Logo
শিরোনাম

মানবাধিকার উন্নয়নে জাতিসংঘে ৩০১ সুপারিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে ৩০১টি সুপারিশ করেছে বিশ্বের ১১০টি দেশ জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদেরইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)’ বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে প্রতিবেদনের খসড়া গৃহীত হয়েছে খসড়ায় অনেকগুলো দেশ থেকে একই বিষয়ে একই ধরনের সুপারিশ আসায় সংখ্যাটি এত বড়, প্রকৃত সুপারিশ এত বেশিসংখ্যক হবে না

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিলেও সুপারিশমালা অনুমোদনের সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। জেনেভায় জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমান আইনমন্ত্রীর পরিবর্তে সভায় বক্তব্য দেন

বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করা দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুফিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে তার সিদ্ধান্ত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় মানবাধিকার পরিষদের ৫৫তম অধিবেশনের আগেই জানিয়ে দেবে

এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, বহুল আলোচিত গুমবিষয়ক সনদ নির্যাতনবিরোধী সনদের অতিরিক্ত চুক্তি অনুমোদন, গুমের ঘটনাগুলোর স্বাধীন স্বচ্ছ তদন্ত, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত এবং দোষীদের বিচার সাজার ব্যবস্থা করা

সুপারিশের মধ্যে আরও রয়েছে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপ সব ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া, সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংশোধন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, সভা সংগঠনের অধিকার নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা, অবাধ, সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, মানবাধিকাররক্ষী, নাগরিক সমাজ বা এনজিও সদস্যদের হয়রানি ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করা, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ, নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধে আইন সংশোধন

এছাড়াও ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করা, বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়ন, ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ঘোষণা, শ্রমিকদের আইএলও স্বীকৃত সব অধিকার নিশ্চিত করা ইত্যাদিও রয়েছে সুপারিশে

গত সোমবার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর পর্যালোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে তৃতীয় ইউপিআরে উঠে আসা ১৭৬টি সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। এরপর জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১০টি দেশ তাদের মূল্যায়ন সুপারিশ তুলে ধরে

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোর পক্ষ থেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নির্বাচন, শ্রম অধিকার, ভিন্নমত দমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহি না থাকার বিষয়গুলোতে বেশি জোর দিতে দেখা গেছে

 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নানা সমস্যায় জর্জরিত মাভাবিপ্রবি ভেটেরিনারি অনুষদ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image


মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি ) ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এনিমেল সায়েন্স  অনুষদটি নানা সমস্যায় জর্জরিত।চলতি বছরের ১ লা ফেব্রুয়ারি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আগের সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাভাবিপ্রবি অনুষদ হিসেবে যুক্ত করা হয়। 

বর্তমানে মাভাবিপ্রবির এ অনুষদটিতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত দুটি ব্যাচে  ১০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র এগারো জন যারা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে কর্মরত আছেন। নেই কোন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক। খেলার মাঠ অনুপোযোগী, বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতা, বৈদ্যুতিক বাল্ব সমস্যা, বৈদ্যুতিক বিভ্রাট, জিমনেসিয়ামে সরঞ্জাম নেই, কম্পিউটারের স্বল্পতা (১৪টি কম্পিউটার), পাঠাগারে বইয়ের স্বল্পতা (৮৪৩টি বই), মেডিকেল সেন্টার ডাক্তার নেই ও মসজিদে মুয়াজ্জিন নেই।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং থেকে ৩৬ জন কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে আসেন না বললেই চলে। ফলে ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বলে কিছু নেই। বিশ^মানের ‘ডিভিএম’ (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন) গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে ল্যাবগুলোতে আনা হয় অনেক দামি রাসায়নিক ও যন্ত্রপাতি। কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন মাহমুদ বলেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরও দীর্ঘ নয় মাসেও সংকট সমাধান না হওয়ায় আমরা শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার আশংকা করছি। ভেটেরিনারি মেডিসিনের মতো টেকনিকাল বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে অপর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে, যা মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি অন্তরায়। অন্যদিকে ল্যাবগুলোতে ব্যাবহারযোগ্য পর্যাপ্ত ল্যাব ইক্যুইপমেন্ট না থাকার কারণে আমরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ইতোমধ্যে করোনাসহ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের দীর্ঘ ৩ বছরের সেশনজটে পড়তে হয়েছে। এ সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি। আমরা মাননীয় উপাচার্য স্যারের নিকট সকল সমস্যা সমাধানের আবেদন করছি।

