Logo
শিরোনাম

মাঠ পর্যায়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দল

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছর ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নয় মাসেরও বেশি সময় বাকি থাকলেও নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি উত্তাপ বইতে শুরু করেছে। টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি বলছে, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপিও। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারাও বিভিন্ন সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। দলীয় গণ্ডি থেকে নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ছক ও কৌশল। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রধান দুই দলই সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।

এদিকে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ছক কষছে কীভাবে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা যায়। এই তিন বড় দলের পাশাপাশি ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও থেমে নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই আভাস মিলেছে।

নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হওয়ায় সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নড়েচড়ে বসেছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। সামাজিক কর্মকাণ্ডেও বেড়েছে তাদের তৎপরতা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন নানাভাবে।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানায়, তারা নির্বাচনের প্রক্রিয়া বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছে। এতে যুক্ত হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি তারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরছেন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে। বিগত সময়ে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ভুলভ্রান্তি শোধরাতে এরই মধ্যে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থীদের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে আওয়ামী লীগে। 

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে এখন দল গোছানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা একটি কার্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ের পাশে আলাদা একটি ভবনে এ কার্যক্রম চলবে। বৃহৎ পরিসরে এ কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সব কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এজন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, নেতাদের সাংগঠনিক সফর ও কর্মসূচিতে দল গোছানো, তৃণমূল পর্যায়ে কোন্দল দূর করা এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দলের ও সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।

বারবার সব দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে আসছে সরকার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও দলীয় ফোরামেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। বিশেষ করে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে দলের প্রধান শেখ হাসিনার এমন ইঙ্গিতে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনীর মাঠ প্রস্তুত করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাঠে নেমেছেন। এরই মধ্যে তিনি চট্টগ্রাম, খুলনা, কক্সবাজার এবং রাজশাহীতে জনসভা করেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বিভাগেও জনসভা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ তিনি নিজের মতো করে নির্বাচনী মাঠ গোছাতে শুরু করেছেন। দলীয় সভাগুলোতে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, এবার নির্বাচন সহজ হবে না। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে নানা নারকীয় ঘটনার কথাও বারবার বলছেন। সংসদীয় দলের সভায়ও তিনি নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট কথা বলছেন। এর বাইরে নির্বাচনকে ঘিরে তিনি দলীয় নেতাকর্মী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে কাজ করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। একইসঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা রাখা, সর্বোপরি ভিশন ’৪১ বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। 

সম্প্রতি আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের বেশি দিন বাকি নেই। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। নেতার সঙ্গে কর্মীর এবং কর্মীর সঙ্গে জনগণের সেতু নির্মাণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হতে হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষ উন্নয়ন ও কাজ চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও কাজ করে যাচ্ছেন। তাই দেশের জনগণ শেখ হাসিনার ওপর খুশি, আর এতে বিএনপির মন খারাপ।

ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি :

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করছে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। দৃশ্যমান কার্যক্রম না চললেও সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০০ আসনে প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। সম্ভাব্য প্রার্থীদের আমলনামা পাঠানো হচ্ছে লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানের দিকনির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, বিএনপি বরাবরই নির্বাচনমুখী দল। প্রার্থী বাছাইয়েও বেগ পেতে হবে না। যে কোনো মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আছে। তবে তা হতে হবে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে। অন্যথায় বিএনপি সেই নির্বাচনে যাবে না।

