Logo
শিরোনাম

মাজারে হামলা করে মুসলমানদের ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইসলামকে উগ্রবাদী ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।

দেশের দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো ভক্ত  জনতার অংশগ্রহণে চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি'র চেয়ারম্যান  হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভাণ্ডারীর  (ম.জি.আ.) ৫৮তম খোশরোজ শরিফ পালিত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ,হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট ও মইনীয়া যুব ফোরামের যৌথ ব্যবস্থাপনায় বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্যে বাদে ফজর  থেকে খতমে কোরআন,খতমে গাউছিয়া, শাইখুল ইসলাম হযরত সৈয়দ  মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীসহ  মাইজভাণ্ডারী মহাত্মা সাধকদের রওজা শরিফ জিয়ারত, জিকির, দোয়া কালাম পাঠসহ সেমা মাহফিল ও তবারুক বিতরণ। রাতে  আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী   বলেন, বিশ্ব মুসলিম বিভিন্নভাবে আজ অত্যাচার,নিপীড়ন,নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের শিকার। শান্তির ধর্ম ইসলামের বিজয়ের পথ সুগম করতে মুসলমানদের বিশ্বব্যাপী ঐক্যের বিকল্প নেই। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রিয় নবী (দ:) প্রণীত মদিনা সনদের আলোকেই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। তিনি বলেন উপমহাদেশে ইসলামের বিজয় নিশান উড়িয়েছেন আউলিয়ায়ে কেরামগণ। আজ পরিকল্পিতভাবে তৌহিদী জনতার ব্যানারে  আউলিয়ায়ে কেরামের  মাজার খানকাহ ও দরবারসমুহে হামলা করে মুসলমানদের ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। তৌহিদী জনতার ব্যানারে এই ধরনের উগ্র কার্যক্রম কোনভাবেই চলতে দেওয়া যায় না। এক শ্রেণীর লোক ইসলামের শান্তি ও সম্প্রীতির পথ ছেড়ে অস্ত্রবাজির মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের স্বপ্ন দেখছে। যা একটা ভুল পদক্ষেপ ও ইসলামকে উগ্রবাদী ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার গভীর ষড়যন্ত্র। তাছাড়া মাজারে হামলার মাধ্যমে উগ্রবাদীরা তরিকত পন্থী সুন্নি সুফিবাদি জনতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।  

তাই দেশের সকল পীর মাশায়েখ হাক্কানী আলেম-ওলামাকে  ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও আর্মির উপস্থিতিতে মাজারে নৃশংস  হামলা করা হচ্ছে। আমি এই গর্হিত অপরাধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই উগ্রবাদীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে । এ সময় মাহফিলে থাকা হাজার হাজার নবী-অলি প্রেমিক জনতা নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবার,  নারেয়ে রিসালাতের গগনবিধারী স্লোগানের মাধ্যমে হুজুর কেবলাকে সমর্থন জানায়। খোশরোজ  শরীফ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মইনুদ্দীন ফয়সাল।বিশেষ অতিথি ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের কেন্দ্রীয়  সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন।  আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, আন্জুমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খলিফা আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহা সচিব কাজী মহসীন চৌধুরী, আন্জুমান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আলহাজ্ব কবির চৌধুরী, বিএসপি ভাইস চেয়ারম্যান  মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া মাইজভাণ্ডারী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আসলাম হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: নুরুল আনোয়ার হিরণ,বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ঢালী কামরুজ্জামান হারুন, মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জাহিদুল আলম,কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ,  মইনীয়া যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকবর হোসেন রুবেল,  মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনিয়া দরসে নেজামী  মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ খান সিরাজী, মাওলানা বাকের আনসারী,মুফতি মাওলানা এইচ এম মাকসুদুর রহমান, হাফেজ মোহাম্মদ নাজের হোসাইন, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী প্রমুখ। মাহফিল শেষে হাজরো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন  ধ্বনীতে  দেশ জাতি, মুসলিম উম্মাহ ও সর্বমানবতার কল্যাণ কামনা করে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ম.জি.আ.)।


আরও খবর

মাইজভান্ডারির মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫




পুরোপুরি সেরে ওঠার পথ দীর্ঘ

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

তামিম ইকবাল মারাত্মক হার্ট অ্যাটাকের পর মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। সাভারের কেপিজে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর তামিমকে নেওয়া হয় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে। হার্ট অ্যাটাকের ধকল কাটিয়ে একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। কিছুটা সুস্থ হয়ে গতকাল শুক্রবার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। সেদিন রাতেই তিনি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটা দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন। ভক্তদের জানিয়েছেন পুরোপুরি সেরে উঠতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে তাকে।

শুরুতেই শুকরিয়া আদায় করে তামিম লিখেছেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে এখন আমি বাসায়। উথালপাথাল এই চারটি দিনে নতুন জীবন যেমন পেয়েছি, তেমনি আমার চারপাশকে আবিষ্কার করেছি নতুন করে। সেই উপলব্ধির সবটুকুতে মিশে আছে কেবল ভালোলাগা ও কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সবার ভালোবাসার ছোঁয়া ক্যারিয়ারজুড়ে নানা সময়ই পেয়েছি। তবে এবার তা অনভুব করতে পেরেছি আরও তীব্রভাবে। আমি সত্যিই আপ্লুত।