প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার বলেন, এই অনুষদের মেডিকেল সেন্টারে কোনো ডাক্তার নেই। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাকে দূরবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় এবং এক্ষেত্রে মেডিকেল সেন্টারে কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কোনো বাসের ব্যাবস্থা নেই। এখানে এনিমেল সেড থাকলেও শিক্ষা ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত প্রাণি নেই। চলমান সংকট সমাধানের মাধ্যমে তীব্র সেশনজট কমিয়ে আনতে (৪ থেকে ৫ মাসে সেমিস্টার) উপাচার্যের নিকট অনুরোধ করছি।

মাভাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১১ জানুয়ারি ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দিয়েছেন আপনারা একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের বেশ কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি আকারে নিতে চাই তাহলে আমাকে একাডেমিক কাউন্সিলে পাস করাতে হবে, এটি কি ফ্যাকাল্টি হবে সেটা পাস করাতে হবে, কি কারিকুলাম হবে, পাস করাতে হবে, এটি নিয়ে একটি অর্ডিন্যান্স করতে হবে।

ক্ষথীদের ক্লাস শেষ পরীক্ষা নিতে গিয়ে দেখলাম এখানের সিলেবাস শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোকে, সেই অর্ডিন্যান্সের ভিত্তি‌ করে ক্লাসও হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্ধতি ভিন্ন রকমের। দুটার মধ্যে সমন্বয় করে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নিলাম। এই প্রতিষ্ঠানটি যদি পুরোপুরি আমাদের হস্তান্তর করা না করা হয় তাহলে আমরা যেটুকু এগিয়ে গিয়েছি এবং যে পরীক্ষাগুলো নেয়ার চেষ্টা করতেছি এই পরীক্ষাগুলো নেয়ার পরপরই আমাদের এক্টিভিটিস বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আগাতে পারবো না। এই ক্যাম্পাসটি পরিচালনা করতে বাজেট ঘাটতি রয়েছে। যে কয়জন শিক্ষক তা খুবই কম। শিক্ষক কমপক্ষে ৪০ জন লাগবে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষক বিভিন্ন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা।

তিনি আরো বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছেন এবং বড় অর্থ ব্যয় করেছেন সেই অর্থটা কাজে লাগানোর জন্য আমরা সরকারের কাছে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পশু পালন মন্ত্রণালয়, সর্বোপরি ইউজিসি কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবো যতদ্রুত সম্ভব আমরা যে বাজেট সাবমিট করেছি বাজেট পাস করে পুরোপুরি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যেন আমরা সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি।

এই বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুর রহিম বলেন, কলেজের যেসকল সমস্যা ছিল সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



ধামরাইয়ে প্লাস্টিকের হস্তশিল্প দেখাচ্ছে নতুন সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বেল্ট দিয়ে তৈরি হচ্ছে হস্তশিল্প পণ্য। প্রবা ফটো

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বেল্ট দিয়ে তৈরি হচ্ছে হস্তশিল্প পণ্য। প্রবা ফটো

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ফেলনা প্লাস্টিক থেকে তৈরি হস্তশিল্প পণ্যের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে স্থানীয় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম বেল্ট। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ধান সংরক্ষণের গোলা, ঘরের চাল, বেড়া ও কবুতরের খোপসহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য তৈজস।

ফেলনা প্লাস্টিক দিয়ে হস্তশিল্পের কাজ শুরু করেন তরুণ উদ্যোক্তা বিশ্বনাথ চন্দ্র মনিদাস। মনিদাসের দেখাদেখি এমন আরও কয়েকটি পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। 

এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উপজেলার বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বেল্ট কেজিদরে কিনে আনেন। এরপর কারিগররা নিপুণ হাতে তৈরি করেন গৃহস্থালির ব্যবহার্য সামগ্রী। যার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা পাচ্ছে দূষণের হাত থেকে, অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে ৮ থেকে ১০ জন শ্রমিক। এসব পণ্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ দেশের নানা প্রান্তে।

কথা হয় উদ্যোক্তা বিশ্বনাথ চন্দ্র মনিদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় ৪ বছর আগে এই কাজ শুরু করি। আগে গরু লালন-পালন করতাম। সেখানে সুবিধা করতে পারিনি। এক দিন গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত এই বেল্টগুলো দেখে ভাবনা আসে এগুলো দিয়েও বাঁশ বা বেতের মতো বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব। সেই থেকেই এ কাজের শুরু। বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী। বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানা থেকে এই পরিত্যক্ত বেল্ট কেজিদরে কিনে আনি। বেল্ট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য মান অনুযায়ী ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কেজিদরে বিক্রি করে থাকি।

