
নিজস্ব প্রতিনিধি,লালমনিরহাট :
জেলা সদরের থানা রোডে পূর্ব সাপটানা ভাতরি গ্রামে কাজীর বাড়ীর পাশে একটি নতুন বাড়ী মাত্র সাতদিন আগে ভাড়া নিয়ে চুক্তিপত্র করার কথা বলে সদরের কুলাঘাট, ঠাকুরের মাল্লি, মহেন্দ্রনগর সহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩ শত মানুষকে মোটা অংকের লোন দেয়ার কথা বলে ৫ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা দিতে চায় এবং এসকল গ্রাহকের নিকট থেকে সঞ্চয় বাবদ ২ শ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহন করে আজ দুপুরে কৌশলে আত্ম গোপনে যায় রফিকুল ইসলাম নামের প্রতারক সহ ওই চক্রের সদস্যরা। সমবায় অফিস সূত্র জানান এই নম্বরে কোন নিবন্ধন দেয়া নাই।
আজ লোন দিতে চাওয়া লোকজনদেরকে বেলা আড়াইটার পর অফিসে আসতে বললো তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অফিসে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান তারা ওই অফিস কক্ষের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপনে চলে যায়। কয়েকজন ভুক্তভোগী ওই প্রতারক চক্রের অপেক্ষায় অফিসের সামনে বসে থাকেন এবং মনে করেন হয়তো সংশ্লিষ্ট প্রতারক চক্র মাঠে সঞ্চয় আদায়ের জন্য গেছে ফিরতে হয়তো সন্ধ্যা লাগতে পারে তাই অপেক্ষায়। কিন্তু না ওই বাড়ীর মালিক আসেন ভাড়াটিয়ার সাথে চুক্তি নামায় স্বাক্ষর নিতে কিন্তু প্রতারক রফিকুলের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়ায় বিষয়টি প্রতারণ বলে তার কাছে মনে হয় বলে জানান।
এদিকে একাধিক ভুক্তভোগী জানান,সূর্যমুখী শ্রমজীবি সমবায় সমিতির লিঃ এর পরিচালক পরিচয় দেয়া রফিকুল ইসলামের সাথে অপর একজন পুরুষ সহ আরও দুজন নারী ওই অফিসে কাজ করতো। মোফা মিয়া জানান, আজকে লোন দেয়ার কথা বলে অফিসে ডাকছে কিন্তু আসার পর থেকে তার ফোন নম্বর 01317-684176 বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে ওই বাড়ীর মালিক জানান তার বাড়ী ভাড়ার চুক্তিপত্র আজকে হবার কথা ছিলো কিন্তু তাদের ফোন বন্ধ পাওয়ায় এসে দেখি অনেকে তাদের কাছে লোন পাওয়ার আসায় টাকা জমা দিয়েছে। এর আগে কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য বাড়ীর মালিককে লোনের বিষয়ে জানায় কিন্তু সেটা আমলে নেননি ওই বাড়ীর মালিক তাহের উদ্দিন। এ ব্যাপারে একাধিক এলাকাবাসীরা জানান, তারা জানতোনা এই বাড়ীতে লোন দেয়া অফিস বা সমিতি আছে। ঘটনাটি জানাজানি হলো পরে অনেকে বাড়ীর মালিকের উপস্থিতিতে অফিস প্রবেশ করে ছোট একটা সাইনবোর্ড, ৩/৪ টি চেয়ার ৩ টি টেবিল রশিদ বই,সদস্য ফরম পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে থনায় অভিযোগ করবেন মর্মে জানান, মোফা মিয়া সহ একাধিক ভুক্তভোগী৷