Logo
শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় ২০ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

প্রবাস ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় অনুপ্রবেশের দায়ে একটি বাস টার্মিনাল থেকে ২০ বাংলাদেশিসহ ৩৬ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ৩০ আগস্ট বিকেলে এক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রাসলিন জুসোহ বলেছেন, আটকদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও চারজন নারী রয়েছেন।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই বিদেশিরা কোটা বাহরু এক্সপ্রেস বাস স্টেশন থেকে কুয়ালালামপুরে এসেছেন। তারা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছে বলে আমরা মনে করছি। খবর দি স্টার।

দাতুক রাসলিন জুসোহ বলেন, অভিযানে অপারেশন টিম ইস্ট কোস্ট হাইওয়েতে এসব বিদেশি নাগরিককে বহনকারী তিনটি পৃথক এক্সপ্রেস বাসকে অনুসরণ করে। পরবর্তীতে একটি বাস থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশি এবং ১৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন।

তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিদের পাসপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাদের কারো পাসপোর্টে কোনো বৈধ ইমিগ্রেশন বিভাগের স্ট্যাম্প ছিল না। এমনকি দেশটিতে প্রবেশের কোনো ট্রাভেল ডকুমেন্ট ছিল না। এদের কয়েকজনের পাসপোর্টের অতীত রেকর্ডে দেখা গেছে, তারা মালয়েশিয়ায় কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানান, মানবপাচার চক্রের সদস্যরা অবৈধ পথে চোরাচালানের আগে প্রতিবেশী দেশগুলো দিয়ে তাদের নিজ দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে। এরপর অভিবাসন বিভাগের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গণপরিবহন ব্যবহার করে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়ে তাদের অবৈধভাবে কাজ দেওয়া হয়।

মানবপাচার চক্রের সদস্যরা বিদেশিদের কাছে থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য ১০ হাজার রিঙ্গিত করে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ওমরাহ পালনে নারীদের পোশাক নির্ধারণ করল সৌদি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মুসলিম নারীদের পোশাক নির্ধারণ করল সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে এ পোশাক পরিধান করেই মক্কার গ্রান্ড মসজিদে ওমরাহ করবেন নারীরা।

সৌদির ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওমরাহ পালনের সময় নারীরা চাইলে তাদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো পোশাক পরতে পারবেন। তবে তা হতে হবে নির্ধারিত নিয়ম-নীতির মধ্যে।

দেশটির মন্ত্রণালয় জানায়, নারীরা যে পোশাকই পরিধান করবে তা হবে ঢিলেঢালা, শরীরে কোনো ধরনের অলংকার থাকতে পারবে না এবং শরীর সম্পূর্ণভাবে ঢাকা থাকতে হবে।

পবিত্র হজের সময় ব্যতিত যে কোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। তবে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় ওমরাহ করতে বেশি মানুষের আগমন ঘটে। যেটিকে ওমরাহ মৌসুম হিসেবে বলা হয়। যা হজের পরপরই শুরু হয়।

গত দুই মাস আগে থেকেই সৌদি আরবে ওমরাহর মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। দেশটি ধারণা করছে এবার ১ কোটি মুসলিম ওমরাহ করতে পবিত্র নগরী মক্কাতে আসবেন।


আরও খবর



কঠোর কর্মসূচির দেয়ার ইঙ্গিত বিএনপির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ের কথা বললেও ক্রমেই কঠোর কর্মসূচির দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। সেক্ষেত্রে হরতাল, অবরোধ এবং অসহযোগ কর্মসূচির ভাবনাও আছে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ফয়সালা করতে চায় দলটি।

সেক্ষেত্রে তফসিল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ঘোষণা হলেই হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কর্মসূচির ধরণ ও সময় পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানা গেছে।

দলীয় সূত্র বলছে, জানুয়ারিতে নির্বাচন হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে একাধিক কমিশনার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিএনপি নেতারা মনে করছেন- আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপের মুখে নিজেদের অধীনে নির্বাচনের অবস্থান থেকে সরকার সরে আসবে। তাই আপাতত হার্ডলাইনে না যাওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তফসিলের আগেই হরতালের মতো কর্মসূচি আসতে পারে।

যদিও এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা হলেই তারা হরতালের কর্মসূচি আসবে এমনটা চিন্তা আছে নীতিনির্ধারকদের। তবে কর্মসূচি যাই হোক তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ওপর। যারা সক্রিয় থাকবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে হাইকমান্ড।

