Logo
শিরোনাম

লালমনিরহাটে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারাগেছে স্কুলছাত্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বয়লার মুরগীর খামার পরিস্কার করতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের সেবকদাস গ্রামে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম মোঃ শাহীন, সে নিথক এস.এসইচ.পি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র।এবং সেবকদাস এলাকার হাফিজুল ইসলাম বাচ্চার পুত্র।

স্থানীসূত্রে জানাগেছে নিহত স্কুলছাত্র শাহীন দুপুরের খাবার শেষে তাদের বাড়ী সংলগ্ন বয়লার মুরগীর খামারে কোদাল দিয়ে মেঝে পরিস্কার করছিলো।খামার ঘরের ছাদ থেকে ঝুলে থাকা বিদুৎতের তার শাহিনের কোদালে লেগে কেটে যায় এবং কাটা তার তার গায়ে জড়িয়ে ঘঠনাস্থলেই বিদুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয় শাহীন।স্থানীয় বাসিন্দা শাহারআলী জানায়,নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম হঠাৎ শুনলাম প্রতিবেশী স্কুলছাত্র শাহীন বিদুৎ স্পৃষ্টে নিহত হয়েছে।শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের ছিলো ছেলেটি।

গোড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান পানির লাইন সংযোগ দেয়ার সময় বিদ্যুত স্পৃষ্টে মারাগেছে শাহীন। পুলিশ ঐ বাড়িতে এখনো রয়েছে এবং নিয়মানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছে। 


আরও খবর



রাণীনগরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার,বীজ বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরে প্রায় ২২শ‘কৃষকের মাঝে সার-বীজ বিতরনের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনা মূল্যে আউশ ফসলের ধানের বীজ,পাট বীজ ও সার বিতরনের উদ্ধোধন করেন নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল।

রাণীনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন,সহকারী কমিশনার(ভূমি) হাফিজুর রহমান,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম,অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌছ কানিজ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান,উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ২১শ‘কৃষকদের মাঝে আউশ ধানের বীজ,সার এবং ২০জন কৃষকের মাঝে পাট বীজ বিতরনের উদ্ধোধন করা হয়।


আরও খবর



ভারতে মন্দিরে কুয়ার ছাদ ধসে নিহত বেড়ে ৩৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে একটি মন্দিরে পূজা দেওয়ার সময় কুয়ার ছাদ ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ দাড়িয়েছে। রাজ্যটির ইন্দোরের শ্রী বালেশ্বর মন্দিরে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। কুয়ার ছাদের ওপর মন্দির ছিল। রামনবমীর কারণে অতিরিক্ত মানুষ উঠে পড়ায় কুয়ার ছাদ ধসে পড়ে। 


পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে শ্রী বালেশ্বর মন্দিরে কয়েকশ পুণ্যার্থী হাজির হয়েছিলেন। পুজো চলাকালীন বেশ কিছু পুণ্যার্থী মন্দিরের ভেতরেই একটি পুরনো কুয়ার ছাদে উঠে পড়েন। সেটির মুখ কংক্রিটের ছাউনি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। সেই ছাউনির ওপর পুণ্যার্থীরা উঠে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।


ইন্দোরের কালেক্টর ইলায়ারাজা টি বলেন, মোট ৩৫ জন মারা গেছেন, একজন নিখোঁজ আছেন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ জনকে। চিকিত্সার পর দুইজন নিরাপদে বাড়ি ফিরেছে। নিখোঁজের সন্ধানের জন্য অভিযান চলছে।


তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ১৮ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল, তা এখনও চলছে।


প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জন বলেছেন, ভেঙে পড়া কুয়ার ছাদের নিচে কিছু লোক চাপা পড়েছেন। তাদের দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ, দমকল এবং রাজ্যে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী।


এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

হিন্দু দেবতা ভগবান রামের জন্মদিন রামনবমী উপলক্ষে ভারতজুড়ে মন্দিরগুলোতে পুণ্যার্থীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ঢাকা ছাড়া সারা দেশে ওড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা। সবুজের জমিনে রক্তিম সূর্য খচিত মানচিত্রের বাংলাদেশের আজ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং ৫৩তম জাতীয় দিবস।

সেদিন বাঙালির জীবনে নেমে আসে এক ভয়ংকর, নৃশংস ও বিভীষিকাময় অন্ধকার রাত। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর যখন ঝাঁপিয়ে পড়ে ইতিহাসের বর্বরোচিত নিধনযজ্ঞ আর ধ্বংসের উন্মত্ত তাণ্ডব চালায়, সেদিন থেকে স্বাধীনতা কথা বাঙালির হয়ে যায়। অবশ্য ৭ মার্চের ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, তখন আর বাঙালির বুঝতে বাকি ছিল না লড়াই করতেই হবে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতেই হবে।