তামিমকে হাসাপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়ার আগে পরে অনেকই সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তামিম লিখেছেন, ‘বিকেএসপিতে আমার অসুস্থতার শুরু থেকেই অনেককে পাশে পেয়েছি তাৎক্ষণিকভাবে। ম্যাচ রেফারি দেবু দা (দেবব্রত পাল), বিকেএসপির চিকিৎসকরা এবং আরও যারা তখন ছিলেন, অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার যে ভাই আমাকে দ্রুতগতিতে নিয়ে গেছেন হাসপাতালে, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

তামিম আরও যোগ করে লিখেছেন, ‘আমাদের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাব কীভাবে, আমার আসলে জানা নেই। আমি পরে জেনেছি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন যে, ডালিম ভাই ওই সময় সঠিকভাবে সিপিআর না দিলে হয়তো আমাকে বাঁচানো যেত না। উপযুক্ত মানুষকে উপযুক্ত সময়ে আমার পাশে রেখে আল্লাহ আমাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়েছেন। মোহামেডানের সাপোর্ট স্টাফ ওয়াসিমের কথা না বললেও নয়। শুরু থেকে এখনও সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়েই আছে আমার।

এক পর্যায়ে কেপিজে হাসপাতালের ডাক্তার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান মারুফকে ধন্যবাদ জানিয়ে তামিম লিখেছেন, ‘কেপিজে হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ও তার দক্ষ চিকিৎসক দল তাদের পেশাদারিত্ব আর আন্তরিকতার মিশেলে যেভাবে দ্রুততায় চিকিৎসা করেছেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকদের মান ও কার্যকারিতাই ফুটে উঠেছে তাতে। আমি পরে শুনেছি যে, দেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডা. মারুফ ও তার দল মিরাকল ঘটিয়েছেন। গোটা চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা থেকে শুরু করে যারা যে কোনোভাবে যতটুকু সম্পৃক্ত ছিলেন, সবাইকে হৃদয়ে লালন করবো আজীবন। এই হাসপাতালে যতটুকু সময় ছিলাম, তাদের হৃদ্যতার পরশ অনুভব করে যাবো সবসময়।

ঢাকার বাইরে কেপিজির মতো আরও হাসপাতাল তৈরি হলে মানুষের প্রাণ রক্ষা হবে বলে মনে করেন তামিম, ‘ঢাকা শহরের বাইরে ওই এলাকায় এতটা উঁচু মানের হাসপাতাল আছে, এতটা কুশলী চিকিৎসক দল ও স্টাফরা আছেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার এগিয়ে চলার একটি প্রমাণ এটি। দেশজুড়ে নানা জায়গায় এর কাছাকাছি মানের হাসপাতাল যদি আরও কিছু থাকে, আমার মতো আরও অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা পেতে পারে।

একদম শেষে তামিমের জানিয়ে দিয়েছেন পুরোপুরি সেরে উঠার পথটা যে সহজ হবে না, ‘ধন্যবাদের তালিকা আসলে শেষ হওয়ার নয়। আরও অনেকেই নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, অনেকের কথা জানি, অনেকের কথা হয়তো জানি না। এতটুকু জানি, ধন্যবাদ পাওয়ার আশায় তারা কিছু করেননি। আমি তাদের ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ সারা জীবনের জন্য। পুরোপুরি সেরে ওঠার পথ এখনও দীর্ঘ। আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রার্থনায় রাখবেন। সবার জীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক। ভালোবাসা সবার জন্য।


আরও খবর



সারা দেশে সরকারি ফার্মেসি চালু করা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সরকার সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের ওষুধ তিন ভাগের এক ভাগ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।

গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বাস্থ্যখাতের বিশাল চাপ এবং ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেক রোগী চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারছেন না, যার ফলে তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের এই ফার্মেসি ব্যবস্থা একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, সরকারের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় উপকারিতা বয়ে আনবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে আরও সহজলভ্য করা। সরকারি ফার্মেসি চালু হলে, এর মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে, যা স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ।

তবে সরকারি ফার্মেসি সুষ্ঠুভাবে কার্যকর করতে ওষুধ চুরি ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা মোকাবিলা করতে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে এবং এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করা হবে।


আরও খবর



অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সাভার, জোবিঅ -আশলিয়ার আওতাধীন মুজারমিল, আশুলিয়া এলাকায় একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ২ ইঞ্চি ডায়ার আনুমানিক ৪৫০ ফুট অবৈধ বিতরণ লাইনের ৬০০ আবাসিক বার্ণার এর অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে ৬,৪৮,০০০/- টাকার মাসিক গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হবে।

