Logo
শিরোনাম

লোন দেয়ার কথা বলে প্রায় কুড়ি লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে প্রতারক চক্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি,লালমনিরহাট :

জেলা সদরের থানা রোডে পূর্ব সাপটানা ভাতরি গ্রামে কাজীর বাড়ীর পাশে একটি নতুন বাড়ী মাত্র সাতদিন আগে ভাড়া নিয়ে চুক্তিপত্র করার কথা বলে সদরের কুলাঘাট, ঠাকুরের মাল্লি, মহেন্দ্রনগর সহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩ শত মানুষকে মোটা অংকের লোন দেয়ার কথা বলে ৫ হাজার  থেকে ১০ লাখ টাকা দিতে চায় এবং এসকল গ্রাহকের নিকট থেকে সঞ্চয় বাবদ ২ শ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহন করে আজ দুপুরে কৌশলে আত্ম গোপনে যায় রফিকুল ইসলাম নামের প্রতারক সহ ওই চক্রের সদস্যরা।  সমবায় অফিস সূত্র জানান এই নম্বরে কোন নিবন্ধন দেয়া নাই।  

আজ লোন দিতে চাওয়া লোকজনদেরকে বেলা আড়াইটার পর অফিসে আসতে বললো তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অফিসে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান তারা ওই অফিস কক্ষের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপনে চলে যায়।  কয়েকজন ভুক্তভোগী ওই প্রতারক চক্রের অপেক্ষায় অফিসের সামনে বসে থাকেন এবং মনে করেন হয়তো সংশ্লিষ্ট প্রতারক চক্র মাঠে সঞ্চয় আদায়ের জন্য গেছে ফিরতে হয়তো সন্ধ্যা লাগতে পারে তাই অপেক্ষায়।  কিন্তু না ওই বাড়ীর মালিক আসেন ভাড়াটিয়ার সাথে চুক্তি নামায় স্বাক্ষর নিতে কিন্তু প্রতারক রফিকুলের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়ায় বিষয়টি প্রতারণ বলে তার কাছে মনে হয় বলে জানান। 


এদিকে একাধিক ভুক্তভোগী জানান,সূর্যমুখী শ্রমজীবি সমবায় সমিতির লিঃ এর পরিচালক পরিচয় দেয়া রফিকুল ইসলামের সাথে অপর একজন পুরুষ সহ আরও দুজন নারী ওই অফিসে কাজ করতো। মোফা মিয়া জানান, আজকে লোন দেয়ার কথা বলে অফিসে ডাকছে কিন্তু আসার পর থেকে তার ফোন নম্বর  01317-684176 বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে ওই বাড়ীর মালিক  জানান তার বাড়ী ভাড়ার চুক্তিপত্র আজকে হবার কথা ছিলো কিন্তু তাদের ফোন বন্ধ পাওয়ায় এসে দেখি অনেকে তাদের কাছে লোন পাওয়ার আসায় টাকা জমা দিয়েছে।  এর আগে কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য বাড়ীর মালিককে লোনের বিষয়ে জানায় কিন্তু সেটা আমলে নেননি ওই বাড়ীর  মালিক তাহের উদ্দিন।  এ ব্যাপারে একাধিক এলাকাবাসীরা জানান, তারা জানতোনা এই বাড়ীতে লোন দেয়া অফিস বা সমিতি আছে।  ঘটনাটি জানাজানি হলো পরে অনেকে বাড়ীর মালিকের উপস্থিতিতে অফিস প্রবেশ করে ছোট একটা সাইনবোর্ড, ৩/৪ টি চেয়ার ৩ টি টেবিল রশিদ বই,সদস্য ফরম  পাওয়া গেছে।  

এব্যাপারে থনায় অভিযোগ করবেন মর্মে জানান, মোফা মিয়া সহ একাধিক ভুক্তভোগী৷


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু ছিলেন শান্তির অন্বেষণে নিবেদিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবনব্যাপী আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন শান্তির অন্বেষণে নিবেদিত।