মনিদাসের মতো এই শিল্পে জড়িত ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন। কথা মনিদাস নামের এমনই একজনের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিটা কারিগরকে মজুরি দেওয়া হয় কেজি হিসেবে। প্রতি কেজি পণ্য তৈরির জন্য মজুরি ২৫ টাকা করে দেওয়া হয়। দৈনিক প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি পণ্য বুনতে পারেন একজন কারিগর।

এ কাজে যুক্ত এলাকার বেশ কয়েকজন নারী। বাড়তি আয়ে স্বাবলম্বিতা এসেছে তাদের জীবনে। শিল্পি রানী এমনই এক কারিগর। তিনি জানান, এই কাজে প্রতি মাসে আয় হয় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি এই বাড়তি আয় দিয়েই চলছে তাদের তিন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ। আগে বাড়ির কাজ করেই কাটত দিন। ছিল না বাড়তি আয়ের মাধ্যম। ফলে সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত। বর্তমানে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি হয়েছেন স্বাবলম্বী। স্বামীর পাশাপাশি নিজেও মেটাতে পারছেন সংসারের খরচের একটি অংশ।

আশু সরদার নামে আরেক কারিগর বলেন, প্রায় ১৪ বছর ধরে বাঁশ দিয়ে বুননের কাজ করলেও এখন প্লাস্টিকের এই ফিতা দিয়ে পণ্য বানাই। কয়েকদিন পরই শুরু হবে ধান কাটার মৌসুম। তাই ধানের গোলার এখন অনেক চাহিদা। কয়েক মাস এখানকার কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করে। দৈনিক আয় হয় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। বছরের অন্য সময় ঘরের সিলিং, বেড়া, কবুতরের খোপসহ বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরি করে থাকি।

প্লাস্টিকের বেড়া বুনে চলেছেন ষাটোর্ধ্ব নির্মল সরকার। তাকে জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, একসময় ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। এখন বয়সের কারণে তা আর পারেন না। ছেলেরাও বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছে। এই কাজ করেই স্ত্রীসহ দুজনের আহার জোগাড় করেন তিনি।

মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলা থেকে ধানের গোলা কিনতে এসেছেন আসাদুজ্জামান নামের এক কৃষক। তিনি বলেন, মাঝারি আকারের একটি গোলা কিনেছি। ওজন হয়েছে ৩০ কেজি। ১২০ টাকা দরে দাম এসেছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এই গোলা অনেক টেকসই হয়। আগে বাঁশের তৈরি গোলায় ধান রাখতাম। সেগুলো বেশি দিন ব্যবহার করা যায় না, ইঁদুরে কেটে ফেলে। অনেক ধান নষ্টও হতো। কিন্তু প্লাস্টিকের গোলায় ধান রাখলে নষ্ট হয় না, ইঁদুরেও কাটে না। দেখতেও সুন্দর। 

বিশ্বনাথের কারখানার পাশেই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি বেড়ার ঘরে বসবাস মাধবী দাসের। তিনি বলেন, টিন কিংবা ইটের ঘর তৈরিতে অনেক খরচ। সামর্থ্যের অভাবে প্লাস্টিকের বেড়া দিয়ে ঘর বানিয়েছি। এই ঘরে থাকতে কোনো অসুবিধা হয় না।

ফেরার পথে আবারও কথা বলি, বিশ্বনাথ চন্দ্র মনিদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার দেখাদেখি এই এলাকায় আরও দুজন এ ব্যবসা শুরু করেছেন। আমাদের এখানে অনেক নারী শ্রমিক কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। নারী-পুরুষ উভয়ই এসব পণ্য তৈরির কাজ করে সচ্ছলতার দেখা পেয়েছে। পবিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব পরিত্যক্ত প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলার মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করা হচ্ছে।

সরকার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজ শর্তে ঋণ পেলে এ শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে বলেও মনে করেন এ উদ্যোক্তা।


আরও খবর



চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শিশু ও নারীসহ ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় হামাসের সঙ্গে চার দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার।

বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার এক দীর্ঘ বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

