Logo
শিরোনাম

মাসজুড়ে বৃষ্টি তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় এবং কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহ চলছে, এবং কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় এর প্রভাব রয়েছে। তবে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং তাপপ্রবাহের প্রভাব ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে— রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলা, অর্থাৎ– রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, পটুয়াখালী, যশোর, কুষ্টিয়া, এবং মেহেরপুর, তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া, দিনাজপুর, নীলফামারী এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। তবে, এসব এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানিয়েছেন, সিলেটের কিছু অংশে মঙ্গলবার সারাদিন এবং বুধবার ভোর থেকে বৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে, রংপুর এবং দিনাজপুর অঞ্চলেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এসব বৃষ্টির কারণে তাপপ্রবাহ কমে যাবে এবং আবহাওয়া কিছুটা শীতল হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, দেশের অন্যান্য এলাকায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে, এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শুক্রবার, (৪ এপ্রিল) থেকে ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় আবারও দমকা হাওয়াসহ বজ্রপাত বা বৃষ্টি হতে পারে। এরপরের দুই দিনও ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ অন্যান্য অঞ্চলে বজ্রপাত এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ৫ বা ৬ এপ্রিল থেকে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে, এবং এর ফলে তাপমাত্রা কমে আসবে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, রংপুরের ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বুধবার সকালেও তিন ঘণ্টায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এপ্রিলে দেশে আরও এক বা দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং তাপমাত্রা ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। এপ্রিল মাসে দেশের আবহাওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক থাকতে পারে, কারণ তাপমাত্রা বেশিরভাগ জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা নিম্নচাপে বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে এটি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি তীব্র হতে পারে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।

এপ্রিল মাসে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি, এবং কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকতে পারে। এই মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।


আরও খবর



মাদ্রাসা পাস করে ডাক্তারি করতেন রেজাউল

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বরিশালে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন রেজাউল করিম। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

আজ উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতলা গ্রামে রেজাউল করিমের মায়ের দোয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলাম খান।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চিকিৎসক পরিচয়ে রেজাউল করিম জটিল সব রোগের চিকিৎসা দেন এবং সার্জারিও করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক রোগী ও নার্সকে যৌন হয়রানি, মারধর, সাংবাদিকদের লাঞ্ছিতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। রেজাউল করিম নিজেকে কখনো সাংবাদিক পরিচয়, আবার কখনও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক, ঢাকা ও বরিশাল শহর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার মালিক ও প্রকাশক হিসেবেও পরিচয় দিতেন। তিনি উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামে গড়ে তুলেন মায়ের দোয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ওই সেন্টারে বসেই বছরের পর বছর গ্রামের রোগীদের অপচিকিৎসা করছেন। তার অপচিকিৎসায় বহু রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব বরণের অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ওই ক্লিনিকে রোগীদের ভর্তির পরে চিকিৎসা প্রদান বা জটিল অপারেশন করার তথ্য ডায়েরি বা রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন না রেজাউল করিম। এতে তার কাজের কোনো প্রমাণ থাকে না। রোগীদেরকেও কোনো প্রমাণপত্র দেওয়া হয় না। এ ছাড়া তার সনদপত্রে লেখা-চার্টার অব অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব ইন্দো অ্যালোপ্যাথি অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন। কিন্তু অনুসন্ধান করে এই নামে সনদপত্র প্রদানকারী কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।

উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. মাইনুল ইসলাম খান বলেন তিনি ভারতের একটি সনদপত্র দেখান। এটার কোনো বৈধতা নেই। তার যেহেতু এমবিবিএসের সনদ নেই, তাই তার দেখানো এসব ডিগ্রির কোনো দাম নেই। তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র একটি অভিযান পরিচালনা করেন রেজাউল করিমকে বিভিন্ন ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দাদা ও চাচা কর্তৃক শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করে দাদা ও চাচার বিচার দাবিতে শুক্রবার ১৮ এপ্রিল নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা'র স্বজনরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা (১৬) এর মামা ফজলুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সানজিদা'র মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামানিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল ও মামা হামিদুল প্রামানিক।

লিখিত বক্তব্যে স্কুল ছাত্রী সানজিদার মামা ফজলুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী কিশোরী সানজিদা নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে ও উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী ছিলো। সানজিদার

বাবা দীর্ঘদিন ধরে সৌদী আরবে ও আরব আমিরাত (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল তার বসত-ভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মা বসবাস করাকালে সেই জায়গায় পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে এতে প্রবাসী শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধা দেয় এবং বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গাঁয় বাড়ি নির্মাণ করার জন্য বলে আসছিল। এনিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এরপর থেকে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মায়ের সাথে তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক বিরোধ লেগে থাকতো। সেই জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে সানজিদার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে স্কুল ছাত্রী সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তার শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। 

এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সানজিদার দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন। এসময় আরে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সানজিদা প্রাইভেট পড়ে সকাল ১১টারদিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে এক পর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর করে ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় মেয়ে সানজিদাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঐ দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক স্কুল ছাত্রী সানজিদা হত্যায় জড়ীত তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের বিচার দাবি করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। অপরদিকে এব্যাপারে জানতে চাইলে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ

শাহাবুদ্দীন বলেন, ঐ ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে যেহতু রাজশাহী রাজপাড়া থানায় ইউডি মামলা হয়েছে এবং ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এর পরি-প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



বিপিএ-এর পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচি প্রত্যাহার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বপ্রথম মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়, সচিব মহোদয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মহোদয়কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই—আমাদের প্রান্তিক খামারিদের সমস্যা, সংকট ও দাবি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।


