Logo
শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়ে সংবর্ধনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

লক্ষ্মীপুরে দু'টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।

লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যানিকেতন ও মধ্য বাঞ্চানগর এন আহম্মদীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীসহ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের নিয়ে আসেন শাজাহান খানকে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তারা স্কুল ছুটি দিতে বাধ্য হন। এনিয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক মাহমুদ বলেন, অনুষ্ঠান সম্পর্কে দুই প্রতিষ্ঠানকে আগেই জানানো হয়েছিল। বিষয়টি বালিকা বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেননি। আর মধ্য বাঞ্চানগর এন আহম্মদীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, তাদের শুধু জানিয়েছিল ছাত্রলীগ, কিন্তু অনুমতি নেয়ার অপেক্ষা করেনি।  


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ংকর আব্রামস ট্যাংক ইউক্রেনে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ভয়ংকর আব্রামস ট্যাংকের প্রথম চালান হাতে পেয়েছে ইউক্রেন সেনাবাহিনী। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেলিগ্রাম বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের কাছ থেকে সুখবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের আব্রামস ট্যাংক। আমাদের সেনা ব্রিগেডগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে সেগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

তবে প্রথম চালানে কতগুলো ট্যাংক ইউক্রেনে পৌঁছেছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানননি জেলেনস্কি।

নাম প্রকাশ করা শর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুই কর্মকর্তা বলেন, আগামীতে আরও বেশি এম ওয়ান আব্রামস ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানো হবে।

ওয়াশিংটন চলতি বছরের শুরুতে কিয়েভকে ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব ট্যাংকের সঙ্গে সাঁজোয়া যানবিধ্বংসী ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ ১২০ মিলিমিটারের গোলাও সরবরাহ করা হবে।

ইউক্রেনীয় বাহিনীর পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব নয় - এমন অভিযোগে শুরুতে আব্রামস ট্যাংক দিতে রাজি ছিল না যুক্তরাষ্ট্র। পরে ইউক্রেন ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের চাপের মুখে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দেশটি।

এর আগে, গত ২১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনে আব্রামস ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দেন।

আব্রামস ট্যাংকের বিশেষত্ব কী : ১৯৭৮ সালে জেনারেল ডায়নামিকস ল্যান্ড সিস্টেমস (জিডিএলএস) কোম্পানি প্রথম এম ওয়ান আব্রামস ট্যাংক তৈরি করে। ১৯৮০ সালে এটি মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। আব্রামস ট্যাংকে অধিক শক্তিশালী ও তুলনামূলক জটিলভাবে নির্মিত টারবাইন ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এতে ১৫শ অশ্বক্ষমতার গ্যাস টারবাইন ইঞ্জিন রয়েছে। এছাড়াও ঘণ্টায় এর গতি ৬৭.৫ কিলোমিটার। এ ছাড়াও আব্রামস ট্যাংকের সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১০০৫ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের এ ট্যাংকটি পরিচালনা করতে চারজন ড্রাইভার, একজন কমান্ডার, একজন লোডার ও একজন বিশেষ বন্দুকধারীর (গানার) প্রয়োজন হয়।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আগামী ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মাঠে নামবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় ইকুয়েডরের মুখোমুখি বাছাইপর্বের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মেসিদের নতুন মিশন। দুই রাউন্ডে লড়বে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচকে সামনে রেখে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য ইতোমধ্যে দল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য দলের অভিজ্ঞ এবং তারকা ফুটবলারদের নিয়ে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়া মেসিসহ দলে রয়েছেন ডি মারিয়া, মার্টিনেজ, ডি পলের মতো তারকা ফুটবলাররা। দল থেকে বাদ পড়েছেন পাউলো দিবালা, মার্কোস আকুনা, রুলি এবং লো সেলসোর মতো ফুটবলাররা।

আগামী শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টায় ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে আলবেলিস্তেরা। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বুয়েন্স আয়ার্সের স্তাদিও মনুমেন্তালে। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বলিভিয়ার বিপক্ষে নামবে। ওই ম্যাচের ভেন্যু বলিভিয়ার লা পাজের হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়াম।