সরকারে থাকা দল এখন থেকেই জনসভা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে- এ প্রসঙ্গে দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যত সাংগঠনিক কার্যক্রম করছি সবই তো নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ। এই যে দেখলেন ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি। অনেক লোক হয়েছে, তারা উজ্জীবিত; নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত। তবে এই সরকারের অধীনে নয়, কেননা এই সরকারে অধীনে হাজারো প্রস্তুতি নিয়ে ভোটে গেলে ২০১৮ সালের মতো পরিস্থিতি হবে। তার ভাষ্যমতে, নির্বাচন যখনই হোক না কেন; বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে তেমন বেগ পেতে হবে না। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে হাজারখানেক প্রার্থীর নামের তালিকা আছে। এখান থেকেই অদলবদল হবে। সবকিছু দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই। প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি হবে না। এরই মধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থী মোটামুটি ঠিক করা আছে। কিছু আসন পূর্বনির্ধারিতই থাকে। সব মিলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অত বেশি মাথা ঘামাচ্ছে না বিএনপি।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোটের প্রস্তুতি তো থাকতেই হবে। আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব আমরা। তবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

সূত্র মতে, সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব সংসদীয় আসনের নেতাদের মাঠে নামার কথা বলেছেন। কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে আমলনামা হিসেবে এগুলোর ফলোআপ রিপোর্টও সংগ্রহ করতে বলেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা এটিকে নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচন করেই কয়েকবার ক্ষমতায় যায়। নির্বাচনের বিকল্প কিছু চিন্তা করে না। তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এজন্যই আমরা ১০ দফা দাবি আদায়ে মাঠে আছি। আন্দোলন করে তা আদায় করার পর নির্বাচনের কথা সামনে আসবে। বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে এটা আমাদের ব্যাপার। এখানে দৃশ্যমান হওয়ার কিছু নেই।

নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টিসহ বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও নির্বাচন প্রস্তুতিতে থেমে নেই। সব পক্ষই নিজেদের শক্তি এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে চলছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নের কাজও।

জানা গেছে, শাসক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা এরই মধ্যে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও বসে নেই। জোটের বাইরে বাম, ডান, মধ্যপন্থা এবং ধর্মভিত্তিক দলগুলোও ঘর গোছাচ্ছে। ভবিষ্যতে জোটবেঁধে নির্বাচনের ভাবনা মাথায় থাকলেও আপাতত তারা এককভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে একক সংখ্যারিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গঠন করা জাতীয় পার্টি আছে প্রধান বিরোধী দলের আসনে। খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করে এই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে মাঠের বড় দল বিএনপি। এর বাইরে আওয়ামী লীগের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, তরীকত ফেডারেশন এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে গণফোরামও।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়েছি। যেহেতু ১৪ দল এখনো আছে। ভবিষ্যতে কী হয় তা সময় বলবে। আপাতত আমরা দল গোছানোর পাশাপাশি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছি।

টানাপড়েন যাই থাকুক না কেন আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যেও।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছি। এরই মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এর বাইরে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের দলীয় প্রতীক হাতপাখা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছেন। দলটির প্রচার উপকমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির। তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচন করব। গত নির্বাচনেও এককভাবে অংশ নিয়েছি। এ ছাড়াও খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, বটগাছ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, রিকশা প্রতীক নিয়ে খেলাফত মজলিস, গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টিসহ ডানপন্থি এবং ইসলামি ঘরানার ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোও বসে নেই। জোটের বাইরে থেকে তারাও আপাতত নিজেদের মতো করে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক

[email protected] 


আরও খবর

আত্মহননের সাংবাদিকতা

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24




দেশজুড়ে ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন জনতা। এসময় সমাবেশ ও বিক্ষোভ থেকে দেশে ইসরায়েলি পণ্য সরবরাহকারী গ্রুপ ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে কেএফসি, পিৎজা হাট, পেপসি ও সেভেন আপের মতো কিছু পণ্যের আউটলেটে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে।

সোমবার সারা বিশ্বে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল' কর্মসূচি হিসেবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সিলেট

সিলেট নগরের মিরবক্সটুলা এলাকায় কেএফসিতে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে সেখানে দুই দফা হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এসময় কেএফসিতে থাকা কোমল পানীয় দুতলা থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়। পরে সেগুলো ফাটানো হয়।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতম গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে সিলেটে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে সোমবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। এসব সমাবেশ থেকে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। এসময় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকায় পিৎজা হাট ও কেএফসিতে ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে প্রতিষ্ঠান দুটির সামনের অংশের কাচ ভেঙে যায়। এছাড়া মিছিল থেকে রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকানে থাকা কোকা কোলা ও পেপসিকো কোম্পানির সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।

এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দুই নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মিছিলটি নাসিরাবাদ অতিক্রম করার পরপরই সানমার ওশান সিটির পাশে থাকা কেএফসিতে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করে তারা। এতে রেস্তোরোর কাচ ভেঙে যায়। এছাড়া চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় থাকা পিৎজা হাটের একটি শাখার সামনের কাঁচাও ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভে আসা মানুষজন। এরপর জিইসি মোড়ে অবস্থিত হোটেল জামানে কোকা কোলার সাইনবোর্ড থাকায় সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এতে হোটেলটির সামনের অংশের কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পরে তারা পিৎজা হাটেও ভাঙচুর চালায়।

অন্য আরেক মিছিল থেকে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় স্পোর্টস ব্র্যান্ড পুমার সাইনবোর্ড, বাটার সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া নগরীর কাজির দেউড়ী মোড় থেকে জামালখান অভিমুখী আরেকটি মিছিল থেকে রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকানে থাকা কোকা কোলা ও পেপসিকো কম্পানির ফ্রিজ ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্রিজে থাকা পেপসি, সেভেন আপসহ বিভিন্ন কোমল পানীয় রাস্তায় ছিটিয়ে দেয়।

কক্সবাজার

‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি রেখে কক্সবাজার শহর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সাগর পাড়ের হোটেল-মোটেল জোন সড়কের কাছে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার মালিক ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএফসি ও পিৎজা হাটের আউটলেটে ভাঙচুর চালায়।

বিক্ষুব্ধ জনতা ‘এগুলো ইসরায়েলের দোসর’ বলে উল্লেখ করেন। এসময় সেভেন আপের সাইনবোর্ড দেখেও ভাঙচুর চালানো হয়।

মিছিল শেষে কলাতলি গোল চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা এখন থেকে ইসরায়েল ও ইসরায়েলের দোসরদের পণ্যসামগ্রীও বয়কটের ঘোষণা দেন। কেএফসি, পিৎজা হাট, পেপসি, সেভেন আপের মতো কিছু ইসরায়েলি পণ্যের বাংলাদেশি সরবরাহকারী ট্রান্সকম গ্রুপ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ইসরায়েলের এমন অমানবিক কর্যক্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতাদের চুপ থাকা লজ্জাজনক। আজ থেকে ইসরায়েল সম্পৃক্ত সব পণ্য বয়কট করা হবে।

তারা আরো বলেন, ‘সেই সঙ্গে যত দিন পর্যন্ত ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে না, তত দিন নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে কক্সবাজারের সর্বস্তরের জনতা।

বগুড়া

বগুড়ায় ইসরায়েলি পণ্য বাটা শো-রুমসহ দেশটির কোমল পানীয় রাখা দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার শহরের সাতমাথা এলাকায় ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে সকালে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় ফুঁসে ওঠে তৌহিদি ছাত্র-জনতা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদিন জানান, বিক্ষোভ মিছিল থেকে দু-একজন বাটার শো-রুমের কাচে ঢিল ছুড়ে মারে। এতে কিছু কাচ ভেঙে যায়। তবে সার্বিক পরিবেশ শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বরিশাল

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বরিশালে গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা দেওয়া কেএফসির বরিশাল ব্রাঞ্চে ভাঙচুর চালান। ছাত্র-জনতা কেএফসির কার্যক্রম বরিশাল থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায়।

সোমবার সকাল ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ব্যানারে কর্মসূচি শুরু হয়। সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কে কেএফসির সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা অবস্থান নেয়। তারা অভিযোগ করেন, কেএফসি ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা করে। যে অর্থের একাংশ যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। জনতা কেএফসি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা কেএফসির সামনের সড়কে জোহরের নামাজ আদায় করেন। একইস‌ঙ্গে মোনাজাতে গাজাবাসীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

বিকাল সোয়া ৩টার দিকে কয়েকজন বিক্ষোভকারী প্রতিষ্ঠানটির ছাদে উঠে কেএফসির লোগো ভেঙে ফেলেন। পাশাপা‌শি ব্যানার নিয়ে যান। এছাড়া দেয়ালে বয়কট কেএফসি লিখে দেন তারা।

তারা রেস্টুরেন্টটির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বরিশালে কেএফসির একমাত্র শাখাটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধরা কেএফসির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। কেএফসির লোগো ভেঙে ফেললেও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

খুলনা

খুলনায় ইসরায়েল বিরোধী মিছিল থেকে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের কেএফসি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কেএফসি থেকে ইসরায়েলি পণ্য ও বিভিন্ন কোমল পানীয় বের করে রাস্তায় এনে ভেঙে ফেলে। পরে মিছিলকারীরা আবারো শিববাড়ির দিকে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ময়লাপোতাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল যেতে থাকে শিববাড়ি মোড়ের দিকে। এ সময় ময়লাপোতা থেকে একাধিক মিছিল যাওয়ার সময় কে বা কারা কেএফসিকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে অন্যান্যরাও হামলা করে। এ সময় মিছিলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা চেষ্টা করেও হামলা থেকে কেএফসিকে রক্ষা করতে পারেননি। এক পর্যায়ে কেএফসির মধ্য থেকে কোমল পানীয় বের করে এনে ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় রাস্তা পানিময় হয়ে যায়। পরে মিছিলকারীরা আবারো শিববাড়ির দিকে যেতে থাকে।


আরও খবর



ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় কমেছে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রোজার ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে ১৫ দিনে দেশে ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৮২৬ জন।

আর সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত এবং ৮৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটির পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের রোজার ঈদের সাথে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে ২১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং আহত কমেছে ৪০ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের বছরের ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জনের প্রাণহানি হয়েছিল এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন।

ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় এবং ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত ধাপে ধাপে ও স্বস্তিদায়ক হওয়ার কারণে গেলবারের তুলনায় এবার সড়কে হতাহতের সংখ্যা কমে এসেছে বলে তাদের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেছে এই সংগঠন। তাই দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার একগুচ্ছ সুপারিশে তারা ঈদের ছুটি বাড়ানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করেছে।

সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজ বুধবার ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রা শুরুর প্রথম দিন ২৪ মার্চ থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার দিন ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনের দুর্ঘটনার তথ্য এসেছে এ প্রতিবেদনে। বরাবরের মতোই সংবাদমাধ্যমে আসা দুর্ঘটনার খবর সঙ্কলিত করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।


আরও খবর



মাসজুড়ে বৃষ্টি তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় এবং কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহ চলছে, এবং কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় এর প্রভাব রয়েছে। তবে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং তাপপ্রবাহের প্রভাব ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে— রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলা, অর্থাৎ– রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, পটুয়াখালী, যশোর, কুষ্টিয়া, এবং মেহেরপুর, তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া, দিনাজপুর, নীলফামারী এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। তবে, এসব এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানিয়েছেন, সিলেটের কিছু অংশে মঙ্গলবার সারাদিন এবং বুধবার ভোর থেকে বৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে, রংপুর এবং দিনাজপুর অঞ্চলেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এসব বৃষ্টির কারণে তাপপ্রবাহ কমে যাবে এবং আবহাওয়া কিছুটা শীতল হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, দেশের অন্যান্য এলাকায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে, এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শুক্রবার, (৪ এপ্রিল) থেকে ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় আবারও দমকা হাওয়াসহ বজ্রপাত বা বৃষ্টি হতে পারে। এরপরের দুই দিনও ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ অন্যান্য অঞ্চলে বজ্রপাত এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ৫ বা ৬ এপ্রিল থেকে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে, এবং এর ফলে তাপমাত্রা কমে আসবে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, রংপুরের ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বুধবার সকালেও তিন ঘণ্টায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এপ্রিলে দেশে আরও এক বা দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং তাপমাত্রা ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। এপ্রিল মাসে দেশের আবহাওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক থাকতে পারে, কারণ তাপমাত্রা বেশিরভাগ জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা নিম্নচাপে বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে এটি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি তীব্র হতে পারে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।

এপ্রিল মাসে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি, এবং কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকতে পারে। এই মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, সুনামগঞ্জে একজন, হবিগঞ্জে একজন ও ও নেত্রকোণায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।২৮ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা

জেলায় বজ্রপাতের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই কৃষক ও দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে বজ্রপাতে মারা যান দুই কৃষক।

তারা হলেন- দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০) ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ওই সময় তারা মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম (মেম্বার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দুপুরের দিকে বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই স্কুলছাত্র। নিহতরা হলো- ওই এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং একই এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন। দুজনেই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হালকা মেঘলা আবহাওয়ায় তারা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় আকস্মিক বজ্রপাতে দিদারুল ইসলাম নামে কওমি মাদরাসার এক শিক্ষক ও মদন উপজেলায় আরাফাত মিয়া নামে এক মাদরাসার ছাত্র (১০) মারা গেছেন।

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় আরাফাত মিয়ার। সে উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।

অপরদিকে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হোন মাদরাসা শিক্ষক দিদারুল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং এর হাওরে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঝড়বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে।

জেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান জানান, সোমবার সকালে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামের কালবাসী দাসশর ছেলে দূর্বাসা দাশ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় তার ভাই ভূষণ দাশ (৩৪) ও বোন সুধন্য দাশ (২৮) । এছাড়াও বজ্রপাতে বানিয়াচং উপজেলার বাগহাতা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ মিয়া (১৩) আহত হয়।

সুনামগঞ্জ

শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এই ঘটনা ঘটে।

রিমন তালুকদার উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও শাল্লা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে গ্রামের পাশে বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান রিমন তালুকদার। এক পর্যায়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। রিমন তালুকদার নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় একটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন কৃষক ও একজন কৃষাণী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে খড় শুকাতে গিয়ে ফুলেছা বেগম নামে এক কৃষাণী বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এছাড়া সকাল ১০টার দিকে জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর হাওরে ধান কাটার সময় ইন্দ্রজীত দাস ও কলমা হাওরে ধান কাটার সময় স্বাধীন মিয়া নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়।

মৃত ফুলেছা বেগম মিঠামইনে উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী, ইন্দ্রজীত দাস অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে এবং স্বাধীন মিয়া একই উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

মিঠামইন থানার উপ-পরিদর্শক অর্পন বিশ্বাস জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে ধানের খড় শুকাচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কৃষক ইন্দ্রজীত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কৃষক ইন্দ্রজীত দাসের মৃত্যু হয়। একই সময় উপজেলার খয়েরপুর হাওরে কৃষক স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।


আরও খবর



মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০০

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০০-তে। ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানেই। আহত হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩০০ জন।

গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভূমিকম্পটি মিয়ানমারসহ অন্তত আটটি দেশকে কাঁপিয়ে দেয়। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সেখানে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। দুই দেশে হাজারো ভবন ধসে পড়েছে, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

দুর্যোগের তিন দিন পার হলেও উদ্ধারকাজ ধীরগতিতে চলছে। স্থানীয়রা দলবেঁধে জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালালেও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এত বড় দুর্যোগ সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা মিয়ানমারের নেই।

বিদেশি সাহায্যকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন, তবে অবকাঠামোগত বিপর্যয় ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে তাদের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

এরই মধ্যে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মিয়ানমারে ৫.১ মাত্রার একটি পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যাতেও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তবে নতুন এই কম্পনে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। মান্দালয়ের ২৫ বছর বয়সী হতেত মিন রয়টার্সকে জানান, তার স্বজনেরা ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছায়নি।


আরও খবর