Logo
শিরোনাম

মাগুরায় ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় আছিয়ার ধর্ষক ও হত্যাকারী হিটু শেখের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ সময় বাড়িটিতে আগুন দেয় তারা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। খবর পেয়ে মাগুরা সদর পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের শহরের নতুন বাজার ব্রিজের মুখে আটকে দেয় জনতা।

হিটু শেখের প্রতিবেশী রাবেয়া খাতুন বলেন, ইফতারের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ সেখানে এসে বাড়িটিতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালাতে থাকে। তারা টিনের চালা খুলে নিয়ে যায়। ঘরের দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা আমাদের এলাকায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই- এমন স্লোগান দেয়। সেই সঙ্গে ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করে। 

মাগুরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর পুলিশ কয়েক দফা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিক্ষুব্ধদের প্রতিরোধের মুখে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের জানমালের যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। বোনের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে।

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বোনের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে চিকিৎসার জন্য না নিয়ে উল্টো ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

পরদিন ৬ মার্চ সকালে প্রতিবেশী এক নারী তাদের ঘরে এলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং এরপর শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ততক্ষণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের শাশুড়ি চিকিৎসকদের জানান শিশুটিকে জ্বিনে ধরেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বোনের শাশুড়ি।

গত ৬ মার্চ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেলে দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৮ মার্চ শনিবার তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। এতে শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাশুর ও ভগ্নিপতিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।


আরও খবর



বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চৈত্রের মাঝামাঝি এসে ঢাকাসহ ৮ জেলার ওপর দিয়ে হালকা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলামের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

অন্যদিকে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অন্যদিকে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর



আশার আলো দেখছেন রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয়ে থাকা আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে আংশিক যাচাই-বাছাইয়ে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গার চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে ছবি ও নাম মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে। ওই তালিকার বাকি সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই কাজও দ্রুত সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মিয়ানমার।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পের অধিকাংশ রোহিঙ্গা আশার আলো দেখছেন। দীর্ঘদিন পর নিজের জন্মভূমিতে ফেরার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন তারা। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার খবরে ইতোমধ্যে অধিকাংশ ক্যাম্পে হুলুস্থুল কাণ্ড বয়ে যাচ্ছে, অনেকে আনন্দ উল্লাসে মেতেছে। তবে উদ্বিগ্ন ও ভয়ের কারণও দেখছেন অনেক রোহিঙ্গা। এছাড়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে জটিল সমীকরণও দেখছেন বিশ্লেষকরা।

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ফয়েজ উল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন পর একটা সুসংবাদ পেলাম। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আরাকানে ফিরে যেতে। আরাকান আমাদের দেশ আমাদের চিরস্থায়ী বসবাস সেখানে হবে৷ রোহিঙ্গা ফয়েজ উল্লাহ আরও বলেন, আমাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

রোহিঙ্গা বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, জন্মভূমি আরাকানে ফিরতে পারবো খবরটি শুনে খুব ভালো লেগেছে। জানি না কবে সেটি কার্যকর হবে। তবে দাবি থাকবে আরাকানে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জীবন জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে হবে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আজকেই আমরা (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।

রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা সালাউদ্দিন বলেন, আরাকান আমাদের জন্মভূমি, সেখানে ফিরতে পারলে আমাদের সকলের জন্যে ভালো। কিন্তু এই প্রত্যাবাসন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কি না! সেটিও ভাবতে হচ্ছে। বর্তমানে আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের অনেক রাজ্য আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের (রোহিঙ্গা) প্রত্যাবাসন সঠিক প্রক্রিয়ায় হবে কি না সেটি নিয়েও ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।

উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় নাগরিকেরা জানান, অনেক হয়েছে এবার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। তাদের কারণে স্থানীয়রা অনেক হয়রানি, বিড়ম্বনা ও ঝুঁকির মধ্যে আছে। এসব রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের বনভূমি, কৃষিজমি, শ্রম বাজার নষ্ট হয়ে গেছে। বেড়ে গেছে খাদ্য পণ্যের দাম। রোহিঙ্গাদের বর্জ্যের কারণে শত শত একর কৃষিজমি অনাবাদি পড়ে আছে। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা জন্মসনদ ও জাতীয়তা সনদ নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। স্থানীয় এবং দেশকে ঝুঁকিমুক্ত করতে রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এত সহজ হবে না। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এই প্রক্রিয়াটি আলো'র মুখ দেখতে পারে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা আরাকানে ফিরতে ইচ্ছুক। তবে কিছু এনজিও সংস্থার 'প্রেসক্রিপশন' এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থামিয়ে দিতে পারে। এতদিন রোহিঙ্গাদের ভুলভাল বুঝিয়ে কিছু এনজিও সংস্থা ফায়দা নিয়েছিল। কারণ রোহিঙ্গারা যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন তাদের (এনজিও) লাভ। দেশ এবং কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রক্ষায় দ্রুত সময়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হোক। তারা যতদিন থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে থাকবে বলে মনে করেন এই জনপ্রতিনিধি।

বাংলাদেশের একজন সাবেক কূটনীতিক মুন্সী ফয়েজ আহমদ জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক অগ্রগতি। তবে, এখনই কোনো উপসংহারে পৌঁছানো উচিত হবে না বলে মনে করছেন তিনি। নিঃসন্দেহে এটি একটি পজিটিভ ডেভেলপমেন্ট। কিন্তু, এর মধ্য দিয়ে কনক্লুসিভ ডেভেলপমন্টে পৌঁছানো সহজ হবে না। কারণ রোহিঙ্গাদের আবাসভূমি ও রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। সময়টা একটু জটিল। রাখাইন এখন প্রধানত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। সেখানে জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। ফলে, জান্তার তৎপরতার পাশাপাশি অন্যদের সম্পৃক্ততা জরুরি। যেহেতু এক লাখ আশি হাজার রোহিঙ্গার একটা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিললো, আজ হোক কাল হোক প্রত্যাবাসনের জন্য একটা প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করবে এই স্বীকৃতি। তবে, রাখাইনে জান্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পেলে, সেগুলো নিছকই দলিল হয়েও থেকে যেতে পারে। আর যদি জান্তা বাহিনী বা কেন্দ্রীয় সরকার কখনো নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়ও, স্থানীয় প্রশাসনে রাখাইনদের আধিপত্য থাকবেই। সেক্ষেত্রে, তাদের সঙ্গেও একটা বোঝাপড়া কিংবা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন সাবেক এই কূটনীতিক।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। রাখাইনের পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল, যেখানে নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিবও বলেছেন, রাখাইনে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই প্রত্যাবাসনের কথা বিবেচনা করা হবে। এখন সেখানে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য বাড়িঘর নেই। দ্বিতীয়ত, যেসব এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসতি ছিল, সেসব এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে? কখন, কীভাবে, কার ক্লিয়ারেন্সে তা সম্ভব হবে এসবই অনিশ্চিত।

সরকার প্রধানের দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সঙ্কট ও সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমানকে এ তথ্য জানান মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউ। বাংলাদেশ ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ছয়টি ধাপে ওই আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছিল।

প্রধান উপদেষ্টার দফতর বলছে, মিয়ানমার প্রথমবারের মতো ‘প্রত্যাবাসনের যোগ্য’ রোহিঙ্গাদের এমন তালিকা দিল, যা দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা ঢলের শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপড়ি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার। ওই বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতেও সই করে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলার এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতিতে রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে না পারায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়।

এরপর আসে কোভিড মহামারী; রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগেও ঢিল পড়ে। বিশ্বজুড়ে সেই সংকটের মধ্যেই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সু চির সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সামরিক জান্তা জেনারেল মিন অং হ্লাইং। তাতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আসে নতুন ধাক্কা।

এর মধ্যে চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে কয়েকবার রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের যুদ্ধের তীব্রতার মধ্যে প্রত্যাবাসনের আলোচনা কমে আসে। উল্টো রাখাইনে যুদ্ধের কারণে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়।

এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে আরও ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া সব এলাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দখলে চলে যাওয়ার মধ্যে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগেও ভাটা পড়ে ঢাকার।

এর মধ্যে গত ১৪ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের কষ্ট নিজের চোখে দেখেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে তিনি সেদিন ইফতারও করেন।

প্রত্যাবাসনই যে রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান, সে কথা তুলে ধরে জাতিসংঘ প্রধান সেদিন বলেন, “শেষমেষ মিয়ানমারেই সমাধান পেতে হবে আমাদের। এখানে থাকা সব শরণার্থীর স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্ষান্ত হব না।


আরও খবর



গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলমান গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আমরা আশা করছি, এই গ্রীষ্মকালে বিদ্যমান সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিপিডিবি চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গড়ে ১৪,০০০-১৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যেখানে দৈনিক চাহিদা আনুমানিক ১৫,০০০ মেগাওয়াট ।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বলে অনুমান করা হয়েছে, যেখানে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

বিপিডিবির তথ্য অনুসারে, শনিবার দেশে ১১ হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, যেখানে চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিপিডিবি সূত্র জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের ঘাটতি ৭৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত থাকবে। তবে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সূত্র এও জানিয়েছে, কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে।

বিপিডিবি গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, যেখানে সর্বোচ্চ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ২৬০ মেগাওয়াট। এছাড়া সরকার গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সংগ্রহ করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ও দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে গত ১৭ এপ্রিল সরকার আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সেলেরেট এনার্জি, এলপি থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এভাবে সরকার প্রায়ই এলএনজি সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজি নিয়ে কাতার ও ওমানের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি রয়েছে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং কমাতে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। গ্রীষ্মকালে সারা দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকার কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাড়ি ও মসজিদে এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা উচিত নয়। যদি এটি বজায় রাখা যায়, তাহলে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে জাতীয় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে।

লোডশেডিং সম্পর্কে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সরবরাহ ও চাহিদায় অমিলের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। কিন্তু যদি ট্রান্সফরমারটি বিকল হয়ে যায় অথবা ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেয়, তাহলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।


আরও খবর



৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ইন্টারনেট সেবা: সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ কথা জানান সংগঠনের সভাপতি ইমদাদুল হক। সভার আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।

ইমদাদুল হক বলেন, আজ থেকেই গ্রাহকেরা আগের ৫ এমবিপিএসের পরিবর্তে ১০ এমবিপিএস গতি উপভোগ করবেন, মাসিক মাত্র ৫০০ টাকায়।

তিনি আরও বলেন, একই টাকায় শিগগির সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস গতির সেবা পাবেন ১ কোটি ৪০ লাখ ব্রডব্যান্ড গ্রাহক।

এ সময় ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন খরচ ৫ টাকায় নামিয়ে আনা ও অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান ব্রডব্যান্ড সেবাদাতারা। ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন খরচ কমানোর আশ্বাস দেন বেসরকারি ফাইবার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার মান পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। তাই এই সেবার দাম আরও কমানো উচিত।

বাংলাদেশে আর কোনো দিন ইন্টারনেট বন্ধ হবে না জানিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, ইন্টারনেট শাটডাউনের সব ফাঁকফোকর বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস করা হলে তা হবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা। আইএসপিএবির সভাপতির বক্তব্যের পর এক বার্তায় এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যে সাবমেরিন কেব্‌ল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। এমনিতেই বাংলাদেশের গ্রাহকেরা আইটিসির মাধ্যমে যে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করেন, তা আসলে ইন্টারনেট নয়। এটি একধরনের এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেট বলা যেতে পারে। ভারত থেকে কিনে আনছে মাত্র ৮০ টাকায় ১ জিবিপিএস। অথচ আমরা কিনছি লাখ টাকায়। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সর্বনিম্ন গতি হবে ২০ এমবিপিএস ও সর্বোচ্চ হবে ১০০ এমবিপিএস। বিটিআরসি যদি এই সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেয়, তা হবে অন্যায় ও অযৌক্তিক।


আরও খবর

তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫




নওগাঁয় প্রতিবেশীদের মারপিটে এক কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীদের মারপিটে জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকন (৫৪) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত জহিরুল ইসলাম খোকনের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মারপিটের ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামে। 

নিহত জহুরুল ইসলাম ওরফে খোকন খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের মৃত জান বক্সের ছেলে। জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকনের ছেলে চার্জার ব্যাটারি চালিত অটো-বাইক যোগে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে নিজ বাড়ীর নিকটে অটো-বাইকটি রেখে চালক সহ মালপত্র নিয়ে তার বাড়িতে রাখতে যান। এ সময় প্রতিবেশী শাহীন শেখের ছেলে আপন শেখসহ বেশ কয়েকজন যুবক অটো-বাইক রাখাকে কেন্দ্রকরে বিরোধে লিপ্ত হোন এবং এক পর্যায়ে আপন শেখসহ প্রতিবেশী আরো বেশ কয়েকজন জহিরুল ইসলাম খোকন, তার ছেলে শরিফুল ইসলামকে লাঠিদিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।


তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসার পর জহুরুল ইসলাম ওরফে খোকনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বগুড়া নিয়ে যাওয়ার সময় পথে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রাতে মৃতদেহ গ্রামে আনার পর থেকে মারপিটকারী পক্ষের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দফায় দফায় বসেন ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হত্যা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু নিহতের পরিবার ও স্বজনরা টাকা চাই না ন্যায় বিচার চাই দাবি জানালে ঘটনাটি নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে আলোচনার চৃস্টি হয় এবং ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসন অবগত করেন নিহতের স্বজনরা।   

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন রেজা বলেন, মারপিটে এক জনের মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর