Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

মানবতার আরেক নাম, ডা. ফেরদৌস খন্দকার

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার।নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে অনেক চিকিৎসক চেম্বার বন্ধ রাখেন। কিন্তু সেখানে ব্যতিক্রম ছিলেন ডা. ফেরদৌস। দুঃসময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ডা. ফেরদৌস। চেম্বার খোলা রেখে করোনা আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। মনস্থির করলেন নিজের মাতৃভূমিতে এসে নিজেকে বিলিয়ে দিবেন দেশের মানুষের স্বার্থে।

শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন (ইউএসএ) ইনক'র সভাপতি মানবিক মানুষ ডা. ফেরদৌস খন্দকার , তার মুল লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলকে বিশ্ব বাসির কাছে পরিচিত করে দেওয়া এবং স্কুল কলেজ এর ছাত্র, ছাত্রীদের মাঝে তার মূল্যায়ন গড়ে তোলা তিনি বলেন দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত- একটি পক্ষ স্বাধীনতার পক্ষে আর একটি স্বাধীনতা বিরোধী, তাই এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশ, জন্মভূমি এবং স্বাধীনতার পক্ষে থাকবে নাকি ভুল সিদ্ধান্ত নিবে। 

শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন ইউএসএ শাখার নামে তিনি দেশে বিদেশে নানা রকম মানব কল্যাণ মূলক কাজ করে থাকেন ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার ।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন সফল চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ডা. ফেরদৌস খন্দকার। জন্মগ্রহণ করেছেন কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারে। বাবা ফয়েজ আহমেদ খন্দকার বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। মা আনোয়ারা বেগম খন্দকার গৃহিনী। তিন ভাইবোনের মধ্যে ডা. ফেরদৌস বড়।
ডাক্তার ফেরদৌসের মায়ের পরিবার দেবিদ্বারের পাশের মুরাদনগরের কেষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার নানা সামরিক বাহিনীতে অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন। সহজ-সরল মানুষ। উনার ছয় ছেলে, এক মেয়ে। তার প্রথম ছেলে খুরশিদ আনোয়ার সাহেব, উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ওই সময় সেই এলাকার মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার ছিলেন তিনি। পরে ফার্মাসিস্ট হয়ে বিদেশে চলে গিয়েছেন। দ্বিতীয় জনও মুক্তিযোদ্ধা, অ্যাকাউন্টেন্ট।
ছোটবেলা থেকেই স্বেচ্ছাসেবী কাজ করতে পছন্দ করতেন ডাক্তার ফেরদৌস। গ্রামে এবং নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা স্বেচ্ছাসেবী কাজের সাথে জড়িত ছিলেন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।  তিনি ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ইন্টার্নিশিপসহ মেডিসিনে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপর পরিবার সহ পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার নিউইয়র্ক মেডিকেল কলেজ থেকে প্রশিক্ষণসহ চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। ধীরে ধীরে বাংলাদেশিদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ডাক্তার ফেরদৌস। পাশাপাশি জীবন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। 

 ডাক্তার ফেরদৌস কোন কাজকেই ছোট মনে করেননি। একসময় আমেরিকায় ট্যাক্সি ক্যাব চালিয়েছেন।   এমনও অনেক দিন গেছে টানা ১৯ ঘন্টা তিনি ট্যাক্সি চালিয়েছেন।  দশজন সাধারণ অভিবাসীর মতই তিনি ঘুরেছিলেন এই শহরে ভাগ্যের অন্বষনে। যুক্তরাষ্ট্রে ডাক্তারী পেশার জন্য প্রাকটিস সনদ পরিক্ষার খরচ যুগিয়েছিলেন এবং শেষ দিকে এসে যখন এই ডাক্তারী অফিসটি ভাড়া নিয়েছিলেন, সেটার ভাড়া আর কর্মচারীদের বেতন তুলে চলতেন।


লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিজের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়কে বেছে নিয়েছেন ডাক্তার ফেরদৌস। নিজের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ডাক্তার ফেরদৌস হয়ে উঠলেন সফলদের একজন। 
তিনি জ্যাকসন হাইটসের ব্যস্ততম ৩৭ স্ট্রিটে ওয়েস্টার্ন কেয়ার মেডিকেল কেয়ার পিসি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সমমনাদের নিয়ে। সেখানে দেশি বিদেশি ৭ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বসেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের মূর্তমান বিশ্বস্ততার প্রতিক হয়ে উঠলেন ডাক্তার ফেরদৌস।

 

একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশী, ভারতীয় এবং পাকিস্থানী নাগরিকদের মধ্যে যথেষ্ট খ্যাতি কুড়িয়েছেন । নিউইয়র্কের অলাভজনক সংস্থা দি অপটিমিস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। রোগিদের আস্থা আর তাদের প্রতি সেবাকে আরো বিস্তৃত করতে নতুন একটি মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন ফেরদৌস খন্দকার। জ্যাকসান হাইটস এর ৭০-৩৮ ব্রডওয়েতে এই চিকিৎসা কেন্দ্রটি অবস্থিত। মানুষজন বিক্ষিপ্তভাবে এদিক সেদিক না গিয়ে যাতে এক ছাদের নিছে সেবা পায় সেজন্যই তার এই প্রচেষ্টা। 

 

ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখার পাশাপাশি, ফেসবুক এবং ইউটিউবে নিয়মিত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষকে রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতন করাই তার প্রধান লক্ষ্য। তিনি চান মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞানের পরিধি বিস্তার হোক।
বিদেশে থাকলেও স্বদেশের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার কথা অকপটে স্বীকার করলেন। মেডিকেলের শিক্ষার্থী হিসেবে সেনাবাহিনীর বৃত্তি পেয়েছিলেন। অর্থ-বিত্তে সাফল্যে পৌঁছার শুরুতেই তিনি সেই বৃত্তি ফেরত দিয়েছেন। নানাভাবে তাঁর দায় পরিশোধের উদ্যোগের কথা জানালেন। নিজের অর্থ ব্যয়ে গ্রামে হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম করছেন। এসব কাজ করতে গিয়ে নানা বাধাবিপত্তির মোকাবিলা করেছেন।

বছরে অন্তত চারবার দেশে আসেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। নিজের এলাকার জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করার তাড়না থেকেই আসেন তিনি। অর্থনৈতিকভাবে বেশ সফল হলেও ভ্রমণের সময় বাড়তি ব্যয় করেন না। বেঁচে যাওয়া সেই অর্থ বরং মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেন। 


আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




দেশে রাজবন্দি নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলব দেশে রাজবন্দি বলতে এখানে কেউ নেই। আমাদের কাছে যারা বন্দি আছেন তারা বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট।

পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষ্যে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা পুলিশ-আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। যেটা পুলিশ করছে।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ ছয়টি সিট পেয়েছে

তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ইংল্যান্ডে গেছেন আত্মগোপন করেছেন তার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দেখলাম দলটির সেক্রেটারি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন। ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয় তার দলীয় নেতাকর্মীদেরও বুঝি তিনি ভালো-মন্দ চান না। দিন দিন এই দলটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনারা দেখেন যেখানে যাবেন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতোদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যেভাবে বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনকালে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করেছেন। গত নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা এই নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোন ধরনের সাপোর্ট কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিওনি। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

তিনি বলেন, যে দলটির কথা বললাম এই দলটি নানান দেশে নানান সময়ে নানান ধরনের অপপ্রচার করছে। গত ২৮ অক্টোবর নির্বাচনের আগে তারা কি একটা সহিংস অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। আমরা কোথাও দেখিনি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই, প্রধান বিচারপতি বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে ভাঙচুর করার দৃশ্য, সাংবাদিকদের নির্যাতন, মারধর করা দৃশ্য, জাজেস কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢুকে অগ্নিসংযোগ করা দৃশ্য আমরা কখনো দেখিনি। আসলে এসব করা হয়েছে মূলত তারা নিশ্চিত হয়েছে যে নির্বাচনে আসলে তাদের পরাজয় হবে, জয়ী হতে পারবে না, সেজন্য তারা এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এখন তারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের কোন ধরনের সত্যতা নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে অন্যায়ভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তবে তারা নির্বাচনের পরে মনগড়া তথ্য প্রচার করে বিদেশিদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। অথচ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি সাংবাদিকরা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমেরিকারও দুই একটি সংগঠন বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

তবে কে কি বলল সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। আমাদের দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, হামলা মামলা করে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল। নির্বাচন সংক্রান্ত ও গণগ্রেপ্তার, আটক, নির্যাতন সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য আপনারা প্রত্যাখ্যান করছেন কি না? প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো হামলা মামলা, আমাদের পুলিশ বাহিনী, আমাদের পলিটিকাল বাহিনী করেনি। তারাই (বিএনপি) করেছে। তারা করে তারাই যদি অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা তরে তাহলে আমরা এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মনে করি এগুলো সত্যের অপলাপ। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আরেকটি ষড়যন্ত্রের একটা নতুন ক্ষেত্র তৈরির প্রচেষ্টা নিচ্ছেন।

আপনি বলছেন একটি দল অর্থাৎ বিএনপি অপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কিসের ভিত্তিতে, কিসের বিনিময়ে স্টেটমেন্টগুলো দিচ্ছে বলে আপনি মনে করেন? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ক্রমাগতভাবে বিএনপি মিথ্যা তথ্য প্রচার বা দিয়ে যাচ্ছে। তারা কে কীভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে পারি, তারা যেসব বলছেন সেসব দেশে ঘটেনি। দুই একটি দেশ বাদে সব দেশ সাধুবাদ ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তারা মনে করেন দেশে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে যুবলীগ নেতার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী শিকদারের স্ত্রী ও  ঢাকা আদাবর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মো.জহিরুল ইসলাম মধু'র মা মোসা. রওশন আরা বেগমের ৫ ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩য় রমজান বৃহস্পতিবার মোরেলগঞ্জ ১৫ নং সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা গ্রামের নিজ বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা। 

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন শিকদার, সাবেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেনা সদস্য মো.ফরহাদ হোসেন শিকদার, যুবলীগ নেতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো.জহিরুল ইসলাম মধু, তাতীলীগের সাবেক নেতা শহিদুল ইসলাম খান, এ্যাড. খান আমজাদ হোসেন, শ্রমীক লীগ নেতা মো.জালাল  তালুকদার, সদর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হৃদয়, রাশেদুজ্জামান শান্ত, মো. মাইনুল ইসলামসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মো.শফিকুল ইসলাম। 


আরও খবর



রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি সহ ৯ ব্যাংক রেড জোন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে চারটিরই আর্থিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এর ফলে ব্যাংক চারটি রেড জোনে পড়েছে। এছাড়া দেশের ৪টি বেসরকারি ব্যাংক ও বিদেশি একটি ব্যাংক আছে এ তালিকায়।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগ অর্ধবার্ষিক পারফরেমেন্সের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করছে।

রেড জোনে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক হলো- বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক। এছাড়া বেসরকারি খাতের চারটি ব্যাংকও রয়েছে এ জোনে। এগুলো হলো- পদ্মা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এবি ব্যাংক। এ ছাড়া রেড জোনে পড়েছে বিদেশি ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইয়েলো জোনে আছে ২৯টি ব্যাংক এবং গ্রিন জোনে আছে ১৬টি ব্যাংক। গ্রিন জোন সূচকের দিক থেকে ভাল পারফরমেন্সকে বোঝায় এবং ইয়োলো জোন বোঝায় মধ্যবর্তী অবস্থানকে।

গ্রিন জোনে থাকা ব্যাংকগুলো হলো- প্রাইম ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ব্যাংক আলফালাহ, ব্যাংক এশিয়া, সিমান্তো ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক, উরি ব্যাংক, এইচএসবিসি, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন , সিটি ব্যাংক এনএ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

অপরদিকে ইয়োলো জোনের ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ওয়ান ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক , এনআরবিসি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রাণীনগরে কাঠের ফার্নিচারে আগ্নিকান্ডে ছয় লক্ষ টাকার মালামাল ভস্মিভূত!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর বাজারে ফার্নিচারের দোকানে আগুন ধরে কাঠের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র পুরে ভস্মিভূত হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের এঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকান মালিক কামাল হোসেন। কামাল হোসেন নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের এবারত আলীর ছেলে।

কামাল হোসেন বলেন, গত তিন বছর ধরে এই বাজারে টিনের চালা ঘর নির্মান করে ফার্নিচার দিয়ে কাঠের বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন। বুধবার দোকানে সারা দিন কাজকর্ম শেষে রাতে বাজারেই ভারা বাসায় ঘুমাতে যান। গভীর রাতে হঠা’ করেই প্রতিবেশির লোকজন ডেকে তুলে দোকানে আগুন লাগার খবর জানায়। এসময় স্থানীয় লোকজনসহ আগুন নিভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে রাণীনগর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। সেখান থেকে রাত অনুমান আড়াইটা নাগাদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্র করে। ততক্ষনে দোকানের ভিতরে থাকা ছয়টি খাট,দুইটি সোফা,দুইটি ড্রেসিং টেবিল,একটি ওয়ারড্রব ও দুইটি আলমারীসহ কাঠের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র ও তৈরির জন্য রাখা কাঠ পুরে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এতে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকান মালিক কামাল হোসেন। তবে কিভাবে আগুন ধরেছে তা বরতে পারেননি তিনি। খবর পেয়ে রাতেই থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

রাণীনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন লিডার দেলোয়ার হোসেন বলেন,খবর পেয়ে সাথে সাথে সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা পৌছার আগেই দোকান ঘর এবং কাঠের তৈরি আসবাবপত্র পুরে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। তবে বিদ্যুতের সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করেছেন তিনি।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ বলেন,খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা হয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



আমানতের টাকা ফেরত চাওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গ্রাহকদের রাখা আমানতের টাকা ফেরত চাওয়ায় সিরাজুল ইসলাম বকুল (৪৫) নামের এক এনজিও কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর তিনি মারা যান। নিহত সিরাজুল ইসলাম বকুল নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব গ্রামের ইয়াদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি সুরমা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে বেসরকারি একটি সংস্থার মান্দার পলাশবাড়ি শাখায় ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন। জানা গেছে, দু' সপ্তাহ আগে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে আমানত কারীদের জমা করা অন্তত ৬ কোটি টাকা নিয়ে রাতারাতি উধাও হোন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমানতকারীদের চাপের মুখে গতকাল শুক্রবার বিকেলে টাকা ফেরত দেওয়ার দিন ছিলো। এ অবস্থায় শুক্রবার দুপুরের দিকে গ্যাস বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বকুল। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রেফার্ড করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর মারা যান শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বকুল। এতে দিশোহারা হয়ে পড়েছেন ৮৮ থেকে ৯০ জন আমানতকারী। সংস্থায় জমা করা অন্তত ৬ কোটি টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় পড়েছেন তারা। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দু'বছর আগে কশব ইউনিয়ন এর পলাশবাড়ি বাজারে সুরমা মাল্টি পারপাস এর একটি শাখা খোলা হয়। এরপর দৈনিক কিস্তিতে এলাকার ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি। অল্প দিনেই এরা ব্যবসায়ী সহ এলাকার লোকজনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন সংস্থার ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীরা। পলাশবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ময়েন উদ্দিন বলেন, সুরমা মাল্টিপারপাস পলাশবাড়ি শাখার ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বকুল এলাকার বাসিন্দা। ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে আমানত সংগ্রহের জন্য তৎপরতা শুরু করেন তিনি। এক লাখ টাকায় প্রতিমাসে দু হাজার টাকা করে মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ম্যানেজার বকুলের প্রলোভনে পা দিয়ে ঐ সংস্থায় আমি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করি। চুক্তি অনুযায়ী কয়েক মাস ঠিকভাবে মুনাফার টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে টালবাহানা শুরু করে। দু' সপ্তাহ আগে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে তারা পালিয়ে যান। এ বিষয়ে জানতে সুরমা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির কোনো লোকজনকে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। রাজশাহী হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর তার মৃতদেহ পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে।


আরও খবর