আর্জেন্টিনা দল

লাউতারো মার্টিনেজ, অ্যাঞ্জেল কোরেয়া, রদ্রিগো ডি পল, নাহুয়েল মলিনা, লুকাস বেলট্রেন, নিকোলাস গঞ্জালেস, জুয়ান মুসো, জার্মান পাজেলা, গুইদো রড্রিগুয়েজ, গঞ্জালো মন্টিয়েল, জুয়ান ফয়েথ, মার্কোস সেনেসি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ফাকুন্দো বুনানোতে, এনজো ফার্নান্দেজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, জুলিয়ান আলভারেজ, আলেজান্দ্রো গার্নাচো, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, এজুকুয়েল পালাসিও, ওয়াল্টার বেনিতেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিওনেল মেসি, ফ্রাঙ্কো আরমানি, অ্যালেন ভেলাস্কো, ব্রুনো জাপেল্লি, থিয়াগো আলমাদা, লুকাস এসকিউবেল।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের একটি ফ্লাটে আগুনে দগ্ধ, র‌্যাব সদস্যসহ এক নারী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে একটি ফ্লাটে আগুনলেগে এক র‌্যাব সদস্যসহ এক নারী আগুনে ঝলসে গেছে । বৃহস্প্রতিবার ভোর তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আগুনে দগ্ধ  র‌্যাব সদস্য অভিজিৎ  সিং ও নারী টুম্পা রানীকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।  অভিজিৎ সিংয়ের ৯০ শতাংশ এবং টুম্পা রানীর ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। 

পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, নগরীর নিতাইগঞ্জ এলাকার ফজলুল হকের বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া টুম্পা রানী। ওই নারী অভিজিৎ সিংয়ের নিকট আত্বীয় । সেই সুবাদে অভিজিত  টুম্পা রানীর বাসায় যায়। রাতে ওই বাসায় আগুন লেগে দুজন দগ্ধ হয়। খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে র‌্যাব তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, টুম্পা রানীর সাথে তার স্বামী হরি কমলের সম্পর্ক খুব বেশী ভালো নয়। দুই ছেলের জননী টুম্পানী রানীর সঙ্গে র‌্যাবের এই সদস্যের অনৈতিক কোন সম্পর্ক ছিলো।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, আগুনের খবর পেয়ে একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তবে কি ভাবে আগুন লেগেছে তা বুঝা যাচ্ছে না।  বিষয়টি থতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

র‌্যাব ১১ সিও লে কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে অগ্নিদ্বগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে অভিজিতকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। র‌্যাব সদস্য  অভিজিৎ সিং ছুটিতে ছিলো। নৌ বাহিনী থেকে তাকে র‌্যাবে বদলী করা হয়েছে।  অভিজিৎ সিং ৯০ শতাংশ এবং টুম্পা রানী ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তারা দুজনই কেউ কথা বলার পর্যায়ে নেই। তাদের মধ্যে কি সম্পর্ক বা,কি কারণে আগুন লেগেছে তদন্তের পর বলা যাবে।


আরও খবর



মহান সাধক সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী (রহ.)

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

অধ্যাপক ড. এস. এম. রফিকুল আলম : আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে খলিফা হিসাবেই প্রেরণ করেছেন। মানুষের প্রতি আল্লাহর খলিফা বিশেষণের মাহাত্ম্য যথাযথ অনুধাবন না করার কারণে আল্লাহর গুণ ও মানুষের যোগ্যতার মধ্যকার ব্যবধান একাকার করে গোলিয়ে ফেলি এবং কথায় কথায় শিরক-বিদআতের ফতোয়া দিই। আল্লাহর নিরানব্বই বা ততোধিক গুণবাচক নাম যেমন, সত্য ও বাস্তব; সে গুণবাচক নামের প্রতি আমাদের ঈমান যেমন যথাযথ থাকা আবশ্যক তেমনি মানুষ নামক সৃষ্ট জীব দুনিয়াতে আল্লাহর খলিফা (প্রতিনিধি) সেটাও সত্য। খলিফা হিসাবে দুনিয়াতে মানুষকে মেনে নেয়াও ঈমানের অংশ।

ইবলিশ মানুষকে দুনিয়াতে খলিফা হিসাবে মেনে সিজদা না করাতে অভিশপ্ত হয়েছে।
আল্লাহ কে? আল্লাহপাক হচ্ছেন তাঁর নিরানব্বই বা ততোধিক গুণে অসীম শক্তির অধিকারী। আল্লাহর পবিত্র জাত ও গুণের অস্তিত্বকে অকপটে সন্দেহাতীতভাবে স্বীকার করা একজন মুমিনের জন্য ঈমানের প্রধান শর্ত। কোন মানুষ আল্লাহর পবিত্র জাত কিংবা গুণের কোন একটিকে অস্বীকার বা সন্দেহ করলে তাকে ঈমানদার বা বিশ্বাসী বলা যাবেনা। মানুষ সৃষ্টি করা না হলে কিন্তু এ বিশ্বাসের প্রতিফলন সম্ভব ছিলনা। কেননা আল্লাহ নিরাকার, আল্লাহকে দেখা, কল্পনায় চিত্রায়িত করা, তাঁর গুণের বাস্তব চিত্রায়ণ মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। নিরাকার আল্লাহর অস্তিত্ব বা গুণ কোনটাই মানুষের পক্ষে বাস্তবে বিশ্বাস করাও সম্ভব ছিলনা; যদিনা সে গুণ খলিফা তথা
মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি। খলিফা বা প্রতিনিধির কাজ কি? পৃথিবীতে আল্লাহর কাজের আন্জাম দেয়াই প্রতিনিধির কাজ।

পৃথিবীতে আল্লাহর কাজ কি? আল্লাহর নিরানব্বইটি গুণই আল্লাহর কাজ। আল্লাহর খলিফাগণ পৃথিবীতে তাঁর নিরানব্বই গুণের প্রতিফলন ঘটাবে।

তাহলে কি তারা আল্লাহ হয়ে গেল ? নাউযু বিল্লাহ। খলিফা আল্লাহ হতে যাবেন কেন? খলিফা তো সৃষ্ট আলাদা সত্তা। খলিফার মধ্যে আল্লাহর গুণের প্রতিফলন তো আল্লাহ প্রদত্ত যোগ্যতা। যিনি যোগ্যতা দান করেছেন কৃতিত্বতো তাঁরই। খলিফার মধ্যে আল্লাহ গুণের প্রতিফলন তো কৃত্রিমভাবে। গুণের মৌলিকত্বতো আল্লাহর সাথে। সুতরাং বান্দার মধ্যে আল্লাহর গুণের বা আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিফলন মানলে বা বিশ্বাস করলে আল্লাহর সাথে বান্দাকে শরিক করা হবেনা বরং বান্দাকে আল্লাহর প্রকৃত খলিফা হিসাবে স্বীকার করা হবে।


খলিফার অর্থ বা সংজ্ঞার ব্যপারে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে খলিফা ও আল্লাহর মধ্যকার পার্থক্য নির্ণয় করার যোগ্যতা অর্জিত হয়না। যার ফলে বান্দা কখন শিরক করে আবার কখন ইবাদত করে তা আমাদের বোধগম্য হয় না। তাই আমরা যখন তখন, যাকে তাকে, যেখানে সেখানে, শিরকের ফতোয়া দিয়ে ফেলি। সুতরাং যে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকবে না সে বিষয়ে সাবধানে কথা বলা উচিত। আল্লাহর গুণের প্রতিফলন মানুষের মধ্যে অস্বিক্বার করলে দুনিয়া অর্থহীন হয়ে যাবে। মানুষ সৃষ্টির আসল রহস্যই অস্পষ্ট থেকে যাবে। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে আল্লাহর গুণের প্রতিফলনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। তাই কোন মানুষের মধ্যে আল্লাহর কোন গুণের প্রতিফলন দেখার বর্ণনা দিলেই তিনি শিরক করেছেন বলে ফতোয়া দেয়া জগন্য অন্যায়। বরং দেখা উচিৎ তিনি কি ঐ মানুষকে আল্লাহর আসনে সমাসিন করছেন নাকি তাকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে স্বীকার করেই তাঁর গুণের বর্ণনা দিচ্ছেন। তাই যদি হয়, তাহলে তিনি তো আল্লাহর প্রিয় বান্দার খিলাফতকে স্বীকার করেছেন মাত্র। এতে তো তার ঐ বান্দার দোষের কিছু নেই। বরং তা আল্লাহ ও আল্লাহর বান্দার যোগ্যতা ও উদ্দেশ্যকে তুলে ধরেছেন।


