Logo
শিরোনাম

মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে রবিবার সকালে মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে বাস্তবায়নে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন। 

 উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড.শাহ-ই-আলম বাচ্চু, পৌর মেয়র এসএম মনিরুল হক তালুকদার। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাহাঙ্গীর আলম, এসএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার নীতিশ বিশ্বাস, রওশন আরা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আল আজাদ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোরেলগঞ্জ সার্কেল আল মামুন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার, স্কাউট কমিশনার হোসনে আরা হাসি, সাংবাদিক মশিউর রহমান মাসুম, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহামন, দূর্গা রানী ঘরাই প্রমুখ। সভায় উপজেলার বিভিন্ন কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসার প্রধানগণ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সুধিজন উপস্থিত ছিলেন । #


আরও খবর



সংসার চলছেনা স্বল্প আয়ের মানুষের

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে অস্থিরতা যেন কাটছেই না। ফলে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ। বাজারে গিয়ে তারা হিমসিম খাচ্ছেন। মাস শেষে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। ঋণ করে সংসার চালাতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের এসব মানুষকে।

বাজারে গিয়ে সাধ্যের মধ্যে চাহিদামত পণ্য ক্রয় করতে না পেরে বিপাকে পড়ছেন তারা। ফলে প্রতিদিনের খরচের তালিকায় করতে হচ্ছে কাটশাট। অনেক সময় কমিয়ে দিচ্ছেন খাবারের মেনু।

বর্তমান পরিস্থতিতে কারো কারো পক্ষে সংসারের ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনেকে সঞ্চয় ভেঙে ছেলে-মেয়েদের পড়ার খরচ জোগাচ্ছেন। সন্তানদের পুষ্টিকর খাবার তো দুরের কথা স্বাভাবিক দুবেলা দুমুঠো খাবারই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষ করে স্বল্প বেতনে চাকরি করা শিক্ষিত মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে গেছে। তারা না পারছেন বলতে, না পরছেন সইতে।

যদিও নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ইতোমধ্যে কিছু পণ্যের দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে না। খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না। ক্রেতাদের পণ্য কিনতে হচ্ছে বিক্রেতাদের নির্ধারিত দামেই।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও রেলগেট, শান্তিনগর, মতিঝিল এজিবি কলোনি, মুগদা, রামপুরা, উলনসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মাছ-মুরগি সবজিসহ সব পণ্যের দাম বাড়তি। কাঁচা মরিচ, আদা ও টমেটোর দাম আবারও বেড়েছে। সবজি মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

ইমরান হোসেন রাজধানীর বাংলামোটরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন শনির আখরা এলাকায়।

তিনি বলেন, বাসা আর অফিস কাছাকাছি। যাতায়াত খরচ নেই। একটি মেয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। যে বেতন পাই তা বাসা ভাড়া দিয়েই শেষ। চাকরির পাশাপাশি ছোট একটা ব্যবসা করি। ব্যবসা আর চাকরি মিলে কোনোমতে সম্মান নিয়ে বেঁচে আছি।

ইংরেজিতে মাস্টার্স করা আফজাল আরও বলেন, গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। মাসে একবার বাড়ি যাই। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা আছেন। তাদের খরচসহ দেখভাল করতে হয়। যে আয় করি তার চেয়ে ব্যয় বেশি।

একটা কথা কি জানেন, আমরা যারা শিক্ষিত স্বল্প আয়ের মানুষ। আমাদের চেয়ে বেশি কষ্টে আর কেউ নেই। না পারি হাত পাততে, না নারি সম্মান নষ্ট করতে। বাজারের যে অবস্থা। ভয়ে বাজারে যাই না। কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি।

রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় থাকেন রফিকুল ইসলাম। বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তগাছায়। মিডিয়া কর্মী রফিকুল জানান, এভাবে চলা যায় না। প্রতি মাসেই ঋণ হতে হচ্ছে। বেতন বাড়ছেনা। ইনক্রিমেন্ট নেই। সঞ্চয়তো দুরের কথা, ঢাকা শহরে বেতনের টাকা দিয়ে থাকা যায় না। যে বেতন পাই বাসা ভাড়া দিতেই শেষ। কিন্তু একশেণীর মানুষের কাছে টাকার অভাব নেই, তাদের কোনো সমস্য নেই। তারা টাকার পাহাড় বানাচ্ছে। সমস্যা শুধু আমাদের মত মানুষের।

