Logo
শিরোনাম

মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) জানিয়েছেন, মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তাদের এ নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বলেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, দুর্নীতি না কমাতে পারলে এ সরকারের সাফল্য আসবে না। তিনি এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুস, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

উপদেষ্টা আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ইউনিফর্ম আছে কিন্তু অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই। তাই সফল অভিযান পরিচালনার স্বার্থে তাদেরকে অস্ত্র দেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া যেসব অভিযান পরিচালনার সময় হামলার আশঙ্কা রযেছে, সেখানে পুলিশসহ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি পরামর্শ প্রদান করেন

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি প্রমুখ


আরও খবর



দূর্গাপুরে ইট ভাটা লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 

রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের আন্দুয়া এলাকার এ.এস.এম বিক্সিস ইট ভাটা অবৈধভাবে দখল করে প্রায় কোটি টাকার ইট লুটপাটের অভিযোগটি মিথ্যা বানোয়াট দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ইট ভাটার আরেক মালিক কবীর হোসেন।

 আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় নগরীর উপশহর এলাকার বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা এর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

এসময় মিথ্যা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে কবীর হোসেন বলেন, এ.এস.এম ইট ভাটার ৫০ শতাংশ মালিকানা আমার নামে রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে ইট ভাটায় ঢুকতে দিতো না আশরাফ। যার প্রেক্ষিতে মামলা করলে সে মামলারও আদেশ অমান্য করে আশরাফ। 

পরবর্তীতে দুর্গাপুর উপজেলার ইউএনও এর হস্তক্ষেপে আমার ৫০ শতাংশের কাগজ সহ আমাকে ফেরত দেওয়া হয় ও দুর্গাপুর উপজেলার চেয়্যারম্যান নজরুল ইসলামের কাছে সমঝোতার আদেশ দেন তিনি এবং এ বিষয়ে ২ দিন সমঝোতাই বসা হলেও সমাধান  করতে পারেননি।  ক্ষমতার জোরে আশরাফ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে  ভাটা দখল করে রাখেন।

তিনি বলেন, আশরাফ একাধিকবার আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে সে মামলাগুলোর রায় আমার পক্ষে আসে। তারপরও আশরাফ তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি - ধামকি দিয়ে যাচ্ছে এবং আমাকে আমার ইট ভাটার কাজ করতে দিচ্ছে না। বরং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে গতকাল (০২রা অক্টোবর) একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে হয়রানি করে পুনরায় ইটভাটা দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান কোবীর হোসেন।

আরও খবর



শনিবার থেকে বেকার হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুরের অর্ধলক্ষ জেলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মো: আতোয়ার রহমান মনির,লক্ষ্মীপুর :

প্রজনন মৌসুমে‘ মা ইলিশ’ রক্ষায় উপকূলীয় মেঘনার লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত  ঘোষিত অভয়াশ্রম এলাকায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশসহ সকল ধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। এ সময় ইলিশ ধরা বন্ধে অভিযান চালাবে নৌ-পুলিশ,কোস্টগার্ডসহ মৎস্য বিভাগ।

জাটকা সংরক্ষন ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার মধ্যরাত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতি জেলে ভিজিএফের চাল পাবে ২৫ কেজি। এই সময়ে বরাদ্ধকৃত চাল লুটপাট না  করে সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত তা বাস্তবায়নের দাবী জানান জেলেরা। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন,নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ,উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। গত বছরের অভিযান সফল হওয়ায় মাছের উৎপাদন বাড়ছে বলে দাবী করেন তিনি।


 এরইমধ্যে মেঘনা নদী থেকে তীরে ফিরতে শুরু করেছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। জালসহ অন্যান্য মালামাল গুছিয়ে তুলছেন অনেক জেলে। ২২ দিন সব ধরনের মাছধরা বন্ধ ধাকবে এ কারনে এর মধ্যে জাল সারাইয়ের কাজ করছেন কেউ কেউ। 

জানাগেছে, বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় মেঘনা উপকূলে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ৫২ হাজার জেলে কর্মহীন থাকবে। এদের অধিকাংশই বিকল্প কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় জাল বুনে দিন পার করছেন। এখানকার জেলেরা বলছেন, তাদের কেউ কেউ জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ মাছ ধরার যাবতীয় সরঞ্জাম মেরামত করছেন। বিগত সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে চাল না পাওয়ায় কেউ আবার পুর্নবাসনের দাবী হিসেবে নিষেজ্ঞার আগেরই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সঠিক জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের করার দাবী তুলেছেন।


কমলনগরের জেলে তাফাজ্জল  হোসেন,একেতো উপার্জন বন্ধ,তার উপর সরকারি প্রণোদনা পান না তারা। আর পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটানোর চিন্তায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন এতে দু'বেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। এ সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় কর্মহীন বেকার সময়ে সংসার চালানোর দুশ্চিন্তার ভাঁজ বলছেন তিনিসহ অসংঙ্খ জেলেরা। 

মতির হাট এলাকার ট্রলারের মালিক সাহাজালাল বলেন, আমার এই ট্রলারে ২১ জন লোক আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত, মাছ ধরে সেই ঋণ পরিশোধ করে। এখন এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মাছ ধরতে না পারলে তাদের এই ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবে। তাই এই জেলেদের অভিযানের আগেই দ্রুত চাল দিলে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট দূর হবে।


 জেলে রফিজল হাওলাদার বলেন, বিগত অভিযানে সরকার চাউল দেছে। তা পাই নাই। এবার ২২ দিনের অভিযান । জেলে সন্তান নিয়ে কিভাবে চলবে ২২ দিন। এ জন্য  দ্রুত চাল দেয়ার দাবি তার।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। মেঘনা নদী নির্ভরশীল সরকারি তালিকায় এদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৪ শত ৭২ জন জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। এদের অধিকাংশই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর নিষেধাজ্ঞা সময়ের ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ঘোষিত এলাকায় সকল ধরণের মাছ ধরা,সংরক্ষণ,আহরণ,বাজারজাতকরণ, মজুদকরণ ও পরিবহন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ। এর মধ্যে খাদ্য সহায়তা এসেছে ৩৯ হাজার ৭ শত ৫০ জন জেলে পরিবারের জন্য ৯ শত ৯৩ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। যথা শীঘ্রই চালু পেয়ে যাবে। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলছেন, ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা। এসময় ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি আরো বলছেন, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরাই বেশি বেকার হয়। এখানে কোনো কলকারখানা না থাকায়, তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থান নেই। নির্দিষ্ট সময়ে জেলেদের ২০ কেজির চালের পরিবর্তে ২৫ কেজি করে ৩৯ হাজার ৭ শত ৫০ জন জেলে পরিবারের জন্য ৯ শত ৯৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল, জরিমানা সহ বিভিন্ন শাস্তির কথা জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, ইতিমধ্যে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের চাল জেলেদের মাঝে বিতরন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি হারে চাল দেয়া হবে। কেউ বাধ যাবেনা। নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না বলে আশা করেন তিনি। বলেন, যারা আইন অমান্য করবে,তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জেল-জরিমানা করা হবে। এটি বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।


আরও খবর



ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গত ২ জুন গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদুল আজহার বন্ধ শেষে ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খুললেও সরকার ঘোষিত সার্বজনীন পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। ৫ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। উভয় পক্ষই দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়। সেই থেকে বিভিন্ন ঘটনার পরিক্রমায় প্রায় সাড়ে তিন মাস পর ক্লাসে ফিরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষণা দেওয়ার পর শুরু হয় ক্লাস। যেসব ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষা চলছিল বা রুটিন দেওয়া হয়েছিল, নতুন করে তাদের রুটিন প্রকাশ করা হয়নি এখনও। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, দ্রুতই তাদের পরীক্ষার রুটিনগুলো প্রকাশ করা হবে

করোনা মহামারি ও বিভাগগুলোর সদিচ্ছার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ প্রায় দুই বছরের সেশনজটে রয়েছে। বিশেষত করোনার আগে ২০১৯-২০ সেশনে যারা ভর্তি হয়েছেন। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় প্রশাসন লস রিকভারি প্ল্যানের আওতায় ছয় মাসের সেমিস্টার ৪ মাসে নিলেও অনেকগুলো ডিপার্টমেন্টই তা ফলো করে। বিশেষত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিপার্টমেন্টগুলো

যেখানে কলা অনুষদের বেশ কিছু ডিপার্টমেন্ট পরীক্ষা শেষে রেজাল্টও দিয়ে দিয়েছে এবং বাকি ডিপার্টমেন্টগুলোর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল, রুটিন দিয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা থাকলেও ক্লাসে ফিরতে পেরে মোটামুটি স্বস্তিতে তারা। অনুষদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৈবুর রহমান সিফাত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা সেশনজটে পড়ে আছি, কলা অনুষদসহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের বন্ধুরা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুরা তাদের কোর্স সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। আমাদের এখনও এক সেমিস্টার বাকি। বছরের শেষ দিকে এখানে চাকরির সার্কুলার হতে পারে। এই বছরের মধ্যেই অনার্স শেষ না হলে আমরা তা মিস করবো। সবকিছু মিলিয়ে প্রশাসনের উচিত এ বছরের মধ্যেই আমাদের অনার্স শেষ করে দেওয়া। বিষয়গুলো নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মাঝে হতাশা কাজ করছে। তবে ক্লাসে ফিরতে পেরে আপাতত স্বস্তি এসেছে

বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন আলম বলেন, আমাদের অষ্টম সেমিস্টারের রুটিন দিয়েছিল, পরীক্ষাও হয়েছিল একটি কোর্সের। আজ থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে আবার। আমাদের পরীক্ষা নিয়ে এখনও নতুন রুটিন দেওয়া হয়নি। ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, খুব শিগগিরই রুটিন প্রকাশ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে


আরও খবর

এইচএসসি ও সমমানের ফল মঙ্গলবার

শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪




ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বড় আন্দোলন হতে পারে

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে। মূলত 'সন্ত্রাসী সংগঠন' আখ্যা দিয়ে ছাত্রসংগঠনটিকে নিষিদ্ধের দাবি উঠছে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে। এরই মধ্য ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে সরকারকে আলটিমেটাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সম্প্রতি একাধিক স্থানে বক্তব্যকালে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে এক সপ্তাহের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। মাহমুদুর রহমানের বেঁধে দেওয়া আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। এর পর থেকে তার নেতৃত্বে এই দাবিতে মাঠে নামতে পারে অনেকে

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ছাত্রলীগের দখলে

সরকারের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে ছাত্রলীগ অন্য কোনো ছাত্রসংগঠনকে মাঠের রাজনীতিতে অংশ নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু হয় ছাত্রলীগের মাধ্যমে। এর পর থেকে সংগঠনটিকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' বলে অ্যাখ্যা দেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধের আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে

জুলাই গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফফরম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। অন্যথায় আগামী মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম থেকেই কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ জানিয়েছেন, ৩৬ জুলাই পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। চট্টগ্রাম, ফেনী ও কুমিল্লায় ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাই এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন

আমরা চট্টগ্রাম থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছি।

আওয়ামী লীগের যতগুলো সংগঠন এবং তাদের দোসর রয়েছে, তাদের নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করা হবে বলেও জানিয়েছেন রাসেল আহমেদ

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে আর সেইভাবে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি ছাত্রলীগকে। সারা দেশে ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেও আত্মগোপনে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী হাসান ইনান। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

বাংলাদেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সচেতন নাগরিক সমাজের এ দাবি একটি জনপ্রিয় দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক স্মরণসভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা একটি জনপ্রিয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো কোনো কিছুকে নিষিদ্ধ করব না। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার আইন রয়েছে। আমরা সেই আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করার প্রত্যাশা রাখি


আরও খবর

সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




অপরূপ নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি আর বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে পর্যটন অপরিহার্য মাধ্যম। এই পর্যটনকে কেন্দ্র করে অর্থনীতির বিকাশ ঘটিয়ে ইতোমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশ প্রমাণ করেছে পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ তাদের পর্যটন খাতকে আকর্ষণীয় করে ব্যাপক অর্থ উপার্জন ও কর্মসংস্থান করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে

 

এমনকি এ ব্যাপারে অনেক দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতাও চলছে, হচ্ছে। ফলে অনেক দেশের জাতীয় অর্থনীতির প্রাণ হয়ে উঠছে পর্যটন খাত। পর্যটক আকর্ষণে একটি দেশ কতটা নিরাপদ, অবকাঠামো সুবিধা কেমন, বিমান বন্দর কতটা উন্নত, আবাসন ব্যবস্থার মান কেমন, খাবারের মান কেমন, ভিসা ব্যবস্থা কেমন, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ মোটা দাগে এমন কয়েকটি বিষয় বা সূচকের ভিত্তিতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের অবস্থা বিশ্ব পর্যায়ে দুর্বল এবং পর্যটক আকর্ষণে বিশ্বের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর একটি।

অপরূপ নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। এদেশে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, পুরাকীর্তি ও সম্পদ, প্রবালদ্বীপ, র্ঝণা, বন, পাহাড়, চা বাগান, হাওর-বিল, নিঝুম দ্বীপসহ অসংখ্য পর্যটক আকর্ষনীয় স্থান হয়েও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি এ শিল্প খাতটি

আমরা পর্যটকদের আকর্ষিত করার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যটনমেলা, বিভিন্ন দেশে রোড-শো ইত্যাদি করি বিপুল অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হয়, পর্যটন এলাকায় ও যাতায়াত যদি নিরাপদ না হয়, বিনোদন যদি ফ্রি না হয়, ভালো দোভাষী যদি না থাকে, একটু বৃষ্টি হলেই যদি সব তলিয়ে যায় পানিতে, তাহলে কি কেউ আসবে এ দেশের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে? ইতিহাস জানতে? পর্যটন শিল্পের ভিত মজবুত করতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনসহ সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থা এবং দূতাবাসগুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরতে এ খাতের বিদ্যমান সমস্যা দ্রুত সমাধান করে এ শিল্পের সবটুকু সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিশ্ব পর্যটনে আদর্শ হয়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা


আরও খবর