Logo
শিরোনাম

মাকামে ইব্রাহিম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ফেরদৌস ফয়সাল, কলাম লেখক ঃ

কাবা শরিফের পাশেই চারদিকে লোহার বেষ্টনীর ভেতর একটি ক্রিস্টালের বাক্সে আছে বর্গাকৃতির একটি পাথর। পাথরটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সমান, প্রায় এক হাত। এটিই মাকামে ইব্রাহিম। মাকাম শব্দের একটি অর্থ হচ্ছে দাঁড়ানোর স্থান। অর্থাৎ হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর দাঁড়ানোর স্থান। এই পাথরে দাঁড়িয়ে তিনি ঠিক কী কাজ করতেন, তা নিয়ে মতভেদ আছে। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মত হলো, কাবা শরিফের দেয়ালের উঁচু অংশ নির্মাণের সময় তিনি এই পাথরে দাঁড়িয়ে কাজ করতেন। পাথরের মাঝখানে একজোড়া পায়ের ছাপ আছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা বিশ্বাস করেন, হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মুজেজার কারণে শক্ত পাথরটি ভিজে তাতে তাঁর পায়ের দাগ বসে যায়। চার হাজার বছরের বেশি সময় পরও মাকামে ইব্রাহিমে সেই পায়ের চিহ্ন অপরিবর্তিত রয়েছে।

হজরত উমর (রা.)-এর সময় পাথরটিকে সরিয়ে বর্তমান জায়গায় বসানো হয়। মাকামে ইব্রাহিমের কাছে বা ঘেঁষে অনেক মুসল্লি নামাজ পড়েন, অনবরত চলে তাওয়াফ।

পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমের পেছনে দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হয়। তবে জায়গা না পেলে কাবা চত্বরের অন্য কোথাও আদায় করলে নামাজ হয়ে যায়।


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ সুদহার ১০.১৪ শতাংশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থার উদ্যোগে দুই মাস পর সেপ্টেম্বরে নেওয়া নতুন ঋণের ক্ষেত্রে ‘স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল- স্মার্ট) সুদহার করিডোর ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতি ছয় মাসের গড় সুদহার হচ্ছে ‘স্মার্ট’ রেট। সেপ্টেম্বর মাসে আগস্ট মাসের ‘স্মার্ট’ সুদহার জানিয়ে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত জুন ও জুলাই মাসের ‘স্মার্ট’ রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে নেওয়া ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) তা ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আইএমএফ-এর পরামর্শে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ থেকে সরিয়ে নিয়ে গত জুলাই থেকে ‘স্মার্ট’ রেট চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের মুদ্রানীতিতে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসের প্রথম কার্যদিবসে আগের মাসের জন্য প্রযোজ্য ‘স্মার্ট’ রেট ঘোষণা করে জানিয়ে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেপ্টেম্বর মাসে মাসে ঠিক করা ঋণের এ সুদহার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে না বাণিজ্যিক ব্যাংক। গত জুন ও জুলাই দুই মাসে ‘স্মার্ট’ রেটে কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত জুন মাসে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ৬ ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। অন্যদিকে ৫ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ করতে পারবে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)।

মূল্যস্ফীতির উচ্চ হারের রাশ টেনে ধরতে গত জুলাই মাস থেকে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি অনেক দেশেই প্রত্যাশার চেয়েও কমে আসায় বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদেরও তা অনুসরণ করার পরামর্শ ছিল। সেই নীতিতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রত্যাশা করছে, আমানতে সুদহার বাড়লে আমানতকারীদের মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা কিছুটা সহজ হওয়ার প্রত্যাশাও রয়েছে। নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর অনেক ব্যাংকেরেই আমানত সুদহার বাড়তে শুরু করেছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, কৃষি ও পল্লিঋণের সুদহার সাধারণ ঋণের চেয়ে ১ শতাংশ কম হবে। সেক্ষেত্রে ‘স্মাট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন যোগ হবে। এতে এ খাতের ঋণ সুদহার আগামী ছয় মাসের জন্য হবে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।

অবশ্য কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাত ও ভোক্তা ঋণের আওতায় ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক আরও এক শতাংশ সুপারভিশন চার্জ যোগ করতে পারবে, তবে তা শুধু বছরে একবারের বেশি হবে না।

