মাহমুদউল্লাহর জায়গা না পাওয়াকে ‘অবিচার’ বলছেন মুশফিকের স্ত্রী
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরছেন না সুনিল নারিন
মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
খ্রিষ্টানদের প্রধান নেতা হতে চেয়েছিলেন মিল্টন সমাদ্দার
পাহাড় সমান অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’
আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর
মধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায়
তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকালে শুনানি শেষে
অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই রিমান্ড
মঞ্জুর করেন।
এর আগে
প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর থানায়
তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। সিটি করপোরেশনের ভুয়া সিল দিয়ে মৃত্যু সনদ তৈরি করে
অননুমোদিত লাশ দাফনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা এবং বাকি দুটি মামলা দায়ের
করেছেন পৃথক দুই ব্যক্তি।
এদিকে বেশ
কিছুদিন ধরেই গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় ‘মানবতার
ফেরিওয়ালা’ খ্যাত মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে
থাকে। এরই ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে আটক করে
ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
গ্রেপ্তারের
পরেরদিন বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির
করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের
এসআই কামাল হোসেন। এ সময় মিল্টনের আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে মিল্টনের
জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
তোফাজ্জল হোসেন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জোর করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিল্টন সমাদ্দার খ্রিষ্টান
সম্প্রদায়ের প্রধান নেতা হতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই লক্ষ্যে মিল্টন
সমাদ্দার, তার ভাই লিটন সমাদ্দার এবং আত্মীয়স্বজন মিলে একের পর এক গির্জার
নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। এক্ষেত্রে তারা প্রথমেই সুকৌশলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল
ও স্বাক্ষর জাল করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিল্টন সমাদ্দার প্রথমে ধর্ম
মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র জাল করে নিজে গির্জা পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন।
এরপর সেই কমিটির অনুলিপি পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে। এরপর দলবল নিয়ে
গিয়ে চার্চের ভেতরে থাকা যাজকদের বের করে দিয়ে দখল করে নিয়ে নেন। এ প্রক্রিয়ার
প্রথমে মিল্টনরা দখলে নেন রাজধানীর গ্রিন রোডের ফেলোশিপ চার্চ। এই চার্চের কমিটিতে
মিল্টন সমাদ্দারের বড় ভাই লিটন সমাদ্দার রয়েছেন।
ফেলোশিপ চার্চের সম্পাদক প্রফেসর সরা বৈদ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘মিল্টন গংরা পথভ্রষ্ট। ওরা আমাদের মারধর করে জোর করে চার্চ থেকে বের করে দিয়ে দখলে নিয়েছে। যাজকরা চার্চ তালাবদ্ধ করে বসেছিলেন। ওরা ১৪টি তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছে। মারতে মারতে যাজকদের চার্চ থেকে বের করে দিয়েছেন।
বরিশালে একই কায়দায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান
গির্জা চন্দ্রকান্ত মেমোরিয়াল চার্চ দখলের চেষ্টা করেছেন মিল্টন সমাদ্দার। ধর্ম
মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করা এই চার্চের কমিটির সভাপতি মিল্টন সমাদ্দার
নিজেই।
সাধারণ সম্পাদক মিল্টন সমাদ্দারের বড় ভাই লিটন সমাদ্দার।
এ ছাড়াও এই কমিটির সবাই মিল্টন সমাদ্দারের আত্মীয়। বিষয়টি নিয়ে যাজকদের সন্দেহে
হলে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের লিখিতভাবে
জানানো হয়, মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি।
বাংলাদেশের খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বীদের জ্যেষ্ঠ যাজক
প্রেমানন্দ সরকার জানান, ‘মিল্টন সমাদ্দাররা দেশের সব চার্চ দখল করে খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়ের
নেতা হতে চেয়েছিলেন।
তিনি পথভ্রষ্ট হয়ে যাজকদের মারধর করে তাদের বের করে দিয়ে আমাদের পান্থপথের চার্চ দখল করে নিয়েছেন। এ কায়দায় তিনি বরিশালের চার্চও দখল করতে চেয়েছিলেন। আমাদের যাজকদের বেধড়ক মারধর করেছে তাদের লোকজন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
রাতেও জ্বলবে সুন্দরবনে আগুন, ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন
সোমবার ০৬ মে ২০২৪
রাজশাহীতে তীব্র খরায় ঝরছে আমের গুটি
রবিবার ০৫ মে ২০২৪
থামানো যাচ্ছে না কিশোর গ্যাং
বাংলাদেশ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়
নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী নানা উদ্যোগ নিলেও ‘কিশোর
গ্যাং’ এর তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বড় শহরগুলোর গণ্ডি ছড়িয়ে
এ সমস্যা এখন বিস্তৃত হচ্ছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও। এমনকি অনেক জায়গায় একাধিক কিশোর
গ্যাং একে অন্যের সাথে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে।
গত শুক্রবার চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হওয়া চিকিৎসক কোরবান আলী বুধবার মারা গেছেন। ছেলেকে ওই গ্যাংয়ের হামলা থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মি. আলী।
পুলিশ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছে মূলত কিছু রাজনৈতিক
নেতার পৃষ্ঠপোষকতাই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য দায়ী। মাদক বাণিজ্য,
চাঁদাবাজি এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্তৃত্ব তৈরির জন্য এলাকার শিশু কিশোরদের নিয়ে
গ্যাং তৈরি করে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেন ওই ধরনের নেতারা।
“পুলিশ প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বছরে ৪/৫শ আটক হচ্ছে। মামলা হচ্ছে।
সংশোধনাগারে দেয়া হচ্ছে অনেককে। কিন্তু শিশু কিশোরদের নিয়ে এ ধরনের কিশোর গ্যাং তারপরও
বন্ধ হচ্ছে না মূলত কথিত কিছু বড় ভাই ও কিছু পলিটিক্যাল নেতার কারণে,”
বলছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ফারুক হোসেন। অন্যদিকে সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক
বলছেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও সমাজ ব্যবস্থায় ঘাটতির কারণেই কিশোর অপরাধ বা
গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামেই
সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন কিশোর গ্যাংগুলোর পেছনে যাদের মদদ
রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
“দেশে এটি (কিশোর গ্যাং) নতুন সমস্যা, এটিকে দূরীভূত করার জন্য সরকার কাজ
করছে। কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যে যেই থাকুক বা সে যে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
নেয়া হবে এবং হচ্ছে,” বলছিলেন তিনি।
এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনায় এসেছে কিশোর গ্যাং ইস্যুটি এবং এ নিয়ে কিছু
নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “কিশোর
অপরাধীদের সংশোধনে প্রয়োজনীয়উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে
নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান”।
কিশোর গ্যাংয়ে সংখ্যা কত? কারা জড়িত
হচ্ছে?
বাংলাদেশ রাজধানী ঢাকার উত্তরায় ২০১৭ সালে স্কুল শিক্ষার্থী আদনান খুনের
ঘটনায় প্রথমবারের মতো ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিলো কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি। এই
হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তখন বেশ কয়েকজন কিশোরকে আটক করেছিলো র্যাব
যারা একই গ্রুপের সদস্য ছিল।
সে সময় আলোচনায়
এসেছিলো উত্তরা ডিসকো বয়েজ ও বিগ বস কিশোর গ্যাং নামের দুটো গ্রুপ।
কিন্তু এরপর থেকে নিয়মিতই ঢাকাসহ নানা জায়গায় কিশোর
গ্যাংয়ের তৎপরতা নিয়ে খবরাখবর প্রকাশ হচ্ছিলো গণমাধ্যমে।
২০১৯ সালে বরগুনায়
রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর আলোচনায় আসে 'বন্ড ০০৭'
নামের একটি গ্রুপ।
ঢাকার উত্তরার ১২ নম্বরে
সেক্টরে বসবাস করেন নাহিদ হোসেন। উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা নিয়ে
প্রায়শই খবর আসে গণমাধ্যমে।
মি. হোসেন বলছেন, “এরা
হুট করে এসে একেকটা ঘটনা ঘটায়। আর তাতে তাৎক্ষণিক কারও ক্ষতি হয়ে যায়। যেমন কারও সাথে
এদের আরও একটু কথা কাটাকাটি হলো, কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যাবে ৩০/৪০ জন এসে হামলা শুরু
করলো”।
“এলাকায় বস্তিগুলোতে থাকে এমন কিশোরদের পাশাপাশি পড়ালেখা করে এমন কিশোরদেরও
দেখতে পাচ্ছি এসব গ্রুপগুলোতে,” বলছিলেন মি. হোসেন।
কিন্তু ঢাকাসহ সারাদেশে
এমন কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা কত বা কত কিশোর তরুণ এ ধরনের অপরাধে জড়িত তার
সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া কঠিন।
তবে ২০২২ সালে পুলিশের
এক প্রতিবেদনে সারাদেশে ১৭৩টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় থাকার তথ্য দেয়া হয়েছিলো। এতে
বলা হয়েছিলো ঢাকাতেই ৬৬টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় আছে। আর এসব দলগুলোতে ১০ থেকে ৪০/৫০
জন পর্যন্ত সদস্য আছে।
গাংচিল, ম্যাক্স পলু, বাট্টু বাহিনী, পটেটো, কবজি কাটা
গ্রুপ, লাল বাহিনী- এমন সব বাহারি নামের কিশোর গ্যাংগুলোর সদস্যরা ছিনতাই, নারীদের
উত্ত্যক্ত করা, জমি দখলে সহায়তাসহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ার তথ্য এসেছে
গণমাধ্যমে।
তবে চলতি বছর জানুয়ারিতে ঢাকার মধুবাগে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র
করে দু'দল কিশোরের সংঘর্ষে একজন নিহত হবার পর র্যাব জানায় যে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩
সাল পর্যন্ত সময়ে ১ হাজার ১২৬ জনকে শুধুই র্যাবই আটক করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে
জড়িত থাকার অভিযোগে। এর মধ্যে ২০২৩ সালেই আটক হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের
সচেতনতামূলক কর্মসূচিও হাতে নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
কিন্তু তারপরও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েই চলেছে কেন এমন প্রশ্নের
উত্তরে ডিএমপির মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলছেন, কিছু রাজনৈতিক নেতা এ জন্য দায়ী।
“তারাই কিশোর তরুণদের বিপথগামী করছে নিজেদের
স্বার্থে ব্যবহারের জন্য। আমরা রাজনৈতিক নেতা বিশেষ করে কাউন্সিলর ও অন্যদের সাথে নিয়মিত
মতবিনিময় করছি এবং উৎসাহিত করছি যাতে কিশোর গ্যাংকে কেউ প্রশ্রয় না দেয়,”
বলছিলেন তিনি।
আবার অনেক মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের ‘বড় ভাই বা মদদদাতা’
হিসেবে অনুসন্ধানে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদেরকেও আসামি করা হয়েছে, বলছিলেন তিনি।
এর আগে, পুলিশের প্রতিবেদনেও ঢাকার একুশ জন কাউন্সিলের নাম উঠে এসেছিলো কিশোর
গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে। যদিও তাদের কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো আইনি
ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
পুলিশ বলছে মূলত পাড়া মহল্লার কিশোরদের দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করার যে
প্রবণতা সেটিকেই ব্যবহার করে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি এসব গ্যাং তৈরি করেন।
“১৫/১৬ বছর বা কাছাকাছি বয়সের কিশোরদের
মধ্যে একটা হিরোইজম কাজ করে। সেটাকেই ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি তাদের ভুল পথে ঠেলে
দেয়। এভাবেই তারা জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমে,”
বলছিলেন মি. হোসেন।
যদিও সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলছেন কিশোর অপরাধীরা যেসব
অপরাধ করে এবং এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগ্রহ হয় তার ভাগবাটোয়ারা অনেক দূর পর্যন্ত যায়
এবং এমনকি যাদের প্রতিরোধ করার কথা তারাও কেউ কেউ সুবিধা নিয়ে এসব কিশোর গ্যাংকে
সুযোগ করে দেয়।
থামানো যাচ্ছে না কেন
তৌহিদুল হক বলছেন কিশোর অপরাধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটি একপক্ষীয় এবং
সংশোধনাগারগুলোও মানসম্মত নয়, অর্থাৎ কিশোর অপরাধীদের সংশোধন করে ভালো নাগরিক করার
জন্য সক্ষম নয়।
“এখানে যে অপরাধ করছে শুধু তাকেই ধরা
হচ্ছে। যারা কিশোরদের সংঘবদ্ধ করে অপরাধ করাচ্ছে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
অর্থাৎ মদদদাতা বড় ভাই বা রাজনৈতিক নেতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে,”
বলছিলেন তিনি।
যদিও পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলছেন যে এর আগের মামলাগুলোর
তদন্ত পর্যায়ে মদদদাতা হিসেবে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মামলার আসামি করা হয়েছে।
তবে পুলিশ ও সমাজ অপরাধ গবেষকরা সবসময়ই বলে আসছেন যে পরিবারের তরুণ
সদস্যদের সঠিক নির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে সব পিতা মাতা কিংবা পরিবার সবসময় ভূমিকা
রাখতে পারছে না।
বিশেষ করে দরিদ্র অর্থাৎ প্রান্তিক পরিবারগুলোতে সঠিক অভিভাবকত্ব
দেখা যায় না বলে সেসব পরিবারের কিশোররা সহজে ভুল পথে যায়, এমন অনেক উদাহরণের কথা
জানাচ্ছেন তারা।
“অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকের সাথে সন্তানের
দূরত্ব, সঠিক নির্দেশনা বা সঠিক প্যারেন্টিং না থাকার সুযোগে অপরাধের সাথে কিশোর বয়সেই
অনেকের পরিচয় ঘটে যায়। আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে ধরা পড়লে যেসব সংশোধনাগারে পাঠানো হয়
সেগুলো খুবই সেকেলে। পাশাপাশি সামাজিক অনুশাসন একেবারেই ঢিলেঢালা পর্যায়ে চলে যাওয়ার
কারণেই কিশোর গ্যাংয়ের বিস্তার থামানো যাচ্ছে না,
ফারুক হোসেন বলে শুধু কয়েকজনকে শাস্তি দিয়ে বা আইনের প্রয়োগ করেই
কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি বন্ধ করা অসম্ভব, বরং এজন্য সবার সহযোগিতা জরুরি।
“সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কিশোর তরুণরা
যেন ভুল পথে না যায় সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব পরিবার থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি
সবার। পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে সবাইকে মোটিভেট করার যাতে অল্প বয়সী বাচ্চারা ব্যবহৃত
না হয়,” বলছিলেন তিনি।
ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকার বাইরেও
গত ত্রিশে মার্চ দক্ষিণাঞ্চলীয় পিরোজপুর জেলায় তরুণীকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের
ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করে সেখানকার পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, আটককৃতরা কিশোর
গ্যাংয়ের সদস্য, যাদের বয়স ১৫ থেকে সতের বছরের মধ্যে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান জানান
পিরোজপুর শহর ও এর আশেপাশে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়েই চলেছে।
এর আগে, পনেরই মার্চ মাদারীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে
কয়েকজন আহত হয় এবং পুলিশ দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় গত ফেব্রুয়ারিতে কিশোর গ্যাংয়ের
হাতে খুন হন এক যুবক। খেলার সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই মাসেই জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ে ছয় সদস্যকে
গ্রেফতার করে র্যাব।
ত্রিশে জানুয়ারি কুমিল্লায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অস্ত্রের মহড়া ও
গুলি করার ঘটনা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো।
গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের অনেক ঘটনায় উঠে এসেছে কিশোর গ্যাংয়ের নাম।
রাতেও জ্বলবে সুন্দরবনে আগুন, ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন
সোমবার ০৬ মে ২০২৪
রাজশাহীতে তীব্র খরায় ঝরছে আমের গুটি
রবিবার ০৫ মে ২০২৪
ক্রেতাশূন্য বাজারেও পণ্যের বাড়তি দাম
কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর এবং
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে
কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম। আর কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত
বেড়েছে মুরগির দাম।
বিক্রেতারা বলেন, ঈদের
কারণে বন্ধ রয়েছে পণ্য সরবরাহ। আগে আসা পণ্যগুলোই এখন মূলত বিক্রি হচ্ছে। পাশপাশি
বাজারে দেখা নেই ক্রেতার। ফলে কিছুটা লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারে মানভেদে প্রতি
কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা
৩০-৪০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা,
খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০
টাকায়।
আর প্রতিকেজি আলু ৪০
টাকা, কহি ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য
৪০-৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবুর জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।
দাম বেড়েছে কাঁচা
মরিচেরও।পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি
হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক
৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান
বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, ঈদের কারণে সবজির ট্রাক আসেনি। ফলে আগের সবজি
বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে।
এদিকে কেজিতে ২০-৪০
টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার ২৫০-২৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকা, দেশি
মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৫০
টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
ক্রেতারা বলেন, বাজারে
ক্রেতা নেই। তবু দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে নতুন করে
কোনো মুরগি আসেনি। ঈদের আগে আসা বাড়তি দামের মুরগিই এখন বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দাম
কিছুটা চড়া।
কেরানীগঞ্জের মুরগি
বিক্রেতা রিপন বলেন, বাজারে মুরগি কম। তাছাড়া ঈদের কারণে নতুন করে মুরগি আসেনি।
আগে যা এসেছিল সব বাড়তি দামের। তাই কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ঈদের আগের
দিন থেকে কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন,
গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও। সহসাই কমার লক্ষণ নেই। কেরানীগঞ্জের জিনজিরা
বাজারের মাংস বিক্রেতা আসলাম বলেন, বাজারে গরুর দাম বেড়েছে। তাছাড়া কোরবানিকে
কেন্দ্র করে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। তাই সামনে গরুর দাম কমার লক্ষণ
নেই, উল্টো বাড়তে পারে।
বাজারে দাম বেড়েছে
আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর কেজিতে
১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৫০ টাকায় ও আমদানিকৃত রসুনের কেজি
বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি
হচ্ছে।
আর মাছের বাজার ঘুরে
দেখা যায়, বেশিরভাগ বাজারেই নেই মাছ। ঈদের কারণে মাছ আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন
ব্যবসায়ীরা। তবে যাও এসেছে, সেগুলোর দামও চড়া।
গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি
রবিবার ০৫ মে ২০২৪
চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব
শনিবার ০৪ মে ২০২৪
এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল
সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ মে প্রকাশিত হবে।
শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ
কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, আগামী ১২ মে রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে মাধ্যমিক ও
সমমানের পরীক্ষার ফলাফল এবং পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে আগামী ৯-১১ মের
মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব করে আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
জানায়, ১২ মে ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে)
একটি চিঠি এসেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার
সরকার জানান, তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন যে ১২ মে ফল প্রকাশের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।
রেওয়াজ অনুযায়ী,
শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি
হস্তান্তর করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে
ধরেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল
প্রকাশিত হয়ে থাকে।
এবারের এসএসসি, দাখিল,
এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার
১৯২ জন।
সারাদেশে ২৯ হাজার
৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
জানায়, এসএসসিতে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি
(ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৪ সালের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহ: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি
থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২০ মার্চ শেষ হয়।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি
থেকে ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়েছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি
থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়।
ফিলিস্তিনের প্রতি মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সংহতি
সোমবার ০৬ মে ২০২৪
ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ও পদযাত্রা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের
সোমবার ০৬ মে ২০২৪
পদ্মা সেতুতে একদিনে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়
শাহ আলম ইসলাম নিতুল: একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ
রেকর্ড গড়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৫
হাজার ২০৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার
৫০ টাকা। এটি পদ্মা সেতুতে ১ দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায় বলে
জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতু সাইট
অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে
জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে
১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ
আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্তের আয় ২ কোটি ১৩ লাখ
৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।
আমিরুল হায়দারের দেওয়া
তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই প্রান্ত মিলিয়ে মোট টোল
আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৫০ টাকা। এ সময় শুধু মাওয়া প্রান্তে টোল আদায় হয়
১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
এর আগে, গত ৮ এপ্রিল
২৪ ঘন্টায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত
১২টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে এই টোল আদায় হয়।
রেকর্ড অনুযায়ী, এর
আগে পদ্মাসেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন
সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩
হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতুতে তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের
পরিমান ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গতবছরের ৮ জুলাই।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের
২৫ জুন ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু
উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য
সেতু খুলে দেওয়া হয়। সেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পাড়ি
দেয়। এ পর্যন্ত এটাই পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড।
নওগাঁয় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
সোমবার ০৬ মে ২০২৪
মোরেলগঞ্জে দিনমজুর পরিবারকে হত্যার উদ্যোশে গভীর রাতে বসতঘরে আগুন
সোমবার ০৬ মে ২০২৪