কর্মসূচির বিষয় আলাপকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য একজন সদস্য বলেন, আন্দোলনের তো মাত্রা থাকে। সেটা তুঙ্গেও উঠবে। কিন্তু সেই সময় তো দরকার। আমরাও হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির চিন্তা ভাবনা করছি।

সেটা কবে নাগাদ ঘোষণা করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নীতি নির্ধারক বলেন, তফসিল কবে ঘোষণা করবে সেটা নির্বাচন কমিশন জানে। আমরা আমাদের মাত্রা ঠিক করে তফসিলের আগেও কঠোর কর্মসূচির দিতে যেতে পারি। অনেক ধরণের আলোচনা চলছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তিনজন নেতা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি নিয়ে কোনোভাবে এগুবে তাও ঠিক করবে বিএনপি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, রোডমার্চের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। বেশ সাড়াও পাচ্ছি। চলমান কর্মসূচি শেষ হোক। সবাইকে নিয়েই উপযুক্ত কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এবার আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, তারা চাইছেন তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন ইস্যুর রাজনৈতিক ফয়সালা নিশ্চিত করতে। এ লক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার চিন্তা রয়েছে তাদের। এসব কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ঘেরাও, সচিবালয় ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘিরে কর্মসূচিসহ নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়ে দলটির অভ্যন্তরে আলোচনা রয়েছে।

অবশ্য সরকারি দল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব কর্মসূচি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে গেলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন বিএনপি নেতারা।

অন্যদিকে একযোগে বিএনপির মহাসচিবসহ একাধিক শীর্ষ নেতা বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হরতালের কর্মসূচি আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের মতো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যতদিন আপনি (শেখ হাসিনার সরকার) থাকবেন এটা আরও সংঘাতের দিকে যাবে, খারাপের দিকে যাবে এবং সংঘাত আরও বাড়তে থাকবে। এখনও তো সংঘাত শুরু হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে জনগণ রুখে দাঁড়াবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, শত প্ররোচনার মুখেও আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এটার শেষ পরিণতি কী হবে তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণ কি হচ্ছে তার ওপর।

মহাসচিবের বক্তব্যের পর এদিকে সিলেটের রোডমার্চে অংশ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী হরতাল, অবরোধের মতোন কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

ভৈরবে সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন রাখেন, আমরা এখনও হরতাল দেইনি। হরতাল দেওয়া দরকার আছে? অবরোধ দেওয়ার দরকার আছে? আপনারা পালন করবেন? তিন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা বলেন, হ্যাঁ

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ঠিক আছে আপনাদের রায় পেলাম। আমরা হরতাল করি নাই, কিন্তু করব না সেই প্রতিজ্ঞাও করিনি। এবার ডু অর ডাই হবে।

অন্যদিকে প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রিজভী বলেন, এক দফা দাবি আদায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বুঝে তাহলে দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




পাল্টে যাচ্ছ মহাদেবপুর শহর চৌমাশিয়া বাজারের চিত্র

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ চলছে, কাজ সম্পূর্ণ হলে পাল্টে যাবে উপজেলা সদর শহরের চিত্র, কমবে জন-দূর্ভোগ। ইতি মধ্যেই সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। গত বছর শুরু হওয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মেষ সূচনা ঘটবে। একই সাথে পাল্টে যাবে মহাদেবপুর উপজেলা সদর শহর সহ এলাকার সড়কের চেহারা। এমনটিই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সওজ বিভাগ নওগাঁ থেকে আত্রাই, বদলগাছী, মহাদেবপুর আর মান্দা থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত ৬টি সড়কে মোট ১৪টি প্যাকেজে আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক হাজার একশ’ কোটি টাকা। মহাদেবপুর অংশে ব্যয় হবে একশ’ ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে নওগাঁ টু মহাদেবপুর হয়ে পত্নীতলা সড়কের চৌমাশিয়া বাজার (নওহাটামোড়) থেকে আখেড়া পর্যন্ত। শুধু মহাদেবপুর না ইতি মধ্যেই নওগাঁ জেলার মধ্যেমনি স্থান হিসেবে পরিচিত চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারে ব্যাপক উন্নয়ন এর ছোয়াতে পাল্টে গেছে এবাজারের চেহারা। পুঠে ওঠেছে এক সুন্দর বাজার এর চিত্র। তারপরও চলমান রয়েছে আরো কাজ। কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে জনগুরুত্বপূর্ণ তিন-মাথা চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার সর্বসাধারনের কাছে বিনোদন কেন্দ্র হয়ে ফুটে ওঠবে বলেই মনে করছেন মানুষজন। মহাদেবপুরে চলমান আখেড়া থেকে কালুশহর মোড় পর্যন্ত এবং কালুশহর মোড় থেকে পত্নীতলা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত প্রতি প্যাকেজে ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। এছাড়া মহাদেবপুর কুঞ্জবন থেকে ছাতুনতলী নতুন হাট পর্যন্ত ০ থেকে ৯ কিলোমিটার। 

চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার থেকে পত্নীতলা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত সড়কের স্বাভাবিক চওড়া হবে ১০ দশমিক ৩ মিটার অর্থাৎ ৩৪ ফুট। তবে মহাদেবপুর উপজেলা সদর এলাকায় বচনা ব্রিজের পশ্চিমে চাউল কল মালিক গ্রুপের অফিস থেকে ঘোষপাড়ার মোড় আলফা ক্লিনিকের সামনে পর্যন্ত মোট এক কিলোমিটার ৩০০ মিটার সড়ক হবে আরসিসি ঢালাই। আর চওড়া হবে ৬৮ ফুট। মাঝখানে থাকবে আইল্যান্ড। ইতিমধ্যেই এর ৬০০ মিটার ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৭০০ মিটারের কাজ রয়েছে চলমান। মহাদেবপুর কুঞ্জবন থেকে ছাতুনতলী নতুন হাট পর্যন্ত সড়ক হবে ১৮ ফুট চওড়া। আর বিভিন্ন বাজার এলাকায় হবে ২৪ ফুট আরসিসি ঢালাই। 

এসব সড়কে প্রয়োজনীয় স্থানে নতুন ব্রিজ ও কালভার্টও নির্মাণ করা হবে। 

পাশাপাশি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে বর্তমানে যে মাছের মোড়ের মাছের ফোয়ারা আর চারমাথা বকের মোড়ের বকের ফোয়ারা আর থাকবেনা। এ দুটি স্থানে তৈরি হবে চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারের আদলে বিশাল ইন্টারসেকশন। আগামী এক দের বছরের মধ্যেই এগুলোর কাজ শেষ হবে। এগুলো সম্পন্ন হলে মহাদেবপুর উপজেলা সদর শহরের চেহারাও পাল্টে যাবে। জাতীয় সংসদ-৪৮, নওগাঁ-৩, মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এর উদ্যোগে বিশাল বাজেট এর উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এমপি'র প্রচেষ্টায় ৩৪ ফুট চওড়া ঢালাই সড়ক বচনা ব্রিজ এলাকা থেকে বাড়িয়ে আখেড়া ওসমান গণির বয়লারের ওপার কালভার্ট পর্যন্ত এবং ঘোষপাড়ার মোড় আলফা ক্লিনিকের সামনে থেকে বাড়িয়ে বরেন্দ্র মোড় পর্যন্ত বর্ধিত করার চেষ্টা চলছে ৬৮ ফিট করণের। এছাড়া উপজেলা সদরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে মহাসড়কের পাশ দিয়ে নতুন ড্রেনেজ ব্যবস্থাও সংযোগের উদ্যোগ নিয়েছেন এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার। 

সরেজমিনে উপজেলা সদরের বুলবুল সিনেমা হল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া শিবগঞ্জ মোড়ে সড়কে আরসিসি ঢালাই দেয়া হচ্ছে। সেখানে পাওয়া গেলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ নওগাঁর পত্নীতলা উপ-বিভাগের মহাদেবপুর এর দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি প্রকৌশলী নুর আহমেদকে। তিনি জানালেন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পটি শেষ হলে এলাকার সড়ক যোগাযোগে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হবে। অপরদিকে নওগাঁ জেলার মধ্যেবর্তী স্থান ও জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ তে-মাথা চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারে ও ব্যাপক উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতীতে এগিয়ে চলেছে। কাজ সব সম্পূর্ণ হলে এবাজার এর চেহারাও পাল্টে যাবে বলেই বলাবলি করছেন সর্ব-সাধারন।


আরও খবর



পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে সঠিক তথ্য জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

অনে‌ক প্র‌তিষ্ঠান তথ্য ‌গোপন করে। আবার অ‌নেকে ভুল তথ্যও দিয়ে দেয়। এসব ত‌থ্যের ন‌য়ছয়ে সুযোগ নেয় কারসা‌জিকা‌রীরা। তাই পুঁ‌জিবাজারে অনিয়ম রোধে স‌ঠিক তথ্য সরবরাহ নি‌শ্চিত করতে হবে।

ডিএসইর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এটিএম তারিকুজ্জামান। বলেন, পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিনিয়োগকারীদের একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার উপহার দিতেই কাজ করছে ডিএসই।

ডিএসইর এমডি বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের সব সময় করা উচিত। পুঁজিবাজারের বিভিন্ন আইনকানুন, বিধিবিধান সম্পর্কে পারস্পরিক আলোচনা আরও বৃদ্ধি করা জরুরি। এমন যেন না হয়, একটি অনুষ্ঠান করে তিন মাস আর হলো না। এ বিষয়গুলো নিয়ে যত বেশি আলোচনা হবে সাংবাদিকদের লেখনীর দক্ষতা তত বাড়বে। সমস্যাগুলো আরও বেশি উপস্থাপিত হবে, যা আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পুঁজিবাজার একটি মূলধনি বাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অনেকগুলো স্টেকহোল্ডার কাজ করছে, আমি মনে করি সবগুলো স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সিএমজেএফ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিএমজেএফ সদস্যদের মাধ্যমে যেসব তথ্য পুঁজিবাজারে উপস্থাপিত হবে সেগুলো আমাদের এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

কর্মশালায় সিএমজেএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সময় তিনি বলেন, একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার তৈরির জন্য কাজ করছে ডিএসই।

সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানির শেয়ার যখন কারসাজিকারীদের দখলে চলে যায়, তখন বাজার তার স্বাভাবিক অবস্থা হারিয়ে ফেলে। নষ্ট হয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা। তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ফ্লোর প্রাইসের মতো নানা ব্যবস্থার সহায়তায় বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ফ্লোর প্রাইস দিতে হয়নি, শ্রীলঙ্কার যেখানে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল তাদেরও তা দিতে হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিকরা যদি এসব কারসাজি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারি এবং লেখনীর মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারি, তাহলে পুঁজিবাজারে রেগুলেটর, ডিএসইর সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যদি কোনো ঘাটতি থাকে সেটি দূর করা সম্ভব হবে।

এসকে মোগল জান রহমান মিঠু বলেন, সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের একটি আয়োজন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। পাশাপাশি কুয়াকাটার সৌন্দর্য লেখনীর মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন ও বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও ডিএসইর সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক আসাদুর রহমান।

এছাড়াও ডিএসইর সিনিয়র জিএম সামিউল ইসলাম, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ডিএসইর ডিজিএম শফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নেপালে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

চলতি বর্ষায় বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপালেও দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু। হিমালয় কন্যা নামে পরিচিত ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির প্রায় সব জেলাতেই মশাবাহিত এই রোগটি হানা দিয়েছে।

নেপালের মহামারি ও রোগ নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কর্মকর্তা উত্তম কৈরালা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী চলতি বছর বর্ষায় নেপালের ৭৭টি জেলার ৭৫টিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ২শরও বেশি রোগী এবং মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৩ জনের।

তবে কৈরেলা আরও বলেছেন, আক্রান্ত-মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি বলে ধারণা করছেন তারা।

২০০৪ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় নেপালে। তারপর থেকে প্রতি বছরই বর্ষাকালে এ রোগে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী এই দেশটিতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আক্রান্ত মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল ২০২২ সালে। ওই বছর ৫৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন মশাবাহিত এই রোগটিতে এবং মারা গিয়েছিলেন ৮৮ জন।

তবে নেপালের জাতীয় স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা নেপাল হেলথ রিসার্চ কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা মেঘনাথ ধিমাল জানিয়েছেন, চলতি বর্ষায়ে যে হারে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে দেশটিতে তাতে গত বছরের রেকর্ড পেরিয়ে যেতে পারে দেশটি।

মেঘনাথ ধিমালের মতে, নেপালে ডেঙ্গুর বিস্তারের প্রধান কারণ আবহাওয়াগত পরিবর্তন। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের এই দেশটিতে সাধারণত শরৎকাল থেকেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে এবং শীত পড়া শুরু করে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই অপেক্ষাকৃত উষ্ণ ও বৃষ্টিবহুল শরৎ দেখছে নেপাল।

ফলে বর্ষা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডেঙ্গুর একমাত্র পরিবাহী এডিস মশার বংশবিস্তারের পরিবেশ বজায় থাকছে; আর এই ব্যাপারটিকেই নেপালে ডেঙ্গুর বিস্তারের প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেছেন মেঘনাথ।


আরও খবর