানকে ঘিরে পতিসরের আশপাশের গ্রামগুলোতে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। নওগাঁর রাণীনগর, আত্রাই, নাটোরের সদর উপজেলা এবং বগুড়ার আদমদীঘি ও নন্দীগ্রাম উপজেলার গ্রামগুলোতে এই উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, কবিগুরুর জন্ম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এবার কেন্দ্রীয় ভাবে কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে না কাচারীবাড়ি পতিসরে। তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় ভাবে তিন দিনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রথমে দিনে বরীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন  রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি‘র। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম,।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ,বগুড়া সরকারী মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.মো: বেলাল গেহাসেন ও নওগাঁ সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ শামসুল আলম আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল । এছাড়া দেবেন্দ্র মঞ্চে জেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজ সংস্কৃতি ও স্থানীয় বরীন্দ্র গবেষকদের অংশগ্রহণে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা শেষে জেলা, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর নিয়মিত শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকছে বরীন্দ্র সংগীত।

  এছাড়া স্থানীয় একটি কলেজ মাঠে ঐতিহ্য হিসেবে তিনদিন স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন বরীন্দ্র মেলার আয়োজন করেছে। যেখানে মাছের মেলা, জামাই মেলাসহ অন্যান্য গ্রামীন লোকজ সংস্কৃতির পসরা থাকছে। মেলায় শিশুদের জন্য থাকছে আকর্ষনীয় বিভিন্ন আয়োজন। থাকবে সাকার্স,  মোটরসাইকেল খেলা, নাগরদোলাসহ বিভিন্ন আয়োজন।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কলকাতায় জন্ম গ্রহন করেন। এই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িই ছিল তাঁর শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং সাহিত্যচর্চার সূচনাস্থল। তিনি ১৮৯১ খ্রিষ্ট্রাব্দে জানুয়ারী মাসে প্রথম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে আগমন করেন এবং ২৭জুলাই ১৯৩৭খ্রিষ্ট্রাব্দে শেষ বারের মতো পতিসরে আগমন করেছিলেন।


আরও খবর



ঝালকাঠির রাজাপুরে গুম-খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করলো গুম-খুন কমিশন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ,ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে ২০১০ সালে গুম হওয়া একাধিক ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন গুম-খুন কমিশনের সদস্যরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দ্বারা গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান এবং তাদের ভাগ্য নির্ধারণে গঠিত পাঁচ সদস্যের গুম-খুন তদন্ত কমিশন। 

কমিশনের সদস্যরা হলেন হাইকোর্টের দুই অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী ও মানবাধিকারকর্মী নূর খান।

রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার আলোচিত বেলায়েত জমাদ্দারের দুই ছেলে মিজান ও মোর্শেদ জমাদ্দার, ইন্দ্রপাশা এলাকার আঃ ছালাম হাওলাদারের ছেলে মোঃ অসীম (৩৫) ও মোঃ রাজীব হাওলাদার (২৫), দক্ষিণ সাউদপুর এলাকার ফোরকান এবং পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার পার সাতুরিয়া এলাকার মোঃ মুরাদের পরিবারের বাড়িতে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করেন তদন্ত কমিটি। 

তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ্র, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মো. শাহ আলম, রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন এবং কাউখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে উল্লেখিত ব্যক্তিরা রহস্যজনকভাবে গুম-খুনের শিকার হন। এর আগে প্রশাসন বিভিন্নভাবে তদন্ত পরিচালনা করলেও কোনো চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত গুম-খুন কমিশন এসব চাঞ্চল্যকর ঘটনার পুনঃতদন্ত শুরু করায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশার আলো জেগেছে।

এ ঘটনায় কমিশনের সদস্যরা সাতুরিয়া, ইন্দ্রপাশা এবং পার সাতুরিয়া এলাকার গুম-খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কাছ থেকে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেন।

তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, “আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পাইনি। তবে শুনেছি, ৭টি গুম-খুনের ঘটনার তদন্তের জন্য কমিশনের সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। আমরা তাদের সাথে ছিলাম, তবে কোন কোন ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারবো না।


আরও খবর



পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (পলিটেকনিক) শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিতে চলমান আন্দোলন সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব কাজী সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের কাছে এই বার্তা পাঠান।

তিনি জানান, সামগ্রিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সোমবার আইডিইবির আহ্বায়ক মো. কবীর হোসেন ও সদস্য সচিব কাজী সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ. ম. কবীরুল ইসলামের সঙ্গে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের যৌথ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মো. হাবিবুর রহমান, লিমন হাসান, মাশরাফি বিন মাফি, জুবায়ের পাটোয়ারী, রহমত উল আলম শিহাব, আশরাফুল ইসলাম মিশান, রমজান আলী, সাব্বির আহমেদ, শিহাবুল ইসলাম শিহাব।

আলোচনায় শিক্ষা সচিব জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে আদালত রায়টি স্থগিত করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ননটেক অধ্যক্ষকে তার পদ থেকে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে।

সচিব ড. খ. ম. কবীরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে আইডিইবি ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করে শিগগিরই উচ্চপর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হবে এবং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সব দাবি পূরণ করা হবে। তিনি আগামী ২৭ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সামগ্রিক বিষয়টি তার নজরে আনা হবে মর্মে আশ্বাস দেন। তারপর সচিব প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সম্মান জানিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের চলমান ছয় দফা দাবির আন্দোলন স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আইডিইবি আহ্বায়ক মো. কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে গতকাল সন্ধ্যায় আইডিইবি ভবনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা হয়। আলোচনায় সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।


আরও খবর



সাইবার স্পেসেও নিষিদ্ধ হলো আ.লীগের কার্যক্রম

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলেও সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে দলটি এতদিন তার রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এবার সেটিও বন্ধ করে দিল অন্তর্বর্তী সরকার। সাইবার স্পেসেও নিষিদ্ধ হয়েছে আ.লীগের সকল কার্যক্রম।

রোববার সাইবার স্পেসে আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগামধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

উপদেষ্টা আসিফ তার ফেসবুকে লিখেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

এর আগে, ফ্যাসিবাদবিরোধী তীব্র আন্দোলনের মুখে গতকাল শনিবার (১০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক শেষে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আ.লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। এবার সাইবার স্পেস ব্যবহারেও নিষিদ্ধ হলো দলটি।


আরও খবর