একই দিনে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোনাল বিক্রয় অফিস চন্দ্রার আওতাধীন রিপন নীটওয়্যার লিমিটেড, জরুন, কোনাবাড়ি, গাজীপুর-এর গ্যাস সংযোগটি অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহারের কারণে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া, জনাব হাসিবুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, গাজীপুরের নেতৃত্বে আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ- জয়দেবপুর জোবিঅ-টঙ্গী -এর ডেনিম শেয়ার, আব্দুল গফুর খান রোড, জাম্বুরার টেক, শিলমুন, টঙ্গী, গাজীপুরের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৫০ফুট পাইপলাইন অপসারণপূর্বক জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারী বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। তিতাস গ্যাসের জোবিঅ- কিশোরগঞ্জ কর্তৃক একটি অভিযানে বকেয়ার জন্য ০১ টি আবাসিকের ১টি ডাবল বার্নার ও অবৈধ/অনুমোদন অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহারের কারণে ১টি আবাসিকের ১টি ডাবল বার্নারসহ মোট ২টি আবাসিকের ২টি ডাবল বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ১জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৫১,৮৪০/- টাকা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া, তিতাস গ্যাসের ভিজিল্যান্স ডিভিশন / বিভাগ (ঢাকা) কর্তৃক মা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর -এর অবৈধ বাণিজ্যিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রিমিয়াম ফ্যাশন, প্লট-৬৩, রোড-২, ব্লক-কে, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর-১২, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠান ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শনকালে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এছাড়াও, তিতাস গ্যাসের আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা -সোনারগাঁও, আঞ্চলিক রাজস্ব উপশাখা -মুন্সিগঞ্জ-এর আওতাধীন বক্তারকান্দী, শুভকরদী, ঘারমোড়া, আলীসাহাদ্দী, চুনাভুড়া, বন্দর এলাকায় আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়ে মোট ০৯ টি (বকেয়ার জন্য ০৫ টি, জিরো পেমেন্ট ০৪ টি) আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় নগদ ৪০,১০০/-(চল্লিশ হাজার একশত)টাকা আদায় করা হয়েছে। মেসার্স রবিউল ট্রেডার্স, শাইলকুড়া, দাপা, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এ অবৈধ বাইপাসের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার করায় সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা- রূপগঞ্জ March' ২৫ মাসের বিল পর্যন্ত বকেয়ার কারণে দেশ ইন্ডাস্ট্রিজ ও হাশেম পেপার মিলস এবং সানজানা টেক্সটাইল -এর সংযোগের গ্যাস সরবরাহ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৪৬টি শিল্প, ১৬৬টি বাণিজ্যিক ও ৩৩,৬৪৩টি আবাসিকসহ মোট ৩৪,০৫৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৭৬,২৪৩টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ১৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



আদালতের গ্রিল কেটে টাকা ও স্বর্ণালংকার ‍চুরি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নাটোরে আদালতের স্টোররুমের জানালার গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে।এতে ৩৭ লাখ টাকাসহ ১৫ ভরি স্বর্ণ ও ১৭ ভরি রুপা চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নাটোর আদালতের স্টোররুমে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকালে আদালতের পুলিশ কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ করলে স্টোররুমের তালা ভাঙা দেখতে পান। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাটি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান। পরে খবর পেয়ে এসপি মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইনসহ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন।

মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইর আমাদের সময়কে বলেন, সকালে স্টোররুমের জানালার গ্রিল কাটা ও তালা ভাঙা দেখতে পায় পুলিশ সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পাই স্টোররুমে তালা ভাঙা। এটি সংঘবদ্ধ চোরের একটি দল ঘটিয়েছে। তারা প্রথমে জানালার গ্রিল কেটে অফিসের প্রবেশ করে। এরপর স্টোররুমের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আনুমানিক নগদ ৩৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণ ১৫-১৬ ভরি এবং ১৭-১৮ ভরি রুপা চুরি করে পালিয়ে যায়। এর আগে চক্রটি আদালতের আশপাশের সিসিটিভি সংযোগ এবং ভিডিও রেকর্ডারসগুলো বিচ্ছিন্ন করে খুলে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কয়েকটি টিম তদন্ত কাজ করছে।


আরও খবর



সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ছয় দফা দাবি আদায়ে এবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল (রোববার) দেশব্যাপী এই কমসূচি পালন করবেন তারা।

১৯ এপ্রিল ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী।

কুমিল্লার কর্মসূচিতে ‘হামলার’ অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সারা দেশে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে আজ প্ল্যাকার্ড হাতে ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে ছয় দফা দাবি আদায়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

মিছিল পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কর্তৃপক্ষকে বলবো, আমাদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিন, আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব। কুমিল্লার ভাইদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করুন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, এই সরকার আমাদের সরকার, শিক্ষার্থীদের সরকার, বিপ্লবীদের সরকার। এই সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। কারিগরি শিক্ষা সেক্টরে যে বৈষম্য আছে, আমরা চাই সরকার তা দূর করুক।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে মশাল মিছিল করেন। তার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেও সন্তুষ্ট না হয়ে ছয় দফা দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বুধবার সকাল থেকে ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর