Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

মাঠ পর্যায়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দল

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছর ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নয় মাসেরও বেশি সময় বাকি থাকলেও নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি উত্তাপ বইতে শুরু করেছে। টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি বলছে, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপিও। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারাও বিভিন্ন সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। দলীয় গণ্ডি থেকে নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ছক ও কৌশল। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রধান দুই দলই সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।

এদিকে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ছক কষছে কীভাবে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা যায়। এই তিন বড় দলের পাশাপাশি ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও থেমে নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই আভাস মিলেছে।

নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হওয়ায় সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নড়েচড়ে বসেছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। সামাজিক কর্মকাণ্ডেও বেড়েছে তাদের তৎপরতা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন নানাভাবে।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানায়, তারা নির্বাচনের প্রক্রিয়া বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছে। এতে যুক্ত হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি তারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরছেন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে। বিগত সময়ে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ভুলভ্রান্তি শোধরাতে এরই মধ্যে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থীদের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে আওয়ামী লীগে। 

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে এখন দল গোছানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা একটি কার্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ের পাশে আলাদা একটি ভবনে এ কার্যক্রম চলবে। বৃহৎ পরিসরে এ কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সব কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এজন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, নেতাদের সাংগঠনিক সফর ও কর্মসূচিতে দল গোছানো, তৃণমূল পর্যায়ে কোন্দল দূর করা এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দলের ও সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।

বারবার সব দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে আসছে সরকার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও দলীয় ফোরামেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। বিশেষ করে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে দলের প্রধান শেখ হাসিনার এমন ইঙ্গিতে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনীর মাঠ প্রস্তুত করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাঠে নেমেছেন। এরই মধ্যে তিনি চট্টগ্রাম, খুলনা, কক্সবাজার এবং রাজশাহীতে জনসভা করেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বিভাগেও জনসভা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ তিনি নিজের মতো করে নির্বাচনী মাঠ গোছাতে শুরু করেছেন। দলীয় সভাগুলোতে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, এবার নির্বাচন সহজ হবে না। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে নানা নারকীয় ঘটনার কথাও বারবার বলছেন। সংসদীয় দলের সভায়ও তিনি নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট কথা বলছেন। এর বাইরে নির্বাচনকে ঘিরে তিনি দলীয় নেতাকর্মী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে কাজ করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। একইসঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা রাখা, সর্বোপরি ভিশন ’৪১ বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। 

সম্প্রতি আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের বেশি দিন বাকি নেই। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। নেতার সঙ্গে কর্মীর এবং কর্মীর সঙ্গে জনগণের সেতু নির্মাণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হতে হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষ উন্নয়ন ও কাজ চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও কাজ করে যাচ্ছেন। তাই দেশের জনগণ শেখ হাসিনার ওপর খুশি, আর এতে বিএনপির মন খারাপ।

ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি :

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করছে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। দৃশ্যমান কার্যক্রম না চললেও সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০০ আসনে প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। সম্ভাব্য প্রার্থীদের আমলনামা পাঠানো হচ্ছে লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানের দিকনির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, বিএনপি বরাবরই নির্বাচনমুখী দল। প্রার্থী বাছাইয়েও বেগ পেতে হবে না। যে কোনো মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আছে। তবে তা হতে হবে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে। অন্যথায় বিএনপি সেই নির্বাচনে যাবে না।

সরকারে থাকা দল এখন থেকেই জনসভা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে- এ প্রসঙ্গে দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যত সাংগঠনিক কার্যক্রম করছি সবই তো নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ। এই যে দেখলেন ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি। অনেক লোক হয়েছে, তারা উজ্জীবিত; নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত। তবে এই সরকারের অধীনে নয়, কেননা এই সরকারে অধীনে হাজারো প্রস্তুতি নিয়ে ভোটে গেলে ২০১৮ সালের মতো পরিস্থিতি হবে। তার ভাষ্যমতে, নির্বাচন যখনই হোক না কেন; বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে তেমন বেগ পেতে হবে না। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে হাজারখানেক প্রার্থীর নামের তালিকা আছে। এখান থেকেই অদলবদল হবে। সবকিছু দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই। প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি হবে না। এরই মধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থী মোটামুটি ঠিক করা আছে। কিছু আসন পূর্বনির্ধারিতই থাকে। সব মিলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অত বেশি মাথা ঘামাচ্ছে না বিএনপি।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোটের প্রস্তুতি তো থাকতেই হবে। আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব আমরা। তবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

সূত্র মতে, সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব সংসদীয় আসনের নেতাদের মাঠে নামার কথা বলেছেন। কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে আমলনামা হিসেবে এগুলোর ফলোআপ রিপোর্টও সংগ্রহ করতে বলেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা এটিকে নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচন করেই কয়েকবার ক্ষমতায় যায়। নির্বাচনের বিকল্প কিছু চিন্তা করে না। তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এজন্যই আমরা ১০ দফা দাবি আদায়ে মাঠে আছি। আন্দোলন করে তা আদায় করার পর নির্বাচনের কথা সামনে আসবে। বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে এটা আমাদের ব্যাপার। এখানে দৃশ্যমান হওয়ার কিছু নেই।

নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টিসহ বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও নির্বাচন প্রস্তুতিতে থেমে নেই। সব পক্ষই নিজেদের শক্তি এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে চলছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নের কাজও।

জানা গেছে, শাসক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা এরই মধ্যে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও বসে নেই। জোটের বাইরে বাম, ডান, মধ্যপন্থা এবং ধর্মভিত্তিক দলগুলোও ঘর গোছাচ্ছে। ভবিষ্যতে জোটবেঁধে নির্বাচনের ভাবনা মাথায় থাকলেও আপাতত তারা এককভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে একক সংখ্যারিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গঠন করা জাতীয় পার্টি আছে প্রধান বিরোধী দলের আসনে। খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করে এই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে মাঠের বড় দল বিএনপি। এর বাইরে আওয়ামী লীগের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, তরীকত ফেডারেশন এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে গণফোরামও।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়েছি। যেহেতু ১৪ দল এখনো আছে। ভবিষ্যতে কী হয় তা সময় বলবে। আপাতত আমরা দল গোছানোর পাশাপাশি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছি।

টানাপড়েন যাই থাকুক না কেন আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যেও।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছি। এরই মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এর বাইরে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের দলীয় প্রতীক হাতপাখা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছেন। দলটির প্রচার উপকমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির। তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচন করব। গত নির্বাচনেও এককভাবে অংশ নিয়েছি। এ ছাড়াও খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, বটগাছ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, রিকশা প্রতীক নিয়ে খেলাফত মজলিস, গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টিসহ ডানপন্থি এবং ইসলামি ঘরানার ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোও বসে নেই। জোটের বাইরে থেকে তারাও আপাতত নিজেদের মতো করে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক

[email protected] 


আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




মাভাবিপ্রবির গণিত বিভাগের শিক্ষকের বিদায় ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সাত্তারের বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৯ মার্চ ২০২৪ (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় একাডেমিক ভবনের গণিত বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. পিনাকী দে। এসময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ধনেশ্বর চন্দ্র সরকার, জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আজিজুল হক ও বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ মুছা মিয়া বক্তব্য রাখেন।

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. পিনাকী দে প্রদত্ত 'এড. তারাপদ দে-মমতা দে' বৃত্তিতে ২ জনকে এম.এস (থিসিস) পর্যায়ে নীলিমা নাসরিন ও এম.এস (নন থিসিস) পর্যায়ে মোঃ সুজন খান এবং প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সাত্তার প্রদত্ত 'মিরাজ আলী-আব্দুস সাত্তার' বৃত্তিতে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ১ জন ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম ও 'হুরজান নেসা-লাইলুন নাহার' বৃত্তিতে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ১ জন মেয়ে মোছাঃ রুকসানা আক্তারকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে গণিত বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সাত্তার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে শিক্ষকতা শেষে ২০১০ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৫-২০২০ সাল পর্যন্ত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে শিক্ষকতা (চুক্তিভিত্তিক) করেন।


আরও খবর



মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, শঙ্কামুক্ত নন দগ্ধরাও

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন। এছাড়া, এ ঘটনায় দ্বগ্ধ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও শঙ্কামুক্ত নন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বিফ্রিং তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, গতকাল রাতে অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা ঘটে, যেটি কখনো কাম্য ছিল না। এই দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৪৬ জন মারা গেছেন। বাকি যে কয়জন হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে তাদের জন্য চেষ্টা করছি। আমি এখন আবার চিকিৎসকদের নিয়ে বসব। একটি পরিকল্পনা করব কীভাবে কী করা যায়।

এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ রোগীদের দেখতে যান।

জানা গেছে, দগ্ধদের মধ্যে শেখ হাসিনা বার্নে ১০ জন ও দুইজন ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।

তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।

 


আরও খবর



ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির খবর গুজব : রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির খবরকে গুজব উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আপাতত ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই, এটি গুজব। জনগণ জানেন, কারা গুজব সৃষ্টি করে, কারা ট্রেনে আগুন দেয়, রেললাইনকে ধ্বংস করে। কিছুদিন আগে গোপীবাগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল বিএনপি। যেটা পুরো জাতি দেখেছে। যে আগুন ধরিয়েছিল সে নিজেই সব স্বীকার করেছে।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