বঙ্গবন্ধুর আমি যদি হুকুক দিবার নাও পারির উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। কালরাত্রির বাঙালি নিধনযজ্ঞ চলাকালেই মধ্যরাতের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। আর সেই থেকেই স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের হয়ে গেল।

বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েই শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার পথচলা। আজকের দিনটি তাই বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরব ও অহংকারের। সবকিছু ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার দিন। একই সঙ্গে স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে যেসব বাঙালি তাদের প্রাণ আত্মাহুতি দিয়েছেন, যেসব মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন, যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার দিন।

স্বাধীনতার সরাসরি ঘোষণা আসে ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর। ওই রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পিলখানা, রাজারবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে হামলার পর রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন।

পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনাই ছিল গণহত্যা শুরুর পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের। সে অনুযায়ী, ওই রাতে কর্নেল জহিরের নেতৃত্বে একটি কমান্ডো প্লাটুন বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ক্যাপ্টেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে সেনারা ভবনের চারদিকে অবস্থান নেয়। মেজর বিলাল দোতলার বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে যায়। তারা বঙ্গবন্ধুকে ট্যাংক-কামানসহ কড়া পাহারায় শেরেবাংলা নগরের সামরিক সদর দফতরে নিয়ে যায়। পরে তাকে নেওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর অফিসার্স মেসে। টিক্কা খানের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুকে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকেই পরদিন নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানে।

বঙ্গবন্ধুর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাটি চট্টগ্রামে নোঙর করা একটি বিদেশি জাহাজের সেটেও ধরা পড়ে। শুনতে পান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার প্রধান মেজর সিদ্দিক সালিকও। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবরটি পাকিস্তান সরকার ও ইস্টার্ন জোনের সামরিক কর্মকর্তাদের জানান।

ওয়্যারলেস বার্তাটি চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জহুর আহম্মেদ চৌধুরী পেয়ে রাতেই তা সাইক্লোস্টাইল করে বিলির ব্যবস্থা করেন। পরদিন এ বার্তাটিই কালুরঘাট বেতার থেকে সর্বপ্রথম পাঠ করেন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান। তারপর বারবার ঘোষণাটি পড়ে শোনান অধ্যাপক আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার এ ঘোষণাটি পাঠ করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন চট্টগ্রামের বেতারকর্মী বেলাল মোহাম্মদ, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ ও অধ্যাপক আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। মেজর জিয়া প্রথমে নিজেকে সুপ্রিম কমান্ডার ঘোষণা করেন ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন।

ঢাকাসহ সারা দেশেই শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। সমগ্র জাতি দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান বুকে ধারণ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিপাগল বাঙালির অকুতোভয় লড়াই আর রক্তের বন্যায় ভেসে যায় পাকিস্তানের দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত বাহিনীর সব কৌশল। ৯ মাসের সংগ্রামে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নেয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

আজ সব স্মৃতির মিনারে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ দেশের সব স্মৃতির মিনার। দিনটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতার খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকদের দায়ের করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার দলিল-এর ৪ খণ্ড, তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট (১৯৪৮-১৯৭১)-এর ১৪ খণ্ডের মধ্যে ১১ খণ্ড সহ তার লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন প্রকাশ করেছি। আমার বিশ্বাস বইগুলো পড়লে নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতার দৃপ্ত পদচারণা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানলাভ করতে পারবেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, সূর্যোদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। ভোর ৫টা ৫৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। (রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অব্যবহিত পরে)।

সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধা জানাবে।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

এ ছাড়াও বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




বাগেরহাটে মানুষের সাথে বন্ধুত্ব কাক পাখির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: 

আধুনিক পৃথিবীতে আস্থা বা বিশ্বাসের জায়গা থেকে প্রকৃত বন্ধু হয়ে ওঠা কঠিন। খুব সহজেই মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে তার প্রিয় মানুষটিকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু পশু পাখি একবার কাউকে বিশ্বাস করলে সহজে তাকে ছেড়ে যায়না। বাগেরহাটের মোংলায় এমনই এক ঘটনার জন্ম দিয়ে সাড়া ফেলেছে একটি কাক পাখি। তারেক বিন সুলতান নামে এক যুবক বছর খানেক আগে আহত অবস্থায় একটি কাক পাখিকে বাসায় নিয়ে আসেন। সুস্থ হওয়ার পর সেই কাক বন্ধু হয়ে তারেকের বাসায় থেকে যায়।

জানা যায়, কালো কাক পাখি আলাদা আলাদা মানুষের মুখের আকৃতি মনে রাখতে পারে। এছাড়া অন্যান্য প্রাণীদের অনুকরণ করার পাশাপাশি কাক মানুষকে অনুকরণ করতেও পারে। কাক সাধারণত সারা জীবন একই সঙ্গীর সাথে থাকে। তবে খুব সহজে পোষ না মানা কাক পাখিই কিনা এবার মানুষের বন্ধু হয়ে গেলো।

মোংলা পৌর শহরের জয়বাংলা সড়কের বাসিন্দা মোঃ সুলতানের ছেলে তারেক বিন সুলতান প্রায় এক বছর আগে একটি কাকের বচ্চা পাখিকে তাদের গাছের নিচে দেখতে পান। সেটির কাছে গিয়ে তিনি দেখেন বাচ্চা কাক পাখিটি খুবই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর বাসায় নিয়ে এসে চিকিৎসা দেন তিনি। প্রায় ১৫ দিনের মধ্যে পাখিটি সুস্থ হয়ে ওঠে।

তবে তারেক ভেবেছিলেন সুস্থ হওয়ার পর পাখিটি তার আপন ঠিকানায় ফিরে যাবে। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টো। পাখিটির সঙ্গে তারেকের ভাল বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যে কারণে প্রায় এক বছর হলেও কাক পাখিটি তারেককে ছেড়ে যায়নি।

তারেক বিন সুলতান এসব কথা জানিয়ে এই প্রতিবেদককে আরও বলেন, ‘মানবিক দায়িত্ব থেকে আহত কাক পাখিটিকে চিকিৎসা দেই। তবে বন্ধুত্বের ব্যাপারে ভাবিনি। কাক পাখিটি প্রায় এক বছর ধরে আমার সঙ্গেই আছে। আমি তাকে সিদ্ধ ডিম, মাছ ও মাংস খেতে দেই। সারাদিন আকাশে ঘুরে বেড়িয়ে ও আবার আমার বাসায় চলে আসে’।

কাক পাখির সঙ্গে তারেকের বন্ধুত্বের ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যায় তারেকের মুখে কোন খাবার নিয়ে কাকটিকে খেতে দিলে সে তার মুখ থেকে সেই খাবারও খাচ্ছে। এমনকি তারেকে কোথাও গেলে কাক পাখিটি তাকে অনুসরণ করে।

তারেক বলেন, তিনি পাখিটিকে আটকে রাখতে চাননা। বরং উড়ে যাওয়ার জন্য পাখিটিকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন তিনি। সে বিশ্বাস করেন স্বাধীনতার মধ্যে এই প্রকৃত বন্ধুত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘যে কোন বন্যপ্রানীরা সবসময় তার নিরাপদ সেফটি এবং খাদ্য চায়। এটা যদি সঠিকভাবে করা হয় তাহলে তারা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়’। এছাড়া কাক সবসময় পুরোপুরি বিশ^স্ত হয়না, তারা কখনও কখনও অন্যান্য মানুষের সাথে মিলিত হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন-কাক একটি স্মার্ট পাখি যা অন্য একটি কাক সেখানে মারা যাওয়ার পরে সম্ভ্যাব্য হুমকি খুঁজতে সেই অঞ্চল তদন্ত করতে থাকে। তারা অন্য কাকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে যদি তারা বুঝতে পারে যে কখনও নির্দিষ্ট মানুষ বিপদজ্জনক। 


আরও খবর



নওগাঁয় পুলিশের পদক্ষেপে রক্ষা পেলো একটি সংসার, অভিযুক্ত শ্রীঘড়ে..!

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৯২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় পুলিশের পদক্ষেপে রক্ষা পেলো একটি সংসার, অভিযুক্ত কথিত প্রেমিক শ্রীঘড়ে..!

প্রথমে সোস্যাল মিডিয়া 'ফেসবুকে' পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে দু' জনের মাঝে চলছিলো হাই-হ্যালো। এভাবে চলার মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ঘড়ে অন্তসত্বা স্ত্রী থাকার পরও হাবিবুর রহমান (২৪) নামের এক যুবক অসৎ উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে গৃহবধূ (১৯) কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদ পাতেন। ফোনেই চলে প্রেমালাপ। এক পর্যায়ে বিয়ে করার কথা বলে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে নিয়ে পাড়ি জমাবেন অজানা কোন স্থানে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফোনে যোগাযোগ করে ঘটনার দিন অন্তসত্বা স্ত্রী সহ পরিবারের কাউকে না জানিয়ে প্রেমিক হাবিবুর রহমান (২৪) 

নিজ বাড়ি মান্দা থেকে বের হয়ে আনুমানিক ১৯ কিঃ মিঃ দূরে মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া বাজারে এসে অবস্থান করেন এবং ফোনে গৃহবধূ (১৯) ডেকে নিয়ে বাজারে প্রথম বারের মতো দু'জন একে অপর কে সরাসরি দাখেন এবং পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক একটি অটো-বাইক যোগে পালাতে গিয়ে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের খোর্দ্দনারায়নপুর নামক স্থানে পৌছালো গৃহবধূ'র স্বামী নিজেই স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিক কে আটক করে নিজ গ্রামে নিয়ে যান। এরপর কয়েক ঘন্টাধরে (ত্রিমুখি) প্রেমিকের স্বজন, গৃহবধূর পিতার পরিবার ও স্বামীর পরিবার ঘটনাটি সমাধান এর চেষ্টা চালিয়ে বার্থ হোন। ঐ সময় গৃহবধূকে তার স্বামীও বাড়িতে তুলতে রাজি হয়নি। অপরদিকে কথিত প্রেমিকও তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। যার ফলে খবর দেওয়া হয় নিকটস্থ্য নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ কে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে কথিত প্রেমিক হাবিবুর রহমান ও গৃহবধূ দু'জন কেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ ও তদন্ত (ওসি) পৃথক ভাবে দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, প্রেমিক বিবাহীত এবং তার ঘরে অন্তসত্বা স্ত্রী থাকার পরও সে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের গৃহবধূ (ভিকটিম) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, তবে তাকে সে বিয়ে করবে না, তার উদ্দশ্যে ছিলো অসৎ। অপরদিকে (ভিকটিম) গৃহবধূ কে তার স্বামী খু্ব ভালো বাসেন এবং তিনি কোন কিছু না বুঝেই স্বামীর বাড়ি থেকে বের হোন, তবে তার স্বামী খুবই ভালো মানুষ জানিয়ে গৃহবধূ আরো বলেন, হাবিবুর রহমান আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে, আমি তার শাস্তি চাই, আমি আমার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই বলেও পুলিশকে জানান এবং এঘটনায় (ভিকটিম) গৃহবধূ নিজেই বাদি হয়ে থানায় কথিত প্রেমিক হাবিবুর রহমান কে আসামী করে মামলা দাযের করেন। সম্পতি এঘটনাটি ঘটে নওগাঁর মহাদেবপুরে।

স্থানিয় সুত্র জানায়, গত বুধবার ১৫ মার্চ সকাল ১০ টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার নুরুল্যাবাদ গ্রামের ছবের আলীর ছেলে কথিত প্রেমিক   

হাবিবুর রহমান (২৪) মহাদেবপুর উপজেলার হাট-চকগৌরী এলাকার এক গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে চৌমাশিয়া নওহাটামোড়ে ডেকে নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অটো-বাইক যোগে অজানার উদ্দশ্যে নিয়ে যাওয়াকালে (ভিকটিম) গৃহবধূর স্বামী তাদেরকে আটক করেন। এঘটনায় কয়েক ঘন্টাধরে দফায় দফায় পারিবারিক ভাবে আপোস-মিমাংসার চেষ্টা চালিয়ে বার্থ হোন, ঐ সময় গৃহবধূকে ভুল বুঝে তার স্বামী ঘড়ে তুলতেও রাজি হয়নি অপরদিকে  কথিত প্রেমিক ও তাকে বিয়ে করবেনা বলে জানিয়ে দেন। 

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের দু'জনকে উদ্ধার পূর্বক থানা হেফাজতে নেওয়ার পর মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর ও (তদন্ত) ওসি আবুল কালাম আজাদ পূথক ভাবে দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদে 'মোবাইল ফোনে সম্পর্ক, সেই সম্পর্ক থেকে ঘটনার দিনই তাদের প্রথম দেখা ও অভিযুক্ত যুবক (বিয়ে করবেনা) সে অসৎ উদ্দশ্যে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে গৃহবধূকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে শিকার করেন। এসময় ভিকটিম জানান, তার স্বামী তাকে খুবই ভালো বাসেন এবং সে তার ভুল বুজতে পেরে স্বামীর ঘড়ে ফেরার আকুতি জানিয়ে (ভিকটিম) নিজেই বাদি হয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী ও তার শ্বশুড় সহ স্বজনরা থানায় এসে মূল ঘটনা জানা ও শুনার পরই স্বামী ও শ্বশুড় নিজেই গৃহবধূকে নিজ বাড়িতে নিতে চাইলে, স্বামির হেফাজতে গৃহবধূকে দেয়া হয়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মানবিক ভূমিয়ার কারনে এভাবেই টিকে যায় একটি পরিবার। এলাকার সচেতন অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন থানা পুলিশের এমন উদ্যোগকে। গৃহবধূর স্বামী শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে প্রতিবেদক কে জানান, আমার স্ত্রী সামান্য একটি ভুল করেছিলো, যা পুলিশের মাধ্যমে আমি বুজতে পেরেছি। আমার স্ত্রী আমার কাছেই (বাড়িতে) সংসার করছেন।


আরও খবর