নতুন সুদহার নির্ধারণের জন্য ব্যাংকগুলো স্থির বা পরিবর্তনশীল যেকোনো একটি নির্ধারণে গ্রাহকের সম্মতি অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ ব্যাংক চাইলে সর্বোচ্চ মার্জিনের মধ্যে যেকোনো একটি অঙ্কে সুদহার নির্ধারণ করে দিতে পারে।


আরও খবর



মানুষ এখন পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন... খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারকে কার্যকর ও শক্তিশালী করেছেন। 

গ্রাম আদালত শক্তিশালী হওয়ায় দেশবাসী হয়রানি মুক্ত সঠিক সেবা পাচ্ছেন।

মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মুক্তমঞ্চে জাতীয় ''স্থানীয় সরকার দিবস'' উপলক্ষে উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

একই সময় তার নির্বাচনী এলাকার অপর দুটি উপজেলা নিয়ামতপুর ও পোরশা উপজেলা উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চূয়ালীতে যুক্ত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের মানুষ এখন পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন। শেখ হাসিনার পরবর্তী টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সরকার বহুমুখী উদ্যাগ নিয়েছে। এই পরিকল্পনায় সরকারী দপ্তরগুলোতে স্মার্ট সেবা প্রদানের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আমন্ত্রন জানিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সম্মানিত করেছেন। তার দূরদর্শি চিন্তার সুফল ভোগ করছে মানুষ। এখন আর কোন মানুষ অবহেলিত নেই। প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার আওতায় এনেছে বর্তমান সরকার।

 তিনি বলেন, ভোটের মালিক জনগণ। দেশের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে উন্নত বিশ্বে রোল মডেল‌ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে থাকবে।

অনুষ্ঠানে সাপাহার উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সকল  ইউপি চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী উপকারভোগী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে দু'জন ব্যাক্তির মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার চেক, ৫০ জন  আইজিএ প্রশিক্ষনার্থীদের ভাতা প্রদানের চেক, ৬টি ইউনিয়নের ১৮০ জন কিশোর কিশোরীকে গেঞ্জি ও ট্রাউজার, ১২০ জন দরিদ্র মায়ের প্রত্যেককে ৯ হাজার ৬০০ টাকা করে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ক্রীড়া সামগ্রী,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা ও মেলায় অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।


আরও খবর



নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাট, স্বজন প্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না থাকা সহ ডজন খানেক অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম এর বিরুদ্ধে। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

কলেজ এর সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জাারি (ডিএইচএমএস) পেশাজীবী পরিষদের ২৫ সদস্যের স্বাক্ষরিত ঐ লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি ২০১৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। কলেজের অনুমোদনের পর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৮শ' ৪৭ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ও মাসিক বেতন বাবদ জমা নেওয়া টাকা থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এছাড়া কলেজ ভবন নির্মাণের নামে প্রত্যেক শিক্ষক কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ও প্রত্যেক কর্মচারীর কাছ থেকে ২ লাখ করে টাকা আদায় করা টাকা ও শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের নামে সংগ্রহ করা প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেন আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত। কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাটের বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা সত্বেও কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, স্বজন প্রীতির অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াতের বিরুদ্ধে। কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড অনুমোদিত নিয়োগ পেলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ ফান্ড থেকে দেওয়া বেতন-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন। তার স্বজন ও পছন্দের শিক্ষক কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পেলেও অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর ৪৪ থেকে ৫৭ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বেতন-বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও ঐসব শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হয়রানি, চাকরিচ্যুতি করা ও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

অভিযোগকারী ও কলেজ সংলগ্ন নওগাঁ পৌর সভার পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলী বলেন, স্বজন প্রীতি আর অনিয়ম কাকে বলে তার চূড়ান্ত উদাহরণ হলো নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার বাবা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাসিন্দা হলেও এবং কলেজের নামে এক খন্ড জমি দান না করলেও তাকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া তার শালিকা হাফিজা আক্তার ও ভায়রা রুহুল আমিন কে প্রভাষক হিসেবে চাকরি দিয়েছেন। এছাড়া তার চাচা শ্বশুরের ছেলে কামরুল ইসলাম কলেজ এর প্রশাসনিক শাখার একটি পদে চাকরি করেন। বলা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। অহিদুজ্জামান নামে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রভাষক অভিযোগ করেন, কলেজ এর প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি ঐ কলেজে প্রভাষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কলেজ অনুমোদনের পর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ৬৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে তার। বার বার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেও তা পাননি। উপরোন্তু চলতি মাসের জুন মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে জানান, তাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। তার কলেজে আসার প্রয়োজন নেই। অহিদুজ্জামান বলেন, আমাকে যে বহিষ্কার করা হয়েছে তার কোনো কাগজ এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। অথচ আমাকে কলেজে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৭ লাখ টাকার উপরে বকেয়া বেতন-ভাতা পাওনা রয়েছে সেটাও দেওয়া হচ্ছে না। এ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমি মানবেতর জীবন-যাপন করছি। অহিদুজ্জামানের মতো আরো ৪ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত শামীম  বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। কলেজ এর কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী অনুমতি ছাড়াই দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকায় কলেজ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তাদের বহিষ্কার করেছেন। 