তিনি বলেন, ছাত্রজীবনে তিনি (বঙ্গবন্ধু) কলকাতার ভয়াল দাঙ্গার মধ্যে অসহায় বিপদাপন্ন মানুষকে উদ্ধারের জন্য জীবন বাজি রেখে নির্ভয়ে ছুটে গেছেন। নবীন রাজনীতিক হিসেবে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলীয় শান্তি সম্মেলনে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন। ১৯৫৬ সালে বিশ্ব শান্তি পরিষদের স্টকহোম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ মে) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু এক দশকেরও বেশি সময় জেল খেটেছেন এবং পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয় শান্তির এই বাণী ঘোষণা করেছেন। শান্তির এই প্রতিপাদ্যই সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গৃহীত হয়েছে। তিনি সবসময় এশিয়া-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকাসহ সকল মুক্তিকামী মানুষদের সমর্থন জুগিয়েছেন এবং অবিচল কণ্ঠে শোষিতের পক্ষে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং সেই সঙ্গে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করছে জেনে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা এনে দিয়ে দেশবাসীর কাছে তিনি যেমন বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা হিসেবে বরেণ্য হয়েছেন, তেমনি শান্তির স্বপক্ষে আপসহীন অবস্থান তাকে বিশ্ববাসীর কাছেও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। শান্তি ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি শান্তি পদক-এ ভূষিত করেছে। নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিদেল ক্যাস্ট্রো, জওহরলাল নেহেরু, গামাল আবদেল নাসের, পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিং, ইয়াসির আরাফাত, লিওনিদ ব্রেজনেভ প্রমুখ জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্ত বিশ্ববিশ্রুত নামের তালিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামের সংযোজন প্রমাণ করে বিশ্ববাসীর চোখে আমাদের জাতির পিতার সম্মান ও মর্যাদা হিমালয়সম উচ্চতায় অধিষ্ঠিত।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ যখন যুদ্ধ এবং নানা রকমের দ্বন্দ্ব-সংঘাত পৃথিবীকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, তখন তার (বঙ্গবন্ধু) শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর পূর্তি আমাদেরকে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মানব জাতির সামনে শান্তির কোনও বিকল্প নেই।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত সকলকে, বিশেষ করে এ স্মরণিকা প্রকাশের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ স্মরণিকা বিশ্ব শান্তির প্রবক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আরও নিবিড়ভাবে জানার ক্ষেত্রে উপযোগী হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

সূত্র : বাসস


আরও খবর



কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। বছর খানেক ধরে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী মাঠে আছে বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। কিন্তু সম্প্রতি জেলা পর্যায়ে বিএনপির এক নেতার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাদের বিরূপ মন্তব্যকে দেশবিরোধী কাজ ও ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছে আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যে এবার সরাসরি প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। বিএনপির নেতাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ শন্তিপূর্ণ কর্মসূচি বিএনপির নেতাদের সহ্য হয় না। আওয়ামী প্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আবার বিদেশিদের কাছেও নালিশ করে। বিএনপিকে মোকাবিলা করতে প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যন্ত সারা দেশে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে মাঠে থাকবেন ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মূলত, দ্বাদশ নির্বাচনে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। কিন্তু গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক জনসভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। বিরোধী দলীয় নেতার এমন বক্তব্যের পরিপেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা। এই বক্তব্যের মধ্যমে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনার নীলনকশা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কর্মসূচি পালন করে। ভিন্ন ভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও বাকি সংগঠনগগুলো। এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে এ নির্দেশের পর ঢাকা মহানগরের দুটি বড় ইউনিট উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সব থানায় এ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কঠোরভাবে মাঠে থাকবেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বড় দুই ইউনিট উত্তর ও দক্ষিণ। তারা আগামীতেও রাজনীতির মাঠে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নির্দেশে সোমবার মহানগরের অন্তর্গত প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। একইভাবে ঢাকা মহানগর উত্তরও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। সকাল থেকে নিজ নিজ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে তারা বিকেলে মহানগরের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে মহানগরের থানা-ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগরের নেতারাও নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিরোধে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান করেন।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, বিএনপি সরকার উৎখাত করে নির্বাচনে আসতে চায়। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি তাদের (বিএনপি) গভীর ষড়যন্ত্র। বিএনপি ও তাদের দোসররা এখনো খুন-হত্যা থেকে বের হতে পারেনি। তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।

রাজধানীতে রবিবার এক শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকার পতনের এক দফার নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এজন্য এখন থেকে শান্তি সমাবেশ নয়, সারা দেশে বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আর শান্তি সমাবেশ নয়, তাদের প্রতিরোধ করা হবে। দলীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ অনুসারেই আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মাঠে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়।


আরও খবর



বাখমুতের দ্রুত পতন অসম্ভব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

রাশিয়ার ভাড়াটে গ্রুপ ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন শুক্রবার বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রুশ বাহিনীর কব্জায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। খবর বার্তাসংস্থা এএফপির।

ওয়াগনার বাখমুতের ওপর কয়েক মাস ধরে চালানো হামলার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এতে সেখানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

এ নগরীর দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের উপ-শহরে প্রচণ্ড লড়াই চলছে উল্লেখ করে টেলিগ্রাম বার্তায় প্রিগোজিন লিখেছেন, বাখমুত শনি বা রবিবার রাশিয়ার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, বাখমুতের এখন পতন ঘটেনি। নগরিটিতে স্যামোলেট নামে একটি উপশহর রয়েছে। এটি একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ, যা বাখমুতের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটির কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। বর্তমানে সেখানে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ চলছে।

ইউক্রেন মঙ্গলবার বলেছে, তাদের বাহিনী বাখমুতের উত্তর ও দক্ষিণ উপকণ্ঠের ২০ কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। তারা এও বলেছে, রুশ বাহিনী এখনো শহর অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে।


আরও খবর



র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমান বাংলা মদসহ দুই যুবক আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

র‌্যাবের পৃথক অভিযানে ২ হাজার ১শ' ৬৮ লিটার বাংলা (চোলাই) মদ উদ্ধার সহ ২ জন মাদক কচরবারি আটক।

শনিবার রাতে ও রবিবার দুপুরে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত বিপুল পরিমান মদ সহ ২ জনকে আটক করেন র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের চৌকস অভিযানিক দল।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, রবিবার ২৮ মে দুপুরে পূর্বে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে জয়পুরহাট জেলা সদর থানাধীন চকমোহন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ১শ' ৪৮ লিটার চোলাই (বাংলা) মদ উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসায়ী শ্রী বিনয় পাহান (৪০), পিতা-মৃত জোগেশ পাহান, সাং-চকমোহন, থানা ও জেলা-জয়পুরহাটকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা করোন। 


এছাড়া শনিবার রাত ১২ টারদিকে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন  সুলতানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ২০ লিটার চোলাই (বাংলা) মদ উদ্ধার সহ শ্রী সন্দীপ মাহাত (২৬) নামের এক যুবককে হাতেনাতে আটক করেন র‍্যাব।জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃতে রবিবার পূর্ব রাত সোয়া ১২টার দিকে পাঁচবিবি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মৃত শীবচরণ মাহাতের ছেলে 

 শ্রী সন্দীপ মাহাত কে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত দুই জন জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য চোলাই মদ অবৈধ্য ভাবে সংগ্রহ করে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের নিকট খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করে আসছিল। এব্যাপারে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে 


আরও খবর



লালমনিরহাটে স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানি :থানায় মামলা দায়ের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর? 

মানুষেরি মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর!

লালমনিরহাটের মরমী কবি ফজলল হকের লেখা এই কবিতাটি এখনো মানুষের হৃদয়ে দোলা দেয়। তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত "কবি শেখ ফজলল করীম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়" ১৯৮৬সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় স্কুলের আশপাশের কিছু বখাটে, বেকার ও অশিক্ষিত ছেলেদের দ্বারা বিভিন্ন সময় স্কুলের সাধারণ ছাত্রীদের ইভটিজিং বা শ্লীলতাহানির খবর পাওয়া যায়। 

এজাহারে প্রকাশ, বিবাদী মোঃ মুরাদ মিয়া(১৯), আরিফ(১৮), কাজল(১৮) এবং অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন। সবাই পুরান বাসস্ট্যান্ড ও নর্থ বেঙ্গল মোড়ের বাসিন্দা। এরা মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত বলে জানা যায়। এদের সবাইকে আসামি করে আজ (৩০মে) লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল (২৯মে) দুপুর আনুমানিক ২ঘটিকায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী "ক" বয়স-১৫  তার পিতাকে ফোন করে কান্নাকাটি করতে থাকে। তার পিতা দ্রুত ঘটনাস্হলে পৌঁছালে বখাটেরা পালিয়ে যায়। মেয়েটির পিতা জানায়- দুপুরে টিফিনের সময় আমার মেয়ে স্কুলে প্রবেশের সময় মেইন গেইটের কাছে আসলে বখাটেরা অকর্থ ভাষায় গালাগালি করে এবং মেয়েকে মারধর করে চলে যায়। যার সাক্ষী অনেক ছাত্রী ও আশপাশের লোকজন আছে। আমি বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে কোন প্রতিকার পাইনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন- আজ আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছে। কাল আপনার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করবে। আমি মনে করি সকল ছাত্রী আমাদের সন্তান। এখনি এর প্রতিকার করা প্রয়োজন। 

উল্লেখ্য, গালস্ স্কুল হওয়ার স্কুলের আশেপাশে ও সামনে পিছনে বখাটেদের অবস্থান সবসময়ই থাকে। সুযোগ বুঝে বখাটেরা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিজ্ঞ মহল।।


আরও খবর