এ তো গেলো আল্লাহর খিলাফত। এ খিলাফতের আহাল দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষ।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, “আল্লাহর খিলাফতও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফত কি এক? নাকি ভিন্ন ভিন্ন? এর উত্তর হচ্ছে, ভিন্ন ভিন্ন। কেন না, আল্লাহর খলিফা পৃথিবীর সব মানুষ- যাদের মধ্যে আল্লাহর নিরানব্বই গুণের প্রতিফলন আছে। এরা সবাই কিন্তু, আল্লাহর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের অনুসারী বা ওয়ারিশ নন। শুধুমাত্র তারাই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খলিফা (প্রতিনিধি, উত্তরাধিকার-ওয়ারিশ) হবেন। যিনি আল্লাহকে ইলাহমেনে আনুগত্য স্বীকার করে, নিজের স্বাধীন সত্তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার আনিত দ্বীনের প্রতি সোপর্দ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তাঁর মধ্যকার আল্লাহ প্রদত্ত খিলাফতকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের প্রতি সোপর্দ করেছেন, কেবল মাত্র তার খিলাফতই আল্লাহর নিকট গৃহিত হবে, অন্যথায় হবে না। আমাদের সমাজের ওলামায়ে কিরামগণ যে কোন কারণে হউক না কেন আল্লাহর খিলাফত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফত কে একাকার করে ফেলার কারণে, কথায় কথায় শিরকের ফতোয়া দিয়ে থাকেন। এটা এক ধরনের অজ্ঞতা বৈ কিছু নয়।


আল্লাহর খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবার উপায় কি? সব মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা হলেও সবার খিলাফত কি আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, না? সবার খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। তা হলে কোন্ খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য, আর কোন্ খিলাফত নয়? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, আল্লাহর খিলাফত যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের আলোকে হবে, তখন তাঁর খিলাফত (প্রতিনিধিত্ব) আল্লাহর নিকট গৃহিত হবে, অন্যথায় হবেনা। যাঁরা আল্লাহর খলিফা হয়ে আল্লাহর রাসূলের খিলাফতের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন আমার আজকের আলোচ্য ব্যক্তি হচ্ছেন তাদের অন্যতম।


নিম্নে হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের উপর কিঞ্চিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হলো। আমাদের হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার সাধারণ কোন খলিফা নন। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার উত্তরাধিকারও বটে। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার বংশধরদেরও একজন। তিনি সাধারণ অর্থে আল্লাহর রাসূলের খলিফা ছিলেন না; তিনি তাঁর যুগে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার আশেক ও জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিমলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের একনিষ্ঠ খাদেম হিসাবে বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি আল্লাহর রাসূলের ক্বদম ব-কদম অনুসারী ছিলেন। তিনি একমাত্র ওলি যিনি জাতিসংঘ নামক বিশ্ব দরবারে প্রিয়নবী মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার শানকে সম্মানের সাথে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশে মিলাদুন্নবী উদযাপনের মত সাহসী কর্মসূচি বা বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনি বিশ্বব্যাপী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা-বিশ্বাসকে বিশ্ব মুসলিম জনতার মধ্যে প্রতিস্থাপন করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি তাঁর যুগে মুজাদ্দিদের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।


তিনি আচরণের দিক থেকে অসম্ভব বিনয়ী, ভদ্র ও নম্র ছিলেন। তিনি হুবহু রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার পদাংক অনুসরন করতেন। তিনি মেহমানদারীতেও আল্লাহর রাসূলের সুন্নাতের অবিকল আদর্শ ছিলেন। তিনি নিজের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিতেন। তাঁর চেহারা মোবারক ও আচরণ দেখলে আল্লাহর রাসূল ও তাঁর সাহাবীগনের কথা স্মরণ হয়ে যেত। তাঁর সুঠাম উজ্জ্বল দেহ, নূরানী চেহারা, পরনে ধবধবে সাদা লুঙ্গী বা পাজামা, গায়ে সাদা পাঞ্জাবী, মাথায় টুপী, ইত্যাদি মিলিয়ে যেই ব্যক্তিত্তের প্রকাশ ঘটত, তা সত্যিই অভাবনীয়। তাঁর পৌরুষ দীপ্ত ও বীরোচিত আচরণ যে কোনো ধর্মের কিংবা দলের- মতের লোককে কাবু করে ফেলত। তাঁকে দেখা মাত্র মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সবাই মাথা নত করে ফেলত। ভক্তবৃন্দ সুবোধ বালকের মত শান্তশিষ্ট নিবেদিত প্রাণ হয়ে যে কোনো হুকুম কালবিলম্ব না করে তামিল করতে কোনো রকম কুণ্ঠাবোধ করতো না। হুজুরের যে কোনো নির্দেশ তামিল করাকে নিজের জন্য সৌভাগ্য মনে করত।


তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত অকর্ষণ ক্ষমতা, উষ্ণ হে প্রবণতা, দায়িত্ববোধ, উন্নত জীবনাদর্শ, সেবামূলক মনোভাব, জ্ঞানপিপাসু মন, ভক্ত ও শাগরিদদের প্রতি মমত্ত, নৈতিক আদর্শ, মানষিক সুস্থতা, ধৈর্য, দৃঢ়চেতা মনোভাব, সমাজ সচেতনতা, ব্যক্তিগত অধিকার ও মর্যাদায় বিশ্বাস, নির্ভীকতা, দল মত জাতি নির্বিশেষে সবার প্রতি স¤প্রীতি ও সদ্ভাব সারা জীবন অক্ষুণœ ছিলো। তাঁর খোদাভীরুতা, রসুল-প্রেম, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন বলয়ে নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক সফলতা দেশ, জাতি ও আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির দিশা হিসাবে ভূমিকা পালন করত। তাঁর উপস্থিতি যে কোনো মজলিশ বা অনুষ্ঠানকে নক্ষত্রের মত উদ্ভাসিত ও আলোকিত করত।


অনেক সময় আল্লাহ তাআলা তাঁর বিশেষ বান্দাকে দিয়ে বিশেষ কোন গুণের বিশেষ প্রতিফলন ঘটিয়ে ঐ বান্দার মর্যাদাকে বাড়িয়ে দেন। উদ্দেশ্য ঐ বান্দার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা। যখন কোন মকবুল বান্দার মধ্যে এ ধরনের কোন গুণের অস্বাভাবিক প্রতিফলন ঘটে তখন সাধারণ বান্দার কাজ হচ্ছে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তাকে অনুসরণ করা। তাঁকে অবহেলা বা তাঁর সমালোচনা করা নয়। এতে আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন। কারণ কোন বান্দার অস্বাভাবিক ঘটনা; কারামাত, অলৌকিক ঘটনা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছাতে ঘটে। এর দ্বারা হিদায়ত উদ্দেশ্য। গোমরাহী নয়। আমরা হেদায়তের পথেই থাকি। গোমরাহীর পথে নয়। ঈসা আলাইহিস সালামের অনুসারীরা গোমরাহীর পথকে বেছে নিয়েছে। আমরা যেন তা না হই।


বান্দা যখন তাঁর দাসত্ব দ্বারা আল্লাহর অধিক নিকটে হয়ে যান তখন তাঁকে স্বাভাবিকতার ঊর্ধ্বে নিয়ে গিয়ে তাঁকে দুনিয়বাসীর জন্য মডেল (আদর্শ) হিসাবে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে তাঁকে দিয়ে তাঁর (আল্লাহর) শক্তির বিশেষ প্রদর্শন ঘটান। উদ্দেশ্য তাঁকে দুনিয়াবাসীর নিকট বিশেষ মর্যাদার আসনে আসীন করানো এবং অন্য বান্দাগণকে আল্লাহর দাসত্বে তাঁর অনুগত ও অনুসারী বানানো। অদূরদর্শিরা এটা গ্রহণে ব্যর্থ হয়। ফলে তারা তাঁর অনুগত হতেও বঞ্চিত হয়। অবশ্য কিছু সুবিধাবাদী এর জন্য দায়ী। যারা নিজেদের দুনিয়াবী সুবিধার জন্য আল্লাহর বিশেষ বান্দাদের এ ধরণের অলৌকিক ঘটনাকে ব্যবহার করে নিজেদের দুনিয়াবী সুবিধা আদায় করে নেয়। তাঁদের ব্যাপারে সাবধান হওয়া প্রয়োজন আছে।
হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ অন্তরদৃষ্টির অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন মানুষকে দেখে তাঁর অন্তরের অবস্থা বুঝে নিতেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহণ করতেন। অলি-আল্লাহগণের অন্তরদৃষ্টি সম্পর্কে আল্লাহর রাসূলের একটি পবিত্র হাদীস নিরূপ: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামা তাঁর পবিত্র যবানীতে বলেন, উচ্চারণ: ইত্তাকু ফিরাসাতিল মুমিনি ফায়িন্নাহু ইয়ানজুরু বিনুরিল্লাহি