কখন থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বা জিম্মিদের কোথায় কীভাবে মুক্তি দেওয়া হবে, সেসব বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। তবে ওই ৫০ জনের অতিরিক্ত প্রতি ১০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো একদিন করে বাড়বে।

হামাসের দাবি ছিল, ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি তাদের সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। সে বিষয়ে ইসরায়েলের বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তির আওতায় তিন বছরের এক শিশুসহ অন্তত তিন মার্কিন নাগরিককেও হামাস মুক্তি দেবে বলে তারা আশা করছেন।


আরও খবর



বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন পাপন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে নাজমুল হাসান পাপনের নাম জড়িয়ে আছে অনেক দিন ধরেই। ক্রিকেটের উত্থান-পতনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। তবে এবার ক্রিকেট বোর্ড ছাড়ার ঘোষণাই দিয়ে রাখলেন নাজমুল হাসান। বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নিজের ব্যাপারে ঘোষণা দিয়ে রাখলেন বোর্ড সভাপতি।

নিজ বাসার সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, এই টার্ম তো আর বেশিদিন নাই। আমি আর বেশিদিন নাই। আমার প্ল্যান হচ্ছে, আর একটাবছর আছে। এবং এরমধ্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই টিমকে ঠিক করে যাব। যা যা করা দরকার এটা আমি করে যাব। সেটা ঠিক হবে কিনা আমি জানিনা। আমি যেটা মনে করি, এটা করা দরকার, সেটা যদি অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও হয়, সেটাও নিব।

নিজের শেষ সময়ে খানিক কঠোর হবেন, সেই আভাসও দিয়ে রেখেছেন বোর্ড সভাপতি, 'একেকজন একেকটা কথা বলবে। সেটা শুনে একটা ডিসিশন নিব এসবের মধ্যে আমি নাই। আমি নিজে ভেতরে ঢুকব, আগে যেমন সব জানতাম। আমি জানিনা অনেক কিছু। সেটা তামিমও স্বীকার করলো সে জানেনা। আমি বললাম আমি আগে সব জেনে নিই। কেবল তোমার সঙ্গে কথা বললে তো হবে না, আমি সবার সঙ্গে কথা বলি। ভেতরে যেয়ে ক্রিকেটের স্বার্থে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমি নিব।

নিজের সিদ্ধান্তের ফলাফল নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন পাপন, 'সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কে পছন্দ করলো বা না করলো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ক্রিকেটের স্বার্থে যা যা সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেটা যদি খুব কঠিনও হয়, আমি নিব।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ই অক্টোবর চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ড পরিচালকের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি আগে সরকার থেকে মনোনীত হতো। নাজমুল হাসান পাপন ২০১২ সালে প্রথমে সরকার কর্তৃক মনোনীত সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতি পদটি নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। চতুর্থ মেয়াদে ২০২১ থেকে বোর্ড সভাপতির পদে আছেন তিনি।

এর আগে, নিজ বাসায় বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে লম্বা সময়ের জন্য বৈঠক করেছিলেন বোর্ড সভাপতি। আলাপের পর তামিম কথা না বললেও নাজমুল হাসান পাপন কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। জানিয়েছেন কবে নাগাদ মাঠে ফিরবেন তামিম। বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, বিপিএলের পর তামিমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে সে ফিরবে না। আমার মেয়াদ শেষের দিকে, দায়িত্ব ছাড়ার আগে বেশকিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চাই।


আরও খবর



জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলই থাকবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলই থাকবে। ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে রবিবার সকালে হরতালে আইনজীবী আসতে পারবেন না কারণ দেখিয়ে নিববন্ধনের শুনানিতে আপিল বিভাগে ৬ সপ্তাহ সময় চায় জামায়াতের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর জুনিয়র জিয়াউর রহমান। তবে সময়ের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

গত সপ্তাহেও (১২ নভেম্বর) আপিল বিভাগে সময় চাওয়ার পর এক সপ্তাহ সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৮ সপ্তাহ সময় চান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

গত ১ আগস্ট দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে পক্ষভুক্তের আবেদন করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধাসহ জামায়াতে সমর্থক ৪৭ নাগরিক। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেন।

পরে জামায়াতের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে আপিল বিভাগে বক্তব্য তুলে ধরতে ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক আবেদন করেছেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, হামিদুর রহমান আজাদ, হাফেজা আসমা খাতুন, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এম উমার আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রব এবং তিন জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

এদিকে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ করার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনে পক্ষভুক্ত হতে চেয়েছেন ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।


আরও খবর