মাননীয় উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয়ের দিকনির্দেশনায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়—প্রশাসন পরিচালক, উৎপাদন পরিচালক, খামার পরিচালকসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে—বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, কার্যনির্বাহী সদস্য এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১০ থেকে ১২ জন প্রান্তিক ডিম-মুরগি উৎপাদনকারী খামারিদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করেন।



সভায় ডিজি মহোদয় অত্যন্ত মনোযোগসহকারে খামারিদের ১০ দফা দাবি ও বাস্তব সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে “শাহরুখ স্বারকলিপি” নামক একটি লিখিত দাবি তিনি হাতে গ্রহণ করেন এবং সেটি আন্তরিকতার সঙ্গে পর্যালোচনা করেন। ডিজি মহোদয় আশ্বাস দেন—খাদ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং সরকার নির্ধারিত ডিম-মাংসের ন্যায্য মূল্য বাস্তবায়নে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় পোলট্রি খাদ্যের দাম কেজিপ্রতি ১ থেকে ১.৫০ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। ফিড, বাচ্চা এবং ওষুধের মূল্য নির্ধারণে তদন্ত চলছে, ভবিষ্যতে যা আরও হ্রাস পেতে পারে।



সরকারের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে উপস্থিত সকল প্রান্তিক খামারি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সরকারের প্রতি আস্থা রেখে এবং জনগণের স্বার্থে, বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত ১ মে থেকে খামার বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছে। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই—প্রান্তিক খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।


বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—দেশের খামারিরাই পোলট্রি খাতের প্রাণ। আপনাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ওপরই দাঁড়িয়ে আছে এই শিল্প। তাই আমরা আহ্বান জানাচ্ছি—আগামী ১ মে থেকে সকল খামার পুরোদমে চালু রাখুন এবং সরকারের সকল নিয়মকানুন মেনে বৈধভাবে খামার পরিচালনা করুন। আপনারা ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করুন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিবন্ধন সম্পন্ন করুন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নিন। সরকার ইতোমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—যাঁরা নিয়ম মেনে খামার চালাবেন, তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।


 জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খামারিদের উচিত ঐক্যবদ্ধ থাকা, স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা।


আমরা বিশ্বাস করি—আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে বাজারে সিন্ডিকেটের অনিয়মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া সম্ভব হবে।

২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের খামারিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, পোলট্রি খাতকে বাঁচাতে এবং সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে ১ মে থেকে ডিম-মুরগির খামার বন্ধের ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো।


বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সংক্ষিপ্ত ১০ দফা দাবি


১. জাতীয় মূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করতে হবে।

২. সরকারিভাবে ফিড মিল ও হ্যাচারি স্থাপন করতে হবে।

৩. কোম্পানির কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করতে হবে।

৪. স্বাধীন বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করতে হবে।

৫. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পুনর্বাসন করতে হবে।

৬. খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে।

৭. জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।

৮. সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯. প্রশাসনিক অভিযান চালিয়ে ন্যায্য বাজার নিশ্চিত করতে হবে।

১০. জাতীয় বাজেটে প্রান্তিক খামারিদের বরাদ্দ ও সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে


তবে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি—যদি আগামী দিনে এই ১০ দফা যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না হয়, তাহলে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন আবারো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।


আরও খবর



ডোপ টেস্ট দিয়ে শাবিপ্রবিতে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

২০১৯-২০ সেশন থেকে ষষ্ঠবারের মতো ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে এ ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ জানা থাকে না। সেজন্য প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন সঞ্চালন রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের পরীক্ষা করছে। এরপর ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। এ টেস্টে কোন শিক্ষার্থী পজিটিভ হলে তাকে কাউন্সেলিং করা হবে।

এবার ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস পদ্ধতিতে। ভর্তি কার্যক্রমে সাতটি ধাপের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা, ডোপ টেস্ট, স্বাক্ষর যাচাই, তথ্য যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি ফি প্রদান, চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন যাচাই এবং হল সংযুক্তিসহ আবাসন আবেদন রয়েছে।

এদিকে প্রথমদিন ইউনিটে (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মেধাক্রম ১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম। এদিন ৫০১ থেকে ৯৫৫তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। একই দিনে স্থাপত্য বিভাগে ১ থেকে ৩০তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে।

ভর্তির তারিখ ও ফি পরিবর্তন

১৭ এপ্রিল বি ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি কার্যক্রম অনিবার্য কারণে পরিবর্তন করে ২২ এপ্রিল পুননির্ধারণ করা হয়েছে। এবার কোটাসহ ২৮টি বিভাগে এবার মোট আসন এক হাজার ৬৭১টি।

অন্যদিকে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক জরুরী একাডেমিক কাউন্সিলে ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তি ফি পুনর্বিবেচনা করে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এর আগে ছিল ১৭ হাজার টাকা। ২০২৩-২৪ সেশন ভর্তি ফি ছিল ১৮ হাজার টাকা। ফলে এবার ভর্তি ফি কমেছে ৩ হাজার ১০০টাকা।


আরও খবর



২০ মাস পর ২২ বিলিয়নের ওপরে রিজার্ভ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ মাস পর আবার ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আজ রিজার্ভ উঠেছে ২২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে। সেখান থেকে পরের মাসে কমে ২১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এর পরে আর ২২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, অর্থপাচার কমে যাওয়ায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। রপ্তানিতেও উচ্চ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সে কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। ডলারের দরও স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এটা সুখবর।

দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল ২০২২ সালের আগস্টে। সেখান থেকে প্রতি মাসে কমতে–কমতে সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। তবে সরকার পতনের পর রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বরং বাজার থেকে ডলার কেনা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আগের ৩২০ কোটি ডলারের দায় পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরও রিজার্ভ বাড়ছে। আবার ডলারের দরও অনেক দিন ধরে ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।


আরও খবর