 

(অর্থাৎ, তোমরা মুমিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা দৃষ্টিপাত করেন।) পুরা হাদিছটি নিম্নরূপ:


উচ্চারণ: আন আবি সাঈদিল খুদরী ক্বালা ক্বলা রাসূলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামা ইত্তাকু ফিরাসাতিল মুমিনি, ফায়িন্নাহু ইয়ানজুরু বিনূরিল্লাহি ছুম্মা ক্বারা আ- ইন্না ফী জালিকা লাআইয়াতিল লিল মুতা ওয়াস সিমিন। অর্থাৎ, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামা ইরশাদ করেছেন, তোমরা মুমিনগণের অন্তরদৃষ্টিকে ভয় কর, কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা দৃষ্টিপাত করেন। ইমাম তিরমিযী রহমাতুল্লাহি তায়ালা আলাইহি তাঁর সহীহ গ্রন্থের ৩১২৭ নম্বরে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।


আমার আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট ছোট্ট একটি ঘটনার বিবরন দিয়ে আমার লেখার ইতি টানবো। চট্টগ্রামস্থ আল্লামা রুমী সোসাইটির একটি তাসাউফের প্রোগ্রামে হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন। সময়টি ছিল রমজান মাস। উক্ত তাসাউফের প্রোগ্রামে অন্যান্য সদস্যদের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড.গিয়াসুদ্দীন তালুকদারও উপস্থিত ছিলেন। তিনি হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজকে কৌতুহলের বসে ভালোভাবে অনুধাবন করছিলেন।

 

 হুজুর কেবলা সাধারণ ইফতারী গ্রহণে মাজুর ছিলেন বিধায় তিনি নিজ বাসা থেকে নিজের ইফতারী নিয়ে এসেছিলেন। তাও আবার অসাধারণ কিছু নয়; দুধ-ছিড়া-কলা মাত্র। উক্ত ধরনের খাবার বর্ণিত প্রফেসর সাহেবেরও প্রিয় ছিল। তিনি খাবারের লোভে নয়; বরং কৌতুহলী হয়েই হুজুর কেবলার দিকে একটু দৃষ্টি দিয়েছিলেন। কিন্তু এতেও হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের দৃষ্টি এড়ায়নি। তিনি তাঁর অন্তরদৃষ্টি দিয়ে উল্লেখিত প্রফেসর সাহেবের মনের অবস্থা দেখে ফেলেন, তাই তিনি তাঁর বাসা থেকে আনিত ইফতারি অল্পকিছু খেয়ে বাকী সবটুকু প্রফেসর সাহেবকে দিয়ে খাবার অনুরোধ করেন। প্রফেসর সাহেব হুজুর কেবলার এহেন উদার আচরণ দেখে কিছুটা অবাক হন। অন্যরা তাঁকে বাহবা দিয়ে বলেন, আপনার জীবন ধন্য। আমরা যা পাওয়ার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষায় থাকি, আপনি তা সৌভাগ্য বসত: পেয়ে গেলেন। এ ছোট্ট ঘটনাতে হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের উদারতা, ইছার ও অন্তরদৃষ্টিসম্পন্ন হবার প্রমাণ পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাঁর অলিগণের ব্যাপারে সতর্ক হবার তৌফিক দান করুন।

 

লেখক : আরবী বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


আরও খবর



নওগাঁয় স্কুল শিক্ষকের দু' পায়ের রগ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে আবুল হোসেন (৫২) নামে এক শিক্ষকের দু' পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আত্রাই এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকেলে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচপুর মোড় এলাকায় এঘটনা ঘটে। আবুল হোসেন আত্রাই উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং জগদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শিক্ষক আবুল হোসেন স্কুল ছুটির পর মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাঁচুপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার পথ রোধ করে মারপিট করে দু' পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে আত্রাই হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আনিসুর রহমান বলেন, আজ বিকেলে স্কুল ছুটির পর ঐ শিক্ষক বাসায় যাওয়ার পথে তার উপর দূর্বৃত্তরা হামলা চালায় বলে শুনেছি। তিনি এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ কেউ করেনি।


আরও খবর