Logo
শিরোনাম

মাভাবিপ্রবি 'সিআরসি'র উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মো.হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

 কাম ফর রোড চাইল্ড (সিআরসি) মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ২৫ জানুয়ারী (শনিবার) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় একাডেমিক ভবনের সামনে ১০০টি পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের অসহায় মানুষ, বিভিন্ন মেসের খালা ও শহরের রাস্তার পাশে বস্তিতে   থাকা অসহায়দের মাঝে শীতের কোম্বল তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাভাবিপ্রবি সিআরসির সভাপতি মো.আরিফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো.ইমাম হোসেন বলেন, "আজকের এই প্রোগ্রাম আমাদের শিক্ষার্থীদের সুন্দর মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমি আশা করবো সামনের দিনগুলোতে সিআরসি আরও সমাজকল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসবে।" পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। 


ক্লাবের উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, "আজকের এই প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে সফল করার জন্য সিআরসি সহ যারা আজকে এখানে এসে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে সফল করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সিআরসি অসহায়,দরিদ্র,এতিম ও পথ শিশুদের  নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।"

সিআরসির সভাপতি মো.আরিফুল ইসলাম বলেন, "আমরা অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় আমরা চেষ্টা করি দুর্যোগ কবলিতদের পাশে থাকার এবারও চেষ্টা করেছি অসহায়দের পাশে থাকার।

সিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মাভাবিপ্রবি সিআরসি শাখার প্রধান সমন্বয়ক তোকির আহমেদ বলেন, "ভুপেন হাজারিকার "মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য" এই উক্তিকে সামনে নিয়ে আমরা কাজ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি পরবর্তীতে যারা দায়িত্বে আসবে তারাও এভাবে অসহায়দের পাশে থেকে কাজ করে যাবে।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর আব্দুল হালিম, সহকারী অধ্যাপক শাকিল মাহমুদ শাওন, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিআরসির সভাপতি ফরহাদ হোসেনসহ ক্লাবের সদস্যরা।


আরও খবর



রমজানে স্বস্তি ফেরাতে বেশকিছু পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেশকিছু পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পণ্যগুলোর তালিকায় রয়েছে- সরিষার তেল, আটা, ময়দা, ডাল, এলপি গ্যাস, বিস্কুট, লবণ ও গরম মসলাসহ আরও কিছু পণ্য।  সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। সরিষার তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্যের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো- বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল- জাতীয় খাদ্যশস্য।

শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসেও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। যারা নিজেরা আমদানি করে নিজেরাই ভোক্তার কাছে বিক্রি করেন, তারা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।

ওই পণ্যগুলোতে ভ্যাট সুবিধা পেতে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে- ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিলসহ বেশ কিছু শর্ত।


আরও খবর



শিশু ধর্ষণের মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বনশ্রীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় আরবি গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম (৩০)-এর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তার ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ধর্ষকের কোনো প্রকার ছাড় নেই। সকল ধর্ষকের আরও কঠিন সাজা হওয়া উচিত। যেন কেউ আর ধর্ষণ করার সাহস না পায়।’

রায় ঘোষণা সময় আসামি জাহিদুলকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুকে বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর মা-বাবা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন তারা। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। পরে শিশুটি জানায়, শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।

২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার জাহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।


আরও খবর



অস্থির চালের বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শুল্কছাড়ের চাল আমদানি, আমনের ভরা মৌসুম বাজারে চালের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাতেও দেশের মানুষের খাদ্যের প্রধান উপকরণ চালের দামের অস্থিরতা কমেনি। উল্টো ব্যবসায়ী ও মিলার সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চালের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে সরু চাল সর্বোচ্চ ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে মৌসুমেও চাল কিনতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন ভোক্তা।

বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে সরু চালের কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। সরু চাল ছাড়াও মধ্যবিত্তের একমাত্র ভরসার মোটা জাতের চালের দামেও লেগেছে বাড়তি দামের হাওয়া। ব্যবসায়ীদের দাবি, যদিও বিগত বছরগুলোতে এ সময়ে চালের দাম কম ছিল। কিন্তু বাজারে চালের সংকট না থাকলেও মিলপর্যায়ে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা দাম বাড়িয়েছে মিলমালিকরা। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাবে চালের বাজারে দামের অস্থিরতা বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চালের দামের ব্যবধান গড়েছে অন্তত ৮ থেকে ১০ টাকা। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে প্রতি কেজি সরু চালের দাম ছিল ৭৫ টাকা, যা বর্তমানে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরু চালের পর সব থেকে বেশি দামের পরিবর্তন হয়েছে নাজিরশাইল চালের। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ছিল ৭০ থেকে ৭৮ টাকা। তবে গতকাল তা ৭৬ থেকে ৮৬ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি নাজিরশাইলের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা।

চালের পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েকটি মাফিয়া কোম্পানির কবজায় দেশের চালের বাজার। গেল তিন মাসের কয়েক দফায় এসব গ্রুপের কারসাজিতে প্রতি বস্তা সরু জাতের চালের দাম বেছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের চালের পাইকারি ব্যবসায়ী ও নোয়াখালী রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী শাওন আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। একদিকে আমদানি করা চালের সরবরাহ বেড়েছে। অন্যদিকে কোম্পানিগুলোর মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত। তবুও কেন চালের দাম বাড়ছে এর কোনো উত্তর নেই।

এদিকে আগে থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মধ্যবিত্তের চাহিদার শীর্ষে থাকা মোটা জাতের চাল। ভরা মৌসুমে ব্রি-২৮, স্বর্ণা, ও পাইজাম জাতের চালের দাম কমার কথা থাকলেও এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, গুটি স্বর্ণা চাল কিনতে ক্রেতাদের খরচ করতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা। এ ছাড়া বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি পুরনো আটাশ ৬৫, পাইজাম ৬০, কাটারিভোগ ৮৫, বাসমতী ৯৪ থেকে ৯৮, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত বছর নভেম্বরে চাল আমদানির ওপর ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রেখে বাকি আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে এনবিআর। তবুও আমদানি করা চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। আমদানি করা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার ওপর।

শান্তিনগর বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা মাহবুব হোসেন জানান, বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮২-৮৫ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ৭৫ টাকা ছিল। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০-৮৬ টাকা, যা আগে খুচরা পর্যায়ে ৭০-৭৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া মোটা চালের মধ্যে প্রতি কেজি স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা, যা আগে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি মাঝারি আকারের চালের মধ্যে বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের সরকারি সংস্থাগুলো যে স্তরে অভিযান পরিচালনা করার কথা সে স্তরে তারা অভিযান পরিচালনা করছেন না। দায়সারাভাবে নামমাত্র খুচরা বাজারগুলোতে অভিযান চালায় সংস্থাগুলো। ফলে কারসাজি করা ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা লুটে ফুলেফেঁপে উঠছে। অন্যদিকে বরাবরই দেশের কৃষক ও ভোক্তা ঠকে আসছেন। দ্রুতই এ সংস্কৃতির প্রতিকার করা জরুরি।

এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ার দায়িত্ব মূলত প্রতিযোগিতা কমিশনের। কিন্তু তাদের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে তারা নিজেরাই বাজার থেকে হারিয়ে গেছে। সরকারের বাজার মনিটরিং সংস্থাগুলোর তদারকি নিয়ে সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, বাজারে একাধিক সংস্থা তদারকি করে। কিন্তু ভোক্তা এ থেকে কোনো সুফল পাচ্ছে না। পণ্যের দাম বাড়লেই কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু যে স্তরে কারসাজি হয়েছে, সেই স্তরে মনিটরিং হয় না। ফলে অসাধুরা এ সুযোগে ভোক্তাকে বেশি করে নাজেহাল করে তোলে। 


আরও খবর



তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নারী পোশাকশ্রমিক নিহত ও অন্য আরেকজন আহত হয়েছেন। যার জেরে সকাল থেকে পোশাকশ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী, মহাখালী অংশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে যেমন ওই এলাকার সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে তেমনি সেটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতেও। বিশেষ করে ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা, শ্যাওড়া, খিলক্ষেত, বিমানবন্দরসহ আশপাশের প্রতিটি সড়কেই যানবাহনের তীব্র চাপ এবং স্থবিরতা দেখা গেছে। এতে করে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা থেকে ফ্লাইওভার হয়ে রেডিসন ব্লু হোটেল পর্যন্ত সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পুরো সড়কেই গাড়ির তীব্র চাপ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যেসব গাড়ি অবরোধের কারণে সামনে যেতে পারছে না সেগুলো ফ্লাইওভার দিয়ে মিরপুরের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করছে। অনেকে আবার বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ঘোরানোরও চেষ্টা করছেন। আর ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখ, উপরে এবং শেষপ্রান্ত পর্যন্ত উভয় পাশের সড়কেই গাড়ি থেমে আছে। কিছু সময় পরপর সামনে কিছুটা ফাঁকা হলে কয়েকটি গাড়ি সামনে এগিয়ে যেতে পারছে। আর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী থেকে বিমানবন্দর ছাড়িয়ে উত্তরার জসিমউদ্দীন পর্যন্ত যান চলাচল এক প্রকার স্থবির হয়ে আছে।

এ অবস্থায় ব্যাপক বিপাকে ও ভোগান্তিতে পড়েছেন রোজা রেখে বাইরে বের হওয়া মানুষজন। সড়কে দীর্ঘসময় বাসে বসে থেকে অনেককেই হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করতে দেখা গেছে।

নুরুল ইসলাম নামের এক পথচারী বলেন, দীর্ঘসময় ধরে সড়কে বসে আছি। মহাখালী যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। কিন্তু গাড়ি জায়গা থেকে নড়ছে না। এখন পেছনে ফিরে যাব সে সুযোগও নেই। বাধ্য হয়েই হেঁটে পেছনে যাচ্ছি। দেখি কোন পর্যন্ত গিয়ে গাড়িতে উঠতে পারি।

নাঈম হাসান নামের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসের জন্য বের হয়েছিলাম। ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও খিলক্ষেত পার হতে পারিনি। এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

জানা গেছে, নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম মিনারা আক্তার। আহত আরেক পোশাকশ্রমিকের নাম সুমাইয়া আক্তার। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মফুদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীদের যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য গাড়ি ডাইভারশন করে দিচ্ছি। কিছু গাড়ি ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে, কিছু গাড়িকে রামপুরা রোড এবং প্রগতি সরণি দিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




নওগাঁয় ট্রাক চাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ শহর বাইপাস সড়কের খলিসাকুড়ি মোড় এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী'র মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর ২টারদিকে।

নিহত স্বামী ও স্ত্রী হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলাহাট এলাকার পালসা গ্রামের আফাজ উদ্দিন (৫৬) ও তার স্ত্রী বিলকিস বানু (৪৯)। 

প্রত্যক্ষদর্শী  ও নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে আফাজ উদ্দিন তার স্ত্রী বিলকিস বিবিকে সাথে নিয়ে নওগাঁ শহর থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি পালসা গ্রামে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে বাইপাস সড়কের খলিসাকুড়ি মোড় এলাকায় আলহেরা রাইচ মিলের সামনে পৌছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে দূর্ঘনাস্থলেই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রী'র মৃত্যু হয়। নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শেষ করে মৃতদেহ থানায় নিয়ে এসেছে। এখান থেকে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। স্বজনেরা আসলে ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেল টি পুলিশি (থানা) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর