লালমনিরহাটে সাবেক উপাচার্য
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন-এঁর সাথে স্থানীয় সুধীবৃন্দের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৩০মিনিটে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের গেস্ট হাউজে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি মতবিনিময় কালে জানান, লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট জিরো পয়েন্টের ধরলা নদী থেকে ৪ নভেম্বর ২০২২ বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে নৌকা যোগে একাত্তরের ইতিহাস খুজতে যাত্রা শুরু করবেন। তবে এ যাত্রায় যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত তিনি চার জন সফরসঙ্গী ও দুজন নৌকার মাঝিকে সাথে নিয়ে এবারের যাত্রা শুরু করবেন।
আরও জানান, যদি তাঁর জীবিনে এই যাত্রা শেষ করতে নাও পারেন পরবর্তী তরুণ প্রজন্মের মানুষজন সেটি নিশ্চয়ই বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত যাত্রাটি শেষ করবেন।
এ সময় বেগম কামরুন নেছা ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সাবেক জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হায়াত আহমেদ মুকুল, শেখ শফিউদ্দিন কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ এন্তাজুর রহমান, জাতীয় যুব জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক আজমুল হক পুতুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামাল আনিছুজ্জামান রবিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় লড়াই, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, লালমনিরহাট থেকে ১০কিলোমিটার দূরে মোগলহাট যেখান দিয়ে ধরলা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, সেই ধরলা নদী দিয়েই একটা নৌযাত্রা শুরু করবো। একাত্তরের খোজের অর্থ হচ্ছে এই যাত্রা পথে আমরা সাধারণ মানুষের কথা শুনবো। যাদের কথা হয়তো মানুষ কখনও শুনতেও চায় নাই, যারা হয়তো মুক্তিযোদ্ধাও না, যাদের কাছে অস্ত্রও ছিলো না, সেই সব মানুষদের। কিন্তু যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি মুক্তিযুদ্ধে এবং যারা কিছুই পায়নি। ধরলা থেকে শুরু করে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা, মেঘনা হয়ে একবারে বঙ্গোপসাগর। এবারে পুরোটা করতে পারবো না। এবারে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত শেষ হবে। এবং তারপরে যদি বেচে থাকি আগামী বছর কাজ করবো।
উল্লেখ্য যে, সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন সকালে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে লালমনিহাটে এসে রেলওয়ে গেস্ট হাউজে অবস্থান করেন।