Logo
শিরোনাম

মাভাবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদের নবনিযুক্ত ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) বিজ্ঞান অনুষদের নবনিযুক্ত ডিন হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী। আজ রবিবার (২ জুন,২০২৪) তিনি ডিন হিসেবে যোগদান করেছেন। 


বর্তমানে তিনি মাভাবিপ্রবির রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ও  শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। 


ডিন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনের দায়িত্ব শুধুমাত্র ভর্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা নয়, ডিনের কার্যপরিধি আরও ব্যাপক। বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব নেয়ার পর মনে করি সীমাবদ্ধতাগুলোর বাইরে গিয়ে নতুন করে ডিনের প্রকৃত দায়িত্বগুলো পালন করব। যেমন: অনুষদের জার্নাল তৈরি করা, আন্তর্জাতিক সেমিনার করা, পাশাপাশি কারিকুলামকে যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত করার পাশাপাশি একাডেমিক পরিবেশকে আরো বেশি যুগোপযোগী করার জন্য কাজ করে যাব। তিনি আরো বলেন, আশা করছি সকলে মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

এদিকে, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী ডিনের দায়িত্ব পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, তিনি যোগদান পরবর্তী দুই বছর  বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।


আরও খবর



ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরের জনপদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পৌষ মাস শুরুর আগেই জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষ করে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে উত্তরের জনপদ। পর্যায়ক্রমে যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। উত্তরের জনপদের পাশাপাশি শীত নেমেছে রাজধানীতেও। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।

শীতের কারণে উত্তরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে গ্রামগ্রঞ্জে বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের অবস্থা কাহিল। ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা আরও করুণ। সবচেয়ে বিপদে আছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় অবশ্য বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা। আর বর্ধিত ৫ দিনেও একই অবস্থা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

ঘনকুয়াশায় ঢাকা ঠাকুরগাঁও : তীব্র শীতে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় প্রতিবছর এই জেলায় শীতের প্রকোপ অনেক বেশি থাকে। এবছর অক্টোবর মাসে শীতের আমেজ শুরু হলেও নভেম্বরের দিকে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতো। তবে ডিসেম্বরের শুরুতে হালকা কুয়াশা ও হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকলেও হঠাৎ করে ৯ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ঘনকুয়াশার দাপট অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক থেকে শুরু করে পথচারী ও জনসাধারণ পড়েন চরম বিপাকে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় উত্তরের এই জেলা। কুয়াশার এতোই ঘনত্ব যে যানবাহনের হেডলাইটও হার মেনেছে। লাইটের আলো ১০-১৫ গজ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারছে না। সড়কে গাড়ি চালানো প্রায় অনোপুযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে চালকদের।

গাড়ি চালক স্বপন সরকার বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।

এর আগে কখনো এতো ঘন কুয়াশা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ দেখেনি। আগামী দিনগুলোতে আরও কুয়াশা ও শীত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষগুলো। রাস্তার ধারেই যে যা পারছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতার জন্য আগুন পোহাচ্ছেন। অন্যদিকে ঠান্ডার প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে বিশেষ করে ঠান্ডার কারণে নবজাতক ও কমবয়সী শিশুরা বেশি ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও প্রতিনিয়ত প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনের ওপর রোগী ভর্তি থাকেন। সচরাচর শীতের সময় রোগীর বেশি চাপ থাকে। তবে এবার আগের মতোই রোগীর চাপ থাকলেও বর্তমানে বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালটিতে ৪০ শয্যার শিশু ওয়ার্ড হলেও সোমবার রাত ১১ টার দিকে ১৩০ জনেরও বেশি রোগী ভর্তি ছিলেন। যা ধারণ শয্যার থেকে তিন গুণ বেশি বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশু ওয়ার্ডে ভতিকৃত বেশিরভাগ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান রোগীর অভিভাবক ও স্বজনরা।

শীতকালে নবজাতক শিশুদের ৬ মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ পানসহ অন্যান্য বয়সী শিশুদের পুষ্টিকর তাজা খাবার খাওয়ানোর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে দেরি না তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু মো. রাজিব-উল-দোজা (তূর্য)’র।

তিনি বলেন, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি। এটা আমাদের পেশা ও দায়িত্ব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তার তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এমন আবহাওয়ায় কৃষিক্ষেত্রেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের শীত সহনশীল পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের পরামর্শসহ কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকরা শীত সহনশীল পদ্ধতি অবলম্বন করলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার তেমন সুযোগ নেই।

ইতোমধ্যে চাহিদা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠকুরগাঁও জেলার জন্য ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দফতরের পাঠানো হয়েছে। সেগুলো পেলে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা।

তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন : উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলছে শীতের দাপট। হিমালয়ের হিম বাতাসে এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে। মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে রয়েছে পুরো জেলা। তীব্র শীত অনুভূত না হলেও ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। সে কারণেই এই অঞ্চলে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়ায় ১১ ডিগ্রির নিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আহসান হাবীব নামে একজন জানান, রাতে তীব্র ঠান্ডা লাগছে। আজও ভোরে কুয়াশা ছিল, তবে গতকালের মতো না। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসার মতো অবস্থা। রাতে এখন ডাবল কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে পৌষ মাসের ঠান্ডা শুরু হয়েছে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হিজবুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাবে কিছু মন্তব্যসহ সম্মতি দিয়েছে লেবানন ও হিজবুল্লাহ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন। একে যুদ্ধ বন্ধের সবচেয়ে গুরুতর প্রচেষ্টা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নবীহ বেরির সহকারী আলী হাসান খলিল বলেছেন, সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তাদের লিখিত জবাব জমা দিয়েছে লেবানন। হোয়াইট হাউসের দূত আমোস হোচস্টেইন বৈরুতে আলোচনা অব্যাহত রাখতে এসেছেন।

ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র বেরিকে সমর্থন দিয়েছে। খলিল বলেন, লেবানন ইতিবাচক পরিবেশে প্রস্তাবটির ওপর তাদের মন্তব্য তুলে ধরেছে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দেয়া সব মন্তব্যে জাতিসংঘের রেজোলিউশন ১৭০১-এর সুনির্দিষ্ট ধারাগুলো মেনে চলার প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। খলিল মূলত ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে পাস হওয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৭০১-এর কথা উল্লেখ করেছেন।

এই প্রস্তাবে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত ও লিটানি নদীর (যা সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কি.মি উত্তরে অবস্থিত) মধ্যবর্তী এলাকায় হিজবুল্লাহর যেকোনো সশস্ত্র উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

খলিল বলেন, এই উদ্যোগের সাফল্য এখন ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করছে। যদি ইসরায়েল সমাধান না চায়, তাহলে তারা ১০০টি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, রেজোলিউশন-১৭০১ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। এই যুক্তি তুলে ধরতে তারা সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও অস্ত্রের উপস্থিতির কথা বলে আসছে। অন্যদিকে লেবানন ইসরায়েলকে তার আকাশসীমায় যুদ্ধবিমান উড়ানোর মতো লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




শতাধিক বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিচারিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বের যেসব দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম সৌদি আরব। দেশটির আইনে প্রায়ই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে। চলতি বছরে তারা শতাধিক বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) এএফপির বরাতে মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ১০০ জনের বেশি বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব।

শনিবার সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, মাদক চোরাচালানের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় একজন ইয়েমেনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এএফপির তথ্যানুসারে, এ নিয়ে ২০২৪ সালে এ পর্যন্ত ১০১ জন বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় তিনগুণ।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :

বাংলার রূপকথা মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র কাজলরেখা। দেশে দর্শক হৃদয় জয় করে এবার অংশ নিচ্ছে প্রেস্টিজিয়াস নেদারল্যান্ডসের রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত 'কাজলরেখা' উৎসবের ৫৪তম আসরে লাইমলাইট বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে।

দেশে সিনেমাটি যা মুক্তি পায় গত ১১ এপ্রিল। বাণিজ্যের বিচারে না হলেও  সমালোচকরা ছবিটির প্রশংসা করেছে।


রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা’ নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘এই উৎসব বরাবরই এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্মগুলোকে প্রাধান্য দেয়, মৈমনসিংহ গীতিকার মতো প্রাচীন একটি রূপকথাকে এই সময়ে এসে লোকাল ফর্মে কীভাবে পর্দায় হাজির করলাম সেটাই ওদের আগ্রহী করেছে। এরজন্য সম্মানিত বোধ করছি।

রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠবে ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে সরাসরি অংশ নেবেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।


আরও খবর

প্রেমে পড়েছেন পরীমনি

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় ৫০ফিট মাটি খুঁড়ে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গভীর নলকূপের পরিত্যাক্ত গর্তে (মাটির ৫০ ফিট নিচে) পরে এক যুবকের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। এমৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ৮ ডিসেম্বর নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চকদেউলিয়া গ্রামের মাঠে। গভীর নলকূপের পরিতাক্ত গর্তে যুবক পরে যাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের টিম পৌছে ৫০ ফিট মাটির নিচ থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন।

নিহত যুবক সেলিম রেজা (২৯) হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার হাটোইর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। স্থানিয়রা জানান, মান্দা উপজেলার হাটোইর ও নিয়ামতপুর উপজেলার

 চকদেউলিয়া গ্রাম পাশাপাশি। স্থানীয় হাটোইর গ্রামের বাসিন্দা আসলাম হোসেন সহ কয়েকজন বলেন, আমাদের পাশের গ্রাম চকদেউলিয়া গ্রামের মাঠে জৈনক জয়নাল আবেদীনের একটি গভীর নলকূপ ছিলো। সম্পতি সেটি অকেজো হয়ে পড়লে পূর্বের বোডিং করা পাইপ উত্তোলন করে তার পাশেই নতুন করে বোডিং করা হয়। স্থানিয়রা আরো বলেন, নতুন কূপটি খননের পর সেখানে কিছু বালু পড়ে ছিলো। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে রবিবার সকালে সেখানে গিয়ে বালু বস্তায় ভরে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে সেলিম অসাবধানবশত পরিত্যক্ত কূপের গর্তে পরে যায়। ঘটনাটি মহূর্তের মধ্যে জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে শতশত লোকজন ভীড় জমান। তবে গর্ত অনেক গভীর হওয়ায় কেউ তাকে দেখতে না পেয়ে লোকজন হতাশ হয়ে থানা ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ ও নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান। ঘটনার ব্যাপারে নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর ইনচার্জ সাহাদৎ হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে এস্কেভেটরের সাহায্যে অন্তত প্রায় ৫০ ফিট মাটির নিচে গভীর গর্ত থেকে সেলিম রেজার মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক নিয়ামতপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গর্তে পরে যুবকের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে

নিয়ামতপুর থানার ওসি (তদন্ত) বাবুল বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত সেলিম রেজার মৃতদেহ স্বজন (পরিবারের) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর