Logo
শিরোনাম

মাইজভান্ডার মহান ২৭ মাঘ পবিত্র খোশরোজ শরীফে লাখো ভক্ত জনতার ঢল

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

"খোদাভীরুতা অর্জন করতে হলে আল্লাহর নেক বান্দাদের সোহবতে যেতে হবে।"

আওলাদে রাসুল (ﷺ), শাহ্জাদায়ে গাউছুল আযম শাহ্সূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভান্ডারী (মাঃজিঃআ)।

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের অন্যতম প্রাণপুরুষ হুজুর গাউছুল ওয়ারা শায়খুল ইসলাম হযরত শাহ্সূফী আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানীর (ক.) ৮৮তম খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে ৬-১০ ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ৫দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি চলছে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) খোশরোজ শরীফের সমাপনী দিবসের আখেরি মুনাজাত একইসাথে মাইজভান্ডার রহমানিয়া মইনীয়া দরসে নেজামী আলিম মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানার সালানা জলসা সম্পন্ন হবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) খোশরোজ শরীফের উদ্বোধনী দিবসের কর্মসূচির মধ্যে বাদ ফজর খতমে কুরআন, খতমে খাজেগান, খতমে গাউছিয়া মাইজভান্ডারীয়া আদায়ের মাধ্যমে বাদ যোহর থেকে খতমে বুখারী, বাদে আছর তাসাউফ ভিত্তিক আলোচনা ও দোয়া মুনাজাতের সাথে ২৭ শে মাঘ খোশরোজ শরীফ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ৫দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে প্রত্যেক দিন বাদ মাগরিব থেকে ওয়াজ মাহফিল, হালকায়ে জিকির ও সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খোশরোজ শরীফের প্রতিদিন এবং সমাপনী দিবসে ছদারত ও আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের সাজ্জাদানশীন হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) লাখো ভক্ত জনতা ও মুসল্লীকে সাথে নিয়ে তিনি পবিত্র জুমার নামাজের খোৎবা ও ইমামতি করেন। এ সময় তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা সত্যবাদী তথা আল্লাহওয়ালাদের সঙ্গে থাকার আদেশ করেছেন। আর এটি খোদাভীরতা অর্জন করার সহজতম উপায়। তাছাড়া যেকোনো বিষয়ে কারো কাছ থেকে কোনো কিছু শেখার এবং গ্রহণ করার এটি একরকম স্বীকৃত এবং পরীক্ষিত পদ্ধতি। তিনি আরো বলেন, কারো কাছ থেকে কিছু হাসিল করতে হলে তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে থাক, তাঁর খেদমতে সংযোগ বৃদ্ধি করা আবশ্যক। তবেই তার কাছ থেকে কিছু নিতে পারবে। তাসাউফে ইসলামী শিক্ষার ক্ষেত্রে আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দাদের সোহবতের গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য কিতাব ও রিজাল (আল্লাহর নির্বাচিত ও প্রিয় বান্দাদের) পাঠিয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমেই যুগে যুগে মানুষ আল্লাহর প্রিয় ও ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত বান্দাদের সোহবত থেকে দূরে থাকলে সত্যিকার অর্থে তাক্বওয়া বা খোদাভীরতা অর্জন অনেকাংশে অসম্ভব বলা যায়। এই খোদাভীরুতা না থাকায় আজকে যুব সমাজের নৈতিক অধঃপতন হচ্ছে। উশৃংখলতা মারামারি হানাহানি লুটপাট ভাঙচুর মব জাস্টিসের মত ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারী বলেন, এই অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজ কে আলোকিত সমাজে রূপদান করতে হলে আবাল বৃদ্ধ বণিতা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকেই আল্লাহর ওলিদের সোহবত এখতিয়ার করতে হবে। খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও মইনীয়া যুব ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া, খতমে খাজেগান, রওজায় গিলাফ চড়ানো, ফ্রি চিকিৎসাসেবা, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, হুজুর কেবলার দেশ বিদেশের দুর্লভ আলোকচিত্র চিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী, মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খোশরোজ শরীফে অংশগ্রহণে দেশ বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্ত জনতার উপস্থিতিতে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠছে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় পুরো মাইজভান্ডার দরবার শরীফকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। খোশরোজ শরীফে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি আন্জুমানের এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করবেন। 

সার্বক্ষনিক মনিটরিংয়ের জন্য দরবার শরীফের নায়েবে মুন্তাজেম শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানীর নেতৃত্বে তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৫দিনের খোশরোজ শরীফের কর্মসূচি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উপজেলা ও থানা প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। খোশরোজ মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে সালাতু সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্থ মুসলিম উম্মাহ্ ও নিপীড়িত মানবতার মুক্তি কামনায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। পরে সকলের মাঝে তবারুক পরিবেশন করা হয়।


আরও খবর



ট্রাম্প-পুতিন যুদ্ধ বন্ধে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বললেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের উদ্দেশ্যে তারা কথা বলেন। তিন বছর আগে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গিনিচ সময় ১৪টার দিকে তারা ফোনে কথা বলা শুরু করেন। হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ডান স্কাভিনো মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লিখেছেন, “ফোনালাপ চলছে এবং এটি এখনো হচ্ছে।” সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিন প্রায় ২ ঘণ্টা কথা বলেন। একটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের এ ফোনালাপের উদ্দেশ্য ছিল, পুতিনকে ৩০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরত এবং কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজি করানো। যারমধ্যে আছে রুশ বাহিনীর দখল করা ইউক্রেনের বৃহৎ অঞ্চল।

চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইউক্রেন। এরপর একই প্রস্তাব রাশিয়াকেও দেয় মার্কিনিরা। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এখনো এতে পুরোপুরি রাজি হননি। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি কথা বললে পুতিন হয়ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারেন।

৩০ দিনের ওই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পর পুতিন গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তবে এই যুদ্ধবিরতিটি হতে হবে মূল সমস্যার ওপর। যেটির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্ব নিরসন হবে। এছাড়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটির বিস্তারিত জানতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাম্প এরপর রাশিয়াকে ইউক্রেনের ভূখণ্ড দিয়ে দেওয়া এবং বিখ্যাত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।

রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের স্বার্থ রক্ষা হলেই কেবল তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে। তিন বছরের যুদ্ধে ইউক্রনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ অংশ দখল করেছে রাশিয়া। যেগুলোকে তারা নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে।

হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ডান স্কাভিনো পরবর্তীতে এক্সে আরেকটি পোস্ট করেন, সেখানে তিনি লেখেন ‘আলোচনা চলছে’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই ফোনালাপের ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানা যাচ্ছে না। তবে ডান স্কাভিনোর পোস্টের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিন ৯০ মিনিটের বেশি সময় ধরে কথা বলছেন। এর কিছুক্ষণ পরই জানা যায় তাদের ফোনালাপ শেষ হয়েছে।


আরও খবর



প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশে বিপুল পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে চলতি মাসের ২৪ দিনেই এসেছে প্রায় ২৭৫ কোটি ডলার প্রবাসী আয়। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো মাসের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চলতি মার্চের ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) আসে গত ডিসেম্বরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)।

এদিকে, গত ২৪ মার্চ একদিনেই দেশে এসেছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে দেশে স্বজনদের কাছে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে বাড়ছে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াতে পারে।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছিলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেয়া হোক বা অর্থপাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিট্যান্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার হতে পারে। এ বছর ৩০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।

আর সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ও ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।


আরও খবর



ওলামা লীগের সদস্য সচিব এখন ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কৌশলে কমিটিভুক্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রভাব বিস্তার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। তাছাড়া বিভিন্ন প্রোগ্রামে সুশীল সমাজের ব্যক্তি হিসেবে অংশগ্রহণ করে অস্তিত্ব বহাল রাখছেন।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ঝালকাঠি জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী মাওলানা মোহা. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কানাঘুষা শুরু হয়। কমিটিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ওলামা লীগের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা নেয়ামত উল্লাহকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ছাইদুর রহমান বলেন, জেলা ওলামা দলের কমিটি করার পূর্বে বিভিন্নভাবে উপজেলা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছি।

তাদের দেয়া মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে নামের চূড়ান্ত তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। তারা সেই কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। নেয়ামতের নাম কমিটির মধ্যে কিভাবে রইলো বা ঢুকলো সেটা বুঝতে পারছি না। তাকে এ কমিটি থেকে বাদ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। অপরদিকে গত ১ মার্চ ক্যাবের সুলভ মূল্যের বাজার “প্রশান্তি” পরিচালনায় বেশ কয়েজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে যুবদলের এক নেতা প্রতিবাদ করলে সেখানে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধে। পরে ফ্যাসিবাদের দোসররা সেখান থেকে কৌশলে কেটে পড়ে। এছাড়া গত বুধবার ঝালকাঠি এলজিইডির হিসাব রক্ষকের দুর্নীতি-অনিয়মের বিচার দাবিতে করা মানববন্ধনে অন্যান্য ঠিকাদারদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আ. হাকিমও অংশ নেন। তিনি ব্যানারে ছাত্রদলের শীর্ষ পদের এক নেতার পাশে দাঁড়িয়ে অবস্থান জানান দেন। আ. হাকিম নাচন মহল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট পদধারী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের ভাগিনা। ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরে অনেকেই বিভিন্ন ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছে। সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন কমিটিতে ঢুকছে। বিএনপি কারো যথেচ্ছ দল না, যার মনে চাইবে আসবে আবার যার মনে চাইবে যাবে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নীতি-নির্ধারকদের আরো কঠোর হয়ে ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ জানান তারা। জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন জানান, বিএনপিতে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান হবে না। সঠিক তথ্যের অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



উৎসব-আয়োজনে পাঞ্জাবির স্নিগ্ধতা

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাঙালি ছেলেদের পছন্দের পোশাক সাদা পাঞ্জাবির আভিজাত্য আর সৌন্দর্যের তুলনা হয় না। পাঞ্জাবি সবসময়ই ট্রেন্ডি, সময়ের সঙ্গে এর কদর কখনো কমে যায়নি। বিশেষত পাঞ্জাবি বা কুর্তার চিরাচরিত ছিমছাম স্টাইল সবসময় ট্রেন্ডি এবং ঐতিহ্যবাহীও বটে। বসন্তের আগমন, পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদের আনন্দ এই সব আয়োজনে পাঞ্জাবির শুভ্র সৌন্দর্য ফ্যাশনে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।এবারের ঈদে বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছে 'বালুচর'।

ফ্যাশন ডিজাইনার শাহীন চৌধুরীর হাত ধরে বালুচরের যাত্রা শুরু ২০০৮ সালে। জগন্নাথ  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে। সমসাময়িক ফ্যাশনকে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরতেই ফ্যাশন ফর ক্রিয়েশন স্লোগান নিয়ে বালুচরের পথচলা। এরই মধ্যে পরিণত হয়েছে ছেলেদের ট্রেন্ডি পাঞ্জাবি ও কুর্তার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে। 

শ্বেত শুভ্র কাপড়ের নিজস্ব সৌন্দর্য আর এর মধ্যে সুনিপুণ কারুকাজ- সবকিছু মিলিয়ে পাঞ্জাবি অনন্য। আর বসন্তের আবহাওয়ায় পাঞ্জাবির অন্য রকম আবেদন থাকে। হাতে সূক্ষ্ম সূচিকর্ম বা নকশার নিপুণ কাজ করা নান্দনিক সাদা রঙের পাঞ্জাবি পাওয়া যায় বিভিন্ন ধাঁচে। এসব পোশাক শুধু রুচিশীলতাই প্রকাশ করে না, ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবেও গুরুত্ব বহন করে। এই বিশেষ দিকটি পাঞ্জাবিকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।

যেকোনো উৎসব আয়োজনেই বাঙালি ছেলেরা পাঞ্জাবিকে আপন করে নিতে পারে। প্রতিদিনের বাইরে ঘোরাঘুরি থেকে শুরু করে কোনো বড় অনুষ্ঠান- সব জায়গাতেই পাঞ্জাবি তার অনন্য সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয়। তবে পাঞ্জাবিকে ভিন্নভাবে স্টাইল করা যায় বিভিন্ন ধরনের প্যান্টের মাধ্যমে। যদি আপনি আরামদায়ক লুক চান, তবে সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে খাকি রঙের প্যান্ট পরতে পারেন। আর যদি ঐতিহ্যবাহী এবং ট্রেন্ডি লুক চান, তবে সাদা বা ক্রিম রঙের পায়জামার সঙ্গে পরতে পারেন। এভাবে একটি সাধারণ পাঞ্জাবিকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে পরা যায়।

এছাড়া রমজান মাস মানেই ইফতারের আয়োজন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ইফতার রমজান মাসের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এ সময় বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে ইফতারের আয়োজনে পাঞ্জাবি অন্য রকম স্নিগ্ধতা নিয়ে আসবে। সন্ধ্যার দাওয়াতের জন্য, একটু ভিন্নতা নিয়ে আসতে চাইলে, হালকা প্যাস্টেল রঙের ছোঁয়াযুক্ত বা হালকা নকশার সাদা পাঞ্জাবি বেছে নিতে পারেন। এর সঙ্গে একটি সাদা রঙের স্কার্ফ ব্যবহার করে পাঞ্জাবিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করুন।

বাঙালিদের ঈদ মানেই পাঞ্জাবি, পাঞ্জাবি ছাড়া যেন ঈদ হয় না। কলার এবং হাতায় সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি ঈদকে জমকালো করে তোলে। একটু জমকালো ভারি কাজ করা পাঞ্জাবি বা কুর্তা, সঙ্গে সুন্দর এক জোড়া জুতা বা স্যান্ডেল উৎসবের আমেজের জন্য মানানসই। তবে শুধু উৎসবের পোশাক হিসেবে পাঞ্জাবির সমাদর না করে যেকোনো জায়গাতেই পাঞ্জাবি বেছে নিতে পারেন। ডেনিম বা চিনোসের সঙ্গে পাঞ্জাবি পরলে এটি অন্যরকম এক ধরনের স্টাইল তৈরি করে। এ ছাড়া, বিয়ের অনুষ্ঠানে সাদা পাঞ্জাবি চুড়িদার বা ধুতির সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।

আবার যেকোনো উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন পাঞ্জাবি। অফ-হোয়াট শেডের ওপর সোনালি কাজ করা অথবা বিভিন্ন প্যাটার্নের নকশা করা পাঞ্জাবি বেছে নিতে পারেন। কলারের ওপর নীল রঙের এমব্রোয়ডারি করা শুভ্র পাঞ্জাবিও বেশ চমৎকার। এরকম ছোটখাটো বিষয়ের দিকে লক্ষ করে পাঞ্জাবি বাছাই করলে স্টাইলে যেমন আভিজাত্য আর সৌন্দর্য ফুটে উঠবে, তেমনি যেকোনো উৎসবে সবার আলাদাভাবে নজর কাড়বে।

এবার অনুষঙ্গের পালা। পাঞ্জাবির পুরো স্টাইলকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে ঠিকঠাক অনুষঙ্গ বাছাই করা ভীষণ জরুরি। ধাতব বা চামড়ার স্ট্র্যাপ যাই হোক না কেন, একটি চমৎকার ঘড়ি বেছে নিন পাঞ্জাবির সঙ্গে। এছাড়া, একটি স্টাইলিশ সানগ্লাসও ভুলবেন না, যা পাঞ্জাবির আভিজাত্য বজায় রেখেই এতে ফ্যাশনেবল ছোঁয়া যোগ করবে।

পাঞ্জাবি বাঙালি পুরুষদের ঐতিহ্য আবার একইসঙ্গে ফ্যাশন অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে, যা সময় বা ট্রেন্ডের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় না। তাই পাঞ্জাবির নির্মল সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে এটির ছিমছাম ভাব বজায় রাখতে হবে। সৌন্দর্য এবং স্নিগ্ধতাই পাঞ্জাবির অনন্য বৈশিষ্ট্য।

বালুচরের বিভিন্ন ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে  ৯০/৯১ নিচতলা, আজিজ সুপার মার্কেট, লেভেল ৩, শাহবাগ, ঢাকা ও  ৮১-৮২, ১০২/এ, তৃতীয় তলায়।  আহমদ আলী টাওয়ার, জয়দেবপুর, গাজীপুর। আকুরটাকুর পাড়া, জেলা সদর রোড, টাঙ্গাইল। কমার্শিয়াল এরিয়া, হবিগঞ্জ, সিলেট।

 


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




ঝালকাঠি জেলা জুড়ে ফিলিস্তানে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বর্বরতা ও ভারতের নাগরপুরে হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠি জেলাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা, নলছিটি উপজেলা, রাজাপুর উপজেলা ও কাঠালিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ব্যানারে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বর্বরতা ও ভারতের নাগরপুরে হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠি জেলাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সদর উপজেলায় প্রতিবাদী জনতার ব্যানারে ফায়ার সার্ভিস রোড থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র নেতা মুস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আসিফ , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা আতিকসহ ,এতে সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া কাঁঠালিয়া উপজেলার বীনপানি বাজারে সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে ঘন্টা ব্যপী বিক্ষোভ করে, পরে কাঁঠালিয়া - ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে মিছিল করে স্থানীয়রা।

এছাড়াও নলছিটিতে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

এছাড়াও রাজাপুরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ- রাজাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মাহমুদুল হাসান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হাফসীর সঞ্চালনায়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে ছোট ছোট শিশু ও সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এই নির্মমতা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়, কিন্তু বিশ্ব বিবেক যেন নির্বিকার। সভ্যতার নামে যারা আমাদের নীতিকথা শোনায়, তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে কেন কথা বলে না—এ প্রশ্ন আজও রয়ে গেছে। দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল ক্রমাগত ফিলিস্তিনকে কোণঠাসা করছে। যদি এই নিপীড়ন চলতে থাকে, তবে কয়েক দশকের মধ্যেই ফিলিস্তিন বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং ন্যায়সংগত অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে। বক্তারা আরো বলেন, ভারতের হিন্দু মৌলবাদী বিজেপি দাঙ্গাবাজ সরকার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে মুসলমানদের ওপর নানামুখী অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের শ্রেষ্ঠ সুশাসক সম্রাট আওরঙ্গজেবের মাজার ভাঙার চক্রান্ত চলছে। মন্দির অনুসন্ধানে মসজিদ, মাদ্রাসা, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙছে। বিশ্বের মানবতাবাদীদের ভারতীয় উগ্রবাদীদের মুসলিম নিদর্শনসমূহ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।


আরও খবর