বহিষ্কৃত শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস,এম জাকির হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে ৩২ বেসামরিক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও হামলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনীর আর্টিলারি হামলায় অন্তত ৩২ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ইমার্জেন্সি লইয়ার্স জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার দেশটির পশ্চিম ওমদুরমানের ওম্বাদা এলাকায় এই গোলাবর্ষণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

অধিকারকর্মী এবং বাসিন্দারা বলেছেন, দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া সুদানি সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জনবহুল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আর এই ধরনের হামলার ঘটনায় রাজধানী খার্তুম এবং অন্যান্য শহরে শত শত বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

আল জাজিরা বলছে, যদিও আরএসএফ খার্তুম এবং ওমদুরমান ও খার্তুম নর্থ শহরগুলোর বেশিরভাগ অংশই দখল করে রেখেছে, তারপরও সুদানের সেনাবাহিনীর কাছে ভারী কামান এবং বিমান বাহিনীর শক্তি রয়েছে।

এদিকে বুধবার রাতে সুদানের সামরিক শাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান আরএসএফকে বিলুপ্ত করার আদেশ দিয়ে একটি সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করেছেন বলে ক্ষমতাসীন সার্বভৌম কাউন্সিল জানিয়েছে। অবশ্য আরএসএফ-এর কাছ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সুদানের সেনাবাহিনী ওমদুরমানে প্রচুর সংখ্যক স্থল সেনা মোতায়েন করে বলে সামরিক সূত্র জানিয়েছিল। মূলত দারফুর অঞ্চল থেকে রাজধানীতে আরএসএফ-এর প্রধান সরবরাহ রুটটি বন্ধ করার জন্য বড় অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা জানিয়েছেন, গত রোববার ওম্বাদাতে সেনা অভিযানে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার ওম্বাদা এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক লোক পালিয়ে গেছে। অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল ও কামানের গোলা নিক্ষেপ করে বাড়িঘরের ক্ষতি করার পাশাপাশি বেসামরিক এলাকাগুলোতে লুটপাট ও দখলের বিষয়েও অ্যাক্টিভিস্ট এবং বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।

অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ইমার্জেন্সি লইয়ার্স বলছে, ‘বেসামরিক লোকে পরিপূর্ণ এলাকায় ভারী এবং হালকা কামান ব্যবহার করাটা যুদ্ধাপরাধ ... এই বিষয়টি মানুষের জীবনের প্রতি তাদের অবজ্ঞাকেই প্রতিফলিত করে।’

তারা বলেছে, সেনাবাহিনী এবং আরএসএফকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার জন্য বুধবার আরএসএফ-এর উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এর আগেও সংঘাতরত উভয় পক্ষের সাথে যুক্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল দেশটি।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে ক্ষমতার দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দুই বাহিনীর এ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে আরও হাজার হাজার মানুষকে।

রাজধানী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আরএসএফের সেনাদের দখলে। আর তাদের লক্ষ্য করেই মাঝে মাঝে বিমান হামলাসহ কামানের গোলাবর্ষণ করে থাকে সুদানের সেনাবাহিনী।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মাউশির সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জলাতঙ্ক বিষয়ে সতর্ক করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। নির্দেশনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর আলোচনা সভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, সিডিসি অপারেশনাল প্ল্যানের জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি, এ রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ।

পৃথিবীতে প্রতি বছরে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়ালের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়ে থাকে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। মরণব্যাধি জলাতঙ্ক রোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধ ও নির্মূলের লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়- জলাতঙ্কের অবসান, সবে মিলে সমাধান।

নির্দেশনায় ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কিত তথ্য শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।


আরও খবর