এদিকে বাজারে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, নিত্যপণ্যের মজুত ও সরবরাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বাজার ও গুদামে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য এক বা একাধিক পণ্য টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে আলু, ডিম, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে কারা ভোক্তার পকেট কেটেছে, অসাধু পন্থায় অতিমুনাফা করছে, সেই তথ্য সরকারের কাছে আছে। তাই ভোক্তাদের স্বার্থে অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। তবেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা কমবে।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দোয়া ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। শুক্রবার দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন করা হয়। বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন করে। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগরের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ক্বারী,যুগ্ম আহবায়ক শান্তি বেগম,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক বিপ্লব সওদাগর,পৌর যুবদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশেদ আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শহিদুল হক দুলাল,সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজীউর রহমান ও বাট্টাজোড় ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ ও  ওলামা দল নেতা মওলানা রুহুল আমিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বকশীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,হামলা মামলা করে আমাদের আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। নির্দদলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন না দেয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আপনাদের ভয়ের কোন কারন নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা গনতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবো।


আরও খবর



আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ইয়াশফি রহমান: নানা নাটকীয়তার পর মঙ্গলবার বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেই দলে জায়গা হয়নি তামিম ইকবালের। দল ঘোষণার পর কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে হঠাৎই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তামিম। ঘোষণা দিয়েছেন গত কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে ভিডিওবার্তায় পরিষ্কার করবেন সবকিছু।

ফেসবুকে তামিম লিখেছেন, আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয়ার পর একটি ভিডিওবার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েকদিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলবো। গত কয়েকদিন অনেক কথাই গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত - সমর্থক সবাই পরিষ্কারভাবে সবকিছু জানার অধিকার রাখে।

বাংলাদেশ দলের সেরা ওপেনার তামিমকে নিয়ে এতদিন বেশ নাটক চলেছে। দলে থাকবেন কি না তা নিয়ে বেশ আলোচনাও হয়েছে। তবে সকল নাটকের সমাপ্তি ঘটিয়ে মঙ্গলবার বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে বিসিবি। যেখানে জায়গা হয়নি তামিম ইকবালের। তবে দলে জায়গা হারানো নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাননি তামিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বকাপের জন্য দল যখন ভারতের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে, তারপর এক ভিডিওবার্তার মাধ্যমে সমর্থকদের সব জানাবেন তিনি।

তামিমের কোমরের ইনজুরি দীর্ঘদিনের। সেরে উঠতে লন্ডন থেকে চিকিৎসাও নিয়ে আসেন তিনি। বিশ্বকাপ খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে এশিয়া কাপ না খেলে করেন দীর্ঘ পুনর্বাসন। প্রায় ৮০ দিন পর নিউজিল্যান্ড সিরিজে মাঠে ফিরেছিলেন তামিম। তবে বিশ্বকাপে দলে জায়গা না পাওয়ার কারণে কি তিনি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন? সেই প্রশ্ন এখন তার ভক্তদের মনে।

এর আগে গত ৬ জুলাই হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলনে এসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল।

ওই সময়ে আফগান সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে তামিম হুট করে জানান, তিনি শতভাগ ফিট নন। ফিট না হয়েও ম্যাচ খেলার ঘোষণা দেয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যেই তামিমের সমালোচনা করেন পাপন। এরপর মাঠের খেলায় আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের পর থেকেই ব্যাকফুটে ছিলেন তামিম। এরপরই দেন সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা।

সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই তাই কৌতুহল ছিল তুঙ্গে; কী বলবেন তামিম? গুঞ্জন ছিল, ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন তিনি। তখন হালকা করে হাওয়ায় ভাসছিল অন্য গুঞ্জনও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসরের ঘোষণা দিতে পারেন জাতীয় দলের ওপেনার। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হয়েছিল।

তবে পরেরদিনেই অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তামিম ইকবাল। তামিমকে গণভবনে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে আবারও খেলায় ফেরার ঘোষণা দেন তিনি।


আরও খবর

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এশিয়ান গেমসে পদক জিতল বাংলাদেশ

সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩




লিবিয়ার পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মৃত্যুপুরী লিবিয়ায় বন্যা দুর্গতদের মানবিক সহায়তায় জরুরি ত্রাণ-সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত লিবিয়ার মানুষের সাহায্যের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি ১৩০ জে পরিবহন বিমান প্রয়োজনীয় ত্রাণ-সামগ্রী ও ওষুধসহ দেশটির উদ্দেশে যাত্রা করে।

সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক বিমানটির লিবিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ উপলক্ষে ব্রিফ করেন। এ সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুলমুতালিব এসএম সুলাইমান উপস্থিত ছিলেন।

ওই পরিবহন বিমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ত্রাণ-সামগ্রী হিসেবে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং জরুরি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পাঠানোর কথা জানানো হয়। সেনাবাহিনী থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী উল্লিখিত বিমানে লিবিয়ায় পাঠানোর কথাও জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় বাংলাদেশের দেওয়া চিকিৎসা ও অন্যান্য সামগ্রীর লোডিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। তার আবেদনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক প্রাণহানি, বিভিন্ন স্থাপনাসমূহের ক্ষয়ক্ষতিসহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়।

ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের তাণ্ডব এবং আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ হাজার ৩০০ জনে। এ ছাড়া ২০ হাজার জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। খাবার, জ্বালানি, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পর্যাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আশ্রয়ের অভাবে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা পরবর্তী সময়ে লিবিয়ায় এক সংকটময় পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বন্যার পর দেরনা শহর ভবিষ্যতের জন্য আর বাসযোগ্য থাকবে না। শহরটির অন্তত ৮০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেরনায় যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগই এড়ানো যেত। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের প্রধান পেটেরি তালাস জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, যদি স্বাভাবিক কোনও অপারেটিং আবহাওয়া পরিষেবা থাকত, তাহলে তারা সতর্কতা জারি করতে পারত। আর সেটি হলে জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হতো।


আরও খবর



নির্বাচনে অংশগ্রহনের ব্যাপারে বিএনপি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অক্টোবরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, বিশেষ প্রতিবেদক :

বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এক দফা আন্দোলন করছে।

 টানা কর্মসূচির মধ্যে আজও তারা কিছু কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এই কর্মসূচির মধ্যে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না এমন গুঞ্জনও রয়েছে।

 বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন নির্বাচন কেন্দ্রিক বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। সরকার নির্বাচনের জন্য প্রশাসন সাজিয়েছে, এক তরফা ভাবে নির্বাচন করতে চায়, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য মামলা হামলা ইত্যাদি দিচ্ছে এরকম নানা অভিযোগ তিনি সামনে এনেছেন। 

ধারণা করা হচ্ছে যে, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে বিএনপি অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে চায়। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, একটি এক্সিট পয়েন্ট লাগবে।

 বিএনপি যে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না বলছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাদের একটা পথ দিতে হবে।

 এরকম একটি পথ হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলোর পরামর্শ। আগামী ৭ অক্টোবর মার্কিন প্রাক নির্বাচনী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছেন। তারা এই সফরে বিএনপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং এই সাক্ষাতে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বিএনপিকে আশ্বস্ত করে যে, তোমরা নির্বাচনে যাও এবং অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় কিনা সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্য দেশগুলো তদারকি করবে তাহলে বিএনপি তার অবস্থান পাল্টাতে পারে।

 তবে সেক্ষেত্রেও নির্বাচনকালীন সরকার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অবস্থান রয়েছে। তবে বিএনপির একজন নেতা এই নিয়ে হতাশার কথা শুনিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। তার মানে সরকার আবার একটি এক তরফা নির্বাচনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি নির্বাচনের পর্যবেক্ষক দল না পাঠায় তাহলে পরে এই নির্বাচন যে একটা অর্থহীন নির্বাচন হবে সেটি বলাই বাহুল্য এবং ওই নির্বাচনের ফলাফল পূর্ব থেকে নির্ধারিত থাকবে। 

তাই সেই নির্বাচনে গিয়ে বিএনপি তার অবস্থান নষ্ট করতে চায় না। তবে এ নিয়েও বিএনপির মধ্যে ভিন্ন মত আছে।  

বিএনপির কোন কোন নেতা বলছেন, বিএনপির অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। বিএনপি যদি নির্বাচন না করে এবং শেষ পর্যন্ত যদি সরকার ঝুঁকি নিয়ে হলেও নির্বাচন করে ফেলতে পারে তাহলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। এর ফলে তাদেরকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা যাবে। 

কিন্তু কৌশলগত কারণের জন্য তারা যদি নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মধ্যেই তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখে, সরকারের পক্ষপাত এবং কারচুপির বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে পারে তাহলে তাদের আন্দোলনের একটা নতুন মাত্রা যোগ হবে এবং ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমেই তারা নির্বাচন বানচাল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে জোরদার করতে পারে। 

তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপির এই মনোভাব নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। 

তারা মনে করছে, সরকারের অনেক এজেন্ড বিএনপির মধ্যে রয়েছে। যারা বিএনপিকে বারবার বিভ্রান্ত করছে। ২০১৮ নির্বাচনে এভাবেই বিএনপিকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল বলে তারা মনে করেন। এরকম ফাঁদে পা দিলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তাদের ধারণা। 

তবে এখন বিএনপির জন্য একটি জটিল মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো আন্তর্জাতিক চাপ। আন্তর্জাতিক মহল যদি বলে যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেখতে হবে যে নির্বাচন কতটুকু পক্ষপাতপূর্ণ হচ্ছে। আর দ্বিতীয়ত তৃণমূলের চাপ, তৃণমূল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে অনেক প্রার্থী নির্বাচনমুখী হতে পারে এবং সেটি বিএনপির জন্য আরেকটি বড় সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। 

কাজেই দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।


আরও খবর