স্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্বনাথে দুর্যোগ-দুঃসময়ে মানবিক দায়বদ্ধতা ও উলামায়ে কেরামের অবদান শীর্ষক সেমিনার
বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সোমবার (১৮ জুলাই) মোহাদ্দিসে গাজীনগরী ফাউন্ডেশন বিশ্বনাথ উপজেলার উদ্যোগে” দুর্যোগ দু:সময়ে মানবিক দায়বদ্ধতা ও উলামায়ে কেরামের অবদান, প্রসঙ্গ ‘বন্যা’ ২০২২ উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব। তাই জীবন ও জগৎতের কোন পরিস্থিতিকেই এড়িয়ে যেতে পারে না। সু-সময়য়ে যেমন পরস্পরের শান্তি ও সৌহার্দ বন্ঠন করেন তেমনি দু:সময়েও সকলেই সকলের হয়ে যায়। এটাই মানবিক ধর্ম। মানুষ এ ব্যাপারে দায়বদ্ধ।বিশ্বনবী হযরত মেহাম্মদ (সা.) বলেছেন, তেমারা জৎতবাসীর প্রতি সদয় হও। আসমানের মানিক আল্লাহ তায়াতা তোমাদের প্রতি সদয় হবেন।
২০২২ সালের বন্যায় একটি মানবিক বাংলাদেশের অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এদেশের মানবিক ব্যক্তিবর্গ। বানভাসী মানুষের পাশে দলমত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছেন। এক্ষেত্রে দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম-উলামারা বিরল দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন।
এ ভয়াবহ বন্যা শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, মানবসৃষ্ঠ দুর্যোগ ও বলা যায়। নদী মাতৃক বাংলাদেশের চিরচেনা রুপ বদলে ফেলেছি আমরাই। খাল-বিল-নদী-নালা-জলাশয় ভরাট করে, দখল করে বাসা-বাড়ী বানিয়েছি। ফলে পানির প্রবাহ ও গতিধারা বাধাঁগ্রস্থ হয়েছে। নদ-নদীর তলদেশ পলি মাটিতে ভরে গেছে।
নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়ে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়ে বিপদসীমা অতিত্রম করছে। এমতাবস্থায় নদী মাতৃক বাংলাদেশে আসল চেহারায় ফিরে যেতে হলে নদ-নদী খনন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বক্তারা সরকারকে এবিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে প্রদক্ষেপ না নিলে এভাবে প্রতি বছরই বন্যায় ডুবে যাওয়ার আশংকা করেছেন।
মোহাদ্দিসে গাজীনগরী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বিশ্বনাথ উপজেলা সভাপতি মাওলানা জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইমরান আহমদের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রসার মুহতামিম ও মাসিক আল-ফারুক সম্পাদক মাওলানা শিব্বির আহমদ।
প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রফেসর ডা. মো. শাহ আলম। প্রবদ্ধ উপস্থাপনা করেন বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. রোকনুজ্জামান।