জিল্লুল হাকিম বলেন, আসন্ন ঈদে টিকিট কালোবাজারি রোধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানো হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সহজ ডট কমের সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। টিকিট অনলাইনে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায়। আমরা এবার প্রতিটি টিকিটের মোবাইল নম্বর যাচাই করব। প্রতিদিনের তালিকা অনুযায়ী এনআইডি নম্বরগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। ট্রেনের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনোরকম অনিয়ম ধরা পড়লে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, ১৭ মার্চ রেলের ৯টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। যে ব্যক্তি ফিস প্লেট খুলছিল, সে ধাওয়া খেয়ে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে গেছে। তার আইডি কার্ডসহ কাগজপত্র পাওয়া গেছে। সে মূলত কিছু টাকার বিনিময়ে এ কাজ করেছে। আগুন সন্ত্রাসী বিএনপি ও বিএনপি সমর্থনকারী জামায়াত এ কাজগুলো করে। এগুলো করে তারা জনসমর্থন পাচ্ছে না। বরং আস্তে আস্তে জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। তারা জানে মানুষ তাদের ভোট দেবে না, সেজন্যই এসব অপকর্ম করছে।


আরও খবর



স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম, কাজ বেশি হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম, কাজ বেশি হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আর এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার ইচ্ছা পূরণ হবে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা করতেন। তিনি দেশ স্বাধীনের পর বেশ কয়েকবারই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন চিকিৎসক নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময়মতো আসো, সময়মতো সেবা দান করো তাইলে আমি সন্তুষ্ট। তাইলে আমি বুঝবো আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন করা সার্থক।

আজকের অনুষ্ঠানের উদাহরণ দেখিয়ে সামন্ত লাল বলেন, আজ সকাল ১০টায় প্রোগ্রাম শুরু করে সকাল ১১টার মাঝেই শেষ করতে চেয়েছি। আমি চাই এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় জড়িতরা আছেন তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে ফিরে যায়। তাই সময়ের মাঝেই শেষ করব।

চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করার শপথ নিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যেন সারাবিশ্বের মানুষ তালি দেয়। তারা যাতে বলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি এবং প্রতিমন্ত্রীর একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর আপনারা।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, জাতির পিতা না থাকলে আজকে আমি থাকতাম না। আজকে মন্ত্রী হতে পেরেছি, আপনারা যারা আমার সামনে এসেছেন তারা কেউই এখানে আসতে পারতেন না।

স্মৃতিচারণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মার্চ মাসে আমি থাকতাম ইস্কাটনে। তখন হাতিরপুলে গেলে বঙ্গবন্ধু লুঙ্গি পড়ে নিচে আসতেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি তারা জানি তার দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুষ্ঠান ফাইভ স্টারে হবে না জানিয়ে সামন্ত লাল বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এই হলেই আমাদের স্বাস্থ্যখাতের সব কনফারেন্স হবে। কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে আমরা যাব না। এই প্রতিষ্ঠানকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে চাই। এখানেই আমাদের আগামী পাঁচ বছরের যত অনুষ্ঠান আছে সব করব।


আরও খবর



হজ গাইডদের সর্তক করলেন ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় একজন হজ গাইড নয়। আপনার পরিচয় আপনি বাংলাদেশী। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে। আপনার কারণে দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান হানি যেন না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকবেন।

শনিবার (০৯ মার্চ) রাজধানী ঢাকার আশকোনায় হজ অফিসে সরকারি হজ গাইড প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সর্তকতা বার্তা দেন।

হজ পালনের ফজিলত তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সুস্থ ও সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর উপর হজ আদায় করা ফরজ। ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হজের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। প্রত্যেক হজযাত্রী যাতে সহীহ্ ও শুদ্ধভাবে হজ পালন করতে পারে সে বিষয়ে হজ গাইডদের সর্বদা সোচ্চার থাকতে হবে। হজ গাইডদের গাফলতির কারণে একজন হজযাত্রীর হজ পালনে বিঘ্ন ঘটে এর বর্তাবে হজ গাইডের ওপরেই।

হজ গাইডদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আপনাদেরকে দক্ষ হজ গাইড হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের প্রতিটি অধিবেশনে শতভাগ মনোযোগী থাকবেন। হজের নিয়ম কানুন, হুকুম-আহকাম ও ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে প্রশিক্ষকদেরকে বারবার জিজ্ঞাসা করতে হবে। প্রশিক্ষণ যথাযথভাবে গ্রহণ করলেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, ইনশাল্লাহ।

ধর্মমন্ত্রী হজ গাইডদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনি হলেন আপনার দলের হজযাত্রীদের জিম্মাদার, পথ প্রদর্শক ও পরামর্শক। হজযাত্রীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। হজ যাত্রা শুরুর পর থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত নিজ দলের হজযাত্রীদের কাছে সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে। হজের আরকান-আহকাম এবং সফরের যাবতীয় বিষয়াদি সম্পর্কে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মো. ফরিদুল হক খান বলেন, দক্ষ হজ গাইড গড়ে তুলতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন প্রশিক্ষণার্থীই যাতে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ধীরে শেখে এমন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।


আরও খবর